কলকাতায় বাস্তার নিয়ে আলোচনা সভা বানচাল করার চেষ্টা বিজেপির
Posted: May 21, 2016 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: অ্যা ওয়ার উথাউট উটনেস, বস্তার, ব্ল্যাকআউট অন বাস্তার, bastar Leave a commentযাদবপুরের পর ফের বিজেপির দাদাগিরি। শনিবার খাস কলকাতায় বাস্তার নিয়ে আলোচনা সভা বানচাল করে দিতে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। ভারত সভা হলে বাস্তার সলিডারিটি নেটওয়ার্কের পক্ষে ব্ল্যাকআউট অন বাস্তার, অ্যা ওয়ার উথাউট উটনেস শীর্ষক, আলোচনা সভায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপির সমর্থকরা। পরে তা ধস্তাধস্তিতে পৌঁছয়। বাস্তারে, এক অঘোষিত যুদ্ধ চলছে আর সেই যুদ্ধের খবর খুব একটা মিডিয়ায় আসে না। ব্ল্যাকআউট করেছে মিডিয়া। এই বিষয়টিকেই সামনে রেখে বাস্তার সলিডারিটি নেটওয়ার্কের পক্ষে ব্ল্যাকআউট অন বাস্তার, অ্যা ওয়ার উথাউট উটনেস শীর্ষক, এক আলোচনা সভার আয়োজন করে এদিন।
কলকাতাঃ বস্তারে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সভা
Posted: April 17, 2016 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: বেলা ভাটিয়া, মাওবাদী, bastar, bela bhatia, maoist Leave a commentসূত্রঃ satdin.in
ভারতঃ মাওবাদী দমনের নামে বেপরোয়া জুলুম বস্তারে
Posted: March 8, 2016 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: গণযুদ্ধের সংবাদ, বস্তার, মাওবাদী, লাল সংবাদ, bastar, maoist Leave a commentনতুন চেহারায়,নতুন ভঙ্গিমায় ছত্তিশগড়ে ফিরে আসছে সালওয়া জুদুম। ‘মাওবাদী’ আখ্যা দিয়ে চলছে নির্বিচারে সমাজকর্মী-সাংবাদিক-আইনজীবীদের ওপর আক্রমণ। আদিবাসী মানুষদের ধরপাকড়। হঠাৎই নিরুদ্দেশ হয়ে যাচ্ছেন নিরীহ গরিব আদিবাসীরা বস্তার থেকে! আদিবাসী মহিলাদের শ্লীলতাহানি, দল বেঁধে ধর্ষণ। অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। বি জে পি কর্মীদের বিরুদ্ধে। সামাজিক একতা মঞ্চ গড়ে তুলে মাওবাদী দমনের নামে যে কোন প্রতিবাদকে থামানোর চেষ্টা চলছে কয়েকমাস ধরেই। বি জে পি শাসিত ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী রামন সিং ও তাঁর বশংবদ পুলিশের একটাই লক্ষ্য বস্তার, বিজাপুর, সুকমার খবর যাতে বাইরের পৃথিবীতে না আসে।
২০শে ফেব্রুয়ারি। জগদলপুর থেকে গিদমে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন মানবাধিকার ও সমাজকর্মী-আপ নেত্রী সোনি সোরি। অতর্কিতে আক্রমণ, সোনি সোরির মুখে ছোঁড়া হয় সবুজ রঙের রাসায়নিক তরল। কালো মুখ নিয়ে সোনি সোরি দিল্লিতে, অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই বস্তার অঞ্চলে আদিবাসীদের মধ্যে কাজ করে আসছেন সোরি। মাওবাদী তকমা সেঁটে দিয়ে আদিবাসী মানুষদের ওপর পুলিশের অত্যাচার, জুলুমের বিরুদ্ধেও বারে বারে সরব হয়েছেন তিনি। সালওয়া জুদুমের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে গেছেন সোরি। অভিযোগ করেছিলেন জেলে শারীরিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে। গত লোকসভা ভোটে বস্তার কেন্দ্র থেকে আপ-র প্রার্থী ছিলেন সোরি।
