ছবির সংবাদঃ তুরস্কের শহীদ মাওবাদী কমরেড ইব্রাহীম কায়পাক্কায়া
Posted: May 17, 2016 Filed under: ছবির সংবাদ, লাল সংবাদ/lal shongbad, শহীদ জীবনী | Tags: ইব্রাহিম কায়পাক্কায়া, ibrahim kaypakkaya 1 Commentতুরস্কের শহীদ মহান মাওবাদী নেতা কমরেড ইব্রাহীম কায়পাক্কায়া-
তুরস্কের দেরসিমের পার্বত্য এলাকায় ইব্রাহিম কাপাক্কায়া নিজে প্রতিক্রিয়াশীল বাহিনীর সাথে লড়াইয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন, কিন্তু তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তার এক সপ্তাহ পরে আহত অবস্থায় তিনি বন্দী হন। তাকে বাধ্য করা হয় নগ্ন পায়ে হেটে যেতে ৫০ কিলোমিটার তুষার আর বরফের নদী পেরিয়ে শহর থেকে শহরে, তারপর প্রায় চার মাস দিয়ারবাকিরস বন্দীশালায় তাকে রাখা হয় নির্জন কারাবাসে এবং ধারাবাহিকভাবে তার ওপর নির্যাতন চলে। পার্টি ও কমরেডদের কোনরকম তথ্য প্রকাশ না করায় প্রতিক্রিয়াশীল রাষ্ট্র তাকে গুলি করে হত্যা করে।
তুরস্কের শহীদ মহান মাওবাদী কমরেড ইব্রাহীম কায়পাক্কায়া স্মরণে প্রশ্নোত্তর –
Posted: May 17, 2016 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad, শহীদ জীবনী, সাহিত্য ও সংস্কৃতি | Tags: ইব্রাহীম কায়পাক্কায়া, ibrahim kaypakkaya Leave a commentকীভাবে ও কোন প্রেক্ষাপটে কমরেড ইব্রাহিম কাপাক্কায়া পথনির্দেশক চিন্তাধারা উদ্ভূত হল?
তুরস্কের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন মুস্তাফা সুফী (১৮৮৩-১৯২১), কিন্তু তা শীঘ্রই ধ্বংস হলো কামালবাদের কারণে, যা ছিল অটোমান সাম্রাজ্যবাদের পতনের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণকারী আমলাতান্ত্রিক বুর্জোয়াদের মতবাদ।১৯৪৯ সালে জন্ম নিয়েছেন যিনি, সেই ইব্রাহীম কাপাক্কায়া চিন্তাধারা উদ্ভূত হয়েছে জনগণের সৃষ্ট সমগ্র বিপ্লবী তরঙ্গের সর্বাধিক বিকশিত অংশ হিসেবে (অপরাপর বিখ্যাত ব্যক্তি যারা সশস্ত্র সংগ্রামের কথা বলেছেন তারা হচ্ছেন চেবাদী মহির কায়ান এবং হোজাবাদী ডেনিস গেজমিস)। প্রধান প্রশ্ন ছিল তুর্কী শাসকগোষ্ঠীর চরিত্র ও তার উত্স কামালবাদী “বিপ্লব”কে বোঝা, একটা প্রতিবিপ্লব যাকে সুবিধাবাদ “বুর্জোয়া” অথবা এমনকি “গণতান্ত্রিক ও যার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে” বিবেচেনা করেছিল ।
ইব্রাহিম কায়পাক্কায়া অধ্যয়ন করেন তুরস্কের চরিত্র, মুস্তাফা কামাল কর্তৃক প্রতিষ্ঠার সময় থেকে এর ইতিহাস, এর আধা উপনিবেশিক আধা সামন্তবাদী চরিত্র নিশ্চিত করে এবং নয়াগণতান্ত্রিক বিপ্লবের পথ অনুসরণ করার প্রয়োজনীয়তা।
কমরেড ইব্রাহিম কায়পাক্কায়া কি একটি নতুন পার্টি গঠন করেন নাকি একটা পূর্ব থেকে অস্তিত্বমান পার্টিতে যোগ দেন?
ইব্রাহিম কায়পাক্কায়া মাত্র ২১ বছর বয়সে টিআইআইকেপিতে যোগ দেন, যা মাওসেতুঙ কর্তৃক মার্কসবাদ-লেনিনবাদের ব্যাখ্যাকে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরছিল, সেখানে তিনি লেখেন ১৯৭২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত, তখন তিনি টিআইআইকেপির সাথে বিভাজন ঘটাতে এক বিপ্লবী দলকে নেতৃত্ব করেন, তিনি তার চিন্তাধারার জন্ম দেন।
কায়পাক্কায়া মধ্য জুন ১৯৭০-এর মহান ধর্মঘট থেকে শিক্ষা নেন এবং টিআইআইকেপি (তুরস্কের বিপ্লবী শ্রমিক ও কৃষক পার্টি)-এর পুনর্মূল্যায়নের কাজ শুরু করেন।
চীনের মহান সর্বহারা সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে সমর্থন করে তিনি টিআইআইকেকেপিতে একটা বিপ্লবী দল সংগঠিত করেন যা শেষ পর্যন্ত টিআইআইকেপির সাথে বিভাজন ঘটিয়ে তুরস্কের কমিউনিস্ট পার্টি/মার্কসবাদী-লেনিনবাদী টিকেপি/এমএল গঠন করে।
কমরেড ইব্রাহিম কায়পাক্কায়া কি নিজেকে মহান সর্বহারা সাংস্কৃতিক বিপ্লবের ফসল হিসেবে বিবেচনা করেছেন?
