তুর্কি সেনাদের বিরুদ্ধে ল্যান্ড মাইন হামলায় দায়দায়িত্ব স্বীকার করেছে বিপ্লবী HBDH

HBDH

HBDH

গত ১১ই জুন তুরস্কের হাতায় এর ইস্কেন্দেরুনে বিপ্লবীদের যৌথ সংগঠন HBDH এর গেরিলা সদস্যদের পুঁতে রাখা ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে ফ্যাসিস্ট সশস্ত্র বাহিনীর একজন অফিসার গুরুতর জখম হয়।   


পিকেক ও মাওবাদীসহ ১০টি সংগঠনের “Peoples’ United Revolutionary Movement” প্রতিষ্ঠার ঘোষণা

94dc54329e25f79c8a3f66d37ea38c47_L

কুর্দিস্তান ও তুরস্কের ১০টি বিপ্লবী সংগঠন যৌথ ভাবে ‘Peoples’ United Revolutionary Movement প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে। একটি গেরিলা জোনের মধ্যে এক যৌথ সংবাদ সভায় ১০টি বিপ্লবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে তাদের জোটের ঘোষণা দেন। সভায় ফ্যাসিবাদী AKP সরকার ও তুর্কি প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে সকল এলাকায় ঐক্যবদ্ধ ভাবে তাদের বিপ্লবী পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করা হয়।

এসময় পিকেকে’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ‘দুরান কাল্কান’ লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন এবং কুর্দিস্তান ও তুরস্কের ঐক্যবদ্ধ ১০টি বিপ্লবী সংগঠনের নাম ঘোষণা করেন। সংগঠনগুলো হলোঃ TKP/ML, PKK, THKP-C/MLSPB, MKP, TKEP-LENINIST, TEKP, DKP, DEVRÎMCÎ KARARGAH এবং MLKP ।

kurda

কাল্কান বলেন,  AKP যে একটি নতুন ফ্যাসিবাদী একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে তার বিরুদ্ধে বিপ্লব সম্পন্ন করার জন্যে এই ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবী বাহিনী গঠন করা হয়েছে।

এ ছাড়া যে সকল বিপ্লবী সংগঠন ও সামাজিক পরিধির সংগঠন সমূহ, যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে অংশ নিতে চান, তাদের এই যৌথ সংগ্রামে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানান কাল্কান।

সভায় কাল্কান, যৌথ ঘোষণাটি তুর্কি ও কুর্দি ভাষায় পড়ে শোনান, এতে সমগ্র মানবতার জন্যে হুমকি মধ্যপ্রাচ্যের চলমান যুদ্ধ ও সঙ্কটের প্রতি সকলকে মনোযোগ দিতে বলেন। এতে আরও জোর দিয়ে বলা হয় যে, AKP সরকার- আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো দ্বারা গঠিত কুৎসিততম জোটের শরীক হিসেবে এই রক্তাক্ত যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে। যৌথ ঘোষণাপত্রে AKP সরকার আজ দেশের সব জাতি ও বিরোধী দলের বিরুদ্ধে যে সর্বাত্মক যুদ্ধ চালাচ্ছে তার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

kurdc

অনুবাদ সূত্রঃ

http://democracyandclasstruggle.blogspot.com/2016/03/kurdish-and-turkish-organisations.html


ছবিঃ তুরস্কে কমিউনিজম ও বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠান

 

তারিখঃ ১৮ই ফেব্রুয়ারি

78_0

79


তুরস্কের শহীদ ১৭ জন মাওবাদী কমরেড স্মরণে –

তুরস্ক-কুর্দিস্তানের দারসিমের মেরকান অঞ্চলে ২০০৫ সালের ১৬ই জুন বৃহস্পতিবার থেকে ১৭ই জুন শুক্রবারের মধ্যে তুরস্কের ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রের সেনাবাহিনী মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টির ১৭ জন মাওবাদী কমরেডকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করে ও অন্য ৩ জনকে আহত করে। তুরস্কের মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টি(MCP) এর সাধারণ সম্পাদক সহ ৬জন কেন্দ্রীয় সদস্য এতে শহীদ হন। MCP-র কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবর্ধিত সভার সময় আক্রমণটি ঘটে। প্রথমে রাষ্ট্র এই সম্পর্কে কোনো বিবৃতি দেয়নি। পরে টেলিভিশন সংবাদে দেখানো হয়, রাষ্ট্র কর্তৃক আটক ১৭ জন গেরিলাকে হত্যা এবং অপর ৩ জনকে আহত করা হয়, এ সময় তাদের নাম প্রকাশ প্রত্যাখ্যান করা হয়।

মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টি(MCP)র শহীদ ১৭ জন মাওবাদী কমরেড

মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টি(MCP)র শহীদ ১৭ জন মাওবাদী কমরেড

শহীদ কমরেডদের নাম  –

Cafer Cangöz (MCP কেন্দ্রীয় সদস্য),

Aydýn Hanbayat (MCP কেন্দ্রীয় সদস্য),

Ali Riza Sabur (MCP কেন্দ্রীয় সদস্য),

Cemal Çakmak (MCP কেন্দ্রীয় সদস্য),

Ökkeþ Karaoðlu (MCP কেন্দ্রীয় সদস্য),

Gülnaz Yýldýz (MCP কেন্দ্রীয় সদস্য),

Okan Ünsal (Conference Security Unity Commander),

Berna Ünsal,

Alaattin Ataþ,

Kenan Çakýcý,

Taylan Yýldýz,

Ýbrahim Akdeniz,

Binali Güler,

Dursun Turgut,

Ahmet Bektaþ ,

Cagdas Can ve Ersin Kantar.

রাষ্ট্র কর্তৃক বিকৃত মৃতদেহ গুলি মর্গ থেকে মুক্তি দেয়ার পর, শহীদ গেরিলাদের জন্য শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সময় শহীদদের মৃতদেহের ছবি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে, তুরস্ক সেনাবাহিনীর সন্ত্রাস দমন ইউনিট প্রথমে গেরিলাদের উপর তীব্র নির্যাতন চালায় ও পরে হত্যা করে।

মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টি(MCP) ২০০৩ সালের নভেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয়, এর আগে দলটিকে TKP-ML/ টিকেপি (এম-এল) বলা হতো । শীতকালের এই হামলাটি তুরস্কের মাওবাদীদের উপর ধারাবাহিক ব্যাপক নিপীড়ন ছাড়া আর কিছুই ছিল না। ঐ শীতকালীন সময়টিতে বিশেষ করে তুরস্ক-কুর্দিস্তানের দারসিমে তুরস্কের ফ্যাসিবাদী সেনাবাহিনীর ও পিপলস আর্মি TIKKO (যা তুরস্কের অন্যতম মাওবাদী দল TKP-ML এর নেতৃত্বাধীন) ও পিএলএ(পিপলস লিবারেশন আর্মি-MCP নেতৃত্বাধীন) এর মধ্যে অনেক বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এই সময়কালীন MCP-র ২০ জনেরও বেশী গেরিলা ও তুরস্কের কমিউনিস্ট পার্টি – মার্কসবাদী লেনিনবাদী(TKP-ML) এর ৩ জন গেরিলা কমরেড Cafer Kara, Aþkýn Günel ও Muharem Yiðitsoy শহীদ হন। পুরো শীতকাল জুড়েই তুরস্ক-কুর্দিস্তানের সর্বত্র দারসিম সিরনাক, ভান ও মূপ সহ বিভিন্ন এলাকায় তুর্কী সেনাবাহিনী মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অনেক অপারেশন চালায়। এ ছাড়াও হাকাকীতে PKK/পিকেকে‘র অনেক গেরিলাকেও হত্যা করা হয়।


ছবির সংবাদঃ তুরস্ক ভ্রমণ বয়কট করুন

facts


তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোগানের মেয়ের হাসপাতালে চলছে আইএস জঙ্গিদের চিকিৎসা

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এর্দোগানের মেয়ে সুমেইয়ে এর্দোগান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এর্দোগানের মেয়ে সুমেইয়ে এর্দোগান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এর্দোগানের মেয়ের প্রতিষ্ঠিত একটি ‘গোপন’ হাসপাতালে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসআইএলের আহত জঙ্গিদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ খবর জানিয়েছেন হাসপাতালটির একজন নার্স।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নার্স জানিয়েছেন, তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর সানলিউরফায় হাসপাতালটি অবস্থিত। ওই নার্সের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গবেষণা ও গণমাধ্যম বিষয়ক সংস্থা গ্লোবাল রিসার্স বলেছে, তুর্কি প্রেসিডেন্টের মেয়ে সুমেইয়ে এর্দোগান হাসপাতালটি পরিচালনা করছেন।