কয়েকদিন ধরেই চলছিল হুমকি। বাড়িতে ছোঁড়া হয়েছিল পাথর। সোরির পরিবারের লোকেদেরও দেওয়া হয়েছিল প্রাণনাশের হুমকি। বস্তার ছাড়তে হবে সোনি সোরিকে, অভিযুক্ত সেই বি জে পি কর্মীদের নিয়ে গঠিত ‘সামাজিক একতা মঞ্চ’। শেষ পর্যন্ত হামলা।
গত তিন বছর ধরে নিরীহ আদিবাসীদের ওপর পুলিশী জুলুম, মিথ্যা মামলায় তাদের সাহায্যের জন্য কাজ করছিলেন দুই মহিলা আইনজীবী শালিনী গেরা ও ইশা খান্ডেলওয়াল। গড়ে তুলেছিলেন ‘জগদলপুর লিগাল এইড গ্রুপ’। কয়েকমাস ধরে চলছে জগদলপুরে আদিবাসী মহিলাদের ওপর যৌন হেনস্তা, অভিযোগ এসেছে দলবদ্ধ ধর্ষণেরও। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী। শালিনী ও ইশাকে জগদলপুর ছাড়তে হয়েছে। পুলিশ বাড়িওয়ালাকে ডেকে বলেছে ওঁদের ভাড়া থেকে তুলতে।
একই অবস্থার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক মালিনী সুব্রহ্মণ্যম। একসময়ে ছত্তিশগড়ে রেডক্রসের প্রধান ছিলেন মালিনী। নিরীহ আদিবাসীদের ওপর মাওবাদী অভিযোগ দেখে পুলিশের ধরপাকড়, ভুয়ো এনকাউন্টার, মিথ্যে আত্মসমর্পণের নাটক নিয়ে এখন নিয়মিত লিখছেন ওয়েব পোর্টাল স্ক্রল ডট ইন এ। বিজাপুরে আদিবাসী মহিলাদের ওপর পুলিশ-আধাসেনার যৌন আক্রমণ নিয়েও লিখেছিলেন তিনি। বারে বারে হুমকির মুখে পড়েছেন মালিনী। ‘সামাজিক একতা মঞ্চ’ গত ৬ই ফেব্রুয়ারি চড়াও হয় মালিনীর ভাড়াবাড়িতে। মালিনী নাকি মাওবাদীদের প্রতি সহানুভূতিশীল, এই অভিযোগে তাঁর বাড়িতে ঢিল ছোঁড়া হয়, গাড়ির কাচ ভাঙা হয়। চলতে থাকে অশ্রাব্য গালিগালাজ। আজ বস্তারে থাকেন না মালিনী। গত ১৯শে ফেব্রুয়ারি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন ছত্তিশগড়।
বস্তার ছাড়া হয়েছে বিশিষ্ট সমাজকর্মী বেলা ভাটিয়াও। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি, মুম্বাইয়ের ‘টাটা ইন্সটিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্স’-র প্রাক্তন অধ্যাপিকা বেলা বিগত একবছর ধরে গরিব আদিবাসীদের মধ্যে কাজ করছিলেন। ২০০৬ সালে প্ল্যানিং কমিশন গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যা ছিলেন বেলা, সেই একই কমিটিতে ছিলেন আজকের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও! ছত্তিশগড়ের মাওবাদী সমস্যা নিয়ে সেই বিশেষজ্ঞ কমিটি বলেছিল গরিব আদিবাসী ও দলিত সম্প্রদায়ের সাথে সরকার, সমাজের মূলস্রোতের ধারাবাহিক বিচ্ছিন্নতার সুযোগেই মাওবাদীরা নিজেদের অবস্থান তৈরি করেছে। বেলা ভাটিয়ার বিরুদ্ধেও একই ভাবে মাওবাদীদের সহানুভূতিশীল অভিযোগে আক্রমণ, কুৎসা,হুমকি চালিয়ে গেছে ‘সামাজিক একতা মঞ্চ’। বেলা ভাটিয়াও এখন বস্তার ছাড়া। জগদলপুরের বাইরে এখন থাকেন তিনি।
আদিবাসীদের ওপর আক্রমণ, মাওবাদী অভিযোগে মিথ্যে মামলা, ভুয়ো সংঘর্ষে মৃত্যুর বিরুদ্ধে সরব হওয়া কন্ঠস্বরগুলিকে দমানো হচ্ছে বারে বারেই। দীর্ঘ হচ্ছে তালিকা। অভিযোগ মূলত দুটি সংগঠনের বিরুদ্ধে। পুলিশের প্রত্যক্ষ মদতে চলছে তাদের কাজ।
