Posted: May 23, 2016 | Author: লাল সংবাদ/lal shongbad | Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad, সাহিত্য ও সংস্কৃতি | Tags: লালগড়, লালগড়ে কৃষক আন্দোলন |
লালগড়ে কৃষক আন্দোলন
সাম্প্রতিককালে ভারতের পশ্চিমবাংলায় লালগড়ের কৃষক আন্দোলন সবচাইতে সাড়া জাগানো ঘটনা। এই কৃষক আন্দোলন “লালগড় কৃষক আন্দোলন” নামে পরিচিত হলেও মূলত তা লালগড় তথা জঙ্গলমহলের কৃষক আন্দোলন। পশ্চিম মেদিনিপুর, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া জেলা নিয়ে জঙ্গলমহল। এই আান্দোলন পরিচালিত হচ্ছে ভারতের মাওবাদী পার্টির প্রভাবিত “জনসাধারণের কমিটি” দ্বারা।
এক হিসেবে লালগড়ের কৃষক আন্দোলন শুরু হয়েছিল এক ভিন্ন প্রসঙ্গে। এটা শুরু হয় ৫ নভেম্বর, ২০০৮ তারিখে পুলিশের অমানবিক বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে। একই সাথে এটা অত্র অঞ্চলের জনগণ তথা আদিবাসীদের বহু পুরাতন বঞ্চনা, অপমানকর অবস্থার বিরুদ্ধে এবং তাদের আত্মসম্মান ও অধিকার আদায়ের সংগ্রাম। অন্যদিকে কেউ যদি মনে করে, ২ নভেম্বর, ২০০৮ তারিখে পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রীর উপর মাওবাদী গেরিলাদের মাইন আক্রমণ এর অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে, সেটাও ঠিক। ঐদিন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠী জিন্দাল গ্রুপের শালবনী ইস্পাত কারখানা উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন। সেই হিসেবে বলা যায়, এটা মুৎসুদ্দি বুর্জোয়াদের স্বার্থে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তথা শিল্প স্থাপনের জন্য কৃষকের জমি দখলের বিরুদ্ধে আন্দোলনও বটে।
লালগড়ের আন্দোলনকে দমনের জন্য ১৮ জুন, ’০৯ থেকে ভারতীয় প্রতিক্রিয়াশীল রাষ্ট্রীয় যৌথ বাহিনী “অপারেশন লালগড়” নামে অভিযান শুরু করে। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। যদিও তারা ‘জনগণের কমিটি’র নেতা ছত্রধর মাহাতোকে সাংবাদিক সেজে সাক্ষাতকারের কথা বলে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়, কিন্তু এতে আন্দোলন উচ্চতর পর্যায়ে উপনীত হয়। কমিটি “গণমিলিশিয়া” গঠনের ঘোষণা দেয়। ২৭ অক্টোবর, ’০৯-এ সাঁওতাল বিদ্রোহের মহান শহীদ সিধু, কানু’র নামে তারা “সিধু-কানু গণমিলিশিয়া” গঠন করে সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।
আদিবাসী জনগণের আন্দোলন ও মাওবাদী গণযুদ্ধকে দমন করতে ব্যর্থ হয়ে এখন রাষ্ট্র নিজ জনগণের বিরুদ্ধে এক সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। “অপারেশন গ্রিন হাণ্ট” নামে তারা লক্ষাধিক বিভিন্ন বাহিনী লালগড়সহ ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নামিয়ে দিয়েছে। কিন্তু লালগড়ের কৃষকসহ ভারতের নিপীড়িত কৃষক ও আদিবাসী জনগণ এই বর্বর অভিযানকে ব্যর্থ করে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
লালগড় আন্দোলনের প্রত্যেকটি পর্যায়ের রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। এটা শুধুমাত্র জমি দখলের বিরুদ্ধে আন্দোলন অথবা আদিবাসীদের অধিকার আদায় বা আদিবাসী জনগণের উপর পরিচালিত বহু পুরাতন অপমানকর অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনই নয়, বরং তার চাইতেও অনেক বেশি। এই আন্দোলনের একটি অন্যতম দিক হচ্ছে জনগণের জন্য কল্যাণকর উন্নয়নের নতুন মডেল।