৩৪ বছর বয়সি নার্স বলেছেন, সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে আহত আইএসআইএল সন্ত্রাসীদেরকে অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে এই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। তিনি আরো জানান, হাসপাতালটিতে মাত্র সাত মাস কাজ করেছেন তিনি। এই সময়ে “প্রায় প্রতিদিন ট্রাকে করে অসংখ্য আহত জঙ্গিকে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হতো। সঙ্গে সঙ্গে আমরা অপারেশন রুম প্রস্তুত করে জঙ্গিদের চিকিৎসায় ডাক্তারদের সহযোগিতা করতাম।”

ওই নার্স জানান, এর্দোগানের মেয়েকে তিনি বহুবার ওই হাসপাতাল পরিদর্শন করতে দেখেছেন। তিনি বলেন, তার আলাভি মতাদর্শে বিশ্বাসী হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর তাকে হাসপাতালটি থেকে বের করে দেয়া হয়। তুরস্কের পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনী তাকে গ্রেফতার করতে পারে ভেবে বর্তমানে তিনি শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন।

এর্দোগান কন্যা সুমেইয়ে এর্দোগান সম্প্রতি ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় মসুল শহর পরিদর্শন করেন। জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসআইএল নিয়ন্ত্রিত শহরটি সফর শেষে তিনি জানান, জঙ্গিদের সহায়তা করতেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। ২০১৪ সালের জুন মাস থেকে মসুল নিয়ন্ত্রণ করছে আইএস জঙ্গিরা।

ইরাক ও সিরিয়ায় তৎপর মানবতা বিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসআইএলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এর্দোগান। সারাবিশ্ব থেকে আসা সন্ত্রাসীরা মূলত তুরস্ক হয়ে সিরিয়া ও ইরাকে প্রবেশ করছে। ওই দুই দেশে প্রবেশের আগে জঙ্গিদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহ করছে তুর্কি সরকার।

তুরস্কের সানলিরউফা প্রদেশের সুরাক শহরে, কোবানিতে আটকে থাকা বেসামরিক লোকজনের জন্য ত্রাণ সহযোগিতা নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া বামপন্থীদের প্রায় ৩শ’ তরুণ একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে ‘আমারা সংস্কৃতি কেন্দ্রে‘ সোস্যালিস্ট ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন ফেডারেশনের সমাবেশে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৩২ জন নিহত ও প্রায় ১০০ মানুষ আহত হওয়ার ঘটনায় তুরস্কের মাওবাদী ও বামপন্থী কুর্দিরা অভিযোগ করে আসছিল যে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের সরকার আইএস জঙ্গিদের মদদ দিচ্ছে এবং উক্ত সমাবেশে হামলার ঘটনার সাথে তুরস্ক সরকার জড়িত। মাওবাদীরা ওই হামলার পর থেকেই তুরস্ক রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীর উপর হামলা শুরু করেছে, এরই ধারাবাহিকতায় আজ PKK-পিকেকে ২ তুর্কি পুলিশকে খতম করে।

সূত্রঃ http://bangla.irib.ir/2010-04-21-08-29-09/2010-04-21-08-29-54/item/75553-%E0%A6%8F%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%BE


তুরস্কঃ বামপন্থীদের সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে কুর্দী জনগণ ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ

turkey-clash-26894

তুরস্কের সিরীয়া সীমান্তবর্তী শহর সুরুক-এ বামপন্থীদের সমাবেশে আত্মঘাতী বোমা হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। এদিকে এ-ঘটনার প্রতিবাদে ইস্তাম্বুলে কুর্দী জনগণের সঙ্গে পুলিশের তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের সরকার আইএস জঙ্গিদের মদদ দিচ্ছে এই অভিযোগে বিক্ষোভের ডাক দেয় কুর্দীরা।

এদিকে আত্মঘাতী এ ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তুর্কি সিরিয়া সীমান্তবর্তী কোবানি শহর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে একটি সংস্কৃতি কেন্দ্রে এ হামলা চালানো হয়।

