তুরস্কে ‘পিকেকে’ সমর্থক পুরস্কারজয়ী ঔপন্যাসিক গ্রেপ্তার

ঔপন্যাসিক অ্যাসলি এরদোয়ান

ঔপন্যাসিক অ্যাসলি এরদোয়ান


পিকেক ও মাওবাদীসহ ১০টি সংগঠনের “Peoples’ United Revolutionary Movement” প্রতিষ্ঠার ঘোষণা

94dc54329e25f79c8a3f66d37ea38c47_L

কুর্দিস্তান ও তুরস্কের ১০টি বিপ্লবী সংগঠন যৌথ ভাবে ‘Peoples’ United Revolutionary Movement প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে। একটি গেরিলা জোনের মধ্যে এক যৌথ সংবাদ সভায় ১০টি বিপ্লবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে তাদের জোটের ঘোষণা দেন। সভায় ফ্যাসিবাদী AKP সরকার ও তুর্কি প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে সকল এলাকায় ঐক্যবদ্ধ ভাবে তাদের বিপ্লবী পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করা হয়।

এসময় পিকেকে’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ‘দুরান কাল্কান’ লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন এবং কুর্দিস্তান ও তুরস্কের ঐক্যবদ্ধ ১০টি বিপ্লবী সংগঠনের নাম ঘোষণা করেন। সংগঠনগুলো হলোঃ TKP/ML, PKK, THKP-C/MLSPB, MKP, TKEP-LENINIST, TEKP, DKP, DEVRÎMCÎ KARARGAH এবং MLKP ।

kurda

কাল্কান বলেন,  AKP যে একটি নতুন ফ্যাসিবাদী একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে তার বিরুদ্ধে বিপ্লব সম্পন্ন করার জন্যে এই ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবী বাহিনী গঠন করা হয়েছে।

এ ছাড়া যে সকল বিপ্লবী সংগঠন ও সামাজিক পরিধির সংগঠন সমূহ, যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে অংশ নিতে চান, তাদের এই যৌথ সংগ্রামে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানান কাল্কান।

সভায় কাল্কান, যৌথ ঘোষণাটি তুর্কি ও কুর্দি ভাষায় পড়ে শোনান, এতে সমগ্র মানবতার জন্যে হুমকি মধ্যপ্রাচ্যের চলমান যুদ্ধ ও সঙ্কটের প্রতি সকলকে মনোযোগ দিতে বলেন। এতে আরও জোর দিয়ে বলা হয় যে, AKP সরকার- আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো দ্বারা গঠিত কুৎসিততম জোটের শরীক হিসেবে এই রক্তাক্ত যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে। যৌথ ঘোষণাপত্রে AKP সরকার আজ দেশের সব জাতি ও বিরোধী দলের বিরুদ্ধে যে সর্বাত্মক যুদ্ধ চালাচ্ছে তার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

kurdc

অনুবাদ সূত্রঃ

http://democracyandclasstruggle.blogspot.com/2016/03/kurdish-and-turkish-organisations.html


তুরস্কে কমিউনিস্টপন্থি পিকেকে গেরিলাদের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ৫ সদস্য খতম

LiveLeak-dot-com-101_1409890684-pkk_1409891624.jpg.resized

তুরস্কে কমিউনিস্টপন্থি সংগঠন ‘কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি’ পিকেকে’র আলাদা দুটি সশস্ত্র গেরিলা হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ৫ সদস্য খতম হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ২ জন।

সোমবার রাজধানী আঙ্কারার পূর্বাঞ্চলের দিয়ারবাকির এলাকায় পিকেকে গেরিলারা সশস্ত্র হামলা চালায় বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর ৩ সদস্য নিহত হয়।

এ ঘটনায় আহত ২ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একইদিন সুর জেলায় পিকেকে’র আরও একটি হামলায় ২ সামরিক সদস্য নিহত হয়।