এই উন্নয়ন মডেলের কর্মসূচি হচ্ছে বৈদেশিক পুঁজি এবং প্রযুক্তি প্রত্যাখ্যান করা, স্বনির্ভরতা, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং সম্পত্তির ন্যায়সঙ্গত বণ্টন, খোদ কৃষকের হাতে জমি বিতরণ, জনগণের উদ্যোগ এবং স্বেচ্ছাশ্রমের উপর নির্ভর করে গ্রামীণ এলাকায় সর্বাত্মক উন্নয়ন এবং অর্থনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি এবং রাজনীতির উপর বৈদেশিক প্রভাব এবং নিয়ন্ত্রণকে উচ্ছেদ করা।
ভ্রণাকারে হলেও জঙ্গলমহলে তথা লালগড়ে এসবের উদ্যোগ নেয়া শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য “পুলিশী নির্যাতনের বিরোধী জনসাধারণের কমিটি” গঠনের পরপরই গ্রাম কমিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই কমিটিতে রয়েছে ৫ জন পুরুষ এবং ৫ জন নারী সদস্য। যারা পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এছাড়াও গ্রাম কমিটির রয়েছে নারী শাখা এবং যুব শাখা। নারী শাখা হচ্ছে সম্পূর্ণ নতুন, যা নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়নের দৃষ্টান্ত।
ভ্রণাকারে হলেও কমিটি কর্তৃক সূচীত উন্নয়ন কর্মসূচির কিছু উপাদান নীচে উল্লেখ করা হলো-
১. কৃষি ও জমি বিতরণঃ কমিটি বনের জমির উপর ভূমিহীন আদিবাসীদের পর্যাপ্ত সেচ সুবিধাসহ জমির অধিকার সংরক্ষণ করে এবং বহুজাতিক বীজ সংস্থাসমূহের আমন্ত্রণ জানানোর নীতির বিপরীতে বনের ছাই বা গোবরের সার ব্যবহার করে বীজ উৎপাদনের জন্য “বীজ সমবায়” প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হচ্ছে জমি বিতরণ। কমিটি ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে পরিবার প্রতি ১ বিঘা, কম জমির মালিক কৃষক পরিবারকে ১৫ কাঠা জমি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২. সেচঃ শুকনো জঙ্গলমহল এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুবই কম। বর্ষাকাল শেষ হওয়ার পর জমিতে পানি সেচের জন্য সরকার ঝাড়খণ্ডের ময়ূরভঞ্জ থেকে মেদনিপুর শহর পর্যন্ত খাল খনন করেছে। কিন্তু নির্মাণ ত্রুটির জন্য খাল সারা বছরই শুকনো থাকে এবং জমিতে পানি দেয়ার পাইপের মুখ বন্ধ থাকে। তাই কমিটি পানি সংরক্ষণের জন্য ছোট ছোট ড্যাম তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে বর্ষা মৌসুমে এবং প্রাকৃতিক ঝর্ণার পানি সংরক্ষণ করে জমিতে সেচ দেয়া যায়। তেমনি এক ড্যাম তৈরি করা হচ্ছে বোহারডাঙ্গা গ্রামে।
৩. গণ-আদালতঃ প্রচলিত বিচার ব্যবস্থা শাসক শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষা করে। তাই লালগড়ে “জনসাধারণের কমিটি” গণআদালত প্রতিষ্ঠা করেছে। এখানে জনসাধারণের উপস্থিতিতে এবং তাদের মতামতের ভিত্তিতে বিচারকার্য সমাধা করা হয়।
৪. রাস্তা নির্মাণঃ লালগড় তথা জঙ্গলমহল অঞ্চলে রাস্তাঘাট নেই বললেই চলে। যা-ও আছে সেগুলোও বর্ষা মৌসুমে পিচ্ছিল-কর্দমাক্ত হওয়ায় চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। বস্তুত বর্ষাকালে অত্র অঞ্চল বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় কমিটির উদ্যোগে স্থানীয় অধিবাসীদের স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য লাল সুড়কী দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করেছে এবং করছে। রাস্তাগুলো নির্মাণ করা হয়েছে কোরেঙাপাড়া, শালডাঙা, বাহারডাঙা, পাপুরিয়া দারিগোড়াসহ অন্যান্য গ্রামে।
