‘মেক্সিকোর ৪৩ শিক্ষার্থী নিখোঁজ রহস্য উদঘাটনে বাধা দিচ্ছে সরকার’

মেক্সিকোতে নিখোঁজ ৪৩ ছাত্রের স্বজনদের ধারণা, দেশটির সরকার কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সেনাবাহিনীর কিছু উচ্চ পদস্থদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

মেক্সিকোতে নিখোঁজ ৪৩ ছাত্রের স্বজনদের ধারণা, দেশটির সরকার কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সেনাবাহিনীর কিছু উচ্চ পদস্থদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

মেক্সিকোর সরকারের বিরুদ্ধে ৪৩ জন ছাত্র নিখোঁজের তদন্তে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক তদন্তকারী দল। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নিখোঁজ হন এই ৪৩ জন শিক্ষার্থী।

আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গড়া ইন্টারডিসিপ্লিনারি গ্রুপ অব ইন্ডিপেনডেন্ট এক্সপার্ট বা জিআইইআই তাদের চূড়ান্ত রিপোর্টে বলছে, এ বিষয়ে তাদের সুপারিশ অনুযায়ী কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি সরকার।

দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমের গুয়েরেরো প্রদেশের ইগুয়েলা শহরে একটি ছাত্র বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার পর ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে নিখোঁজ হয় এই ৪৩ জন।

বলা হয় শহরের মেয়র হোসে লুইস আবারকার নির্দেশে একদল অসাধু পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আটক করে।

এরপর তারা একটি মাদক চক্রের হাতে সেইসব ছাত্রদের তুলে দেয় এবং সেই মাদক চক্রই তাদের হত্যা করে।

হত্যার পর মৃতদেহগুলো নিকটবর্তী কোকুলা শহরের ময়লা ফেলার স্থানে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয় বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়।

ছাত্রদের নিখোঁজের পরপর বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে তাদের স্বজনেরা। এ নিয়ে সারাদেশ জুড়েই শুরু হয় বিক্ষোভ।

এরপর ২০১৫ সালের মার্চ মাসে নিখোঁজদের স্বজনদের দাবিতে একটি স্বাধীন তদন্ত সংস্থা কাজ শুরু করে।

তদন্ত সংস্থা তাদের কয়েকটি রিপোর্টে জানায় যে, সরকার এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের ওপর অত্যাচার করছে এবং সঠিক তদন্তে বাধারও সৃষ্টি করছে।

আন্ত-আমেরিকান মানবাধিকার কমিশন IACHR-এর সদস্য ফ্রান্সিসকো ফক্সের মতে, স্বাধীন তদন্তকারী দল ছাত্রদের মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলার যথার্থ প্রমাণ পায়নি।

এমনকি যে সময়টিতে তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- সে সময় পরেও কারো কারো মোবাইল ফোন চালু ছিল বলে প্রমাণ মিলেছে।

নিখোঁজদের স্বজনদের ধারণা, দেশটির সরকার কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সেনাবাহিনীর কিছু উচ্চ পদস্থদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

নিখোঁজ ৪৩ জন ছিলেন শিক্ষানবীশ শিক্ষক এবং তারা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কিছু নীতির বিরোধীতা করে আসছিল, যে নীতিতে গ্রাম থেকে আসা শিক্ষকদের সাথে পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হচ্ছিল।

সূত্রঃ http://www.bbc.com/bengali/news/2016/04/160424_mexico_missing_student


মেক্সিকোয় ৪৩ শিক্ষার্থী নিখোঁজের পুনঃতদন্তে সম্মতি

mex-student-35626

মেক্সিকোয় ৪৩ জন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় পুনরায় তদন্ত অভিযান পরিচালনায় সম্মত হয়েছে দেশটির সরকার ও স্বাধীন বিশেষজ্ঞ দল।

এক্ষেত্রে স্বাধীন বিশেষজ্ঞ দল-IGIE এর সঙ্গে সমন্বিত হয়ে কাজ করার কথা জানিয়ে সরকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অর্গানাইজেশন অফ আমেরিকান স্টেটস ওএএস এর একটি অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন স্বাধীন বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য কালোর্স মার্টিন বারিসতাইন। মূলত সরকারের তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে বিভিন্ন মহলে সন্দেহের উদ্রেক হওয়ায় পুনরায় অনুসন্ধানী অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

গত বছরের ২৬শে সেপ্টেম্বর দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় গুরেরো রাজ্যের ইগুয়ালা শহরে অবকাশ ভ্রমণে গিয়ে নিখোঁজ হয় ৪৩ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। তাদের ময়লার ভাগাড়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে বলে সরকারি তদন্তে উল্লেখ করা হয়।