সালওয়া জুদুমের প্রাক্তন নেতা, এখন বি জে পি-র মাতব্বর মধুকর রাওয়ের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ‘নকশাল পীড়িত সংঘর্ষ সমিতি’ আর বস্তারের স্থানীয় নেতার ভাইপোর গড়ে তোলা ‘সামাজিক একতা মঞ্চ’।
গত কয়েক মাসে বস্তার, বিজাপুর, জগদলপুরে অজস্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলেও নীরব পুলিশ। একটা এফ আই আরও দায়ের হয়নি, তদন্ত দূর অস্ত। এত ঘটনা ঘটলেও দায় এড়িয়েছেন বস্তারের ইন্সপেক্টর জেনারেল কাল্লুরি।
‘বস্তারের মানুষ বাইরে থেকে আসা ওনাদের মেনে নিতে পারছিলেন না, সমাজকর্মীরা মাওবাদীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে পুলিশের অভিযানে বাধা দিচ্ছিলেন, এই ঘটনাগুলি তারই বহিঃপ্রকাশ’! সাফ সাফাই কাল্লুরির।
ভারতঃ “বদ্রু, হেমলা ভগতকে গণবিরোধী ও পার্টি বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্যে খতম করা হয়েছে”- সিপিআই(মাওবাদী)
Posted: July 13, 2015 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: মাওবাদী খতম, bastar, COMMUNIST PARTY OF INDIA (MAOIST), CPI (M), cpi(maoist), maoists Leave a commentভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)/সিপিআই(মাওবাদী) ছত্তিশগড়ের গোলযোগপূর্ণ বস্তার অঞ্চলে তাদের ২ সিনিয়র নেতা বদ্রু, হেমলা ভগতকে গণবিরোধী ও পার্টি বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্যে খতম করার দায়িত্ব স্বীকার করেছে।
বস্তারে সক্রিয় চার মাওবাদী গেরিলা গত কয়েক দিন আগে তাদের নিজস্ব পার্টি গেরিলাদের হাতে নিহত হয়।
একজন মাওবাদী নেতাকে আটক করা হয়, অপর মাওবাদী নেতা তার নিজের কমরেডদের বন্দিদশা থেকে পালিয়ে গিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
গত রবিবার এক সংবাদ বিবৃতিতে সি পি আই(মাওবাদী) দারবা বিভাগের সম্পাদক সুরিন্দর বলেন “আমাদের পার্টির গণআদালত বদ্রু(দারবা এলাকার একটি ডিভিসির সদস্য) এবং হেম্লা ভগত(অন্য দারবা এলাকার একটি ডিভিসির সদস্য ও মাওবাদীদের একই এলাকার ‘সামরিক গোয়েন্দা’ শাখার প্রধান) কে মৃত্যুদণ্ড দেয়। দুজনকেই গণবিরোধী ও পার্টি বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার জন্যে খতম করা হয়। তারা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত এবং দলের কিছু সিনিয়র নেতাদের হত্যা করার পরিকল্পনা করছিল। তারা শত্রুর(পুলিশ) আগেই অস্ত্র সহ আত্মসমর্পণের ষড়যন্ত্র করছিল।”
যদিও এই বিবৃতিতে জুনের শেষ সপ্তাহে পার্টি কর্তৃক নিহত অন্য ২ নেতাদের( হিঙ্গে ও কোশী) সম্পর্কে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
“বদ্রু এবং হেমলা ভগতকে ব্যবহার করে মাওবাদী সংগঠন ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র, পুলিশের কৌশলের একটি অংশ ছিল। বদ্রু এবং ভগত মৃত্যুর জন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের দায়ী করে সুরিন্দর বলেন,- তারা যদি এইরুপ গণবিরোধী কার্যক্রম বন্ধ না করে তা হলে, আমরা আমাদের প্রতিক্রিয়াশীল কার্যক্রম জোরদার করতে বাধ্য হবো। বদ্রু এবং ভগতের বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে বস্তারের জনগণকে সচেতন করে দিয়ে সুরিন্দর বলেন, পুলিশ এবং সরকার মাওবাদীদের বিরুদ্ধে এই বলে মিথ্যা ছড়াচ্ছে যে, যে সব কমরেড পার্টি ছেড়ে দিতে চান বা বাড়ী চলে যেতে চান তাদের মাওবাদীরা হত্যা করে।”