৫. পানি এবং স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদানঃ শুকনো এবং ঊষর লালগড় অঞ্চলে খাওয়ার পানি এবং সেচের পানি পাওয়া খুবই কঠিন। তাই কমিটি পানি সরবরাহের জন্য মিনি নলকূপ এবং ভূগর্ভস্থ পাম্প বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে এবং জনগণ সেচ সুবিধার জন্য স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছে। অন্যদিকে জঙ্গলমহলের সমগ্র অঞ্চলে চিকিৎসা ব্যবস্থা খুবই নগণ্য। তাই কমিটি উদ্যোগ নিয়ে কান্তাপাহাড়ী, বেলপাহাড়ী ও চাকডোবায় “গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র” স্থাপন করেছে। সেগুলোতে ছিল এ্যাম্বুলেন্স এবং কলকাতা থেকে আগত একদল ডাক্তার। সেখানে প্রতিদিন প্রায় ১৫০০ জন রোগী চিকিৎসার জন্য আসত। স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো বর্তমানে যৌথবাহিনীর ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এছাড়াও শিক্ষা-সংস্কৃতি-সামাজিক সচেতনতা, পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম ইত্যাদি কর্মসূচি বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে।
এখন লালগড়ের কৃষক আন্দোলন শুধুমাত্র জঙ্গলমহল অঞ্চলে সীমাবদ্ধ নয়। এর প্রেরণা এবং প্রভাব ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়াও এই আন্দোলন পৃথিবীর অন্যান্য দেশের গণতান্ত্রিক এবং শান্তিপ্রিয়, স্বাধীনতাকামী জনগণ প্রতিরোধের এক নতুন প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং করছে। এই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি গড়ে উঠছে পশ্চিমবাংলার শহরাঞ্চলে এবং অন্যান্য রাজ্যে। একইসাথে যুক্তরাজ্য, গ্রিসসহ অন্যান্য রাষ্ট্রে এর সমর্থনে গণজমায়েত, জনসভা, সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের কৃষকদেরও এই আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য এগিয়ে যাওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই। ◘
সূত্রঃ কৃষক সমস্যা ও কৃষক সংগঠন সম্পর্কে, কৃষক মুক্তি সংগ্রাম কর্তৃক প্রকাশিত
Posted: April 10, 2016 | Author: লাল সংবাদ/lal shongbad | Filed under: ডাউনলোড, লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: লালগড়, সিপিআই(এমএল) নিউ ডেমোক্রেসি |
‘লালগড় আন্দোলন প্রসঙ্গে বিতর্ক‘ – সিপিআই(এমএল) নিউ ডেমোক্রেসি -এর দলিলটি পড়তে অথবা ডাউনলোড করতে নিচে ক্লিক করুন-
Posted: October 1, 2015 | Author: লাল সংবাদ/lal shongbad | Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad, সাহিত্য ও সংস্কৃতি | Tags: মাওবাদী, লালগড় |
লেখকঃ সুমন কল্যান মৌলিক
Posted: September 16, 2015 | Author: লাল সংবাদ/lal shongbad | Filed under: ছবির সংবাদ | Tags: লালগড় |
Furniture and official papers of the Communist Party of India-Marxist (CPI-M) local committee office,(name written on wall), go up in flames after being set afire by activists of People’s Committee Against Police Atrocities (PCPA), who allege that the party has done little for tribals in the past 3 decades of it being in power, in at Lalgarh, about 200 kilometers (124 miles) west of Calcutta in West Midnapore district, India, Tuesday, June 16, 2009. The Tribals in this area have been agitating against alleged police atrocities and have taken virtual control over Lalgarh and Salboni police station areas and stopped paramilitary forces from going to Lalgarh Tuesday, according to a news agency. (AP Photo)
