পুরনো রাষ্ট্রের ধ্বংসের পরই কেবল আমাকে ধর্ষণ ও আমার পিতৃহত্যার প্রতিশোধ বাস্তবায়িত হবে

nepal_girl_soldier-big-gun

 

পুরনো রাষ্ট্রের ধ্বংসের পরই কেবল আমাকে ধর্ষণ ও আমার পিতৃহত্যার প্রতিশোধ বাস্তবায়িত হবে

– সংগ্রামী

প্রশ্নঃ আপনার প্রকৃত নাম, বয়স এবং ঠিকানা উল্লেখ করায় আপনার কোন সমস্যা নেইতো?
উত্তরঃ আমার নাম হিমালী গোলে (সংগ্রামী), বয়স ২৩ বছর এবং আমার বাড়ি দোলাখা জেলার ১নং ওয়ার্ডের গৌরীমুদি গ্রাম গণকমিটিতে (VPC)।

প্রশ্নঃ আপনি এখন গণমুক্তি বাহিনীর কোন্ পর্যায়ে কাজ করছেন?
উত্তরঃ আমি এখন নেপাল গণমুক্তি বাহিনীর চতুর্থ ব্যাটালিয়নের অধীন বি-কোম্পানীর সহকারী কমান্ডার হিসেবে কাজ করছি।

প্রশ্নঃ আপনি কীভাবে গণযুদ্ধে যুক্ত হলেন সে সম্পর্কে অনুগ্রহ ক’রে কিছু উল্লেখ করবেন কি?
উত্তরঃ গৌরীমুদিতে পুতালিকাথ স্কুলে যখন পড়ছিলাম তখন UML [ইউ.এম.এল. হলো নেপালের সর্ববৃহৎ সংশোধনবাদী পার্টি।  যা গণযুদ্ধকে বিরোধিতা করছে।  – অনু.]-এর ঘনিষ্ঠ অখিল AKHIL [সর্ব নেপাল জাতীয় স্বাধীন ছাত্র ইউনিয়নকে সংক্ষেপে অখিল বলা হয়।  – অনু.]-এর অধীনে কয়েক বছর কাজ করেছিলাম যা কিনা ১৯৯১ সালে গঠিত হয়েছিল।  ’৯৭-এ এস.এল.সি. পরীক্ষায় অবতীর্ণ হবার পর আমি বুঝতে পারলাম যে, ইউ.এম.এল-এর লাইন ভুল।  সে সময়ে আমি উপলব্ধি করতাম যে, গণযুদ্ধে আমার অংশ নেয়া উচিত। ২০০০ সালে খিমতি ব্যাংক দখলের পর মাওবাদী পার্টির কমরেডগণ আমার নিকট আসেন।  আলোচনার পর আমি এতে যোগ দিতে মনস্থির করি। ২০০০ সালের ১০ ও ১১ মে মাইনা পোখারি পুলিশ ফাঁড়ি থেকে আমাদের গ্রামে পুলিশ আসে। তারা আমার বাবা, মা, বড় বোন এবং চাচা সকলকে পিটিয়ে সংজ্ঞাহীন ক’রে ফেলেছিল। আমাকেও পিটিয়ে আমার চাচার বাড়িতে তারা আমাকে ধর্ষণ করতে চেষ্টা করেছিল। প্রথমে আমি তীব্র আর্তনাদ করেছিলাম, বাধা দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা আমার মুখম-লে ও মাথার খুলিতে পিটিয়ে আমাকে সংজ্ঞাহীন করে। আমার জ্ঞান ফেরার পর আমি দেখলাম যে, ইতোমধ্যেই আমি ধর্ষিতা হয়েছি। আমি আর্তচিৎকার করি; (কিন্তু) তারা আমাকে ঘরের বাইরে আসতে দেয়নি।  রাতে আমি একটি জঙ্গলে পালিয়ে যাই এবং একটি গুহায় আশ্রয় নেই।  তারা সেখানে দু’দিন থাকে, পাঁঠা মেরে খায়, সম্পদ লুট করে এবং রাতে ফিরে যায়। এরপর আমি আমার বাড়িতে ফিরে আসি।
পরের দিন পুলিশ আমাকে ও আমার বাবাকে গ্রেফতার করে এবং আমাদেরকে জেলা পুলিশ সদরদপ্তরে নিয়ে যায়। যে ডি.এস.পি. আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল তাকে আমার উপর পুলিশের সমস্ত অপকর্মের কথা বলি, এবং তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানাই। এরপর আমি সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের মাধ্যমে সমস্ত ঘটনা জনসাধারণ্যে জানাই।  প্রচন্ড চাপের মুখে তারা রাকেশ নামের সহকারী দারোগা (এ.এস.আই.)-কে হাজতে পাঠায়।  আমি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছিলাম, তারা উক্ত এ.এস.আই.-কে ৭ বছরের জেল দেয়।
আমি নভেম্বর, ২০০০-এ কমরেড রিত বাহাদুর খাদকার সাথে কথা বলি।  সেই থেকে, আমি একজন সার্বক্ষণিক কর্মী হিসেবে নিরবচ্ছিন্নভাবে গণযুদ্ধে জড়িত আছি।

