“আসুন গণযুদ্ধের জন্য আমাদের জীবন উৎসর্গ করি” – তুরস্কের জেলবন্দী গেরিলা যোদ্ধা
Posted: March 17, 2016 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: গেরিলা, গেরিলা যোদ্ধা, মাওবাদী, TKP, TKP/ML Leave a comment[নোট : নিচের বক্তব্যটি তুরস্কের সাগমাছিলার জেলখানায় TKP(ML)-এর একজন আমরণ অনশনকারী যোদ্ধার একটা অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তৃতা। জেলবন্দিরা অনশন ধর্মঘটকে আমরণ অনশনে রূপান্তরিত করে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালানোর ঘোষণার প্রতীক “মাথায় লালপট্টি বাধার পর অনুষ্ঠানটি করা হয়েছিল। বক্তৃতাটি “রেভ্যুলুশনারী ডেমোক্রেসি, নং-২২, ১৬-৩১ ডিসেম্বর, ২০০০ সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়েছে। (নোট: ট্রেঞ্চ কমরেডগণ” বলতে রাজনৈতিক বন্দিদের যুদ্ধে যোগদানকারী অন্যান্য সংগঠনের কমরেডদের কথা বুঝানো হয়েছে) – এই নোটসহ সমগ্র লিটারেচারটি নেয়া হয়েছে ইংরেজিতে প্রকাশিত AWTW পত্রিকার ২০০১/২৭ সংখ্যা থেকে। যার বাংলা অনুবাদ করেছেন আমাদের একজন কমরেড। অনুবাদের বিষয়ে যে কোনো মতামত সাদরে গৃহীত হবে।]
আন্তর্জাতিক সর্বহারা শ্রেণি বিশ্বের নিপীড়িত জনগণের কাছ থেকে আমাদের সংগৃহীত শক্তিতে আমি আপনাদের সালাম জানাই। আমি আপনাদের সকলকে আমাদের বৈজ্ঞানিক মতাদর্শ মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদ থেকে অর্জিত শক্তিতে সালাম জানাই। আন্দিজ পর্বতমালা, হিমালয় পর্বতমালা, নক্সালবাড়ি এবং মুঞ্জরস-এ উড্ডীন আমাদের আন্তর্জাতিক লাল পতাকায় আমি আপনাদের সকলকে সালাম জানাই। কমরেডগণ এবং ট্রেঞ্চ কমরেডগণ ; বিপ¬বের তুলনা চলে মায়ের তীব্র প্রসব বেদনার মধ্য দিয়ে সুন্দর লাল গোলাপের মতো শিশুর ভূমিষ্ঠ হওয়ার সাথে। আমরা দীর্ঘ এবং বেদনাদায়ক বিপ্লবী যুদ্ধের শেষে সুন্দর লাল গোলাপের মতো শিশুটির জন্মগ্রহণ দেখতে পাবো, আর একটার পর একটা বিপ্লব, সর্বহারা সাংস্কৃতিক বিপ্লব সমূহের মধ্যে দিয়ে শিশুটিকে গড়ে তুলবো এবং এর বিকাশ নিশ্চিত করব… যতক্ষণ পর্যন্ত না শ্রেণিহীন, সীমান্তহীন, শোষণমুক্ত কমিউনিস্ট সমাজে আমরা পৌঁছতে না পারি ; সেটাই হচ্ছে সঠিক দুনিয়া, মানবজাতির স্বর্ণযুগ। আমরা বিপ্লবী যুদ্ধের একটা নতুন ও বেদনাদায়ক কাল অতিক্রম করছি ; এই কালে আমরা পুরোপুরি নিয়োজিত আছি এই স্বপ্নের বাস্তবায়নে। একই সাথে বর্তমান পর্যায়টি হচ্ছে এমনই একটা ক্রান্তিকাল যখন একজন নিজে প্রকৃত বিপ্লবী কিনা তা পুন:যাচাই-এর জন্য তাকে মতাদর্শগত, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যে কোনো বিপ্লবী, সংগঠন বা পার্টি এই ক্রান্তিকালের প্রয়োজন মিটাতে ব্যর্থ হলে, বর্তমান বিশ্বে যে বিপ্লবের ঢেউ জেগে উঠছে তার সাথে সঠিক তালে এগিয়ে যেতে পারবে না, ফলে হোচট খাবে এবং ব্যর্থ হবে বা এর পশ্চাতে টেনে-হেঁচড়ে চলবে। আমরা যারা কারাবন্দি যোদ্ধা আর রাজনৈতিক বন্দি তাদের এ পর্যন্ত পালন করা দায়িত্বটা এখন আরো বেড়ে গেছে সাম্রাজ্যবাদী ও ফ্যাসিবাদী একনায়কের রণনীতিগত পলিসির নীল নকশার সেল আক্রমণ পরিচালনার কারণে। কারাবন্দি যোদ্ধারা তাদের দায়িত্ব পালনে কখনো দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেনি আর বর্তমানেও তাদের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসছেন। গত বছরব্যাপী কয়েকটি ছোট-বড় লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে এখন আমাদের লড়াইয়ের বিজয়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছেছি আমৃত্যু অনশনের