তুরস্কের সুরুক শহরে বামপন্থীদের সমাবেশে আত্মঘাতী বোমা হামলার প্রতিবাদ জানাতে ইস্তাম্বুলের তাকসিম স্কয়ারে শতশত কুর্দি জনগণ জড়ো হলে জলকামান এবং কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ বিক্ষোভকারী জনগণ পুলিশের ওপর পাথর নিক্ষেপ করেছে। সন্ত্রাসী হামলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য সরকারকে দায়ী করে জনগণ অভিযোগ করে তুরস্ক সরকার জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসকে সমর্থন এবং লালন পালন করছে।

সুরুক শহরে এ হামলা এমন সময় হয় যার মাত্র কিছুদিন আগেই সিরিয়া সীমান্তে কুর্দি বাহিনী, বিদ্রোহী দল, সরকারী সেনাবাহিনী এবং আইএস’র মধ্যে সংঘর্ষের ঝুঁকি এড়াতে তুরস্ক অতিরিক্ত সেনাসদস্য মোতায়েন করে।

তবে, তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে সন্ত্রাসী হামলা বলে উল্লেখ করেছে। এক নারী আত্মঘাতী এই বোমা হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে তুরস্ক কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, বামপন্থীদের প্রায় ৩শ’ তরুণ একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে ‘আমারা সংস্কৃতি কেন্দ্রে‘ উপস্থিত হয়েছিলেন। তারা কোবানিতে আটকে থাকা বেসামরিক লোকজনের জন্য ত্রাণ সহযোগিতা নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সোস্যালিস্ট ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন ফেডারেশন– এর এসব সদস্যদের লক্ষ্য করেই হামলাটি চালানো হয় বলে জানায় তুরস্কের বিভিন্ন গণমাধ্যম।

আত্মঘাতী বোমা হামলাটি যে এলাকায় ঘটে সেখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দা কুর্দি। তাদের অনেকেই আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে।

সূত্রঃ http://somoynews.tv/pages/details/%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8B%E0%A6%AD%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%98%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7


রোজাভায় গড়ে উঠেছে আন্তর্জাতিকতাবাদী মুক্ত ব্রিগেড

R1

R2

R3

 

রোজাভা ও মধ্য পূর্বাঞ্চলীয় জনগণের শক্তিমত্তাকে বিবেচনায় রেখে রোজাভায় মুক্ত ব্রিগেড গঠন করা হয়েছে।

এই ব্রিগেডটি আইএসআইএস ও সমগোত্রীয় দখলদারী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালাবে।

জানুয়ারী থেকে এমএলকেপি (MLKP) ব্রিগেড স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।

ব্রিগেডের যোদ্ধাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বিভিন্ন সংগঠন যেমন, Reconstruction (Spain), TIKKO, United Freedom Forces (BÖG), MLSPB Revolution Front ও গ্রীসের বিপ্লবীরা

৬ জুন থেকে শুরু হওয়া YPJ (Women’s Protection Units) এর কমান্ডার রুবার কামিসলোর উদয়োগকে  ব্রিগেড সমর্থন জানায় এবং এ প্রসঙ্গে নিম্নে উল্লেখিত বিবৃতিটি তারা প্রকাশ করেছে।

“সাম্রাজ্যবাদী রক্তপিপাসু শোষকদের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে রক্তের বন্যা বইছে।

এই সাম্রাজ্যবাদী শক্তি একত্রে আইএসআইএস কে নিয়ে এসেছে যাতে করে এ অঞ্চলের জনগণ দখলদারিত্ব ও শোষণের কাছে মাথা নত করে। আইএসআইএস জঙ্গিরা খ্রিস্টান, আরবীয় ও মুসলমান জনগণদের নির্বিচারে হত্যা করেছে।

জঙ্গিরা নারী ও শিশুদের দাস বাজারে বিক্রি করছে এবং ব্যাপক আকারে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে যা তাদের সাম্রাজ্যবাদী প্রভুদের শতাব্দীর পুরনো কৌশলকেই মনে করিয়ে দেয়।

এই সব গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য তাদের ভাষা, সংস্কার, জীবনযাত্রা ও পরিচয়কে ধ্বংস করা, আর এই উদ্দেশ্যকে নস্যাৎ করতে YPG-YPJ এর নেতৃত্বে  যে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে তা কোবানি, সিঞ্জর, তিল-হেমিস ও সেরেকানিয়েতে সফল হয়েছে।

