ব্যালট যুদ্ধের উপর লাল ছায়া
Posted: September 14, 2015 Filed under: অনুবাদ, লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: গণযুদ্ধের সংবাদ, নির্বাচন, বিহার, মাওবাদী, মাওবাদী ফিচার, সিপিআই (মাওবাদী), bihar, cpi(maoist) Leave a commentএকজন সিনিয়র মাওবাদী নেতা বলেছেন, তার দল বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন বয়কট করবে। এর ফলে কমিউনিস্ট প্রভাবিত এলাকায় সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে।
পাটনা থেকে ২০০ কিমি দূরে কাইমুর মালভূমির এক গোপন স্থান থেকে সিপিআই(মাওবাদী) সোন-গঙ্গা-বিদ্যাচল বিভাগের এরিয়া কম্যান্ডার অজয় রাজভর(৪০), TOIকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন-
“অতীতের মতই এবারো আমরা নির্বাচন বয়কট করবো। জনগণ নির্বাচনে ভোট দেয়, কিন্তু বিনিময়ে কিছুই পায় না। সুবিধাবঞ্চিত, অবহেলিত ভাবে তারা জীবনযাপন করে।অবস্থাটা এমনি যে, পশুদের স্নান যে জলাশয়ে হয়, গ্রামবাসীরা একই জলাশয়ে থেকে পানি পান করতে বাধ্য হয়।”
রাজভর বলেন, “আমরা উন্নয়নের বিপক্ষে নই, কিন্তু এখানে জনগনের কিছুই নেই। তারা পর্যাপ্ত খাদ্য, স্কুল, হাসপাতাল, বিদ্যুৎ, সড়ক ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় অধিকার ছাড়াই বেঁচে আছে।” তিনি আরো বলেন, রাজনীতিবিদরা শুধু মাত্র ভোট ভিক্ষা চাইতেই কেবল জনগণের কাছে যায়। এই বছর, কাইমুর অঞ্চলের ৩০০টি গ্রামের জনগণ রাজনীতিবিদদের এই গ্রামগুলোতে প্রবেশের অনুমতি দেবে না। তিনি পরিস্কার ভাবে বলেন যে, গ্রামবাসীরা তাদের নিজেদের প্রয়োজনেই রাজনীতিবিদের থামাবে, “আমাদের কারণে নয়।”
রিপোর্ট অনুযায়ী, কমিউনিস্টরা নির্বাচনের সময়কালীন এলাকায় তাদের প্রভাব বা আধিপত্য বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে। রাজভর বলেন, “সরকার অবশ্যই বুঝতে চেষ্টা করবে যে, কেন আমরা অস্ত্র হাতে নিয়েছি? এটাও জানা উচিত, কেন আমাদের বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধ করতে হচ্ছে ? আমাদের ২৫কিমি. হেঁটে গিয়ে ভোট দেয়ার কোন কারণ আছে কি ? গ্রামবাসীরা কেন এত কষ্ট করবে ? আমরা নিশ্চিত করব যে, এই বছর কেউই তাদেরকে পোলিং বুথে নেয়ার চেষ্টা করবে না।”
ঝাড়খণ্ডের পালামুর বাসিন্দা রাজভর জানান, কি ভাবে সে মাওবাদী হয়ে উঠে। “যখন মাওবাদীরা ২০০৫ সালে আমার শ্যালককে খতম করে, তখন তার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণের উদ্দেশ্য আমি তাদের সাথে যোগ দিই। কিন্তু আমি তাদের মতাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়ি।”
২০১৪ সালে ২ মাসের জন্যে কেন তিনি অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন, তার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “আমি ভেবেছিলাম সরকারের আত্মসমর্পণ নীতি ভাল, কিন্তু আমি সরকারের কাছ থেকে কোন সাহায্যই পাইনি। যার ফলে জামিন পাওয়ার পরপরই আমি আমার কমরেডদের কাছে ফিরে গিয়েছিলাম।”
সাম্প্রতিক মাস গুলোতে বিহারের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাইমুর, রোহতাস এবং গয়ার মত অনেক এলাকাতে মাওবাদীদের প্রভাব ও অ্যাকশন বেড়ে গেছে। কাইমুর মালভূমির ২টি ব্লক মাওবাদীদের মুক্তাঞ্চল হিসেবে পরিচিত। কাইমুর ও রোহতাস মিলিয়ে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৬০,০০০ এর উপরে।
অনুবাদ সূত্রঃ http://timesofindia.indiatimes.com/city/patna/Red-shadow-on-battle-of-ballots/articleshow/48939434.cms
ভারতঃ বনধ ডেকে বিহারে অ্যাকশন মাওবাদীদের
Posted: June 23, 2015 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: মাওবাদী, bandh, bihar, cpi(maoist) Leave a commentপাটনা: বিহারজুড়ে মঙ্গলবার বনধ ডাকল মাওবাদীরা৷ পুলিশের গুলিতে মাওবাদী মৃত্যুর প্রতিবাদে এদিন বনধ ডাকে তারা৷ পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অ্যাকশন চালিয়ে আটটি ট্রাক্টর ও একটি মোবাইল টাওয়ারে আগুন ধরিয়ে দেয় মাওবাদীরা৷
পাটনা পুলিশের এক অফিসার জানান, ‘বৈশালীর আগ্রাইল গ্রামে আটটি ট্রাক্টরে আগুন ধরিয়ে দেয় সশস্ত্র মাওবাদীর দল৷ অন্যদিকে, রাজধানী পাটনার পলিগঞ্জের কাছে গাউসগঞ্জে একটি মোবাইল টাওয়ারে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা৷’ চলতি মাসের গোড়ায় ঝাড়খণ্ডে সেনা অভিযানে ১২ জন মাওবাদীর মৃত্যুর প্রতিবাদে এদিন বিহারে বনধ ডাকে মাওবাদীরা৷