মাওবাদী নেতা সুরিন্দর আরো বলেন- “আমাদের পার্টি কখনোই বাড়ী যেতে চাওয়া কমরেডের হত্যা করে না। আমরা শুধুমাত্র বিশ্বাসঘাতক এবং পার্টি ও আন্দোলনের যারা ক্ষতি করে তাদেরকেই শাস্তি দিয়ে থাকে। আমরা এই সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্যে জনগণের কাছে আবেদন রাখছি।”
সূত্রঃ http://www.thehindu.com/news/national/maoists-admit-to-killing-their-own-leaders-in-chhattisgarh/article7414112.ece
মোদীর সফরে মাওবাদী হাতে আটক ২৫০, মুক্তি, জনতার আদালতে ১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
Posted: May 10, 2015 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: ATIK, মাওবাদী, মাওবাদীদের, মাওবাদীরা, bastar, cpi, cpi(maoist), CPI-MAOIST, CPP, DANTEWADA, EDUCATION, ENVER HOXA, INDIA, INDIAN, JOB, lenin, mao, maoism, maoist, marx, modi, MULTINATIONAL, NDFP, NEPAL, NEWS, PBCP, PBSP, Philippine MAOIST, RUSSIA, stalin, STUDENT, TATA, TIKKO, TKP-ML, TROTOSKY Leave a commentকথিত উন্নয়নের বার্তা নিয়ে এ বারে মাওবাদীদের গড়ে পৌঁছে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তিনি গিয়ে ওঠার আগে রাত থেকেই কমপক্ষে দু’শো জন গ্রামবাসীকে আটক করে রেখে মাওবাদীরা বুঝিয়ে দিল, কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি সরকারের উপরে তাদের আদৌ আস্থা নেই। মাওবাদীদের দাবি, এলাকার ভূ-সম্পদ লুঠ করে কয়েকটি বড় শিল্পগোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়াই এই দুই সরকারের মূল লক্ষ্য। এ দিন রাতে ওই গ্রামবাসীদের ছেড়ে দিলেও, মাওবাদীরা ‘জন আদালত’-এ বিচার করে এক জনকে হত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মোদীর সভাস্থল থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে জিরম উপত্যকায়। দু’বছর আগে ঠিক এখানেই কংগ্রেসের কনভয়ে বড়সড় হামলা চালিয়ে বেশ কয়েক জন নেতাকে হত্যা করেছিল মাওবাদীরা।
ছত্তীসগঢ়ের মাওবাদী অধ্যুষিত দন্তেওয়াড়ায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেষ গিয়েছিলেন রাজীব গাঁধী। এর তিন দশক পরে গেলেন মোদী। কলকাতায় যাওয়ার আগে তাঁর এই সফরের লক্ষ্য ছিল দুটি: এক, মাওবাদী অধ্যুষিত এই একটি জেলাতেই ২৪ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প পৌঁছে দেওয়া। যে প্রকল্পে ইস্পাত কারখানা থেকে রেল লাইন পাতা হবে। দুই, মাওবাদীদের সুস্থ জীবনে ফেরার বার্তা দেওয়া।