আক্রমণ পরিচালনার মাধ্যমে। এই চূড়ায় আরোহণের লক্ষ্যে আমাদের পার্টিগুলো থেকে আমাদের কয়েকজনকে অগ্রভাগে যুদ্ধ করার কাজে দেয়া হয়েছে…। কমরেডগণ এবং ট্রেঞ্চ কমরেডগণ ; এই মুহূর্তে আমি যখন আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছি তখন আমি ঐ দিনের মতো আবেগ অনুভব করছি যেদিন প্রথম আমাকে এই কাজের ভার দেয়া হয়েছিল। আমি একজন গেরিলার উদ্দীপনা ও রোমাঞ্চ অনুভব করছি, একজন গণযোদ্ধা শত্রুর ওপর শত শত গুলি ছোড়ার পর তার রাইফেলের ব্যারেল কতটা উত্তপ্ত হয়েছে তা খেয়াল না করেই ব্যারেলটিতে লেহন করে জিভ পুড়িয়ে ফেলার রোমাঞ্চ আমি অনুভব করছি। যেখানে যে অবস্থাতেই আমরা থাকি না কেনো আমরা অনুভব করছি একজন গেরিলার উৎসাহ-উদ্দীপনার অনুভূতি ; যা হচ্ছে আমাদের সম্মিলিত আত্মিক গঠনের ফল। এই রোমাঞ্চ ও উদ্দীপনা হচ্ছে আমাদের রাজনৈতিক কর্তৃত্বের বিপ্লবী ঘাটি এলাকাগুলো শত্রুর দ্বারা পরিবেষ্টিত অবস্থায় তোলা আমাদের রণধ্বনির: “আসুন গণযুদ্ধের জন্য আমাদের জীবন উৎসর্গ করি”, ফ্যাসিবাদের আক্রমণগুলোকে প্রতিরোধ করি, কারণ এগুলো আমাদের আকাঙ্খিত রাজনৈতিক ক্ষমতা ধ্বংস করতে চায়। গেরিলা আর আমাদের একই অনুভূতি কাজ করছে, কারণ আমরা জানি যে আমরা শত্রুর একই অবস্থানে আঘাত করছি। আলেকজান্ডার দি গ্রেট যুদ্ধে তার সেনাবাহিনীর শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছিলেন : “আমার সৈন্যরা মরার জন্য লড়ছে না বরং জয়লাভের জন্য লড়ছে”। একজন যোদ্ধার জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা যা আত্মস্থ করা দরকার। জেরোনিমো আমাদের হৃদয়ে এবং নিপীড়িত জনগণের হৃদয়ের ইতিহাসে বিশেষ স্থান দখল করে আছেন, যদিও তিনি যুদ্ধের কৌশল বা যুদ্ধের ইতিহাসের ওপর কোনো বই লিখেন নি, তিনি নিম্নের উক্তিটি করেছেন: “জীবন প্রক্রিয়ায় মৃত্যুর দ্বার খোলা না থাকলে কোনো বিপ্লবও হতে পারে না।” এটাও একটা দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা যা একজন বিপ্লবী যোদ্ধার আয়ত্ব করা দরকার। অতএব বিপ্লবের জন্য মরার সাহস নিয়ে আত্মত্যাগ করতে হবে; মরার সাহস নিয়ে বিপ্লবী যুদ্ধ চালাতে জনগণকে পরিচালিত করতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায়, পেরুর রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের দ্বারা নির্জন অন্ধকার কারা প্রকোষ্ঠে আটক কমরেড গনজালো বলেছেন : “আঙ্গুলের মাথায় আমাদের জীবনকে বয়ে বেড়ানোর শিক্ষা আমাদেরকে অর্জন করতে হবে।” আর ঠিক এটাই আজ আমরা করছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জয়লাভ করা, যুদ্ধ করে জয়লাভ করা…। আমরা বিপ্লবী, কমিউনিস্ট ; তাই আমরা বিপ্লব চাই, স্বাধীনতা চাই, নয়াগণতন্ত্র চাই, এবং সমাজতন্ত্র চাই। তাইতো আমরা সেলের বিরোধিতা করছি, আর দৃঢ়তার সাথে বিপ্লবী যুদ্ধ গড়ে তুলতে চাইছি। … চেয়ারম্যান মাও আমাদের শিখিয়েছেন যে হাজার আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে মৃত্যুকে বরণ করতেও যে ভয় পায় না সে-ই সম্রাটকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পাওে ; সেহেতু আমাদের নেতা ও পথপ্রদর্শক ইব্রাহিম কায়াপাক্কায়া শিখিয়েছেন, শ্রেণিসংগ্রামের মহাসমুদ্রে সকল বাধা-বিপত্তি ডিঙ্গিয়ে এগিয়ে চলতে। এই সচেতনতা এবং সাহস নিয়ে আমি আমরণ অনশনের লড়াইয়ের পরীক্ষা অবতীর্ণ হচ্ছি।
আমার কমরেডসুলভ উষ্ণতায় এবং ট্রেঞ্চ কমরেডসুলভ অনুভূতির সাথে আমি আপনাদের সালাম জানাই। বিজয়পূর্ণ দিন অর্জনে আপনাদের সফলতা কামনা করছি।
আমাদের পার্টি দীর্ঘজীবী হোক!