টিআইআইকেপির কর্মসূচির সমালোচনাতে ইব্রাহিম কায়পাক্কায়া ব্যাখ্যা করেন: “আমাদের আন্দোলন হচ্ছে মহান সর্বহারা সাংস্কৃতিক বিপ্লবের ফল।”
ইব্রাহিম কায়পাক্কায়ার প্রধান দলিলগুলো কী কী?
ইব্রাহিম কায়পাক্কায়া, যিনি ২১ বছর বয়সে মারা যান, চারটি প্রধান দলিল রচনা করেছেন। এই দলিলগুলো টিকেপি/এমএল (তুরস্কের কমিউনিস্ট পার্টি/মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) র প্রতিষ্ঠার মুল দলিল।
প্রথমটি ১৯৭২-এর শুরুতে টিকেপি/এমএল-এর গঠনের পর লেখা হয়েছিল, যার শিরোনাম “টিকেপি/এমএল কর্তৃক সাফাক (আইদিনিলিক) সংশোধনবাদের সাধারণ সমালোচনা”।
সাফাক (ভোর) ছিল সংশোধনবাদী তুরস্কের বিপ্লবী শ্রমিক ও কৃষক পার্টির বেআইনি কেন্দ্রিয় পত্রিকা; আর আইদিনিলিক (স্বচ্ছতা) ছিল পার্টির লাইনকে তুলে ধরা আইনি পত্রিকা।
ইব্রাহিম কায়পাক্কায়া কৃত “সাধারণ সমালোচনা”য় রয়েছে ১১টি প্রবন্ধ এবং একটি দীর্ঘ দলিল “সাফাক সংশোধনবাদ থেকে আমাদের পৃথক করে যে মূল প্রশ্নসমূহ”; এগুলো মিলে বই ১৫০ পৃষ্ঠার।
ইব্রাহিম কায়পাক্কায়ার অন্য দলিলগুলো যার প্রতিটি ৬০ পৃষ্ঠা করে, আরো বিখ্যাত। ১৯৭২-এর জানুয়ারিতে কায়পাক্কায়া লেখেন “টিআইআইকেপি (আইদিনিলিক)এর কর্মসূচির সমালোচনা এবং “কামালবাদ সম্পর্কে মতাবস্থান”।
প্রথম দলিলটি “সাধারণ সমালোচনা”র চেতনায় সংশোধনবাদী টিআইআইকেপির সমালোচনা; আর দ্বিতীয়টি খুব বিখ্যাত দলিল যেখানে তিনি কামালবাদকে ফ্যাসিবাদ হিসেবে চরিত্রায়িত করেছেন।
ডিসেম্বর ১৯৭১-এ আরো লেখেন “তুরস্কে জাতীয় প্রশ্ন”, এখানে তিনি সংশোধনবাদী জাত্যাভিমানকে বর্জন করে ও জাতীয় আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারকে রক্ষা করে কুর্দী প্রশ্নকে আলোচনা করেন।
বিপ্লবী ইব্রাহিম কায়পাক্কায়া কি গণযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন?
হ্যাঁ, ইব্রাহিম কাপাক্কায়া টিক্কো (টিআইকেকেও) গঠন করেন যা হচ্ছে তুরস্কের শ্রমিক ও কৃষকদের মুক্তি বাহিনী। দেরসিমের পার্বত্য এলাকায় ইব্রাহিম কাপাক্কায়া নিজে প্রতিক্রিয়াশীল বাহিনীর সাথে লড়াইয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন, তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তার এক সপ্তাহ পরে তিনি বন্দী হন। তাকে বাধ্য করা হয় নগ্ন পায়ে হেটে যেতে ৫০ কিলোমিটার তুষাঢ় আর বরফের নদী পেরিয়ে শহর থেকে শহরে, তারপর প্রায় চার মাস দিয়ারবাকিরস বন্দীশালায় তাকে রাখা হয় নির্জন কারাবাসে এবং ধারাবাহিকভাবে তার ওপর নির্যাতন চলে। কোনরকম তথ্য প্রকাশ না করায় প্রতিক্রিয়া তাকে গুলি করে হত্যা করে।
ইব্রাহিম কায়পাক্কায়া কি একজন নতুন নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন?