Chief of People’s Committee Against Police Atrocities (PCAPA) Chatradhar Mahato (2nd L) speaks with Indian filmmaker Aparna Sen (R) as play-writer Saoli Mitra (2nd R) and poet Joy Goswami (3rd R) watch at Hariharpur near Lalgarh in the West Midnapore district, some 170 km (106 miles) west of the eastern Indian city of Kolkata, June 21, 2009. Police on Saturday said they had regained control of Lalgarh, captured by Maoist rebels in one of the most brazen attacks in recent years. Indian police on Saturday said they had regained control of a West Bengal town captured by Maoist rebels in one of the most brazen attacks in recent years. Marching behind an anti-landmine vehicle, hundreds of police in flak jackets and combat gear entered the town of Lalgarh, about 170 km (100 miles) from Kolkata, capital of the eastern state. REUTERS/Jayanta Shaw (INDIA CONFLICT MILITARY ENTERTAINMENT)
Posted: August 7, 2015 | Author: লাল সংবাদ/lal shongbad | Filed under: অনুবাদ, লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: অনুবাদ, মাওবাদী, লালগড়, সিপিআই (মাওবাদী) |
মাওবাদীদের লালগড় পর্যালোচনা প্রতিবেদনে ৫টি ভুল স্বীকার
ভুলগুলো ক্ষমা করে গঠনমূলক পরামর্শ প্রদানের জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানাল মাওবাদীরা
ফিরে দেখা-
গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অবস্থানকে অমান্য করে ‘শান্তি আলোচনার ফাঁদে পা দেয়ার’ জন্য সিপিআই (মাওবাদী) এর পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের প্রতিও দোষারোপ করা হয়েছে এ পর্যালোচনায়,
পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, “সিপিআই(এম) এর পাশবিকতার প্রতি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে জনগণের কাছে কোন ঘোষণা ছাড়াই মানুষ হত্যা করে ও গোপনে লাশ চাপা দিয়ে আমরা সিপিআই(এম) এর ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি করেছিলাম।”
সিপিআই (মাওবাদী) এর দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এর কেন্দ্রীয় কমিটির পূর্বাঞ্চলীয় ব্যুরো কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে এই পর্যালোচনা–
ঝাড়গ্রামঃ কিষেনজির মৃত্যু ও লালগড় আন্দোলনের পর প্রথমবারের মতো সিপিআই (মাওবাদী) এ আন্দোলনটির একটি প্রাথমিক পর্যালোচনা প্রকাশ করেছে যেখানে মাওবাদীদের কয়েকটি ভুলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে; এর মধ্যে একটি হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেণী চরিত্র বুঝতে ভুল করা। জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম সাবডিভিশনে গোপনে প্রচারিত তিন পৃষ্ঠার এই পর্যালোচনায় লালগড় আন্দোলনকে ঐতিহাসিক হিসেবে উল্লেখ করে পাঁচটি ভুল উল্লেখ করা হয় এবং জনগণকে ‘গঠনমূলক সমালোচনা’ করতে ও পরামর্শ প্রদান করতে আহ্বান জানানো হয়।