আমাদের জয় হবে, জনগণের জয় হবে, গণযুদ্ধের জয় হবে!
TKP(ML)-এর আমরণ অনশন যোদ্ধা, সাগমাছিয়া জেল।
সূত্রঃ AWTW পত্রিকা, ২০০১/২৭ সংখ্যা
তুরস্কের মাওবাদীরা ক্ষমতাসীন AKP সরকারের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে
Posted: February 12, 2016 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: মাওবাদী, TIKKO, TKP, TKP / ML-TIKKO Leave a commentএরদোগানের ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র এবং তার দল AKP-র বিরুদ্ধে তুরস্কের কমিউনিস্ট পার্টি(মাওবাদী)’র সশস্ত্র শাখা TIKKO এর চলমান যুদ্ধের অংশ হিসেবে মাওবাদীরা গত ১০ই ফেব্রুয়ারি রাত ১২.৩০ মিনিটে ইস্তাম্বুলে AKP পার্টির অফিস ভবন পুড়িয়ে দিয়েছে। কুর্দি জনগণের উপর তুর্কি সরকারের চলমান গনহত্যা, বিশেষ করে সিজরে তুর্কি পুলিশ কর্তৃক ৬০ জন কুর্দি জনগণকে হত্যার প্রতিবাদে এই অগ্নিসংযোগের হামলাটি চালানো হয়েছে। এদিকে গত কিছুদিন ধরেই ইস্তাম্বুলের রাস্তায় পুলিশের সাথে মাওবাদীদের সংঘর্ষ চলছে।
হামলার উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মাওবাদীরা স্প্যানিশ ভাষায় বিবৃতি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে মাওবাদীরা বলেন, “আমরা কুর্দি জনগণকে লক্ষ্যবস্তু করে চালানো সকল হামলার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলব, আমরা এই বিষয় নিয়ে নীরব থাকব না। কায়পাক্কায়া’র উত্তরাধিকারী হিসেবে, আমরা কুর্দি জনগণের ওপর হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ জোরদার করব এবং ফ্যাসিস্ট AKP শক্তির প্রতিনিধিত্বমূলক সব লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে থাকবে!”।
উল্লেখ্য যে, তুরস্কের দমনবাদী ফ্যাসিস্ট সরকারী বাহিনী পেন্দিক জেলায় প্রবেশ করে জনগনের উপর নির্যাতন চালায় এবং অনেককেই তাদের হেফাজতে নিয়েছে। এসময় সরকারী কয়েক ডজন সাঁজোয়া গাড়ি ও বিশেষ বাহিনীর শত শত সদস্য এলাকায় একযোগে হামলা চালায় এবং প্রকাশ্য স্থানে তল্লাশি চালিয়ে জনগণকে জেরা এবং ভয় দেখাতে চেষ্টা করে।
অনুবাদ সূত্রঃ http://www.ozgurgelecek.org/manset-haberler/18958-tkko-militanlar-kuerdistan-icin-akp-binasn-atee-verdi.html
তুরস্কের গণযুদ্ধের সংবাদ
Posted: January 25, 2016 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: maoist, TKP, TKP / ML-TIKKO, turkey maoist Leave a commentতুরস্কের ইস্তাম্বুলে গত ২৪শে জানুয়ারি রাত ১.৩০টার দিকে মাওবাদী TKP/ML–TIKKO গেরিলারা ক্ষমতাসীন AKP পার্টির সমর্থকদের ব্যবহার করা একটি ভবনে অগ্নি-বোমা হামলা চালিয়েছে। AKP পার্টির সমর্থকরা- আল নুসরা ফ্রন্ট (সিরিয়ার আল কায়েদা) ও শাম আল আহরার সহ সিরিয়ার সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিস্ট দলগুলোর জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে ঐ ভবনটি ব্যবহার করে থাকে।
মাওবাদীরা এক ইশতেহারে উল্লেখ করে বলেন, “আমরা রাষ্ট্র ও অপরাধীদের জন্য প্রয়োজনীয় শাস্তি প্রয়োগ করে যাব “।