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই মাওবাদীরা বয়কটের ডাক দেয়। শুধু তাই নয়, সুকমা জেলার বিভিন্ন গ্রামের অন্তত দু’শো জন গ্রামবাসীকে আটক করে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, শুধুই দেশি-বিদেশি কয়েকটি বড় শিল্পগোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই প্রধানমন্ত্রী মোদী ও ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ এই সব প্রকল্প ঘোষণা করছেন। প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করাই তাঁদের উদ্দেশ্য। সেই কারণেই কেন্দ্র জমি বিল আনতে চাইছে। বস্তারে হচ্ছে সেনা প্রশিক্ষণ স্কুলও। কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার (মাওবাদী) দণ্ডকারণ্য বিশেষ জোনাল কমিটি তাই কেন্দ্রের ‘ফ্যাসিবাদী হিন্দুত্বের সরকার’-এর বিরুদ্ধে সংগঠিত জঙ্গি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
দন্তেওয়াড়ায় শান্তি-বার্তা দিয়ে মোদী কলকাতায় পৌঁছে গেলেও রমন সরকারের মাথাব্যথা হয়ে ওঠে আটক করে রাখা গ্রামবাসীদের মুক্তির বিষয়টি। আলোচনার পথেই তাঁদের মুক্ত করার চেষ্টা চালাতে থাকে রাজ্য প্রশাসন। রাতে এক জন বাদে সবাইকেই ছেড়ে দেয় মাওবাদীরা। সদারাম নাগ এক জন শুধু জীবিত ফেরেননি। ‘জন আদালতে দোষী’ হওয়ায় মাওবাদীরা তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মাওবাদী মোকাবিলার পথ নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। ইউপিএ আমলের এই নীতি থেকে অনেকটাই সরে এসে রাজনাথ সিংহের অধীনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি খসড়া নীতিও তৈরি করে। যেখানে বলা হয়, দরকারে স্থলসেনা ও বায়ুসেনাকেও মাওবাদী মোকাবিলায় কাজে লাগানো হবে। এই খসড়া সমালোচনার ঝড় তোলে। দেশের সেনাকে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে বন্দুক তুলতে নির্দেশ দেওয়া যায় কি না, এ নিয়ে বিতর্ক হয় বিস্তর। এই পরিস্থিতিতে মোদী আজ মাওবাদী গড়ে গিয়ে যে ভাবে উন্নয়নের কথা বললেন, সেখানকার মানুষের দুঃখ-বেদনা বোঝার কথা বললেন, তাতে স্পষ্ট, কেন্দ্র এখন দ্বিমুখী রণকৌশল নিয়েই এগোতে চাইছে। এক দিকে কড়া হাতে মাওবাদী মোকাবিলার প্রস্তুতি চালানো। এর পাশাপাশি, উন্নয়নের মাধ্যমে মাওবাদীদের থেকে সাধারণ মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা।
মোদী এই সফরে দু’টি কাজই করতে চাইলেন। চলতি বছরে এপ্রিল পর্যন্ত ছত্তীসগঢ়ে ১৮৮টি মাওবাদী হামলা হয়েছে। নিহত ৪৬ জন। এই অবস্থায় মাওবাদীদের গড়ে পৌঁছে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ান ও গ্রামবাসীদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করলেন। আর তাঁর বক্তব্যে জোর পেল দ্বিতীয় পথটি।
সূত্রঃ
ভারতঃ মোদীর সফরের প্রতিবাদে ছত্তিসগড়ের বস্তারে দুই দিন ব্যাপী বন্ধ এর দাবী মাওবাদীদের
Posted: May 9, 2015 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: ছত্তিসগড়, মাওবাদী, মোদী, bastar Leave a comment৯ মে মাওবাদী অধ্যুষিত বস্তারের দান্তেওয়াদায় প্রধান মন্ত্রী মোদীর সফরের এক দিন আগে শুক্রবার সকালে সুকমা জেলায় প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রতিবাদে ব্যানার ও পুস্তিকা সেঁটে জনগণকে দুই দিন ব্যাপী ‘মহাবন্ধ’ পালন করার আহ্বান জানিয়েছে মাওবাদীরা। জগরদুঙ্গ-দোরনাপাল এলাকায় লাগানো পুস্তিকায় প্রধানমন্ত্রীর সফর ও ছত্তিসগড় সরকারের চলমান ‘লোকসুরজ অভিযান’কে (public meeting campaign) বয়কট করেছে মাওবাদীরা।
