কলকাতাঃ নকশাল পরীক্ষার নামে আদিবাসী নারীদের স্তন পরীক্ষার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভার ডাক
Posted: March 13, 2016 Filed under: ইভেন্ট, নারী, লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: আদিবাসী, নারী, প্রতিবাদ, স্তন পরীক্ষা Leave a commentআদিবাসী নারীদের স্তন পরীক্ষার বধ্যভূমি ছত্তিসগড় সরকারের বিরুদ্ধে সোনি সোরি’র উপর অ্যাসিড হামলা এবং তার বোনকে গায়েব করার বিরুদ্ধে আদিবাসীদের জল-জঙ্গলের অধিকার কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে –
প্রতিবাদ সভা– ১৭ই মার্চ, বিকেল ৩টায়, কলেজ স্ট্রীটে –
প্রথমেই জানিয়ে রাখি, ভেবেছিলাম ছত্তিসগড় সরকারের অফিসের সামনেই জড়ো হবো। কিন্তু অনেক খুঁজেও কোথাও সেটা পাওয়া গেল না । মিন্টো পার্কে একটা ট্যুরিজম অফিস আছে । তাই সকলকেই প্রাথমিক ভাবে আহ্বান করা হচ্ছে কলেজ স্ট্রিটে জমায়েত করতে। এমন কিছু ঘটনা ঘটে চলছে ছত্তিসগড়ে, গা শিউড়ে উঠবে। তাই আমাদের প্রতিবাদ লাগাতার…
কিছু বছর আগে সকলেই জানি সোনি সোরি’র উপর অকথ্য অত্যাচার নামিয়ে আনে অঙ্কিত খড়গ। সোনিকে কয়েদ করে তার যৌনাঙ্গে পাথর ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। যত ধরনের অত্যাচার সম্ভব করা হয়েছিলো। এরপর বেশ কয়েক বছর কেটে গেছে, সোনি সোরির গতিবিধির উপর পুলিশ সর্বক্ষণ নজরদারি রাখে। কয়েক দিন আগেই তার মুখে অ্যাসিড ছোঁড়া হয়। তিনি jnu’র প্রতিবাদে সেই পোড়া মুখেই হাজির হয়ে জানিয়ে দেন, এই মুখ বস্তারের। তিনি লড়াইয়ে আছেন। কাল শোনা যায় তার বোন নিখোঁজ। আবারও হয়তো কোন কারাগারে…
যখন দেশভক্ত-দেশদ্রোহী বিতর্কে সারা ভারত উত্তাল সেই সময়েই ছত্তিসগড় সরকার মূলবাসী আদিবাসী জনতার বনের অধিকার কেড়ে নেয়। আদিবাসীরা বনের উপর ভয়ানকভাবেই নির্ভরশীল। তারা বনের কাঠ মধু সংগ্রহ করে ছোট জন্তু মেরে জীবনযাপন করেন। এবং জঙ্গল কে রক্ষা করেন। ভারতের আইন আদিবাসীদের বনের উপর সার্বিক অধিকার দেয় । কিন্তু এখন থেকে আর আদিবাসীরা বনে ঢুকতে পারবেন না। তাদের লাইন দিতে হবে স্বচ্ছ ভারত অভিযানে। সেখানেই পাওয়া যাবে সুলভ মজুর…
এবং গতকাল সবথেকে নৃশংস ঘটনা শোনা জানা গেছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট গুলোয়। আমাদের দেশের ফৌজিরা আদিবাসী নারীদের সার বেঁধে দাঁড় করিয়ে স্তন পরীক্ষা করছেন। স্তনে দুধ থাকলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে আর না থাকলে নকশাল বলে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে…
প্রাথমিকভাবে কলেজ স্ট্রিটে এই প্রতিবাদ সভা হলেও আমরা চাইছি এই প্রতিবাদ ব্যাপক হোক । তাই সেদিন যদি আপনাদের কোন সংযোজন থাকে বলবেন ।
সূত্রঃ https://www.facebook.com/events/477768899081557/?active_tab=highlights
তিউনিশিয়ায় চাকরীর দাবিতে বিক্ষোভ, তুমুল সংঘর্ষ, নিহত পুলিশ
Posted: January 21, 2016 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: তিউনিসিয়া, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, সংঘর্ষ Leave a commentতিউনিশিয়ায় চাকরির দাবিতে ডাকা বিক্ষোভে সমাবেশে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বিক্ষোভকারীদের হামলায় অন্তত একজন পুলিশ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
বুধবার উত্তর আমেরিকার দেশ তিউনিশিয়ার কাজারেইন শহর যেন পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। দেশটির বেকারত্বের হার ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় জনগণ বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকলে মঙ্গলবার কারফিউ জারি করা হয়। বুধবার কারফিউ উপেক্ষা করেই বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদ জানায় এবং পুলিশ স্টেশনে হামলা চালায়। এ ঘটনার পর পুলিশের তাদের তুমুল সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ছুড়ে পুলিশ।
এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমরা আমাদের কাজের অধিকার রক্ষা করার চেষ্টা করছি। এটাই এখন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের একমাত্র উপায়। আমরা পাঁচ বছর ধরে আমাদের দাবির বিষয়টি জানিয়ে আসছি কিন্তু তারা কোনো সারা দেননি।’
গত মঙ্গলবার বেকারত্বের কারণে তিউনিসিয়ার এক তরুণ আত্মহত্যা করার ২ দিন পর পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ কাজারেইনে চাকরির দাবিতে আন্দোলনরত বিক্ষুদ্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
আরব বসন্তের সূতিকাগার তিউনিসিয়ার কাজারেইন প্রদেশের রাজধানীতে মঙ্গলবার বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বলে তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ট্যাপ জানিয়েছে।
সংঘর্ষে ৩ পুলিশসহ কমপক্ষে ২৩ জন আহত হয়েছেন বলে ট্যাপ জানিয়েছে। আহতরা অধিকাংশ টিয়ার গ্যাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে বুধবার ভোর ৫ টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছে।
গত রবিবার কাজারেইন প্রদেশের রিদা ইয়াউয়ি নামের এক তরুণ চাকরিপ্রার্থী সম্ভাব্য সরকারি চাকরি প্রাপ্ত প্রার্থীদের তালিকায় নিজের নাম না থাকার হতাশায় আত্মহত্যা করে।
ইয়াউয়ি একটি বৈদ্যুতিক খাম্বায় উঠে নিজেকে শেষ করার হুমকি দেয়। এরপর খাম্বার বিদ্যুৎ পরিবাহী তারে নিজের শরীর জড়িয়ে আত্মহত্যা করে। সরকার ইয়াউয়ির আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
কাসেরিন শহরটি আলজেরিয়া সীমান্তের নিকট জেবেল ইক চাম্বি পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত।
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, বর্তমানে তিউনিসিয়ায় বেকারত্বের হার প্রায় ১৫.৩%। ২০১১ সালে আরব বসন্তের পর এ হার ছিল ১৬.৭%। কিন্তু বিপ্লব পূর্ববর্তী সময়ে তিউনিসিয়ার বেকারত্বের হার ছিল মাত্র ১৩%।
আরব বসন্তের ফলে তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বে পরিবর্তন আসলেও জনসাধারণের ভাগ্যের খুব একটা পরিবর্তন ঘটেনি। চাকরির দাবিতে তরুণের আত্মহত্যা তিউনিসিয়ার জনগণকে নাড়িয়ে দিয়েছে। বহুবিধ সমস্যায় জর্জরিত তিউনিসিয়ার জনগণ আবারো নিজেদের অধিকার আদায়ে সহিংস হয়ে উঠেছে। আবারো বিক্ষোভে উত্তাল আফ্রিকার দেশটি।
সূত্র: আলজাজিরা
ভারতঃ সিপিআই(মাওবাদী)-র ‘প্রতিবাদ সপ্তাহ’ শুরু
Posted: December 24, 2015 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: প্রতিবাদ, প্রতিবাদ সপ্তাহ, সিপিআই (মাওবাদী) Leave a commentসিপিআই(মাওবাদী)-র ডাকা বক্সাইট খনির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সপ্তাহের প্রথম দিন, মঙ্গলবার বিশাখা এজেন্সিতে শান্তিপূর্ণভাবেই পালিত হয়েছে। কিন্তু পুলিশ ও সিআরপিএফের বর্ধিত সাঁড়াশি অপারেশন সত্বেও মাওবাদীরা গত সোমবার এক “চর”কে খতম করে তাদের প্রাধান্য অব্যাহত রেখেছে। চলমান সপ্তাহে স্থানীয়রা বেশী সহিংস ঘটনার আশঙ্কা করছে। প্রধান রাস্তায় যানবাহন ও যাত্রীদের নিবিড় ও অবাধ তল্লাশির জন্যে এজেন্সি থানায় গ্রে হাউন্ড ও প্রশিক্ষিত SIS পাঠানো হয়েছে।
অনুবাদ সূত্রঃ
ভারতঃ ৩০শে সেপ্টেম্বর ‘এসেম্বলি চল’ শীর্ষক প্রতিবাদ