মেক্সিকোয় নিখোঁজ ৪৩ ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে মানবাধিকার সংস্থার সদস্যদের সাক্ষাৎ

epa04451484 Students, teachers and relatives of 43 Mexican youths missing since last 26 September after being detained by police in the city of Iguala march to demand their return, in city of Acapulco, Mexico, 17 October 2014. EPA/JOSE MENDEZ

মেক্সিকোর গুয়েরেরো রাজ্যের ইগুয়ালা শহরে গত বছর নিখোঁজ ৪৩ ছাত্রের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছে মানবাধিকার সংস্থা ‘ইন্টার-আমেরিকান কমিশন অন হিউম্যান রাইটস’ এর একটি দল।

মেক্সিকোর মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে পর্যবেক্ষণের পর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে মার্কিন মানবাধিকার সংস্থাটি। ২০১৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলীয় ইগুয়ালা শহরে স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের পর নিখোঁজ হয়ে যায় ৪৩ জন ছাত্র। এখনও পর্যন্ত যাদের খোঁজ মেলেনি।

নিখোঁজের ঘটনায় ইগুয়ালার মেয়র ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনার পরই ওই এলাকায় তদন্ত করে ৬০ টি গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়। যেগুলোতে খুঁজে পাওয়া যায় একশোরও বেশি মৃতদেহ।

স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা করায় তাদের হত্যা করা হয় বলে ধারণা করে পুলিশ।

পূর্ব সূত্রঃ

সরকারি তদন্তে বলা হয়েছিল, শিক্ষার্থীরা নিখোঁজ হবার কয়েক ঘন্টা পরেই একটি ভাগাড়ে মরদেহগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়। কিন্তু ইন্টার-আমেরিকান কমিশন অন হিউম্যান রাইটস‌ (আইএসিএইচআর) বলছে, তারা মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার সরকারি দাবির পক্ষে কোন প্রমাণ পায়নি।

আইএসিএইচআর তদন্ত দলের অর্ন্তভুক্ত এক বিশেষজ্ঞ বলেন, পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুয়েরেরোর স্থলভূমিবেষ্টিত শহর কোকুলায় এতোগুলো মরদেহ পুড়িয়ে ফেলাটা অসম্ভব। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির হোসে টোরেরো বলেন, মরদেহগুলোকে পোড়াতে তের টন টায়ার, বিশ টন কাঠ এবং তের টন ডিজেলের দরকার পড়বে। আর পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রায় ষাট ঘন্টা সময় লাগার কথা।

সরকারি তদন্তে বলা হয়, গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর চাকরিতে বৈষম্যের প্রতিবাদে আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষানবীস শিক্ষকদের বিরুদ্ধে স্থানীয় মেয়রের স্ত্রীর আয়োজন করা র‍্যালি পণ্ড করার অভিযোগ এনে কিছু দুর্নীতিবাজ পুলিশ তাদের আটক করে। পরে স্থানীয় অপরাধী চক্র গুয়েরেরোস ইউনিডোসের হাতে তাদের তুলে দেয়া হয়। এ ঘটনায় মেয়র, তার স্ত্রী, কয়েকজন পুলিশ সদস্য এবং কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

নিখোঁজদের স্বজনরা সরকারি তদন্তকে প্রত্যাখ্যান করে আসছে আগে থেকেই। তাদের দাবি, শিক্ষার্থীদের নিখোঁজ হওয়ার পেছনে সামরিক বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাদের হাত রয়েছে বলে সরকার এই বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই ঘটনাটি পুরো মেক্সিকোতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। আন্দোলনকারীরা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কর্মকর্তাদের দায়মুক্তি এবং প্রেসিডেন্ট এনরিকে পেনা নিটোর সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। আইএসিএইচআর এর প্রতিবেদনের ফলে প্রেসিডেন্ট এনরিকের উপর চাপ আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


মেক্সিকোয় ৪৩ ছাত্রের নিখোঁজের এক বছর পূর্তিতে বিক্ষোভ অব্যাহত

MEXICO CITY, MEXICO - SEPTEMBER 15: Relatives of the 43 missing students of Ayotzinapa during the one-year anniversary of the disappearance march on September 26, 2015 in Mexico city, Mexico. One year ago, 3 students were killed and 43 vanished in the town of Iguala, allegedly taken by police and then handed over to a criminal gang who burned their bodies in a garbage dump, according to a federal investigation. Families of the missing and independent investigators cast doubts on the official version. (Photo by Miguel Tovar/LatinContent/Getty Images)