এদিকে কাংকারে পখানজুর-ভানুপ্রতাপপুর রুটে গাছ ফেলে গাড়ি চলাচল অবরুদ্ধ করা হয় ও রাস্তার পাশের গাছে মোদী এবং মুখ্য মন্ত্রী রমন সিং এর দুইটি কুশপুত্তলিকা ঝুলিয়ে রাখা হয়। ঘটনাস্থলে লাগানো ব্যানারে মাওবাদীরা মোদীর সফরকে বয়কট করার আহ্বান জানিয়ে উল্লেখ করেছে বড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের কাছে রাজ্যের প্রাকৃতিক সম্পদ বিক্রি করে দেয়ার চুক্তি করার উদ্দেশ্যেই মোদীর এই সফর।
ভারতঃ “চলে যাও অথবা মর” -বস্তারের পুলিশদের সতর্ক করে দিল মাওবাদীরা
Posted: April 29, 2015 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: খবর, নির্যাতন, বন্ধু, লাল সংবাদ, সাক্ষাৎকার, সিপিআই (মাওবাদী), BANGLA, bastar, BLACK MAN, BLACK PEOPLE, CHATRA, cpi, CRISIS, ECONOMY, facebook, GOOGLE, INDIA, INDIAN MAOIST, JOB, LAL, LAL SHONGBAD, LANGUAGE, LEADER, LIBERATION, LOVE, maoist, MKP, naxalism, plga, RED, RELATION, revolution, SOURCE, TIKKO, TKP, uk, UNDP, usa, VILLAGE, WEDDING, YPG Leave a commentকনস্টেবলকে অপহরণ ও খতমের দায়িত্ব স্বীকার করল মাওবাদীরা
ছত্তিসগড়ের বস্তার অঞ্চলের নিম্নস্তরের পুলিশদের চাকরী ছেড়ে দেয়ার অথবা “পিএলজিএ (People’s Liberation Guerrilla Army) এর গেরিলাদের হাতে মৃত্যুর” হুমকি দিয়েছে সিপিআই (মাওবাদী)।
মাওবাদীদের পশ্চিম বস্তার বিভাগীয় কমিটির সেক্রেটারি মাধভী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, অপহরণকৃত কনস্টেবল বীরা বসন্তকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে মাওবাদীরা । ৭ই এপ্রিল তাকে অপহরণ করা হয় ও দুই সপ্তাহ পর বিজাপুর জেলায় তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিরস্ত্র বীরা তার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে গ্রামে যাচ্ছিলেন। কনস্টেবল বীরার অপহরণ বিজাপুরের স্থানীয় অধিবাসী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের “নীরব প্রতিবাদের” দিকে ঠেলে দিয়েছে। তার মুক্তির জন্য স্কুলের বাচ্চারা প্রতিবাদ র্যালীর আয়োজন করেছে।
বীরার মৃত্যুর জন্য রাজ্য সরকার ও বিজাপুর পুলিশকে দায়ী করে মাওবাদী নেতা দাবী করেছেন, তার মুক্তির জন্য জেলা পুলিশ কোনরকম সংলাপে বসেনি। “তার বদলে, আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ র্যালি আয়োজন করার জন্য পুলিশ স্থানীয় অধিবাসী ও স্কুলের বাচ্চাদেরকে চাপ দেয়। আমাদের পার্টির নীতিমালায় নিরস্ত্র পুলিশদের হত্যা করার কোন বিধান নেই। আমরা অনেক জওয়ানকে মুক্তি দিয়েছি যারা নিরস্ত্র ছিল। তবে আমরা তাদের ছেড়ে দিতে পারিনা যারা জেনেশুনে জনগণের উপর নিষ্ঠুরতা চালায়। মাধভী বলেন, বীরা ছিল সেই ধরনের একজন পুলিশ”।
তিনি আরো বলেন, “সে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে গণ আন্দোলনের বিরুদ্ধে কাজ করে আসছিল এবং অসংখ্য সাজানো এনকাউন্টার ও বিজাপুরের আদিবাসীদের গ্রামে হামলার নেতৃত্বে সে ছিল। সে গ্রামবাসীদের থেকে অর্থও আদায় করত”।