বিশ্ব রাজনীতির সম্মুখ ভাগে উঠে এসেছে রোজাভা বিপ্লব। দারিদ্র্যপীড়িত গণমানুষের কাছে YPG-YPJ এর প্রতিরোধ প্রশংসিত হয়েছে ও সমর্থন পেয়েছে।

আন্তর্জাতিক যোদ্ধাদের সহযোগিতায় রোজাভা আজকের বেকা ও ফিলিস্তিন হয়ে উঠেছে।

রোজাভা বিপ্লব হয়ে উঠেছে জার্মান অবরোধ কালীন প্যারি কমিউন, স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধ কালীন মাদ্রিদ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কালীন স্টালিনগ্রাদ।

রোজাভা বিপ্লব প্রতিবেশী দেশগুলোর (বিশেষত তুরস্কে) ক্ষমতার ভারসাম্যকে বিপর্যস্ত করেছে এবং এভাবে বিশ্ব বিপ্লবের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ও নিপীড়িত জনগণের প্রতিরোধের আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছে।

নারীদের বিপ্লব হিসেবে রোজাভা নারীর ইচ্ছাকে শক্তিশালী করে তোলার পাশাপাশি পিতৃতন্ত্র ও বৈশ্বিক ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

সারা বিশ্বের বিপ্লবীরা রোজাভার দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন এবং বিপ্লবকে প্রসারিত করার লক্ষ্যে এখানে বিজয় অর্জনের জন্য লড়াই করে মৃত্যু বরণ করতে তারা দ্বিধা করেননি।

বিপ্লবকে শক্তিশালী করা ও তারা যে সকল স্থান থেকে এসেছেন সে সব স্থানে যুদ্ধকে ছড়িয়ে দেবার লক্ষ্যে তুরস্কের বিপ্লবী বাহিনী ও বিশ্বের বিভিন্ন অংশ থেকে বিপ্লবীরা রোজাভায় এসেছেন।

আমরা রোজাভায় যুদ্ধ করছি, শহীদ হচ্ছি ও প্রতিরোধের ঝান্ডা বহন করে চলেছি…

আমরা এ অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অগ্রভাগে যুদ্ধ করছি…

আমরা এ বিপ্লবে আইএসআইএস জঙ্গিদের নৃশংস আক্রমণের মোকাবেলা করছি…

আমরা বিপ্লবে বসবাস করছি ও নিজেদের ধমনী ও কোষের ভিতরে বিপ্লবকে অনুভব করছি…

YPG-YPJ এর পতাকার নীচে লড়াই করে আমরা কুর্দিস্তানের মেহনতি মানুষ, নিপীড়িত জনগণ, নারী ও আন্তর্জাতিকতাবাদী বিপ্লবীরা একত্রে রোজাভা বিপ্লব ঘটিয়েছি…

আমরা স্প্যানিশ, জার্মান, গ্রীক, তুর্কি, আরব, আর্মেনিয়, লাজ, সার্কেশীয় ও আলবেনিয়…

আন্তর্জাতিকতাবাদী মুক্ত ব্রিগেড গঠনের লক্ষ্যে আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বিপ্লবী বাহিনী ও সংগঠন।

গোটা বিশ্বের নিপীড়িত, মেহনতি, শ্রমিক, নারী, তরুণ, ধ্ররমীয় দল, পরিবেশবিদ, সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ফ্যাসিবাদ বিরোধী, পুঁজিবাদ বিরোধী, গণতান্ত্রিক ও বিপ্লবী গণমানুষকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি,  মধ্যপ্রাচ্য ও সারা বিশ্বে জনগণের ভ্রাতৃত্ব স্থাপনের লক্ষ্যে রোজাভা বিপ্লবকে এগিয়ে নেয়া ও একে বিস্তৃত করতে আন্তর্জাতিকতাবাদী মুক্ত ব্রিগেডের পতাকার নীচে লড়াই করুন।”

সূত্রঃ

http://en.firatajans.com/kurdistan/internationalist-free-brigade-established-in-rojava