এর আগে ৩১ জানুয়ারি সিজার জেলায় পিকেকে’র সঙ্গে সংঘর্ষে তিন জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, একজন সামরিক সদস্য ও দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়।


তুরস্কের থানায় কমিউনিস্ট ‘পিকেকে’ গেরিলাদের হামলা

তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি থানায় শক্তিশালী গাড়িবোমা হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত ও ৩৯ জন আহত হয়েছে। দিয়ারবাকির প্রদেশের চিনার শহরে অবস্থিত থানাটিতে চালানো হামলায় এর প্রবেশপথ ও পার্শ্ববর্তী দেয়াল ধসে পড়েছে। এতে নিহতদের মধ্যে একজন নারী ও একটি শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে।

গাড়িবোমাটি থানায় প্রবেশের পথে পেতে রাখা হয়েছিল বলে তুর্কি গণমাধ্যম জানিয়েছে। বোমা বিস্ফোরণে নিকটবর্তী আবাসিক ভবনগুলোর ক্ষতি হয়েছে। এসব ভবনে পুলিশ কর্মকর্তাদের পরিবারগুলো বসবাস করে। বিস্ফোরণের পরপরই গেরিলারা থানার দিকে লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ করেছে বলে কোনো কোনো সূত্র জানিয়েছে।

কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার না করলেও সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, কুর্দি অধ্যুষিত প্রদেশটিতে পিকেকে গেরিলারা ব্যাপক সক্রিয় থাকায় ওই গোষ্ঠীই এ হামলা চালিয়ে থাকতে পারে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দিয়ারবাকির প্রদেশে তুরস্কের সেনাবাহিনীর সঙ্গে পিকেকে গেরিলাদের কয়েকবার সংঘর্ষ হয়েছে। এমনকি সরকার দিয়ারবাকির শহরসহ আরো কয়েকটি এলাকায় কারফিউ জারি করেছে।

১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের কুর্দি অধ্যুষিত এলাকাগুলোর জন্য স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে সশন্ত্র আন্দোলন করে আসছে পিকেকে গেরিলারা।

Police forensic experts examine a destroyed police station in Cinar in the southeastern city of Diyarbakir, Turkey, January 14, 2016. REUTERS/Sertac Kayar

Turkish police stand guard near a police station, which was targeted by a truck bomb attack, in Cinar in the southeastern city of Diyarbakir, Turkey, January 14, 2016. REUTERS/Sertac Kayar

A man stands next to a building, damaged after a truck bomb attack on a nearby police station, in Cinar in the southeastern city of Diyarbakir, Turkey, January 14, 2016. REUTERS/Sertac Kayar

সূত্রঃ http://www.reuters.com/article/us-turkey-kurds-blast-idUSKCN0US0FC20160114


২০১৫ সালে তুর্কি সরকারী বাহিনী ৩,১০০জন কমিউনিস্ট ‘পিকেকে’ গেরিলাকে হত্যা করেছে

edrogan-nazi

২০১৫ সালে তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনী ৩ হাজার ১০০ জন কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির(পিকেকে) সদস্যকে হত্যা করেছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) এক টেলিভিশন বক্তৃতায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপে এরদোগান এ তথ্য জানিয়েছেন। কমিউনিস্ট পিকেকে গেরিলাদের দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও এ সময় তিনি জানান।

তিনি বলেন, ২০১৫ সালে দেশে ও বিদেশে ৩ হাজার ১০০ বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী। তুরস্কের পর্বত ও শহরগুলোর প্রতিটা ইঞ্চি সন্ত্রাস মুক্ত করতে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আর পিকেকে গেরিলাদের পাল্টা গেরিলা অভিযানে ২০১৫ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর দুই শতাধিক সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানান এরদোগান। তবে এসব অভিযানে কত সংখ্যক বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন, সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলেননি।

tureky-kuds
তুরস্কে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে কমিউনিস্ট ‘পিকেকে’র কয়েক দফা সংঘর্ষ

তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে কুর্দি অধ্যুষিত এলাকায় সরকারি বাহিনীর সঙ্গে কমিউনিস্ট কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি(‘পিকেকে’)র আরও কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার সিজরে সরকারের জারি করা কারফিউ এর মধ্যেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

একই দিন সিরনাক প্রদেশেও সরকারি বাহিনীর অভিযানের সময় পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। গত জুলাইয়ে আঙ্কারা ও পিকেকের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেড়ে যায়।

গত তিন দশকের সংঘর্ষে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে চল্লিশ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানায় গণমাধ্যম। সরকারের কারফিউ ও সংঘর্ষের কারণে এসব এলাকায় স্কুল কলেজ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ ব্যাপক অসুবিধার মধ্যে পড়েছে বলে জানায় গণমাধ্যম।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, টানা সংঘাত-সহিংসতায় হুমকির মুখে পড়েছে জনজীবন। অনেকেই এলাকা থেকে পালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানায় তারা।


তুরস্কঃ গতকাল তুর্কি সেনা স্থাপনায় কমিউনিস্ট পিকেকে গেরিলাদের হামলার একটি ভিডিও

গতকাল কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি(পিকেকে) তুরস্কের ইগদির প্রদেশে তুর্কি সেনা স্থাপনায় পিকেকে’র হামলার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে


তুর্কি সেনা অভিযানে ১০২ জন কমিউনিস্ট গেরিলা নিহত

B3W9Ie-CQAAIyPm

তুরস্কের গোলযোগপূর্ণ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে কমিউনিস্ট কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকে গেরিলাদের বিরুদ্ধে চলছে তুর্কি সেনা অভিযান। গত পাঁচ দিনে/র টানা অভিযানে এ পর্যন্ত সন্দেহভাজন অন্তত ১০২ গেরিলা নিহত হয়েছে। তুরস্কের একটি নিরাপত্তা সূত্র এ কথা নিশ্চিত করেছে।

অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে তুরস্কের দু জন সেনা ও পাঁচজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। তবে গেরিলা নিহতের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বেড়েছে। গতকাল এ সংখ্যা ছিল ৭০ কিন্তু আজ একদিনেই নিহতের সংখ্যা ৩২ জন বাড়লো।

কমিউনিস্ট পিকেকে গেরিলা

কমিউনিস্ট পিকেকে গেরিলা

গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে তুর্কি সেনাবাহিনী সিরনাক প্রদেশের সিজ্‌রে ও সিলোপি শহরে পিকেকে গেরিলাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। পাশের দিয়ারবাকির শহরেও চলছে এ অভিযান। এসব শহর থেকে কমিউনিস্ট পিকেকে সমর্থকদেরকে উচ্ছেদ করার জন্য এ অভিযান শুরু হয়েছে। ট্যাংকসহ অন্তত ১০,০০০ সেনা এ অভিযানে অংশ নিচ্ছে। এদিকে, আজ (রোববার) ইরাকের উত্তর সীমান্তবর্তী কুর্দি গেরিলা অবস্থানে তুরস্ক বিমান হামলা চালিয়েছে।


তুরস্কের সেনাবাহিনীর অভিযানে কমিউনিস্ট ‘পিকেকে’র ২৩ জন গেরিলা শহীদ

B3W9Ie-CQAAIyPm

তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সেনাবাহিনীর অভিযানে গত দুই দিনে প্রায় ২৪জন কমিউনিস্ট কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টি বা পিকেকে গেরিলা শহীদ হয়েছে বলে স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে।

তুরস্কের ‘আনাদোলু’ বার্তা সংস্থা আজ (বৃহস্পতিবার) জানিয়েছে, তুরস্কের সেনাবাহিনী ইরাক ও সিরিয়া সীমান্তের কাছে অবস্থিত সিরনাক প্রদেশের সিলোপি এবং সিজর শহরে অভিযান চালালে ২৩ জন পিকেকে গেরিলা নিহত হয়।