“বীরা তার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে গ্রামে যাচ্ছিল”- পুলিশের এ দাবীকেও অস্বীকার করেছেন মাওবাদী নেতা। মাধভীর দাবী, “সে আওয়াপল্লী এলাকায় আমাদের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করে বিজাপুরের এসপির অফিসের দিকে যাচ্ছিল। সে জানত সে কী করছিল এবং তার মত একজন গণশত্রুকে ছেড়ে দেয়া আমাদের পক্ষে অসম্ভব ছিল”।
মাওবাদী নেতা সতর্ক করে দিয়ে জানান, “বিরার এই খতম বস্তারের সকল নিম্নস্তরের পুলিশদের প্রতি একটি সতর্কতা হিসেবে কাজ করবে। কর্পোরেটদের জন্য যুদ্ধ করা বন্ধ কর, -যারা আদিবাসী ভূমি দখল করার জন্য এখানে এসেছে। পুলিশের চাকরী বাদ দিয়ে অন্য কোন চাকরী যোগাড় কর যদি বস্তারে থাকতে চাও। তা না হলে PLGA এর হাতে মৃত্যুর জন্য তৈরী হও”।
আত্মসমালোচনাঃ নেতৃত্বের সংকট, দুর্বল হতে থাকা ঘাঁটির কথা স্বীকার করে ক্যাডারদের প্রতি লড়াইয়ের ক্ষেত্র প্রস্তুত করার আহ্বান জানালেন ভারতের মাওবাদী প্রধান
Posted: April 24, 2015 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: bastar, CHATTISHGARH, cpi, cpi(maoist), cpim, delhi, GANAPATI, JHARKHAND, modi, Movement, naxal, naxalism, peoples march, plga Leave a commentপার্টির “বেশ কয়েকজন নেতাকে হারানোর” কথা স্বীকার করে সিপিআই (মাওবাদী) এর নেতৃত্বের সুরক্ষার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে এবং গ্রামীণ সমতল এলাকা শহর এলাকায় দুর্বল হয়ে পড়া আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাডারদের শক্তি যোগাতে প্রচারণা চালানোর বিষয়টির উপর গুরুত্ব আরোপ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মাওবাদী তথ্য বুলেটিনের জন্য দেয়া অভ্যন্তরীণভাবে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে সিপিআই (মাওবাদী) এর সাধারণ সম্পাদক মুপ্পালা লক্ষণ রাও ওরফে গণপতি পার্টির কাছে চ্যালেঞ্জগুলো উল্লেখ করে বলেন, “কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যায় পার্টি কমিটি পর্যন্ত আমরা বেশ কয়েকজন নেতাকে হারিয়েছি। সুতরাং, বর্তমানে যেসকল বাহিনী রয়েছে তাদেরকে শত্রুর হামলা থেকে সুরক্ষিত রাখা পার্টির সামনে অন্যতম মুখ্য কাজ হিসেবে আমরা চিহ্নিত করেছি”।
“নেতৃত্বকে” সুরক্ষা প্রদানের বিষয়টির উপর গুরুত্ব আরোপ করে গণপতি ‘নতুন নেতৃত্বকে প্রস্তুত করতে এবং সফল বিপ্লবের শর্ত হিসেবে নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় একটি শক্তিশালী দলের লক্ষ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার” আহ্বান জানিয়েছেন।
গণপতি দলের সক্রিয় কর্মীদের গণ আত্মসমর্পণের কথা স্বীকার করেন তবে এটি সরকারের ‘উন্নত আত্মসমর্পণ নীতিমালার’ ফলে ঘটেছে এমনটা তিনি অস্বীকার করেন।
“তিন চতুর্থাংশের বেশি গণ আত্মসমর্পণের ঘটনার পিছনে রয়েছে সক্রিয় সদস্যদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে তাদের উপর তীব্র অত্যাচার, ধর্ষণ, সম্পদ ধ্বংস, মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ, হত্যা ও জখমের হুমকি ইত্যাদি।”
