ভারতঃ উত্তর প্রদেশে দলিত বৃদ্ধকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা

ভারতের বুন্দেলখন্ডের হামিরপুরা জেলায় ৯০ বছর বয়সী এক দলিত বৃদ্ধকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় একটি মন্দিরে যাওয়ার পথে চিম্মা নামের ওই দলিত বৃদ্ধকে উচ্চবর্ণের এক ব্যক্তি যেতে বাধা দেয়। তিনি বাধা না মেনে সেখানে যাওয়ায় প্রথমে তার মাথায় কুড়ুল দিয়ে আঘাত করা হয় এবং পরে ঘটনাস্থলেই তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়।

এ ঘটনার খবর পেয়ে এলাকার লোকজন অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। জালালপুর থানার পুলিশ কর্মকর্তা রামাশ্রয় যাদব জানান, ‘অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

জালালপুর থানা এলাকায় অবস্থিত একটি মন্দির দর্শনের জন্য সপরিবারে চিম্মা তার ছেলে দুর্জন, ভাই এবং স্ত্রীকে নিয়ে যান। সেখানে সঞ্জয় তেওয়ারি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাদের দেখা হলে তিনি তাদের ভিতরে প্রবেশ করতে নিষেধ করেন। চিম্মা নামের ওই দলিত বৃদ্ধ নিষেধ না মানতে  চাইলে তাকে কুড়াল দিয়ে আক্রমণ করে সঞ্জয়। এ ঘটনা দেখে তার স্ত্রী এবং ভাই সেখান থেকে পালিয়ে স্থানীয়  গ্রামবাসীদের কাছে সাহায্যের জন্য যায়। এর মধ্যেই অবশ্য সঞ্জয় নামে ওই ব্যক্তি চিম্মার মাথায় কুড়ুল দিয়ে বেশ কয়েকবার আঘাত করে। ওই দলিত বৃদ্ধ বেহুঁশ হয়ে পড়লে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়।

অভিযুক্ত সঞ্জয়ের এ রকম উন্মত্ততা দেখে অবশ্য কেউই ওই বৃদ্ধকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসতে পারেনি। কিছুক্ষণ পরে গ্রামের কয়েকজন যুবক সাহস করে এগিয়ে এসে তাকে কাবু করতে সক্ষম হয়।

পুলিশ কর্মকর্তার দাবি, সঞ্জয় নেশাগ্রস্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। অবশ্য ভারতে উচ্চবর্ণের ব্যক্তিদের বাঁচাতে পুলিশের এই ধরণের বক্তব্য নতুন কিছু নয়।

ভারতঃ কর্ণাটকে মন্দিরে প্রবেশ করায় ৪ দলিত মহিলাকে জরিমানা উচ্চ বর্ণের

কর্ণাটকের এক মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য ৪ দলিত মহিলা প্রবেশ করায় তাঁদের উপর জরিমানা ধার্য্য করেছে গ্রামের উচ্চবর্ণের লোকেরা। যদিও ওই মহিলার জরিমানা দিতে অস্বীকার করেছেন। কারণ মন্দিরে তাঁরাও চাঁদা দেন, তাঁদেরও অধিকার আছে। এই কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালুরুর আইটি অগ্রগতি নিয়ে এরপরও বড়াই করার কোন মানে হয় কি?

সূত্রঃ http://satdin.in/?p=4631

ভারতঃ রাজস্থানে ট্রাক্টর চাপা দিয়ে নিম্নবর্ণের ৪ দলিতকে হত্যা করল উচ্চবর্ণের জাঠরা

রাজস্থানের নগৌর জেলায় জমির দখল ঘিরে উত্তেজনার জেরে উচ্চবর্ণের জাঠদের ট্রাক্টরের তলায় প্রাণ দিতে হল ৪ দলিতকে।

হামলার সময় দলিত মহিলাদেরও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। ৪০ বছর আগে  ১৫০০ টাকার বিনিময় ২৪ বিঘা জমি জাঠদের কাছে বন্ধক রাখে এক দলিত পরিবার। সেই জমি নিয়েই বিবাদের জেরেই ট্রাক্টর দিয়ে ৪ দলিতকে পিষে মারার অভিযোগ উঠেছে জাঠদের বিরুদ্ধে। বৃহষ্পতিবারের এই নারকীয় হত্যাকান্ড ফের দেখিয়ে দিচ্ছে প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও দলিত- আদিবাসীরা উচ্চবর্ণের নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অথচ তাই নিয়ে কোথাও তেমন  কোন হইচই নেই। বৃহষ্পতিবারের ঘটনা জয়পুর থেকে মাত্র ২৫০ কিমি দূরে এক গ্রামের।

সুত্রঃ http://www.satdin.in/index.php/13-2014-04-07-17-10-23/2276-2015-05-16-12-44-21