তুরস্কের সেনাবাহিনী সম্প্রতি দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে বড় ধরণের সামরিক অভিযান চালিয়েছে। সেনাবাহিনী ইরাকের উত্তরাঞ্চলে পিকেকে’র অবস্থানেও অভিযান চালিয়েছে। ইরাক ও সিরিয়া থেকে সন্ত্রাসীদেরকে তুরস্কের ভেতর প্রবেশ ঠেকাতে সিলোপি এবং সিজর শহরে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাউদওগ্লু চলতি সপ্তাহের শুরুতে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, এসব এলাকা পিকেকে সন্ত্রাসী মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এদিকে, কুর্দিস্তান ডেমোক্রটিক পার্টি বা এইচডিপির নেতা ফিজেন ইয়োকসেকদাক প্রধানমন্ত্রী দাউদওগ্লু বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সরকার সিলোপি এবং সিজরে সেনাবাহিনীকে গণহত্যা চালানোর নির্দেশ দিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।


তুরস্কঃ তুরস্কের সেনাবাহিনীর হামলায় শহীদ হলেন ১৫ জন কমিউনিস্ট কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) গেরিলা

pkk

বুধবার তুরস্কের সেনাবাহিনী ও কমিউনিস্ট PKK গেরিলাদের মধ্য সংঘর্ষে ২ তুর্কি সেনা  খতম হয়েছে। এতে ১৫ জন কমিউনিস্ট গেরিলা শহীদ হয়েছেন। তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তের হাক্কারি প্রদেশের দাগলিকা জেলায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

 PKK গেরিলাদের অবস্থানে বোমা হামলা চালানোর পর সেনাবাহিনী গেরিলা-বিরোধী অভিযান শুরু করে। এ সময় দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

তুরস্কে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাত্র দু দিন পর এই অভিযান ও হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়া গেল। এর আগে, মঙ্গলবার ইরাক সীমান্তের কাছাকাছি কমিউনিস্ট গেরিলাদের অবস্থানে বিমান হামলা চালায় তুর্কি সামরিক বাহিনী। তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান নির্বাচনের পর ঘোষণা করেছে যে, একজন গেরিলা থাকতেও হামলা বন্ধ হবে না।

pkk flag

সূত্রঃ http://www.albawaba.com/news/two-days-clashes-between-turkish-army-pkk-leave-17-dead-763926?


তুরস্কে পিকেকে গেরিলা এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ: নিহত ২৪

ee7eb5c113a6a378e8331d83b71f95b1_XL

তুরস্কের গোলযোগপূর্ণ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় সর্বশেষ সংঘর্ষে চার তুর্কি সেনাসহ কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টি বা পিকেকে’র ২০ গেরিলা নিহত হয়েছে। ইরাকের সীমান্তবর্তী তুরস্কের পাহাড়ি দাগলিকা এলাকায় গত কয়েক দিনের সংঘর্ষ এসব ব্যক্তি নিহত হয়।

দাগলিকা এলাকায় পিকেকে এবং তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। সংঘর্ষে কয়েকটি তুর্কি হেলিকপ্টারও যোগ দেয় ।

তুর্কি সেনাবাহিনী সম্প্রতি দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে কুর্দিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করেছে। সেনাবাহিনী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তৎপর আইএস সন্ত্রাসীদের অবস্থানের পাশাপাশি ইরাকের উত্তরাঞ্চলে এবং তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে পিকেকে গেরিলাদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় সুরুক শহরে গত ২০ জুলাই ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে ৩০ জনেরও বেশি বামপন্থী নিহত হওয়ার পর সেনাবাহিনী আইএস সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কথিত অভিযান শুরু করেছে। হামলার জন্য তুরস্কের সরকার আইএস সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা দায়েশকে দায়ী করেছে।