প্রশ্নঃ ২০০০ সালে যখন পুরনো রাষ্ট্র ভয়ংকর হত্যাকান্ড চালাচ্ছিল, সেই জটিল পরিস্থিতিতে আপনি কী ক’রে ঐরূপ দুঃসাধ্য পথ অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন?
উত্তরঃ যখন আমরা ছোট ছিলাম, তখন আমাদের উপর কমিউনিজমের প্রভাব ছিল। আমরা অবিচার, নৃশংসতা ও নিপীড়নের শিকার ছিলাম, এবং আমাদের একটি অনুভূতি ছিল যে আমাদের উচিত এ সবের বিরোধিতা করা। আমার উপর যা ঘটেছিল, দেবী খাদকাসহ অন্য নারীদের ক্ষেত্রেও তা ঘটে।  আমি অনুভব করি যে, এধরনের ঘটনার যথোপযুক্ত প্রতিশোধ নিতে এবং তার অবসান ঘটাতে নিপীড়িত সর্বহারা শ্রেণির ক্ষমতা দরকার এবং ঐ ক্ষমতা প্রতিষ্ঠায় আমাদেরকে অবশ্যই উঠে দাঁড়াতে হবে।  ধর্ষণের ঘটনাও আন্দোলনে যোগ দিতে আমাকে আন্দোলিত করেছিল।

প্রশ্নঃ গণযুদ্ধে যোগদানের পর আপনি কীভাবে এ পর্যন্ত এসেছেন, দয়া ক’রে উল্লেখ করবেন কি?
উত্তরঃ সার্বক্ষণিক কর্মী হবার পর পি.এল.এ.-তে যোগ দিতে আমি আমার ইচ্ছা ব্যক্ত করি।  তারপর, একটি স্কোয়াডে এবং জেলা নারী কমিটির একজন সদস্য হিসেবে কাজ করি। কিছুদিন পর, আমি একটি এলাকা পার্টি-কমিটিতে এবং একটি স্কোয়াডে কাজ করি।  যখন পার্টি কোম্পানী গঠন করলো তখন আমি তাতে যোগ দিতে চাই। এবং এখন পর্যন্ত আমি এর অধীনে কাজ ক’রে যাচ্ছি।

প্রশ্নঃ পি.এল.এ.-তে আসার পর কোথায় কোথায় যুদ্ধে আপনি অংশ নিয়েছেন?
উত্তরঃ কিরাতেছাপ, থোকারপা, জারায়োতার, মাইনাপোখারী, খানিভানজিয়াং, ধোবি, ভাকুন্দেবেশি, চৈনপুর, ভিমান, লাহাল, ভোজপুর প্রভৃতিসহ বিভিন্ন ফ্রন্টে আমি যুদ্ধ করার সুযোগ পেয়েছি।

প্রশ্নঃ যুদ্ধে প্রথম অংশগ্রহণের সময় আপনি কেমন অনুভব করেছিলেন?
উত্তরঃ যুদ্ধের ফ্রন্টে প্রথম পৌঁছার পূর্বে আমি অনুভব করতাম এটা কেমন হবে; কিন্তু এটা শুরুর সাথে সাথে সাহস উজ্জীবিত হয়েছিল। যখন আমরা,
নিপীড়িতরা, যুদ্ধ করার সুযোগ পেয়েছিলাম; আর সেজন্য আমি গর্বিত ছিলাম।

প্রশ্নঃ এটা বলা হচ্ছে যে নারীরা পুরুষের সমান যুদ্ধ করতে পারে না?
উত্তরঃ আমি মনে করি না যে, যুদ্ধে আমরা পুরুষের চেয়ে দুর্বল। বরং আমরা, শত-শত বছর ধরে নিপীড়িতরা মনে করি যে, যদি আমরা যুদ্ধ করার সুযোগ পাই তাহলে আমরা সবকিছু করতে পারি। মতাদর্শ আমাদেরকে শক্তি যুগিয়েছে, এবং এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, কেউ যদি সঠিক মতাদর্শ আঁকড়ে ধরে তাহলে সে সবকিছু করতে পারে। শারীরিক সমস্যার সময়ে পার্টি আমাদেরকে ব্যায়াম না করার নির্দেশ দেয়; কিন্তু নারী কমরেডগণ ঐ সময়কালেও তা করেন। আমরা কোন সমস্যা অনুভব করি না। এমনকি, এখন আমি মনে করি না যে আমরা কোনরকম দুর্বল।

প্রশ্নঃ পি.এল.এ.-তে কী পরিমাণ নারী আছে? নারী এবং পুরুষের মধ্যে কোনো পক্ষপাতিত্ব সেখানে আছে কি ?
উত্তরঃ পি.এল.এ.-তে নারী ও পুরুষের সংখ্যা প্রায় সমান। পার্টি একটি সুস্পষ্ট নীতি নিয়েছে; সুতরাং কোন প্রকার পক্ষপাতিত্বের প্রশ্নই ওঠে না।