Posted: September 27, 2015 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: চল এসেম্বলি, তেলেঙ্গানা, প্রতিবাদ, বিদ্যাসাগর, ভারাভারা রাও, মাওবাদী, শ্রুতি, সাজানো বন্দুকযুদ্ধ Leave a commentসাজানো বন্দুকযুদ্ধে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের বিশদ তদন্তের দাবীতে আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বর ‘এসেম্বলি চল’ শীর্ষক প্রতিবাদ প্রদর্শনের ডাক দিয়েছে তেলেঙ্গানা ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট এর ব্যানারে বিভিন্ন গণ সংগঠন। শুক্রবার প্রতিবাদের পোস্টার প্রকাশ কালে বিপ্লবী কবি ভারাভারা রাও বলেন, মাওবাদী পার্টির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার যে প্রতিশ্রুতি মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও দিয়েছিলেন, তা পালন করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তার পরিবর্তে তিনি মাওবাদী পার্টির সদস্যদের অপসারণ করতে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস লেলিয়ে দিয়েছেন।
বন্দুকযুদ্ধটিকে ‘সাজানো’ বর্ণনা করে গোবিন্দরাওপেট মণ্ডলের মদ্দুলাগুত্তায় সংঘটিত শ্রুতি ও বিদ্যাসাগর রেড্ডিকে হত্যার অপারেশনে অংশগ্রহণকারী পুলিশদেরকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী হিসেবে অভিযুক্ত করেন ভারাভারা রাও। তিনি দাবী জানান, “এই হত্যাকাণ্ডের জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ভার নিতে হবে। সরকারকে এই সাজানো বন্দুকযুদ্ধের বিশদ তদন্তের নির্দেশ দিতে হবে”। বিভিন্ন গণ সমিতি ও গণতান্ত্রিক সংগঠন একত্রে হাত মিলিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতি নিন্দা জানায়। শ্রুতির পিতা সুদর্শন বলেন, এটি অত্যন্ত পরিস্কার যে হত্যা করার আগে তার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে ও নৃশংস নির্যাতন চালানো হয়েছে।
ভারতঃ আনাগোনা বাড়ছে মাওবাদীদের, ‘খোকাদা’কে নিয়ে বিভ্রান্ত পুলিশ
Posted: May 17, 2015 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: APDR, ইউনিট, উন্নয়ন, কেন্দ্রীয়, খোকা দা, গোয়েন্দা, চাকরী, প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, বাহিনী, বেকার, মাওবাদী, মাওবাদীদের, মাওবাদীরা, মিনিট, লাল সংবাদ, লাল সংবাদ/lal shongbad, LAL SHONGBAD, RED NEWS Leave a commentছত্রধর মাহাতোর সাজাকে ঢাল করেই কি জঙ্গলমহলে ফের নিজেদের জমি তৈরির কাজে নেমে পড়ল মাওবাদীরা? গত তিন-চারদিনে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় হঠাত্ করেই মাওবাদী তত্পরতা বেড়ে যাওয়ায় এমন আশঙ্কাই করছেন গোয়েন্দারা৷ এক সময় মাও অধ্যুষিত বেলপাহাড়ি, লালগড়ে এখন ঝাড়খণ্ড থেকে মাঝে মধ্যেই ঢুকছে ছয়-সাতজনের সশস্ত্র স্কোয়াড৷ এদের নেতৃত্বে থাকছেন মাওবাদী কমান্ডার রঞ্জিত পাল৷ দীর্ঘ সময় পুরুলিয়ার অযোধ্যা স্কোয়াডের দায়িত্বপ্রান্ত রঞ্জিত কাজও শুরু করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন জঙ্গল এলাকায়৷
শুক্রবার এক গোয়েন্দা কর্তা জানান, ‘বর্ষা এগিয়ে আসছে, সুতরাং জঙ্গল আরও গভীর হচ্ছে৷ সেই সুযোগটা নেওয়ার চেষ্টা করছে মাওবাদীরা৷ শুধুমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্তত পাঁচ জায়গায় মাওবাদীদের আনাগোনার খবর জানতে পেরেছি আমরা৷ কিন্তু সব কটা খবরই এসেছে ওরা গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার পর৷ এটাই উদ্বেগের৷’ জানা গিয়েছে, গোয়েন্দাদের উদ্বেগ বেড়েছে একটি অজানা নামকে ঘিরেও৷ বেলপাহাড়ি এলাকায় ‘খোকাদা’ নামে ওডিশার বাসিন্দা এক ব্যক্তি এসে সংগঠন বাড়ানোর কাজ শুরু করেছেন মাসখানেক আগে৷