গত বছর মেক্সিকোতে ৪৩ ছাত্র নিখোঁজের ঘটনার এক বছর পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে দেশটির রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে হাজার মানুষ। পরে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

শনিবার রাজধানী মেক্সিকো সিটির জোকালে স্কয়ারে প্রায় ১০ হাজার নাগরিক ৪৩ ছাত্র নিখোঁজের ঘটনার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এসময় নিখোঁজ ছাত্রদের অভিভাবকরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এক পর্যায়ে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পুলিশ সমাবেশ ভেঙে দিতে চাইলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।

এ সময় পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইগুয়ালা শহরে স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ করার পর ৪৩ ছাত্র নিখোঁজ হয়, যাদের খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।

পূর্ব সূত্রঃ

সরকারি তদন্তে বলা হয়েছিল, শিক্ষার্থীরা নিখোঁজ হবার কয়েক ঘন্টা পরেই একটি ভাগাড়ে মরদেহগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়। কিন্তু ইন্টার-আমেরিকান কমিশন অন হিউম্যান রাইটস‌ (আইএসিএইচআর) বলছে, তারা মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার সরকারি দাবির পক্ষে কোন প্রমাণ পায়নি।

আইএসিএইচআর তদন্ত দলের অর্ন্তভুক্ত এক বিশেষজ্ঞ বলেন, পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুয়েরেরোর স্থলভূমিবেষ্টিত শহর কোকুলায় এতোগুলো মরদেহ পুড়িয়ে ফেলাটা অসম্ভব। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির হোসে টোরেরো বলেন, মরদেহগুলোকে পোড়াতে তের টন টায়ার, বিশ টন কাঠ এবং তের টন ডিজেলের দরকার পড়বে। আর পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রায় ষাট ঘন্টা সময় লাগার কথা।

সরকারি তদন্তে বলা হয়, গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর চাকরিতে বৈষম্যের প্রতিবাদে আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষানবীস শিক্ষকদের বিরুদ্ধে স্থানীয় মেয়রের স্ত্রীর আয়োজন করা র‍্যালি পণ্ড করার অভিযোগ এনে কিছু দুর্নীতিবাজ পুলিশ তাদের আটক করে। পরে স্থানীয় অপরাধী চক্র গুয়েরেরোস ইউনিডোসের হাতে তাদের তুলে দেয়া হয়। এ ঘটনায় মেয়র, তার স্ত্রী, কয়েকজন পুলিশ সদস্য এবং কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

নিখোঁজদের স্বজনরা সরকারি তদন্তকে প্রত্যাখ্যান করে আসছে আগে থেকেই। তাদের দাবি, শিক্ষার্থীদের নিখোঁজ হওয়ার পেছনে সামরিক বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাদের হাত রয়েছে বলে সরকার এই বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই ঘটনাটি পুরো মেক্সিকোতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। আন্দোলনকারীরা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কর্মকর্তাদের দায়মুক্তি এবং প্রেসিডেন্ট এনরিকে পেনা নিটোর সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। আইএসিএইচআর এর প্রতিবেদনের ফলে প্রেসিডেন্ট এনরিকের উপর চাপ আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্রঃ http://www.huffingtonpost.com/entry/mexico-missing-students-anniversary-march_5606fa0ce4b0768126fdcaba


মেক্সিকোতে স্বাধীন তদন্তকে সরকারের প্রত্যাখ্যান

epa04451484 Students, teachers and relatives of 43 Mexican youths missing since last 26 September after being detained by police in the city of Iguala march to demand their return, in city of Acapulco, Mexico, 17 October 2014.  EPA/JOSE MENDEZ

প্রায় এক বছর আগে ৪৩ জন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় একটি স্বাধীন তদন্তকে মেক্সিকোর সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকারি তদন্তে বলা হয়েছিল, শিক্ষার্থীরা নিখোঁজ হবার কয়েক ঘন্টা পরেই একটি ভাগাড়ে মরদেহগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়। কিন্তু ইন্টার-আমেরিকান কমিশন অন হিউম্যান রাইটস‌ (আইএসিএইচআর) বলছে, তারা মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার সরকারি দাবির পক্ষে কোন প্রমাণ পায়নি। খবর বিবিসি।

আইএসিএইচআর তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর সেদেশের সরকার এই তদন্তকে প্রত্যাখ্যান করে নতুন করে সরকারি তদন্তের আদেশ দিয়েছে। মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেল আরেলি গোমেজ জানান, যেখানে মরদেহগুলো পোড়ানো হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়, সেখানে একটি নতুন ফরেনসিক দল পাঠানো হবে।