প্রশ্নঃ যদিও নারীদের সংখ্যা পুরুষের সমান্তরাল। কিন্তু বাহিনীর নেতৃত্বে পুরুষদের প্রাধান্যই দেখা যায়।
উত্তরঃ পি.এল.এ.-তে এখন নারীরা কমান্ডার এবং ব্যাটালিয়ন কমিশারের দায়িত্ব পালন করছেন, তাই বাহিনীর নেতৃত্বে কোন নারী নেই প্রশ্নটা তা নয়।  অন্যদিকে, ’৯৬ সালে গণযুদ্ধ সূচনার পর প্রায় ’০১ সাল পর্যন্ত পি.এল.এ.-তে নারীর সংখ্যা খুবই কম ছিল।  যেহেতু পুরুষ কমরেডগণ দীর্ঘকাল যাবত কাজ করছেন, তাই এটা নিশ্চিত যে, তাদের পক্ষেই বেশি বিনিয়োগ, যোগ্যতা অর্জন- ইত্যাদি ঘটেছে।  কিন্তু নারীরা অতি অল্প সময়ের ব্যবধানে নিজেদেরকে বিকশিত ক’রে এখন এগিয়ে আসছেন।  আমরা নারীরা, যাদেরকে প্রতিক্রিয়াশীল-ক্ষমতা ভীরু, পলাতক বলে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে দাবিয়ে রাখতো, তারা এখন তাদের (শত্রুর) বিরুদ্ধে যুদ্ধকে এক জীবন-যুদ্ধে পরিণত ক’রে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন; এবং যুদ্ধফ্রন্টের প্রত্যেকটি দুঃখ-কষ্ট ও লড়াইকে সাধারণীকরণ করছেন।  আমরা এজন্য গর্বিত।

প্রশ্ন: পি.এল.এ.-এর প্রাত্যহিক রুটিন কীভাবে চলে ?
উত্তর: আমাদের বাহিনীতে খুব ভোরে শারীরিক ব্যায়াম করতে হয়। আমরা নিয়মিতভাবে ড্রিল করি। আমরা সামরিক গাইড, সামরিক রচনাবলী, সংবাদপত্র এবং রাজনৈতিক পুস্তকাদি অধ্যয়ন করি। যারা লেখাপড়া জানেন না, তাদেরকে তা শিক্ষা দেয়া হয়। বহু কমরেড এখানে আসার পর লেখাপড়া শিখেছেন। রান্না, খাওয়া, পাহারা প্রভৃতিসহ সমস্ত করণীয় কাজ, রুটিন মত চলে। আমরা যুদ্ধ সংক্রান্ত কাজ, উন্নয়নমূলক কাজ, জনগণের সেবামূলক কাজ, গণজমায়েত এবং অন্যান্য বিভিন্ন অভিযানেও অংশ নেই।

প্রশ্নঃ যখন আপনারা গ্রামাঞ্চল পরিদর্শন করেন, তখন অন্যান্য নারীরা কীরূপ প্রতিক্রিয়া দেখায় ?
উত্তরঃ যখন আমরা পি.এল.এ.’র পোষাকে গ্রামাঞ্চল পরিদর্শন করি, তখন মায়েরা এবং বোনেরা আমাদেরকে খুব ভালবাসে। শুরুতে যখন তারা আমাদেরকে যোদ্ধার পোষাকে দেখত, তখন পি.এল.এ.-তে নারীদের দেখে তারা আশ্চর্য বোধ করতো, তারা আমাদের দেখতে আসতো এবং বিভিন্ন কৌতূহল প্রকাশ করতো। কিন্তু এখন, কিছু কিছু উঠতি বয়সী বালক ও বালিকারা বলে যে, তারা আমাদের সাথে চলে আসবে; আর কিছু কিছু বৃদ্ধা মায়েরা বলেন, আমরা যদি জোয়ান থাকতাম তাহলে আমরাও তোমাদের মত যুদ্ধ করতে পারতাম।  কিছু ক্ষেত্রে, তারা তাদের উপর নিপীড়ন, অত্যাচার ও শোষণের গল্প শোনায় এবং দাবি করে যে, তাদেরকে যুদ্ধ করার সুযোগ দিতে হবে।

প্রশ্নঃ কিছু লোক বলে যে, পি.এল.এ-তে নারীদের উপর যৌন নিপীড়ন আছে?
উত্তরঃ এটা শুধু এক কাল্পনিক কাহিনী যে, সেখানে যৌন নিপীড়ন আছে।  যারা পি.এল.এ.-কে অপবাদ দিতে চায়, এগুলো তাদের দ্বারা আনীত মিথ্যা অভিযোগ।  পি.এল.এ. মার্কসবাদী নিয়মানুসারে কাজ ক’রে। এখানে প্রেম এবং বিয়েও সংঘটিত হয় এই নিয়মানুসারে। যদি কেউ ত্রুটি করে তাহলে তাদেরকে দারুণভাবে শাস্তি দেয়া হয়।