অনুবাদ সূত্রঃ http://www.nouvelleturquie.com/fr/guerilla/a-istanbul-les-militants-du-tikko-ont-brule-un-local-soutenant-les-djihadistes-en-syrie/
http://www.ozgurgelecek.net/manset-haberler/18725.html?task=view
ভারতঃ “চলে যাও অথবা মর” -বস্তারের পুলিশদের সতর্ক করে দিল মাওবাদীরা
Posted: April 29, 2015 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: খবর, নির্যাতন, বন্ধু, লাল সংবাদ, সাক্ষাৎকার, সিপিআই (মাওবাদী), BANGLA, bastar, BLACK MAN, BLACK PEOPLE, CHATRA, cpi, CRISIS, ECONOMY, facebook, GOOGLE, INDIA, INDIAN MAOIST, JOB, LAL, LAL SHONGBAD, LANGUAGE, LEADER, LIBERATION, LOVE, maoist, MKP, naxalism, plga, RED, RELATION, revolution, SOURCE, TIKKO, TKP, uk, UNDP, usa, VILLAGE, WEDDING, YPG Leave a commentকনস্টেবলকে অপহরণ ও খতমের দায়িত্ব স্বীকার করল মাওবাদীরা
ছত্তিসগড়ের বস্তার অঞ্চলের নিম্নস্তরের পুলিশদের চাকরী ছেড়ে দেয়ার অথবা “পিএলজিএ (People’s Liberation Guerrilla Army) এর গেরিলাদের হাতে মৃত্যুর” হুমকি দিয়েছে সিপিআই (মাওবাদী)।
মাওবাদীদের পশ্চিম বস্তার বিভাগীয় কমিটির সেক্রেটারি মাধভী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, অপহরণকৃত কনস্টেবল বীরা বসন্তকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে মাওবাদীরা । ৭ই এপ্রিল তাকে অপহরণ করা হয় ও দুই সপ্তাহ পর বিজাপুর জেলায় তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিরস্ত্র বীরা তার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে গ্রামে যাচ্ছিলেন। কনস্টেবল বীরার অপহরণ বিজাপুরের স্থানীয় অধিবাসী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের “নীরব প্রতিবাদের” দিকে ঠেলে দিয়েছে। তার মুক্তির জন্য স্কুলের বাচ্চারা প্রতিবাদ র্যালীর আয়োজন করেছে।
বীরার মৃত্যুর জন্য রাজ্য সরকার ও বিজাপুর পুলিশকে দায়ী করে মাওবাদী নেতা দাবী করেছেন, তার মুক্তির জন্য জেলা পুলিশ কোনরকম সংলাপে বসেনি। “তার বদলে, আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ র্যালি আয়োজন করার জন্য পুলিশ স্থানীয় অধিবাসী ও স্কুলের বাচ্চাদেরকে চাপ দেয়। আমাদের পার্টির নীতিমালায় নিরস্ত্র পুলিশদের হত্যা করার কোন বিধান নেই। আমরা অনেক জওয়ানকে মুক্তি দিয়েছি যারা নিরস্ত্র ছিল। তবে আমরা তাদের ছেড়ে দিতে পারিনা যারা জেনেশুনে জনগণের উপর নিষ্ঠুরতা চালায়। মাধভী বলেন, বীরা ছিল সেই ধরনের একজন পুলিশ”।
তিনি আরো বলেন, “সে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে গণ আন্দোলনের বিরুদ্ধে কাজ করে আসছিল এবং অসংখ্য সাজানো এনকাউন্টার ও বিজাপুরের আদিবাসীদের গ্রামে হামলার নেতৃত্বে সে ছিল। সে গ্রামবাসীদের থেকে অর্থও আদায় করত”।
“বীরা তার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে গ্রামে যাচ্ছিল”- পুলিশের এ দাবীকেও অস্বীকার করেছেন মাওবাদী নেতা। মাধভীর দাবী, “সে আওয়াপল্লী এলাকায় আমাদের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করে বিজাপুরের এসপির অফিসের দিকে যাচ্ছিল। সে জানত সে কী করছিল এবং তার মত একজন গণশত্রুকে ছেড়ে দেয়া আমাদের পক্ষে অসম্ভব ছিল”।