এদিনের ঘটনার পর জেলা পুলিশকে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে চিরুনি তল্লাশি চালানোর জন্য পাটনা হেডকোয়ার্টার থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
সুত্রঃ http://www.bengali.kolkata24x7.com/maoists-call-for-shutdown-torch-tractors-in-bihar.html
ভারতঃ মাওবাদী সংবাদ(ভিডিও)
Posted: May 25, 2015 Filed under: অডিও-ভিডিও সংবাদ, লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: ভিডিও, সময় সংবাদ, bihar, JHARKHAND, SOMOY NEWS, VEDIO Leave a commentভারতের বিহার ও ঝাড়খন্ড রাজ্যে বনধকে কেন্দ্র করে ৩২টি যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দিল মাওবাদীরা। তাদের দু’দিনের ডাকা বনধের প্রথম দিনেই আজ (সোমবার) গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোডে ট্যাঙ্কার ও কন্টেইনারসহ ৩২টি যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
এক নারী নেত্রীকে হত্যা করার ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্য মাওবাদীরা এই বনধের ডাক দেয়। রোববার গভীর রাতের এই হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বিহার পুলিশের পাটনা জোনাল মহাপরিদর্শক (আইজি) কুন্দন কৃষ্ণাণ জানান, ‘বিষ্ণুপুর এবং তারাডিহ গ্রামের কাছে জিটি রোডের উপর ৫০ জনের বেশি মাওবাদী হামলা চালিয়ে ৩২টি যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসব যানবাহনের মধ্যে চারটি ট্যাঙ্কারে গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। এছাড়া একটি ট্যাঙ্কারে ডিজেল ছিল। অন্য একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়ার আগে আরোহীদের নিরাপদে চলে যেতে দেয় তারা।’
রাজ্যের সারণ জেলায় পানাপুরেও সশস্ত্র মাওবাদীরা একটি মোবাইল টাওয়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়।
মাওবাদীরা গত ১৬ মে সিআরপিএফের সঙ্গে সংঘর্ষে চাতরা-গিরিডিহ সীমান্ত জোনের কমান্ডার ও বিহার-ঝাড়খন্ড-ছত্তিশগড় বিশেষ এরিয়া কমিটির মেম্বার সারিতা ওরফে ঊর্মিলা গঞ্জু নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এই বনধের ডাক দেয়।
পুলিশের মহাপরিদর্শক বলছেন, ঘটনাস্থলে গয়ার সিনিয়র পুলিশ সুপার এবং উপ মহাপরিদর্শক পৌঁছেছেন এবং আগুনে জ্বলতে থাকা যানবাহন সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
অন্যদিকে, ঝাড়খন্ড সরকার মাওবাদীদের ডাকা বনধকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
ভারতের মধ্যপ্রদেশে এক মাওবাদী নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
দিলীপ মারকাম নামে এই নেতার বিরুদ্ধে হত্যা, লুট, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ সংগঠিত করার কারণে একশো ত্রিশটি মামলা আছে।
তাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য বিশ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার।
সূত্রঃ
http://www.satdin.in/index.php/13-2014-04-07-17-10-23/2318-2015-05-25-03-17-56
ভারতঃ ১৫ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষিত- শীর্ষ নারী মাওবাদী নিহত: সিআরপিএফ-আইজি
Posted: May 21, 2015 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: শীর্ষ নারী মাওবাদী, bihar, JHARKHAND Leave a commentগত ১৬ই মে মঙ্গলবার রাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে কথিত এনকাউন্টারে সারিতা ওরফে উর্মিলা গাঞ্জু নামে একজন শীর্ষ নারী মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে একজন সিনিয়র সিআরপিএফ অফিসার জানান।
শীর্ষ পদের এই মাওবাদী অপারেশনের নেত্রী সুনিল গাঞ্জুর স্ত্রী ছিলেন ও ঝাড়খণ্ডে ছাত্র জেলার সিমারা থানার পুতকি গ্রামের অধিবাসী ছিলেন।
সিআরপিএফ আইজি (বিহার-ঝাড়খণ্ড) অরুণ কুমার পিটিআইকে বলেছেন, উর্মিলা নিষিদ্ধ মাওবাদী পার্টির বিহার-ঝাড়খণ্ড বিশেষ এলাকা কমিটির সদস্য ছিলেন এবং বিভিন্ন মামলার ফেরারি ছিলেন এবং তার নামে ১৫ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষিত ছিল বলে তিনি জানান।
এনকাউন্টার পরবর্তী তার কাছ থেকে ২০০৯ সালে ঝাড়খন্ডের বেরমোতে এসবিআই ব্যাঙ্ক শাখার গার্ড থেকে লুট হওয়া INSAS রাইফেল উদ্ধার করা হয়।
সিআরপিএফ আইজি বলেন- এছাড়াও ব্যাঙ্কটি আক্রমন শেষে মাওবাদীরা পুলিশের একটি গাড়ি বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়।