প্রশ্নঃ আমরা শুনেছি যে, পুরনো রাষ্ট্র আপনার বাবাকে হত্যা করেছে, তিনি কীভাবে নিহত হয়েছেন ?
উত্তরঃ ৭ সেপ্টেম্বর ২০০৩, আমাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন আমার বাবা রাম বাহাদুর লামা গোলে (৫২) এবং নামডু ভিপিসি-তে তারা তাকে হত্যা করে।  ১৯৯৫ সালের পর তিনি ৪ বছর জেলে ছিলেন।  তিনি ভিপিসি’র প্রধান ছিলেন এবং গণযুদ্ধে অংশ নিচ্ছিলেন।

প্রশ্নঃ যখন আপনি আপনার বাবার হত্যার সংবাদ পেলেন, তখন আপনি কেমন অনুভব করেছিলেন ?
উত্তরঃ কেউ যখন তার নিজের বাবার মৃত্যু সংবাদ শোনে, তখন তার কোন দুঃখ হবে না- এমন প্রশ্ন ওঠে না।  এটা একটা যুদ্ধ; বিপ্লবে শুধু নিজের রক্তই নয়, বহু লোকের রক্ত ঝরেছে।  আজকে বিরাট অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে নেতৃত্ব, ক্যাডার ও জনগণের বড় বড় আত্মত্যাগের থেকে।  এটা যুদ্ধের একটা নিয়ম।  অবশ্যই আমার বাবার মহান মৃত্যুর জন্য আমি গর্বিত হব, এবং অবশ্যই আরো দৃঢ়ভাবে যুদ্ধে লেগে থাকব।  পুরনো রাষ্ট্রের ধ্বংসের মাধ্যমেই কেবল আমাকে ধর্ষণ ও আমার পিতৃহত্যার প্রতিশোধ বাস্তবে পরিণত হবে।

প্রশ্নঃ পি.এল.এ.-তে যোগদান উপলক্ষে এখন আপনি কেমন বোধ করছেন?
উত্তরঃ আমি মনে করি যে, পি.এল.এ.-তে যোগ দেয়া বেছে নিয়ে ভাল করেছিলাম। কিন্তু আমি মনে করি আমার দেরি হয়েছিল; আরো আগেই আমার যোগদান করা উচিত ছিল।

প্রশ্নঃ আপনি কি আত্মবিশ্বাসী যে লড়াই ক’রে পুরনো রাষ্ট্রকে সম্পূর্ণ উচ্ছেদ করা সম্ভব হবে ?
উত্তরঃ আমরা জিততে পারি এর উপর প্রশ্ন তোলাটা প্রয়োজনীয় নয়।  এই যুদ্ধ, যা কিনা গতকাল পাথর আর ব্যাটনের মাধ্যমে লড়া হয়েছিল, তা এখন এমন এক মাত্রায় উপনীত হয়েছে যা বাংকার, আমেরিকান অস্ত্রশস্ত্র, পরিকল্পনা এবং আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদ কর্তৃক প্রশিক্ষণের সজ্জায় সজ্জিত রাজকীয় আমেরিকান বাহিনীকে পরাজিত করার শক্তি অর্জন করেছে।  পুরনো রাষ্ট্র এখন রাজধানী এবং হেডকোয়ার্টারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। ……….আমাদের আগামী যুদ্ধ হচ্ছে শেষ এবং নির্ধারক যুদ্ধ।  শত্রু যখন ধ্বংসের মুখে তখন আমাদের আক্রমণ তার বিলোপ পর্যন্ত এগিয়ে যাবে এবং সর্বহারারা বিজয়ের পতাকা প্রজ্জ্বলিত করবে।

প্রশ্নঃ সবশেষে আপনি কি কিছু বলবেন ?
উত্তরঃ আমি পি.এল.এ.-এর একজন নারী যোদ্ধা হিসেবে সমগ্র নারী জাতিসহ সকল জনগণের কাছে এই চূড়ান্ত যুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য আবেদন জানাতে চাই।  আমি ‘জনাদেশ’-এ আমাদের মতামতের জন্য স্থান বরাদ্দ করার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই।

সূত্রঃ [নারী মুক্তি/৩নং সংখ্যায় প্রকাশিত ॥ ফেব্রুয়ারি, ’০৫।
সাক্ষাতকারটি নেপালের বিপ্লবী পত্রিকা ‘জনাদেশ’-এর ২৫ মে, ২০০৪ সংখ্যায় ছাপা হয়েছিল।]


‘আমার জায়গা থেকেই আমি আমার বদলা নেব’ – ভারত কুমারী রেগমী

maowomen

আমার জায়গা থেকেই আমি আমার বদলা নেব

– ভারত কুমারী রেগমী

[নারী মুক্তি/৪নং সংখ্যায় প্রকাশিত ॥ ফেব্রুয়ারি, ’০৬]

