‘জেএনইউ’ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সম্মিলিত বাম মোর্চা’র বিপুল জয়

WhatsApp_Image_2018-09-16_at_14.11.04

টানটান লড়াইয়ের অবসান। দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখল বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি। চারটি শীর্ষ আসনই তাঁদের দখলে গিয়েছে। ফলাফলে কার্যত একচ্ছত্র প্রভাব দেখিয়েছে চার বাম সংগঠন এসএফআই, আইসা, ডিএসএফ ও এআইএসএফ৷

জেএনইউতে বাম ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে বিজেপির ছাত্র সংগঠন বার বার প্রশ্ন তুলেছে, বার বার বলতে চেযেছে ক্ষমতাসীন বাম ছাত্র সংগঠন এ দেশের জাতীয়তাবাদী ভাবধারায় বিশ্বাস রাখে না। জেএনইউর ছাত্র নেতাদের পুলিশ দিয়ে হেনস্তার অভিযোগও একাধিক বার উঠেছে। সেদিক থেকে এবার জেএনইউর ছাত্র সংসদের নির্বাচন ঘিরে টান টান উত্তেজনা ছিল সম্মিলিত বাম মোর্চা ও বিজেপির ছাত্র সংগঠন এভিবিপির মধ্যে।তবে শনিবার বিকেলের পরেই পরিষ্কার হয়ে যায় এবারও জেএনইউতে বাম ছাত্র সংগঠনের প্রাধান্যই বজায় থাকবে,এবং শেষ পর্যন্ত সভাপতি,সহ সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক ও সহকারী সম্পাদক সব কটি পদেই বাম প্রার্থীরা জয়ী হয়। এসএফআই,এআইএসএফ,আইসা ও ডিএসএফ যৌথভাবে প্রার্থী দেয়।বামেরা জয়ী হওয়ায় জেএনইউতে রবিবার সকাল থেকেই চলছে লাল আবিরেরে হোলি। তবে উত্সব মত্ততায় না ভেসে দেশের কঠিন সময়ে ছাত্রদের চেতনায় শান দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধিরা।খোদ দিল্লির বুকে বিজেপি ছাত্র সংগঠনের এই পরাজয় গেরুয়া বাহিনীর বড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে।

সূত্রঃ satdin.in


JNUতে মাওবাদী ছাত্রদের ‘পুরোন’ পোস্টার ঘিরে উত্তেজনা

dsu-1

কাশ্মীরের স্বাধীনতা তথা জাতিসত্তার আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের সমর্থনে jnuতে পোস্টার ঘিরে উত্তেজনা। এবার পোস্টার মাওবাদীদের ছাত্র সংগঠন বলে পরিচিত DSU এর। পোস্টারের কাশ্মীরের পাশাপাশি প্যালেস্তানেরও স্বাধীনতা দাবি করা হয়েছে। পোস্টার লাগানোর সঙ্গে সঙ্গেই তা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয় JNU কর্তৃপক্ষ। তবে ওই পোস্টার নাকি কয়েক মাস আগে লাগান হয়। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রামজাস কলেজে AVBP এর হামলার পর বিষয়টি ফের সামনে চলে এসেছে।  গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারিতে কাশ্মীর ইস্যুতেই  ঘিরে JNUতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। কানহইয়া , উমর, অনির্বানদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের হয়।

সূত্রঃ satdin.in


JNU ক্যাম্পাসে ‘লাল সালাম’ ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগান উমর খালিদের বোনের

Umar-KhalidUmar

২৬ দিন জেলে থাকার পর  ভারতের দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ওমর খালিদ এবং অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে আদালত। শুক্রবার দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্ট তাদের ৬ মাসের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়। রাত সাড়ে আটটার দিকেব দিল্লির তিহার জেল থেকে মুক্তির পর তারা জেএনইউ ক্যাম্পাসে পৌঁছে প্রায় দুই হাজার ছাত্র এবং শিক্ষকদের সামনে বক্তব্য রাখেন।

ওমর খালিদ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার ও আরএসএস যদি মনে করে দমন করে আমাদের আন্দোলন থামাতে পারবে তাহলে তারা ভুল ভাবছে।’

ওমর খালিদ বলেন, ‘আমি গর্বিত আমাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ব্যবহার করে একসময় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কারাগারে পাঠানো হতো। আমি নিজেকে মুসলিম ছাত্র হিসেবে নিজেকে তুলে ধরি না। তবুও এমন ব্যবহার করা হচ্ছে, যেন আমি ইসলামী সন্ত্রাসবাদী!’