হ্যাঁ, ইব্রাহিম কায়পাক্কায়া তুরস্কের মাওবাদী আন্দোলনের মহান নেতায় পরিণত হন। আর এটা লক্ষনীয় যে, তুরস্কের প্রতিক্রিয়াশিল রাষ্ট্র তার সাথে সম্পর্কিত সবকিছু নিষিদ্ধ করতে যাবতীয় প্রচেষ্টা চালায়, অন্যদিকে চেবাদী মহির কায়ানের রোমান্টিকতাবাদ আধা গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয় এবং হোজাবাদী ডেনিস গেজমিদ প্রায় স্বীকৃত হয়।
আজ পর্যন্ত মাওবাদীদের কাছে ইব্রাহিম কায়পাক্কায়া কেন্দ্রীয়, এমনকি যারা তাকে “সংশোধন করার ভাণ করে মাওসেতুঙের রেফারেন্স, গণযুদ্ধ ও নয়াগণতান্ত্রিক বিপ্লবকে নেতিকরণ করে সেই “মার্কসবাদী-লেনিনবাদী”দেরও।
ইব্রাহিম কায়পাক্কায়া কি গণযুদ্ধকে সার্বজনীন বিবেচেনা করেছেন?
ইব্রাহিম কায়পাক্কায়া এ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করেননি। তবে মাওয়ের ধারণাকে অনুসরণ করে লাল রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রশ্নকে আলোচনা করে ইব্রাহিম কাপাক্কায়া নিশিচত করেন যে “ঔপনিবেশিক ও আধা ঔপনিবেশিক সকল পশ্চাদপদ দেশে লাল রাজনৈতিক ক্ষমতা সম্ভব। কেবল সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলিতেই তা সম্ভব নয়।”
ইব্রাহিম কায়পাক্কায়া কি সাহিত্য উদ্ধৃত করেছেন?
না, ইব্রাহিম কায়পাক্কায়ার এমন রেফরেন্স পাওয়া যায়না।
ইব্রাহিম কায়পাক্কায়া কি কবিতা লিখেছেন?
না, এমন কিছু পাওয়া যায়নি।
স্কুলজীবন থেকেই কি ইব্রাহিম কায়পাক্কায়ার বিপ্লবী জীবন শুরু?
প্রায় চার মাস নির্যাতিত হওয়ার পর, ২১ বছর বয়সে ইব্রাহিম কায়পাক্কায়া মৃত্যুবরণ করেন; তিনি ইতিমধ্যেই পার্টি ও মুক্তিবাহিনী গড়ে তুলেছেন। এটা দেখায় আগে তার জীবন কী ছিল।
ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের পদার্থবিদ্যার ছাত্র থাকা অবস্থায় কায়পাক্কায়া বিপ্লবী ভাবধারা আবিষ্কার করেন। মার্চ, ১৯৬৮তে তিনি কাপা ভাবধারা ক্লাবের ফাউন্ডেশনে যোগ দেন এর সভাপতি হয়ে। আমেরিকার ষষ্ঠ নৌবহরের বিরুদ্ধে লিফলেট প্রস্তুত করায় নভেম্বর ১৯৬৮তে তিনি স্কুল থেকে বহিষ্কৃত হন।
বিপ্লবী বাম প্রেসে তখন তিনি প্রবন্ধ লেখেন, আর শীঘ্রই একজন নেতায় পরিণত হন।
ইব্রাহিম কায়পাক্কায়া বেঁচে থাকলে কি তিনি গনসালো চিন্তাধারার মত অধিক বিকশিত চিন্তাধারা গড়ে তুলতে সফল হতেন?
অবশ্যই, যেহেতু ইব্রাহিম কায়পাক্কায়া তুরস্কের সমাজের বাস্তবতাকে বুঝতে সক্ষম হয়েছেন আমলাতান্ত্রিক পুঁজিবাদ ও কুর্দী জাতীয় সমস্যার প্রধান প্রশ্ন সমেত।
ছত্তিশগড়ে সেনা ছাউনিতে মাওবাদী গেরিলাদের হামলায় খতম ১ জওয়ান
Posted: May 17, 2016 Filed under: গণযুদ্ধের সংবাদ, ভারত, লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: মাওবাদী, maoist Leave a commentআজ ভোর রাতে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় মাওবাদী গেরিলাদের হামলায় খতম হয়েছে এক সিআরপিএফ জওয়ান৷ মৃত জওয়ানের নাম সতীশ গৌড়, বয়স ২৮৷ জানা গিয়েছে, ভোর তিনটের সময় গাঙ্গুর অঞ্চলের রঙ্গরেড্ডির জঙ্গলে সিআরপিএফ সেনা ছাউনিতে অতর্কিতে হামলা চালায় মাওবাদী গেরিলাদের একটি দল৷
বেশ কিছুক্ষন চলে মাওবাদী ও জওয়ানদের গুলির লড়াই৷ সেই সময়ই ওই জওয়ানের গায়ে গুলি লেগেছিল এবং পরে সে মারা যায় এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে৷ ঘটনার পর মাওবাদীদের দলটি জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআরপিএফ জওয়ান৷ তাদের খোঁজে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে তল্লাশি৷
সূত্রঃ http://www.hindustantimes.com/india/maoists-attack-crpf-camp-in-chhattisgarh-one-jawan-killed/story-jSP2VlzCgWOvIcaD4jJpNM.html