[ নিন্মোক্ত সাক্ষাতকারটি নেপালের গণযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন নারী কমরেডের। নাম ভারত কুমারী রেগমী। ৫ বছর বয়সী এক শিশুর মা ও প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষিকা। বাড়ি দাইলেখ জেলার খুরশানী বাড়ি গ্রামে। ২০০১ সালে তার বয়স ২৬। ঐ বছরের ২৭ ডিসেম্বর মাঝ রাতের দিকে নিজ বাড়িতে সরকারি বাহিনীর সদস্যরা দলবেধে তাকে ধর্ষণ করে অজ্ঞান অবস্থায় রেখে যায়। এরপর সকাল ৮টার দিকে জ্ঞান ফিরলে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় নিজেকে আবিষ্কার করেন। স্বামী ও সমাজ কর্তৃক পরিত্যক্ত হবার ভয়ে তিনি ঐ নিষ্ঠুর ঘটনা সবার থেকে গোপন রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার স্বামী একসময় বিষয়টি জানতে পারেন এবং স্ত্রীকে পরিত্যাগ না করে চিকিৎসা করান। তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। প্রসঙ্গত স্বামী নারায়ণ শর্মাও (সন্দীপ) ছিলেন একজন বিপ্লবী। তিনি “সারা নেপালী জাতীয় ছাত্র ইউনিয়ন (বিপ্লবী)”র কেন্দ্রীয় কমিটির একজন বিকল্প সদস্য ছিলেন। তিনি ২০০২ সালের ২৩ আগস্ট দোলপায় রাজকীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে মারা যান।
সাক্ষাতকারটি ২০০৩ সালে নেপালী পত্রিকা “জন আওয়াজ”-এ প্রকাশিত হয়েছিল। যার অংশবিশেষের বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করে ভারতের বিপ্লবী পত্রিকা “পিপল্স মার্চ” ফেব্রুয়ারি-মার্চ,’০৫ সংখ্যায়।]

প্রশ্নঃ রাজকীয় সৈন্যবাহিনী কোথায় ও কখন আপনাকে ধর্ষণ করে ?
উত্তরঃ আমি খুরশানী গ্রামে ভাইয়ের বাড়ি থাকতাম। সেখান থেকে আমার স্কুলে যেতে সুবিধে হোত। সেদিন আমি একলাই বাড়িতে ছিলাম। একজন স্থানীয় মহিলা গোয়েন্দা (যাকে কিনা রাজকীয় সেনারা একটা কর্ডলেস টেলিফোন দিয়েছিল) সরকারি বাহিনীকে জানায় যে আমার স্বামী সেদিন আমার সঙ্গে দেখা করতে আসবে। গভীর রাতে প্রায় দুটোর সময় প্রায় চার ডজন সরকারি সৈন্য এসে বাড়ি ঘিরে ফেলেছিল এবং আমার স্বামীর সন্ধান চালিয়েছিল। কিন্তু তারা তাকে খুঁজে পায়নি। তারপরই তারা আমার শ্লীলতাহানি করতে শুরু করে।

প্রশ্নঃ ধর্ষণকারীদের কাউকে কি চিনতে পেরেছিলেন ?
উত্তরঃ না, আমি সরকারি বাহিনীর কাউকে চিনতে পারিনি। কিন্তু আমি একজন হাবিলদার ও একজন পুলিশকে চিনতে পেরেছি। তাদের আমি আগে অনেকবার দেখেছি। কিন্তু আমি তাদের নাম জানি না। সমতলভূমি থেকে একজন প্রায়শ মরিচ বিক্রির অছিলায় আমাদের ওখানে আসত। আর একজন পুলিশ যার হাতে রুকমীতে পুলিশ আক্রমণের সময় গুলি লেগেছিল। আমি অত্যন্ত ভীত ও সন্ত্রস্ত থাকায় অন্যদের দিকে তাকাতে পারিনি আর সঠিকভাবে বলতে পারবো না তারা সংখ্যায় ক’জন ছিল।