তিনি বলেন, ‘দেশে গণবিরোধী, কৃষক বিরোধী সরকার রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আমাদের বিদ্রোহ অব্যাহত থাকবে।’

সরকার বিরোধী স্লোগান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা গর্বিত যে আমাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা হয়েছে, কারণ দেশের জন্য যারা লড়াই করেছেন তাদের বিরুদ্ধেও ওই ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। আমাদের বিদ্রোহ অব্যাহত থাকবে।’

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই ভাইয়ের সাথে JNU-তে এসে ‘লাল সালাম’, ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগান তুললেন উমর খালেদের বোন৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের সামনে বক্তৃতা দিলেন উমরের ১১ বছরের বোন ফারহা প্রতিমা৷ ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ফারহা বলেন, প্রত্যেকে সুবিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে, লাল সালাম৷

উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি JNUতে আফজল গুরুর ফাঁসির প্রতিবাদে এক অনুষ্ঠানের উমর-অনির্বাণরা নাকি ছিলেন মূল আয়োজক। অন্তত পুলিসের দাবি তেমনটাই। গ্রেফতারের আগে নাস্তিক উমর তাঁর ভাষণে জানিয়েছিলেন JNUতে পুলিসি অভিযানের পরের পরিবেশে তাঁর ধর্মপরিচয়টা মনে পড়তে বাধ্য করছিল। মাওবাদী আদর্শের সংগঠন DSU এর সদ্য প্রাক্তন সদস্য উমরের পরিবারেকেও নানান হুমকি দেওয়া হয়।


কানহাইয়া, উমর খালিদ, অনির্বাণসহ পাঁচজনকে JNU থেকে বহিস্কারের সুপারিশ

kanhaiya-umar-anirban_27_02_2016

কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদ ও অনির্বাণসহ দেশদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত JNU’র পাঁচ ছাত্রকে বহিষ্কারের প্রস্তাব দিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ পর্যায়ের তদন্তকারী কমিটি। এছাড়া ওই অনুষ্ঠানে আরও যে সমস্ত ছাত্র উপস্থিত ছিল তাদের মধ্যে কয়েকজনকে সাসপেনশন নোটিশ ধরাল এবং কয়েকজনকে জরিমানা দেওয়ার সুপারিশ করল ওই তদন্তকারী কমিটি।

সূত্রে জানা গিয়েছে, জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় তদন্তকারী কমিটি যে পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে, তাদের মধ্যে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত JNU’র ছাত্র সংসদের সভাপতি কানহাইয়া কুমার, পিএইচডি-র স্কলারপ্রাপ্ত উমর খালিদ এবং অনির্বাণ ভট্টাচার্যও রয়েছেন। যদিও উমর এবং অনির্বাণ বর্তমানে জেলবন্দি। এঁদের আর কলেজে ফেরাতে নারাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য চার ছাত্রকে সাসপেনশন এবং ২১ ছাত্রকে শোকজের সুপারিশ করেছে কমিটি। বাকি অভিযুক্তদের জরিমানা ধার্য করেই রেহাই দেওয়া হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তকারী এই কমিটির সুপারিশ অনুসারেই এগোনো হবে বলে জানিয়েছেন JNU’র ভাইস-চ্যান্সেলর এম জগদেশ কুমার। কমিটির নির্দেশ অনুসারে আজ, মঙ্গলবারই অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ‘দেশবিরোধী’ কার্যকলাপের অভিযোগ এনে অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেই উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্তকারী কমিটি গঠন করা হয়। গত ১১ ফেব্রুয়ারি ওই কমিটি তার রিপোর্ট পেশ করে। সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতেই অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে ভাইস-চ্যান্সেলর।


‘‘ভারতের মধ্যে থেকেই স্বাধীনতা চাই’’, বললেন কানহাইয়া

kanhaiya-speech-web

যখন তিনি জেলে গিয়েছিলেন তখন তাঁকে চিনতেন শুধু জেএনইউ-এর পড়ুয়া-শিক্ষকরা৷ বৃহস্পতিবার জেল থেকে বেরোনোর পর তাঁর দিকেই চোখ রাখল গোটা দেশ৷ তিনি কানাহাইয়া কুমার৷ রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে ২২ দিন জেলে থাকার পর তিনি যখন জামিনে ছাড়া পেলেন, তখনও তাঁর চোখে মুখে আগের মতোই উজ্বল৷