স্বীকারোক্তিগুলোর মধ্যে চমক লাগানো যেটি ছিল সেটি হল মমতার শ্রেণী চরিত্র সম্পর্কে নেতৃত্বের ভেতরে স্পষ্ট ধারণার অভাব ছিল; এ কারণে তাদের ভেতরে ‘ভুল ধারণা’ তৈরী হয়েছিল যে তৃণমূল প্রধান পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় এলে রাজনৈতিক বন্দীরা মুক্তি পাবে যা এই আন্দোলনকে লাভবান করবে।
গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অবস্থানকে অমান্য করে ‘শান্তি আলোচনার ফাঁদে পা দেয়ার’ জন্য সিপিআই (মাওবাদী) এর পশ্চিমবঙ্গের নেতাদেরকেও দোষারোপ করা হয়েছে এ পর্যালোচনায়। সিপিআই (মাওবাদী) এর দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এর কেন্দ্রীয় কমিটির পূর্বাঞ্চলীয় ব্যুরো কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে এই পর্যালোচনা।
কেন্দ্রের অবস্থান ছিল, পারস্পরিক যুদ্ধবিরতি ও রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির পরই কেবল পার্টি শান্তি আলোচনায় বসবে। পশ্চিমবঙ্গে মাওবাদীরা যুদ্ধবিরতি দিয়েছিল অথচ কোন রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দেয়া হয়নি।
পার্টি এটাও স্বীকার করেছে যে তাদের কয়েকটি খতম সঠিক ছিল না। পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, “সিপিআই(এম) এর পাশবিকতার প্রতি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে জনগণের কাছে কোন ঘোষণা ছাড়াই মানুষ হত্যা করে ও গোপনে লাশ চাপা দিয়ে আমরা সিপিআই(এম) এর ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি করেছিলাম।”
এতে বলা হয়েছে, “আমরা আমাদের ভুলের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং পশ্চিমবঙ্গের জনগণের কাছে আমাদের পার্টি প্রকাশ্যে খোলা মনে আত্মসমালোচনা করছে। আমরা ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি না করার অঙ্গিকার করছি। গঠনমূলক সমালোচনা ও পরামর্শ প্রদান করার জন্যেও আমরা আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
ইউপিএ-২ সরকারের সাথে কিষেণজিকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ও এই উদ্দেশ্যে শান্তি আলোচনাকে ব্যবহার করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে এই পর্যালোচনায়। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের নিয়োগকৃত প্রধান দুই আলোচনাকারী সুজাত ভদ্র ও ছোটন দাশকে ক্লিন চিট (নির্দোষিতার প্রমাণপত্র) দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে কিষেণজির হত্যাকাণ্ডের সাথে সুজাত ভদ্র ও ছোটন দাশকে যুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের প্রচারণা চালানো হলে তা গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার আন্দোলনের জন্য ক্ষতিকর হবে।
প্রতিবেদনটি ২০১৪ সালের ২০শে অক্টোবর প্রকাশিত হলেও কখনো সর্বসাধারণের সামনে আসেনি। এতে আরো বলা হয়েছে রাজ্য কমিটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য সব কমিটিগুলোকে পুনরূজ্জীবিত করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
পর্যালোচনায় জোরালোভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি সম্পর্কে স্বচ্ছতার অভাবের কারণে মাওবাদীরা তাদের লোকজনদের মমতার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পাঠিয়েছিল; এতে করে মূলতঃ তারা তৃণমূল প্রধানের দ্বারা ব্যবহৃত হয়েছিল আর মমতাকে ব্যবহার করার মূল যে পরিকল্পনা ছিল মাওবাদীদের, তা তারা হারিয়ে ফেলেছিল।
সূত্রঃ hindustantimes.com