প্রশ্নঃ ঘটনাটা কীভাবে ঘটল আপনি কি সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করবেন ?
উত্তরঃ সৈন্যরা প্রথমে আমার বিছানা বালিশ ছিঁড়ে ফেলে অনুসন্ধান চালায়। তারপর তারা আমার স্বামীর (সন্দীপের) একটা ছবি বার করে এবং সেটা পুড়িয়ে ফেলে। আমি তাদের বলি ঘটনা যাই ঘটে থাকুক না কেন, ওটা আমার স্বামীর ছবি, পোড়ালে কেন? তারপরেই একজন সৈন্য আমাকে ধর্ষণ করার আদেশ দেয়। তারা আমাকে জাপটে ধরে বুটের লাথি মেরে মেঝেতে ফেলে দেয়। প্রথম সুযোগে আমি দৌড়ে পালাতে পেরেছিলাম। তারপর তাদের মধ্যে একজন আমার বুকে বুটের লাথি মারে। সেই আঘাতের পর আমি চোখে ঝাপসা দেখতে থাকি এবং আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে যাই। ছয় সাত জন ধর্ষণকারী ধর্ষণ করা অবধি আমার জ্ঞান ছিল, তারপর আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। পরদিন সকাল আটটার সময় জ্ঞান ফিরে পাই, তখনও আমার শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল। শরীরে এক টুকরো কাপড়ের আবরণ ছিল না। শয়তানেরা যাবার সময় ঘরবাড়ির সমস্ত দরজা-জানালা খোলা রেখে গিয়েছিল। আমি ধীরে ধীরে উঠে বসেছিলাম এবং ভান করেছিলাম যেন কিছুই হয়নি। আমার ভাইও তাই ভেবেছিল। কিন্তু আমার ভাই পরে ব্যাপারটি জানতে পেরেছিল এবং আমাকে রক্ত বন্ধ করার ইঞ্জেকশন দিয়েছিল। আমি আমার ভাইকে অনুরোধ করেছিলাম আমাকে তার ভগ্নীপতির কাছে নিয়ে যেতে। কিন্তু সে আমার শরীরের এই অবস্থায় ওখানে যেতে নিষেধ করল। কিন্তু আমি শুনিনি, সন্দীপের অপেক্ষায় ছিলাম এবং তাকে পেয়েও গেলাম। সন্দীপকে এ ব্যাপারে আমি কিছু বলিনি। আমি তাকে ভীষণ ভালবাসতাম। আমার ভয় ছিল ঘটনাটা জানতে পারলে সে আমায় না-ও গ্রহণ করতে পারে। এই ঘটনাটা জানার পর সে যদি আমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাহলে আমি সব হারাবো। সেই কারণে গত তিন মাস ঘটনাটা গোপন করে গিয়েছিলাম।

প্রশ্নঃ সন্দীপ জানতে পারলো কী করে?
উত্তরঃ যদিও আমি বলতে চাইনি, কিন্তু আমার মনে হয় সৈন্যবাহিনীর কেউ অথবা অন্য কেউ যে কিনা খোলা দরজা দিয়ে ব্যাপারটা দেখেছিল, তারাই হয়তো কেউ সন্দীপকে বলে থাকবে। সন্দীপও ঘটনাটা শুনেছিল, এবং আমাকে প্রতিনিয়ত জিজ্ঞাসাবাদ করত। বহুদিন ধরে আমি এটা মিথ্যা কথা বলে এড়িয়ে গেছি। তা সত্ত্বেও সে বলেছিল, তুমি তো নিজের ইচ্ছেয় কাজটা করনি, সুতরাং আমায় খুলে বল। আমি তখন সমস্ত সত্য তার সামনে তুলে ধরলাম।

প্রশ্নঃ সন্দীপ ও তার পরিবারের লোকেরা সমস্ত ঘটনা জানার পর আপনার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করেছিল?
উত্তরঃ আমি বুঝতে পেরেছিলাম সন্দীপ সম্বন্ধে আমার ধারণা কত ভ্রান্ত। সে আমায় গ্রহণ করল। বস্তুত আমি সমস্ত ঘটনা খুলে বলার পর সে আমাকে যত্ন ও ভালবাসায় ভরিয়ে দিল। সে বলেছিল, প্রতিশোধ নিতেই হবে, সেই কারণে সে আমাকে দলের সংগঠনে যোগ দিতে উৎসাহিত করেছিল। আমি যখন মাঝে মাঝে বিমর্ষ হয়ে পড়তাম, সে আমাকে হাসাত। সে আমাকে প্রায়শ বলতো, তুমি যদি প্রতিশোধ নিতে না পার, আমি ঠিক নেব। হায়, সেও শত্রুর হাতে মারা গেল। আমার চিকিৎসা হওয়ার পরই কেবলমাত্র তার বাবার সাথে দেখা করতে পেরেছিলাম। তার আগে পর্যন্ত আমি কারুর সাথে দেখা করেনি।

প্রশ্নঃ সন্দীপের বাবা আপনার সাথে কেমন ব্যবহার করেছিলেন ?
উত্তরঃ সন্দীপের বাবা বলেছিলেন, তুমি আমাদের পুত্রবধূ নও, তুমি আমাদের পুত্র। তুমি আমার পুত্রের জায়গা নিয়েছ। তিনি আমার প্রচুর যত্ন নিয়েছেন।

প্রশ্নঃ আপনার চিকিৎসার ব্যবস্থা কে বা কারা করেছিলেন ?
উত্তরঃ সন্দীপের সঙ্গে থাকার সময় আমি প্রায় অসুস্থই ছিলাম। ইতিমধ্যে আমি পার্টি সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে পড়েছিলাম। পার্টি সংগঠনই আমার সমস্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। এখন আমি সুস্থ এবং সংগঠনের কাজ করছি।

প্রশ্নঃ সন্দীপের শহীদ হওয়ার ঘটনা শুনে আপনার মানসিক অবস্থা কেমন হয়েছিল ?
উত্তরঃ আমরা সবাই মানুষ, সুতরাং আমাদের মানবিক অনুভূতি থাকাটাই স্বাভাবিক। আমারও মানবিক অনুভূতি আছে। যদিও আমি এখন মতাদর্শগতভাবে অনেক পরিণত তবুও স্বাভাবিক মানবিক অনুভূতির কারণেই আমি আঘাত পেয়েছিলাম। ঘটনাটি শোনার পর আমি প্রায় চার-পাঁচ ঘণ্টা অজ্ঞান হয়েছিলাম। মতাদর্শ যখন অনুভূতির চেয়ে বড় হয় তখন এটা বোঝা উচিত সে কেন শহীদ হয়েছে।