নিখোঁজদের পরিবারবর্গ শুরু থেকেই সরকারি তদন্ত প্রতিবেদনকে গ্রহণ করেননি। তারা একে সঠিক বলে মনে করেন না। আইএসিএইচআরের প্রতিবেদনেও যার যথার্থতা প্রমাণিত হয়। এতে শিক্ষার্থীদের নিখোঁজ হওয়ার সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করা থাকলেও, নিখোঁজদের কি পরিণতি হয়েছে সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।

ওয়াশিংটনভিত্তিক আইএসিএইচআর এর পাঁচশো পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে সরকারের নিকট নিখোঁজদের খুঁজে বের করার জন্য অনুরোধ করা হয়। তদন্ত দলের অর্ন্তভুক্ত এক বিশেষজ্ঞ বলেন, পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুয়েরেরোর স্থলভূমিবেষ্টিত শহর কোকুলায় এতোগুলো মরদেহ পুড়িয়ে ফেলাটা অসম্ভব। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির হোসে টোরেরো বলেন, মরদেহগুলোকে পোড়াতে তের টন টায়ার, বিশ টন কাঠ এবং তের টন ডিজেলের দরকার পড়বে। আর পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রায় ষাট ঘন্টা সময় লাগার কথা।

সরকারি তদন্তে বলা হয়, গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর চাকরিতে বৈষম্যের প্রতিবাদে আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষানবীস শিক্ষকদের বিরুদ্ধে স্থানীয় মেয়রের স্ত্রীর আয়োজন করা র‍্যালি পণ্ড করার অভিযোগ এনে কিছু দুর্নীতিবাজ পুলিশ তাদের আটক করে। পরে স্থানীয় অপরাধী চক্র গুয়েরেরোস ইউনিডোসের হাতে তাদের তুলে দেয়া হয়। এ ঘটনায় মেয়র, তার স্ত্রী, কয়েকজন পুলিশ সদস্য এবং কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

নিখোঁজদের স্বজনরা সরকারি তদন্তকে প্রত্যাখ্যান করে আসছে আগে থেকেই। তাদের দাবি, শিক্ষার্থীদের নিখোঁজ হওয়ার পেছনে সামরিক বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাদের হাত রয়েছে বলে সরকার এই বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই ঘটনাটি পুরো মেক্সিকোতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। আন্দোলনকারীরা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কর্মকর্তাদের দায়মুক্তি এবং প্রেসিডেন্ট এনরিকে পেনা নিটোর সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। আইএসিএইচআর এর প্রতিবেদনের ফলে প্রেসিডেন্ট এনরিকের উপর চাপ আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্রঃ http://www.bonikbarta.com/news/details/48787.html


ছবির সংবাদঃ মেক্সিকোর নিখোঁজ ৪৩ ছাত্রের একজন Arnulfo Felipe Rosa

1

 

2

3

4

5

 

মেক্সিকোর ইগুয়ালাতে Ayotzinapa পরিবার গুলোর নিখোঁজ ৪৩ ছাত্রের একজন Arnulfo Felipe Rosa এর দরিদ্র পরিবারের ছবি এটি। মেক্সিকোর নারকো রাষ্ট্র তার সন্তানকে হত্যা করে করেছে এবং Enrique Peña Nieto এর অপরাধী সরকার এই সংঘটিত অপরাধের সাথে জড়িত ছিল।

সূত্রঃ http://maoistroad.blogspot.com/2015/08/mexico-la-humilde-familia-de-felipe.html


মেক্সিকোয় এক সংগঠকের রহস্যজনক মৃত্যু

মিগেল অ্যাংগেল জিমেনেজ ব্ল্যাংকো

মিগেল অ্যাংগেল জিমেনেজ ব্ল্যাংকো

মেক্সিকোয় গত বছর ৪৩ নিখোঁজ ছাত্রের সন্ধানের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া এক সংগঠকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় গুয়েরেরো রাজ্যে একটি শহরে নিজ বাসার কাছে মিগেল অ্যাংগেল জিমেনেজ ব্ল্যাংকো নামে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

তবে, কে বা কারা তাকে হত্যার পর তার লাশ সেখানে ফেলে চলে গেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। গত বছর অপহরণের পর পুড়িয়ে মারা নিখোঁজ ৪৩ ছাত্রের কবর অনুসন্ধান এবং সেখানকার বেশ কয়েকটি কবর খোঁড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মিগেল।

এদিকে, দেশটির একই শহরে গত এক সপ্তাহে অন্তত ১৫ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।

সূত্রঃ http://news.yahoo.com/body-mexican-vigilante-group-leader-found-behind-taxi-111423790.html