মাওবাদী নেতা সতর্ক করে দিয়ে জানান, “বিরার এই খতম বস্তারের সকল নিম্নস্তরের পুলিশদের প্রতি একটি সতর্কতা হিসেবে কাজ করবে। কর্পোরেটদের জন্য যুদ্ধ করা বন্ধ কর, -যারা আদিবাসী ভূমি দখল করার জন্য এখানে এসেছে। পুলিশের চাকরী বাদ দিয়ে অন্য কোন চাকরী যোগাড় কর যদি বস্তারে থাকতে চাও। তা না হলে PLGA এর হাতে মৃত্যুর জন্য তৈরী হও”।
ভারতে নকশালরা ২০শে ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ রাজ্যে বন্ধ ডেকেছে …
Posted: February 15, 2015 Filed under: গণযুদ্ধের সংবাদ, ভারত, লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: উড়িষ্যা, কমিউনিজম, কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক, কমিন্টার্ন, কার্ল মার্কস, কার্ল মার্ক্স, ক্রসফায়ার, গণ-অধিকার সংগ্রাম কমিটি, চারু মজুমদার, চেরনোবিল, ছত্তিশগড়, জনগণের নিরাপত্তা, জ্বালানি, তৃতীয় আন্তর্জাতিক, দ্বন্দ্ব, দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক, নকশাল, নেপালের কমিউনিষ্ট পার্টি-মাওবাদী, নেসার আহমেদ, নয়া গণতন্ত্র, পরমাণু দুর্ঘটনা, পরমাণু বিদ্যুৎ, পুষ্পকমল দহাল প্রচণ্ড, পেরু, প্রথম আন্তর্জাতিক, বাংলাদেশ, বার্ট্রান্ড রাসেল, বিপ্লব, বিপ্লবী রাজনীতি, বীজগণিত, মহারাষ্ট্র, মাও সে-তুঙ, মাওবাদ, মাওবাদী, মানবিকতা, মানুষ, মার্কসবাদ, মার্ক্সবাদ, মিথ্যা, মুখপাত্র, যুদ্ধ, রাজনীতি, রূপপুর, লাল পতাকা, লাল সংবাদ/lal shongbad, লালন ফকির, লেনিনবাদ, শ্রমিক আন্দোলন, শ্রমিকশ্রেণী, শ্রেণীসংগ্রাম, সংবাদ বিজ্ঞপ্তি, সংশোধনবাদ, সংস্কৃতি, সত্য, সত্যি, সভ্যতা, সমাজ বাস্তবতা, সমাজতন্ত্র, সর্বহারা, সর্বহারাশ্রেণী, সশস্ত্র, সাঁইজী, সাম্যবাদ, সাম্রাজ্যবাদ, সাহিত্য, সিপিআই (মাওবাদী), সিরাজ সিকদার, সৃষ্টিতত্ত্ব, bangladesh, BBC, CALCUTTA, CHATTISHGARH, CNN, COMMUNISM, CPI-MAOIST, CPN-MAOIST, facebook, INDIA, ISIS, JHARKHAND, JSS, maoism, NEPAL, NEWS, PAKISTAN, PBCP, SOUTH ASIA, TIKKO, TKP, UP, UPDF, usa, WAR, WEST BENGAL Leave a commentবিশাখাপত্তনম : রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের জন বিরোধী কার্যক্রমের প্রতিবাদে সিপিআই (মাওবাদী) ফেব্রুয়ারীর ২০ তারিখ থেকে অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলেঙ্গানা সহ পাঁচ রাজ্যে বন্ধ ডেকেছে। বৃহস্পতিবার টিওআই পাঠানো একটি প্রেস রিলিজে মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় আঞ্চলিক ব্যুরো (CRb) মুখপাত্র প্রতাপ- ছত্তিশগড়, উড়িষ্যা এবং মহারাষ্ট্রে ধ্বংসাত্মক এবং গণবিরোধী নীতি বাস্তবায়নকারী হিসেবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি , পি মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু, তেলেঙ্গানা মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও কে দায়ী করেন।