প্রশ্নঃ আপনাদের বিয়ে কীভাবে হয়েছিল ?
উত্তরঃ প্রাথমিকভাবে এটা ভালবাসার বিয়ে ছিল, কিন্তু আমার ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে প্রথাগতভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল।

প্রশ্নঃ আপনার মতে আপনার উপর একদিকে গণধর্ষণের আঘাত অপরদিকে শত্রুর দ্বারা আপনার স্বামী শহীদ হওয়ার ঘটনা, এর সমুচিত জবাব কী ?
উত্তরঃ বাস্তবে একমাত্র সঠিক মতাদর্শই এই গভীর আঘাতের বেদনাকে সারিয়ে তুলতে পারে। নেপাল বিপ্লবের জন্য সে সর্বহারা শ্রেণির পক্ষে সর্বদাই লড়াই করে গেছে এবং সেই কারণেই সে তার জীবন দান করেছে। আমার মতে সে ছিল এক মহান ব্যক্তিত্ব। তার আদর্শ এবং ফেলে রাখা রক্তরাঙা পথ ধরে তার বন্দুক তুলে নিয়ে লড়াইয়ের পথে এগিয়ে যেতে পারলেই আমার এই ব্যথা কমবে। অবিরাম বিপ্লবী পথে যুক্ত হয়ে এগিয়ে যেতে পারলেই আমি এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাব। আমি মনে করি আমি সাহসী হয়ে উঠেছি। যদিও আমার কিছু মানসিক দুঃখ আছে তবুও আমি বলতে পারি না যে আমি মতাদর্শগতভাবে উন্নত হব না। আমি আমার জায়গা থেকেই প্রতিশোধ নেব। আমার সিঁদুর শূন্য সিঁথি প্রত্যক্ষ করবে এক প্রভাতী সূর্যের লাল আলো। আমি খুবই আশাবাদী।

প্রশ্নঃ সারা দেশে আপনার মতো বহু নারী যারা এই ধর্ষণের শিকার তাদের উদ্দেশে আপনার বক্তব্য কী ?
উত্তরঃ যারা আমার মতো দলীয় সংগঠনে যুক্ত আছেন তাদের উদ্দেশে আমি বলবো তারা যেন সাময়িক ক্ষয়ক্ষতির জন্য স্বপ্নভঙ্গ হয়ে এগিয়ে যাওয়া থেকে থেমে না যান। আসুন আমরা সবাই সাহসী হই এবং অত্যাচার, শোষণ এবং একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে এগিয়ে যাই। আমরা যেন আমাদের ব্যক্তিগত ক্ষতিকে প্রাধান্য না দিই, দলের বিজয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখি। শহীদ পরিবারের লোকজন যারা আজও সংগঠনে যোগদান করেননি তাদের উদ্দেশে বলি যে, যারা দেশ ও জাতির জন্য প্রাণ দিয়েছেন তারা কখনও ভুল পথ গ্রহণ করেননি। ছেলেরা পিতা-মাতার কোলহারা হয়েছে এবং বোনেরা সিঁথির সিঁদুর হারিয়েছে বলে আমরা কখনই আশাহত হব না। শহীদের রক্তের ঋণ আমরা রক্তেই শুধবো। পার্টি আজ বিরাট সাফল্য অর্জন করেছে। আমাদের প্রিয়জনদের রক্তদান বৃথা যায়নি। তাদের আত্মবলিদানের পথ ধরে যেন আমরা এগিয়ে যাই। এইভাবেই আমরা সেইসব শহীদ পরিবারের সম্মুখীন হতে পারি।

সূত্রঃ দেশে দেশে বিপ্লবী নারী সংকলন, বিপ্লবী নারী মুক্তি প্রকাশনা


নেপালের ৩টি বিপ্লবী মাওবাদী পার্টি’র যৌথ বিবৃতি

revolution

Sharpen the ideological struggle against the revisionists–the bourgeois.

(On Thursday, May 19, Three Maoist Parties–Nepal Communist Party (Revolutionary Maoist) led by Com. Mohan Baidhya ‘Kiran’, CPN Maoist led by Com. Netra Bikram Chanda ‘Biplav’ and Communist Nucleus Nepal , led by Hemant Prakash Oli ‘Sudarshan’ have published a joint statement regarding the so-called Maoist unity between UCPN(Maoist) and other small factions. One of them there is a faction led by Ram Bahadur Thapa ‘Badal’ that just split with the Maoist party led by Mohan Baidhya ‘Kiran”. This ‘new unified party’ named as ‘Nepal Communist Party Maoist Center’ has accepted pluralism, multi party system and the current reactionary constitution of Nepal.