জেল থেকে বেরোনোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জেএনইউ –তে গিয়ে ছাত্র সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই ভাষণ দিলেন তিনি৷ চিৎকার করে বলেলন, ‘‘অনাহার থেকে আজাদি, দুর্নীতি থেকে আজাদি, বৈষম্য থেকে আজাদি, অনুন্নয়ন থেকে আজাদি৷’’হাততালিতে ফেটে পড়ল সমাবেশ৷ বললেন,  ‘‘ভারত থেকে নয়, ভারতের মধ্যে থেকেই স্বাধীনতা চাই’’৷ যুব সমাজের বিপুল সমর্থন তাঁদের চিৎকারেই প্রকাশ পেল৷

সমাবেশে মোদি সরকারকে সমালোচনা করতে ছাড়লেন না ছাত্রনেতা কানাহাইয়া কুমার৷ যাঁকে দেশ বিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে অতিরিক্ত তৎপরতায় গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ৷ বললেন, প্রধানমন্ত্রী ‘মন কি বাত বলেন৷ মনের কথা শোনেন না৷’’ ‘‘আমি গ্রাম থেকে এসেছি৷ সেখানে ম্যাজিক আংটি বিক্রি হয়৷ বিক্রি করতে গিয়ে বলা হয় এর কাছে যা চাইবেন পাবেন৷ আমাদের দেশেও কিছু এরকম মানুষ আছেন৷ যাঁরা চমক তৈরির চেষ্টা করেন৷ বলেন, কালো টাকা আমরা ফিরিয়ে আনব, সবকা সাথ, সবকা বিকাশ৷ কিন্তু একদিন এই মিথ্যে চমক শেষ হবে৷ ভারতীয়রা একদিন বুঝবেই’’৷ তবে মোদিজি টুইটে বলেন ‘সত্যমেব জয়তে’৷ ঠিক বলেন৷ সত্যের জয় হবেই৷

এদিকে জেএনইউ কাণ্ড নিয়ে দিল্লি সরকার যে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল, তাতে কানাহাইয়ার বিরুদ্ধে কোনও তথ্য-প্রমাণ মেলেনি৷ তদন্তকারী ম্যাজিস্ট্রেট  সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন, ভিডিও ও সাক্ষী থেকে কানাহাইয়ার বিরুদ্ধে দেশ বিরোধী স্লোগান দেওয়ার কোনও প্রমাণ মেলেনি৷


JNU ছাত্রনেতা কানহাইয়ার মুক্তির দাবী জানিয়েছে সিপিআই(মাওবাদী)

kanhaiya kumar

চলতি মাসে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা JNU ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি কানহাইয়া কুমারের মুক্তির দাবিতে একটি প্রেসনোট জারি করেছে ভারত কমিউনিস্ট পার্টি(মাওবাদী)’র উত্তর-দক্ষিণ গাদচিরোলির পশ্চিম সাব-জোনাল ব্যুরো।

এতে বলা হয়েছে, মাওবাদী ও ভিন্নমতাবলম্বীদের কণ্ঠ দমন করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার উচ্চ ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো অভিযোগ করা হয়, আরএসএস এবং অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) মতো প্রতিষ্ঠান সমাজে দ্রুত  তাদের ইমেজ হারাচ্ছে।

মাওবাদীরা মিডিয়া এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিভাগগুলোর প্রতি আবেদন জানিয়ে এই বিষয়ে তাদের নিশ্চিত হতে বলেন যে বর্তমানে হিন্দু মতাদর্শ চালিত সরকারের বিভ্রান্তিকর অপপ্রচারে তারা যেন প্রলোভিত না হন ।

অনুবাদ সূত্রঃ http://timesofindia.indiatimes.com/city/nagpur/Naxals-comes-out-in-support-of-Kanhaiya/articleshow/51173036.cms