রোজাভায় যাওয়ার পূর্বে কমরেডদের লেখা ইভানা হফম্যানের শেষ চিঠি

 images

Ivana-Hoffmann

নোট– কমরেড ইভানা হফমান, MLKP(Marxist Leninist Communist Party Turkey) এর একজন নারী কমরেড, আই এস বিরোধী যুদ্ধে তিনিই প্রথম পশ্চিমা নারী শহীদ। আমৃত্যু সমাজ পরিবর্তনের জন্যে শেষ বুলেটটি ছোঁড়া পর্যন্ত তিনি লড়ে গেছেন। রোজাভার  যুদ্ধে যাওয়ার আগে কমরেডদের উদ্দেশ্যে লেখা তার শেষ চিঠি –

পার্টির কমরেডগণ,

সবচেয়ে সুন্দর রং গুলোকে আমি আর আলাদা করতে পারিনা, আমার ত্বকের উপর শহরের বাতাসের স্পর্শকে আমি আর অনুভব করতে পারিনা, পাখিদের গানকে এখন মুক্তির ডাক বলে মনে হয়। আমি একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দীর্ঘ দিন দীর্ঘ রাত্রি ধরে মাথার ভেতর আমি এই ভাবনাগুলো নিয়ে ঘুরেছি এবং আমার সমস্ত ইচ্ছাশক্তি দিয়ে  কাজটি সম্পন্ন করার সময় এসেছে আজ। ফোরাত নদীর স্রোতের মতই শক্তিশালী এ ইচ্ছাশক্তি। আমি রোজাভা বিপ্লবের একটি অংশ হতে চাই, আমি বিকশিত হতে চাই। সকল নির্যাতিত জনগণকে একত্রিত করেছে যে যুদ্ধ, এ ছয় মাসে সেই যুদ্ধটার সাথে আমি পরিচিত হতে চাই আর রোজাভা বিপ্লবকে বুঝতে চাই যে বিপ্লবকে আমি আমার জীবন দিয়ে রক্ষা করব। আমি জানি আমি কী উদ্দেশ্যে যাচ্ছি আর এই যুদ্ধ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি জানি প্রতিকূলতা আসবে, আমার নিজের ভেতরে কী ধরনের পুঁজিবাদী বৈশিষ্ট্য নিহিত রয়েছে, সে বিষয়ে আমাকে লক্ষ্য রাখতে হবে কিন্তু আমি এগুলোর সাথে লড়াই করে যাব।

নিজের হাতে অস্ত্র নিয়ে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে রোজাভা বিপ্লবের জন্য যুদ্ধ করার  অনুভূতি কেমন, সেই অভিজ্ঞতা আমি অর্জন করব। জীবনকে আমি ভিন্নভাবে অনুভব করতে চাই, অনেক বেশী তীব্রভাবে ও সংগঠিত হয়ে। আমার হয়তো  সীমাবদ্ধতা থাকবে, হয়তো পিছিয়ে পড়ব কিন্তু আমি কোনদিন লড়াইয়ের মানসিকতা বিসর্জন দেব না। লড়াই আমি চালিয়ে যাব। আমাকে কোন কিছুই এখানে ধরে রাখতে পারছে না। আমার বোনেরা, ভাইয়েরা, বন্ধুরা, মায়েরা, বাবারা ও কমরেডরা পুঁজিবাদের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভের জন্য যেভাবে লড়াই করে যাচ্ছে তা আমার পক্ষে নিষ্ক্রিয়ভাবে তাকিয়ে দেখা সম্ভব নয়। আমি পার্টির আন্তর্জাতিকতাবাদকে প্রতিনিধিত্ব করব এবং পার্টির সশস্ত্র ও সংগঠিত আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত করব। যেদিন আমি ফিরে আসব সেদিন আমার কমরেডদের মাঝে, আমার চারপাশে আমি ছড়িয়ে দেব লড়াইয়ের মানসিকতা আর ইচ্ছাশক্তি। আমি হব সুন্দর গানের মত, যার মাধুর্যে সবাই বিমোহিত হয়। আমি হব প্রীতি ও আশায় পরিপূর্ণ  একজন গেরিলা।

আমাদের পার্টি দীর্ঘজীবী হোক।

বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক।

সমাজতন্ত্র দীর্ঘজীবী হোক।

তোমাদের কমরেড ইভানা হফম্যান     

সুত্র – signalfire.org