তিনি বলেন পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি (PLGA) ও গণ সংগঠনের কিছু সদস্য ” শত্রুদের কাছে অবনত হচ্ছে। হ্যাঁ, সাম্প্রতিক সময়ে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্য, জেলা ও এরিয়া কমিটি থেকেও কয়েকজন আত্মসমর্পণ করেছে”।
“এই সবকিছুর সমাধান হল সকল পর্যায়ের ক্যাডারদের ভেতরে রাজনৈতিক সচেতনতা ও অঙ্গিকার গড়ে তোলা। বলশেভিকীকরণ ক্যাম্পেইনে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে।”
গণপতি বলেছেন বহুদিন ধরে যেসব এলাকায় মাওবাদী পার্টি সক্রিয় ছিল সেসব এলাকায় পার্টি দুর্বল হয়ে পড়েছে। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমাদেরকে আরো নতুন নতুন এলাকায় আন্দোলনের বিস্তার ঘটাতে হবে ও নতুন যুদ্ধক্ষেত্র শুরু করতে হবে”।
সকল স্তরে “সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ” করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন বলশেভিকীকরণ (বিপ্লবী অঙ্গিকার) ক্যাম্পেইনকে জোরদার করার প্রয়োজন ছিল। “শত্রুর হামলা বৃদ্ধি পাওয়া, পার্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কারণে আন্দোলন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে, এ কারণে ক্রমবর্ধমান প্রলেতারিয়েত বিমুখ ধারার পরিপ্রেক্ষিতে প্রলেতারিয়েত ধারার বৃদ্ধি ঘটাতে হবে”।
তিনি “মোদী সরকার ও সাং পরিবারের সাম্রাজ্যবাদ ও সামন্তবাদ পন্থী প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে ব্যাপক আকারে প্রোপাগান্ডা” চালানোর ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করেন কারণ এতে করে “নয়া উদারপন্থী ও হিন্দুত্ব নীতিমালার ফলে দলিত, মুসলমান ও শ্রমজীবী শ্রেণীর উপর অন্যায়ের ক্ষেত্র তৈরী হয়”।
তিনি বলেন, “নাগরিক অধিকার আন্দোলনকে গড়ে তোলা ও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে ভাল সম্ভাবনা রয়েছে”।
অপারেশন গ্রিন হান্টের তৃতীয় পর্যায়কে মোকাবেলার ক্ষেত্রে পার্টি কী ধরণের প্রস্তাবনা রেখেছে এ প্রশ্নের উত্তরে গণপতি বলেন, “মোদী সরকারের গণ বিরোধী এজেন্ডার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সকল স্তরের জনগণকে দৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। এর জন্য, আমাদের নীতিমালা ও কৌশল এমন হতে হবে যেন সকল গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ ও দেশপ্রেমিক শক্তি উজ্জীবিত হয়ে একত্রে জনগণের পক্ষে মোদির প্রতিক্রিয়াশীল নীতিমালার বিশেষ করে অপারেশন গ্রিন হান্টের তৃতীয় পর্যায়ের বিরোধিতা করে ও পাল্টা লড়াই চালায়। সংসদীয় বামধারার রাজনৈতিক দলগুলোকেও জনগণের ইস্যুকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে চাপ প্রয়োগ করা হবে। শত্রুর বহুমুখী অত্যাচারের বিরুদ্ধে সকল লড়াইয়ের ক্ষেত্র থেকে সকল শক্তিকে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।
সূত্র –