বাংলাদেশঃ JNU আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন জাতীয় কমিটি

images2

কমরেডস,

লাল সালাম।

আপনারা আজ যে সংগ্রাম করছেন আমরা তাকে নীতিগতভাবে সমর্থন করি। আমরা কমরেড কানহাইয়া কুমার ও অধ্যাপক গিলানি কে গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।কমরেড উমার খালিদের বিরুদ্ধে ইসলামি সন্ত্রাসবাদী বলে প্রচার ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এই জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা আমাদের আবারো ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের ফ্যাসিবাদী চরিত্রকে নগ্নভাবে দেখিয়ে দিল। আমরা এর আগে ব্রাহ্মন্যবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছিলাম।এখনো আমরা এই ফ্যাসিবাদী ভারত রাষ্ট্রকে ধিক্কার জানাই।সমগ্র ভারতবর্ষে আজকে আওয়াজ উঠেছে কাশ্মীর, মনিপুর,নাগার স্বাধীনতার।আমরা এই আওয়াজ এর সাথে সুর মিলিয়ে বলছি,কাশ্মীর,মনিপুর,নাগার স্বাধীনতা দিতে হবে। জাতপাতের অবসান ঘটাতে হবে।আমরা তার সাথে সাথে আহবান জানাই,

ভারতীয় সম্প্রসারণবাদী ফ্যাসিবাদকে রুখে দিন, চূর্ণ-বিচূর্ণ করুন!

জাতপাতের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে আদিবাসীদেরকে ভুমি থেকে উচ্ছেদের আন্দোলনের সাথে যুক্ত করুন!

কানহাইয়া কুমার ও অধ্যাপক গিলানির মুক্তি আন্দোলনের সাথে সাথে সকল রাজ বন্দিদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলুন!

জনগনের গনতান্ত্রিক ভারত নির্মাণের চলমান সংগ্রামে নিজেকে সামিল করুন!

বার্তা প্রেরক,

আহনাফ আতিফ অনিক,

সহ আহবায়ক,

বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন”,বাংলাদেশ


ভারতঃ নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে মাওবাদী রয়েছে: সুব্রমনিয়াম স্বামী

সুব্রমনিয়াম স্বামী

সুব্রমনিয়াম স্বামী

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা সুব্রমনিয়াম স্বামী। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মাওবাদী রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। হিন্দি গণমাধ্যম ‘আজতক’ সূত্রে প্রকাশ, শুধু ছাত্রদেরই নয়, এখানকার প্রফেসরদেরও নকশাল বলে অভিহিত করেছেন স্বামী।

ওই বিজেপি নেতা দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) নাম পরিবর্তন করে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর নামে নামকরণ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তার মতে, জওহরলাল নেহরুর তুলনায় অনেক বেশি শিক্ষিত ছিলেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু।

বিজেপি নেতা সুব্রমনিয়াম স্বামী বলেছেন, ‘আমার মতে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মাদক বিরোধী ব্যুরো এবং বিএসএফ-এর শিবির থাকা প্রয়োজন, যাতে ক্যাম্পাসের হোস্টেল ডরমিটরিতে হানা দিয়ে মাওবাদীদের ধরা যায়।’

সম্প্রতি এই বিজেপি নেতাকে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। এ নিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সঙ্গে এরই মধ্যে কথাও হয়েছে স্বামীর।

এদিকে, স্বামীকে এই পদে বসানো হলে তার প্রতিবাদ জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা রাজধানীতে পথে নামবেন বলে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ছাত্র সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেহলা রশিদ শোরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সুব্রমনিয়াম স্বামীকে জেএনইউ-এর ভিসি করা নিয়ে যে খবর ছড়াচ্ছে তা এখানকার ছাত্ররা লক্ষ্য রাখছে। স্বামী বা অন্য কোনো রক্ষণশীল ব্যক্তিত্বকে বসিয়ে জেএনইউ-এর গেরুয়াকরণের চেষ্টা হলে তা সর্বশক্তি দিয়ে রুখে দেয়া হবে।’

অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের মহিলা শাখার সর্বভারতীয় সভানেত্রী কবিতা কৃষ্ণন বলেছেন, ‘স্বামী জেএনইউতে এলে দিল্লির রাস্তায় নেমে সরকার অচল করে দেবে ছাত্ররা।’  এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।

সূত্রঃ http://www.thenewsminute.com/article/students-and-teachers-jnu-are-naxalites-says-subramanian-swamy-34662