Posted: June 5, 2015 | Author: লাল সংবাদ/lal shongbad | Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad, সাহিত্য ও সংস্কৃতি | Tags: চলচ্চিত্র, নকশাল, মাওবাদী, লালগড়, সিনেমা |
শুধু দেড়টা বছর।
মার্কিন নেভি সিল কম্যান্ডোরা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করেছিল ২০১১ সালের ২ মে। আর ২০১২-র ডিসেম্বরে মুক্তি পেয়েছিল সেই ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হলিউডের ছবি ‘জিরো ডার্ক থার্টি’।
শুধু একটা বছর।
১৯৭২-এ গ্রেফতার হন চারু মজুমদার। কিছু দিনের মধ্যে হাজতেই নিহত হন তিনি। তার পরই এক রকম সাময়িক দাঁড়ি পড়ে যায় সত্তরের নকশাল আন্দোলনে। আর ১৯৭৩-এ মুক্তি পায় মৃণাল সেনের ‘পদাতিক’। এক গেরিলা যোদ্ধার অজ্ঞাতবাসকে কেন্দ্র করে তৈরি ছবি।
সাড়ে তিন বছর পার।
কোথাও কিচ্ছু নেই। মাওবাদী নেতা কিষেণজি মারা যান ২০১১ সালের নভেম্বরে। ২০০৮-এর নভেম্বরে শুরু লালগড় আন্দোলনও মোটামুটি ওখানেই আপাত স্থির। কিন্তু আজও লালগড়ের পটভূমিকায় কোনও ছবি তৈরি হল না। আফসোস করছিলেন তখনকার লালগড়ে পুলিশি সন্ত্রাসবিরোধী জনসাধারণের কমিটির অন্যতম নেতা কিঙ্কর সিংহ। ‘‘আমাদের আন্দোলন গোটা ভারতে নজির তৈরি করেছিল। অথচ সেটা নিয়ে ছবি করার কথা কেউ ভাবলেন না। জঙ্গলমহল এ ক্ষেত্রেও বঞ্চিত,’’ আক্ষেপ কিঙ্করের। তাঁদের হতাশার অবশ্য আরও কারণ আছে। চলতি মাসেই মুক্তি পেতে চলেছে এমন দু’টি বাংলা ছবি, যাদের প্রেক্ষাপট মূলত রাজনৈতিক। একটির নাম ‘নকশাল’, অন্যটি ‘শীর্ষেন্দুর ডায়েরি’।
‘মেঘের মেয়ে’ নামে আরও একটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায়। আর এই ছবিতে পুরোদস্তুর উপস্থিত নকশাল মতাদর্শ নিয়ে টানাপড়েন, অন্তর্দ্বন্দ্ব ও জঙ্গলমহলে মাওবাদী কার্যকলাপ। তা সত্ত্বেও ‘মেঘের মেয়ে’ সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছে লালগড়কে। অবশ্য ‘শীর্ষেন্দুর ডায়েরি’-র কেন্দ্রীয় চরিত্রের একটি সংলাপ ছুঁয়ে যায় ওই উত্তাল সময়কে। ‘‘সূর্যগড়ে রোজ একটা করে খুন হচ্ছে।’’ সূর্যগড় বলতে আসলে কায়দা করে লালগড়কেই বোঝানো হয়েছে। আর ‘নকশাল’-এ সত্তর দশকের এক বিপ্লবী বর্তমান আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক ব্যবস্থায় নিজেকে মানিয়ে নিতে না পেরে তীব্র অস্তিত্বের সঙ্কটে ভোগেন। কিন্তু সেই প্রাক্তন বিপ্লবী (ভূমিকায় মিঠুন চক্রবর্তী) যেন জঙ্গলমহলের খোঁজই রাখেন না!
এই তিনটি রাজনৈতিক ছবির পরিচালক আর অভিনেতারা কার্যত স্বীকার করে নিচ্ছেন, তাঁদের কাজে লালগড় আন্দোলনকে ধরার সুযোগ ছিল এবং সময়ের দাবি মেনেই ওই ঘটনাবলি নিয়ে ছবি হওয়া উচিত। তা হলে হচ্ছে না কেন? ছত্তীসগঢ় ও ঝাড়খণ্ডের মাওবাদী ডেরায় দীর্ঘ সময় পড়ে থেকে ‘মাই ডেজ উইথ মাওয়িস্ট আর্মি’ তথ্যচিত্র তৈরি করা সৌমিত্র ঘোষদস্তিদারের মতে, বিষয়টা নিয়ে পড়াশোনা, চর্চার বড্ড অভাব। তাঁর কথায়, ‘‘ক’জন জানেন যে, পশ্চিমবঙ্গে মাওবাদীরা প্রথম গণ মিলিশিয়া তৈরি করেছিল লালগড়ে। ওই এলাকা ও আশপাশের বিস্তীর্ণ তল্লাটে দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রের কোনও উপস্থিতিই ছিল না! এই ধরনের ছবি তৈরি করার প্রয়োজনীয় নিষ্ঠা, দায়বদ্ধতা খুব কম লোকেরই আছে।’’
‘মেঘের মেয়ে’-র পরিচালক গায়ক-অভিনেতা পল্লব কীর্তনীয়া। তাঁর যুক্তি, ‘‘লালগড় আন্দোলন শুরুর আগেই চিত্রনাট্য লেখা হয়ে গিয়েছিল। পরে লালগড় ঢোকালে ফোকাস নষ্ট হত। লালগড়ের ক্যানভাস অনেক বড়।’’