এক গোয়েন্দা কর্তার ব্যাখ্যা, ‘এই অজানা নামগুলিকে নিয়েই সমস্যা৷ কারণ অনেক পরে হয়তো জানা যাবে ওই ব্যক্তি আসলে কে? এমন ঘটনা ঘটেছিল ২০০০ সালের শুরুর দিকেও৷ সে সময় বেলপাহাড়ির পুকুরিয়া গ্রামে মাওবাদী নেতা কিষেণজি প্রথম সাংগঠনিক কাজ শুরু করেছিলেন ‘বিমলদা’ নাম নিয়ে৷ যখন আমরা জানতে পারি বিমলদাই আসলে কিষেণজি, ততদিনে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে৷’ জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, আগের মতো আর মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে না মাওবাদীরা৷ আবার তারা প্রথম দিকের মতো ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে তথ্য আদানপ্রদান শুরু করেছে৷ গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, বেলপাহাড়ির ভূমিপুত্র হলেও মদন মাহাতোর কাজকর্মে মাওবাদী নেতৃত্ব খুশি নয়৷ ফলে তারা মদনকে সাংগঠনিক কাজ থেকে দূরে রেখেছে৷ ছত্তিসগড়ে গা ঢাকা দিতে চলে যাওয়া মহিলা নেত্রী তারাকেও ফিরিয়ে আনা হয়েছে ঝাড়খণ্ডে৷ এবং এই ঝাড়খণ্ডের সীমানাকেই ব্যবহার করা হচ্ছে এ রাজ্যে নতুন করে জমি তৈরির জন্য৷
শুক্রবার এক পুলিশ কর্তা বলেন, আসলে মাওবাদীরা জঙ্গলমহলে নতুন করে জল মাপতে চাইছে৷ বিভিন্ন পঞ্চায়েতে তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে গোলমালকে কতটা কাজে লাগানো যায় তা দেখতে দিনের বেলা গ্রামে ঢুকে আবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বেরিয়েও যাচ্ছে তারা৷ কমিটির বহু নেতা বাঁচার স্বার্থে তৃণমূলে যোগদান করলেও তাদের অনেকেই পুরোনো মনোভাব পাল্টাতে পারেনি৷ তাদের গতিবিধির উপরেও নজরদারি চলছে৷ যেমন, লালগড় অঞ্চলে জনসাধারণের কমিটির এক প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ বাঁশতলায় রাজধানী এক্সপ্রেস আটকানোর মতো ঘটনার পর সংগঠনের কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন৷ সরকার পরিবর্তনের পর তিনি ফিরে এসে শাসকদলে নাম লেখান৷ এ ধরনের লোকেদের বিরুদ্ধেও মাওবাদীরা কৌশলে প্রচার শুরু করেছে৷ খুব সম্প্রতি রামগড়ে এক ঠিকাদারের কাজে অসন্ত্তষ্ট হয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে আটকে রেখেছিলেন৷ পরে পুলিশ খবর পেয়ে আসায় তাদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়৷ দীর্ঘক্ষণ ঝামেলার পর সেই ঠিকাদারকে ছাড়া হয়৷ চলতি মাসের গোড়ায় বেলপাহাড়ির ভুলাভেদা পঞ্চায়েত অফিসে একশো দিনের কাজের টাকা না পেয়ে সরকারি কর্মীদের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে আটকে রাখেন গ্রামবাসীরা৷ এর পিছনেও মাওবাদীদের মদত থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশকর্তাদের৷
জানা গিয়েছে, ছত্রধর মাহাতোর সাজা হওয়ার বিষয়টি নিয়েও জঙ্গলমহলে প্রচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাওবাদীরা৷ তাদের স্ট্র্যাটেজি, গ্রামের লোকেদের মধ্যে প্রচার করতে হবে যে উন্নয়নের দাবিতে আন্দোলন করায় ছত্রধরকে সাজা দেওয়া হয়েছে৷ অথচ সেই আন্দোলনের জেরে উন্নয়ন যখন শুরু হল তখন শাসকদলের কিছু নেতারাই সব লুটে নেওয়ার চেষ্টা করছেন৷ আপাতত দলের তরফে এই প্রচারের দায়িত্ব পেয়েছেন রঞ্জিত পাল৷ ইতিমধ্যেই আজনাশুলি, আগুইবনির মতো জঙ্গল এলাকাগুলিতে যাতায়াত শুরু করেছেন তিনি৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসীর কথায়, দিন পনেরো আগে রঞ্জিত পাল আরও কয়েকজনকে গিয়ে আজনাশোলে এসেছিল৷ গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠক করার প্রস্তাবও দেয়৷ কিন্তু দশ-বারোজনের বেশি গ্রামবাসী সেই বৈঠকে যাননি৷
শুক্রবার জঙ্গলমহলের কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক কর্তা বলেন, ‘৬ মাস আগে মাওবাদী নেতা বিকাশ ওদলচুয়ায় ঢুকেছে বলে আমরা জানতে পারি৷ রাতে সেখানেই হানা দিয়েছিলাম৷ তবে তার পাঁচ মিনিট আগেই সে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যায়৷ আগে এ সব খবর দ্রুত আমাদের কাছে চলে আসছিল৷ এখনও খবর আসছে ঠিকই, কিন্তু বড্ড দেরিতে৷ এটাই আমাদের চিন্তা বাড়িয়েছে৷’
সূত্রঃ