‘পদাতিক’-এর নায়ক সুমিত, ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় ‘নকশাল’-এ এক মিডিয়া টাইকুনের ভূমিকায়। তাঁর মতে, ‘‘এখন আমরা অনেক অসহিষ্ণু সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। যাঁরা ছবি করেন, তাঁরা হয়তো ঝামেলার মধ্যে যেতে না চেয়ে এ সব ঘাঁটাঘাঁটি করার ঝুঁকি নিচ্ছেন না।’’ একই মত পরিচালক সুদীপ্ত দে’র। ‘‘পরিস্থিতি খুব খারাপ। ‘শীর্ষেন্দুর ডায়েরি’ও গত বছর সেন্সর বোর্ড আটকে দিয়েছিল। বিতর্কিত বিষয় নিয়ে ছবি তৈরি করার জন্য গবেষণায় যেমন খামতি, তেমনই প্রযোজক পাওয়া মুশকিল। পরিচালকদের সাহসেরও অভাব আছে,’’ অকপট তিনি।
তবে রাজ্যের মন্ত্রী তথা সাংস্কৃতিক কর্মী ব্রাত্য বসুর বক্তব্য, ‘‘চলচ্চিত্র অনেক ক্ষেত্রেই বিনোদনের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমস্যাটা সেখানেই।’’ ব্রাত্যরই পরিচালিত, ২০১০-এ মুক্তি পাওয়া ‘তারা’ ছবিতে লালগড়ের আন্দোলনের কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করা হয়েছিল। ছবিতে মাওবাদীদের ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ ও গুপ্তহত্যা, নিরপরাধের উপরে পুলিশি পীড়নের প্রেক্ষাপটে প্রেম কাহিনি আঁকা হলেও লালগড় আন্দোলনের সময়কার জঙ্গলমহলের চিত্র যে তুলে ধরা হয়নি, সেটা ব্রাত্য মেনে নিচ্ছেন। ব্রাত্যর পরিচালনায় এখন মঞ্চস্থ হচ্ছে ‘বোমা’, যে নাটক তুলে ধরেছে বাংলার প্রথম সশস্ত্র বিপ্লবের সময়কাল। কিন্তু বাংলার আপাতত শেষ সশস্ত্র বিপ্লবী অর্থাৎ মাওবাদীরা যখন গণ আন্দোলনকে চালনা করছে, ওসি-কে অপহরণ করে যুদ্ধবন্দি ঘোষণা করছে, সেই সময়কাল তুলে ধরবেন কে? পল্লব কীর্তনীয়া ও সুদীপ্ত দে অবশ্য বলছেন, ‘‘ভবিষ্যতে অবশ্যই লালগড় নিয়ে ছবি করব। ওই সময়কাল ও আন্দোলনের পরতে পরতে কাহিনির উপাদান ভর্তি।’’
আপাতত সেই আশাতেই আছে লালগড়।
সুত্রঃ http://www.anandabazar.com/state/no-movie-till-now-on-kishenji-encounter-1.155396
Posted: May 15, 2015 | Author: লাল সংবাদ/lal shongbad | Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: আন্দোলন, জঙ্গলমহল, পোষ্টার, পোস্টার, বিদ্রোহ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মাওবাদী, মেদিনীপুর, লালগড়, শালবনি |
ফের মাওবাদী পোস্টার৷ এবং, এ বারও মাওবাদী ওই পোস্টার মিলল সেই শালবনিতেই৷ আর, সেখানকার বাগমারির ওই পোস্টারকে কেন্দ্র করে একদিকে যেমন নতুন করে দেখা দিয়েছে আগ্রহ, তেমনই অন্যদিকে আবার এখন শুরু হয়েছে জোর জল্পনাও৷
প্রতিটি পোস্টারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “দিদি” বলে সম্বোধন করে মাওবাদী নেতা কিষেণজির মৃত্যুর বদলা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এরকম ৮ থেকে ১০টি পোস্টার উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া পোস্টারগুলিতে মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করে ৭টি প্রশ্ন করা হয়েছে। পোস্টারগুলির একটিতে কিষেণজির হত্যাকারী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আরেকটিতে শশধর মাহাতকে হত্যা করার পর তার স্ত্রীকে নবান্নে কেন নিয়ে যাওয়া হয়েছে জানতে চাওয়া হয়েছে তাও। এছাড়াও তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের সাবধান হওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে মাও পোস্টারে। জঙ্গলমহল থেকে CRPF তোলার দাবিও জানানো হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসকেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে পোস্টারে
রাষ্ট্রদ্রোহিতায় দোষী সাব্যস্ত ছত্রধর মাহাত সহ ছ’জনকে গত মঙ্গলবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে মেদিনীপুর আদালত৷ আর, ওই রায়কে কেন্দ্র করেই, জঙ্গলমহলের সঙ্গে দ্বিচারিতার জন্য নিশানা করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ এমনই বিভিন্ন ঘটনার জেরে, স্বাভাবিকভাবেই, শালবনির ওই মাওবাদী পোস্টারকে কেন্দ্র করে সেখানে নতুন করে তৈরি হয়েছে জল্পনার পরিবেশ৷ লালগড়ে বিদ্রোহের জন্য সেখানকার মানুষকে এক হওয়ার কথাও বলা হয়েছে মাওবাদী ওই পোস্টারে৷ সাজা ঘোষণার পরে গত মঙ্গলবার ছত্রধর মাহাত জানিয়েছিলেন, যে বিস্ফোরণ ঘটানোর কথা বলা হচ্ছে, তার কোনও প্রমাণ নেই৷ কোনও প্রমাণ ছাড়া মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে৷ এর জবাব দেবেন জঙ্গলমহলের মানুষ৷ জঙ্গলমহলের আন্দোলন চলবে৷
কাজেই, মঙ্গলবার ছত্রধর মাহাতর ওই দাবি অথবা অভিযোগ এবং শালবনিতে মাওবাদী পোস্টার মেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে, প্রশাসনিক মহলের একাংশেও শুরু হয়েছে জোর জল্পনা৷ এই দুই ঘটনার সঙ্গে কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে৷ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ওই মাওবাদী পোস্টারকে কেন্দ্র করে এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক অথবা গ্রেফতারের কথা জানায়নি পুলিশ৷ জিন্দালদের প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সেরে ফেরার পথে, ২০০৮-এর দুই নভেম্বর শালবনিতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর কনভয়ে৷ ওই বিস্ফোরণের পিছনে মাওবাদীরা যুক্ত বলে অভিযোগ ওঠে৷ আর, ওই ঘটনার জেরে পুলিশি ধরপাকড় সহ অত্যাচার (অভিযোগ)-এর বিরুদ্ধে, লালগড়ে জন্ম নেয় পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটির৷ ওই কমিটির-ই নেতা ছত্রধর মাহাত৷
সুত্রঃ http://www.bengali.kolkata24x7.com/again-maoist-postars-shalbani-west-bengal.html
Posted: May 12, 2015 | Author: লাল সংবাদ/lal shongbad | Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: ছত্রধর, লালগড় |
ছত্রধর মাহাতো
রাজা সরখেল ও প্রসূন চট্টোপাধ্যায়
সালমান খান মানুষ চাপা দিয়ে মারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে বোম্বে হাইকোর্টে জামিন পায়। দুর্নীতির দায়ে দোষী তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতাকে ক্লিনচিট দেয় কর্ণাটক হাইকোর্ট। আর এর পাশাপাশি লালগড়ে জনসাধরণ কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতোকে দোষী সাব্যস্ত করল মেদিনীপুর আদালত।
ছত্রধর ও সাগর মুর্মু, শম্ভু সোরেন ও সুখশান্তি বাস্কেকে UAPA আইন ও রাষ্ট্রদোহিতায় দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রদ্রোহিতায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে রাজা সরখেল, প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সাংবাদিক সেজে সাক্ষাত্কার নেওয়ার ছলে ছত্রধরকে গ্রেফতার করে পুলিস। মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা করবে আদালত।
সূত্রঃ
http://www.satdin.in/index.php/13-2014-04-07-17-10-23/2242-2015-05-11-10-27-35