It is a matter of surprise that these revisionists have declared themselves as the revolutionaries and their so-called Maoist center as the center of Nepalese Maoists. Not only this they have made Prachanda the renegade as their ringleader. In fact, it is not a party unity rather than it is a gathering of rightist opportunists, who have already lost revolutionary spirit, revolutionary ground and want to take part in the reactionary system. Indeed, they are trapped in a design, designed by the imperialist and expansionist forces. Just they are following the direction of their master.

Realizing the confusion produced by these revisionists the revolutionary three parties have made the situation clear through the Press statement. They have urged the revolutionary cadres and oppressed people not to be confused and stand firmly on the side of Marxism-Leninism-Maoism and New Democratic Revolution. The revolutionary parties also have urge to wage ideological struggle against the revisionists. Here is the full text of the Press Statement.)

Joint Statement on so-called Maoist unification

Today in the leadership of UCPN Maoist, some opportunistic groups of so-called Maoists have made a noise and whimper of party unity-a polluted wind. This unity between the rightist groups has produced a lot of confusion among the oppressed people and it is also dangerous for the struggle of the national sovereignty, people’s livelihood , people’s democracy and revolutionary movement. It is not a party unity, but a liaison between the rightist groups and we must go ahead sharpening the ideological struggle against this liaison. In the light of Marxism-Leninism -Maoism, we are dedicated for the New Democratic Revolution and to move ahead in the way to Socialism and Communism. To achieve this goal, it is necessary for the polarization and unification between the true revolutionaries. Therefore we urge the revolutionary people, our well wishers, and true Communists, not to be confused on such false unity and the noise and polluted wind of so-called Maoist unification, and we specially urge to stand firmly on the side of Revolutionary Trend of Nepalese Communist Movement.

May,19, 2016

Kiran, (Chairman, Revolutionary Maoist)

Biplav, ( General Secretary, CPN Maoist)

Hemanta Prakash Oli, Sudarshan(Communist Nucleus, Nepal)

Via  The Next Front


‘কমিউনিস্ট নিউক্লিয়াস, নেপাল’ নামে একটি নতুন মাওবাদী পার্টির উত্থান হয়েছে

kamunist

 

নেপালে নতুন মাওবাদী পার্টি কমিউনিস্ট নিউক্লিয়াস এর উত্থান

গত সপ্তাহে নেপালের পশ্চিম অংশের দাং জেলায় মাওবাদীদের একটি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রোলপা, রুকুম, সাল্যন-রাপ্তি জোনের প্রবেশদ্বার হিসাবে দাং জেলার পরিচিতি রয়েছে। এটি ছিল নেপালের দশ বছরের গণযুদ্ধের প্রথম ঘাঁটি এলাকা।কমিউনিস্ট নিউক্লিয়াস, নেপাল নামে একটি নতুন মাওবাদী পার্টি তারা গঠন করেছে। কমরেড হেমন্ত প্রকাশ অলি, যিনি সুদর্শন নামে পরিচিত, কমিউনিস্ট নিউক্লিয়াস, নেপালের আহ্বায়ক হয়েছেন। তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি গণযুদ্ধের প্রাক্কালে এই ঘাঁটি এলাকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তিনি দশ বছর গণযুদ্ধের সময় কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল(মাওবাদী) এর পলিটব্যুরো সদস্য এবং PLA ৫ম বিভাগের বিভাগীয় কমিশার ছিলেন। নিউক্লিয়াসের ১১জন সদস্যের বেশীরভাগই ঘাঁটি এলাকার সাবেক PLA সদস্য ও শহরের বুদ্ধিজীবীরা রয়েছেন, যারা নেপালের ১০বছরের গণযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন।

২রা এপ্রিল ২০১৬তে প্রকাশিত এক আহবানে, নয়াগনতান্ত্রিক বিপ্লবের কর্তব্য সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নিউক্লিয়াস যোগদানের জন্য তারা সনির্বন্ধ আবেদন জানান। তারা বিপ্লবী মেরুকরণের জন্যেও আবেদন করেছেন।

এই আবেদনে তারা কমরেড মাও সে তুঙ এর বিখ্যাত উক্তিটি তুলে ধরেন – “বিপ্লবের কেন্দ্রীয় কর্তব্য ও উচ্চতম রূপ হচ্ছে সশস্ত্র শক্তির দ্বারা রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল, যুদ্ধের দ্বারা সমস্যার সমাধান। মার্কসবাদ-লেনিনবাদের এই বিপ্লবী নীতি সর্বত্রই ঠিক, তা চীন দেশেই হোক বা বিদেশে হোক, সর্বত্রই ঠিক[যুদ্ধ ও রণনীতির সমস্যা-৬ই নভেম্বর, ১৯৩৮]

তাদের দলিল, তারা প্রচণ্ড ও বাবুরাম ভট্টরাইকে নেপালের বিপ্লবের বিশ্বাসঘাতক এবং সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের বিশ্বস্ত ক্লায়েন্ট হিসেবে উল্লেখ করেছে। দলিলে তারা ভারত, ফিলিপাইন এবং তুরস্কের জনগণ, যারা ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে গণযুদ্ধের করছে,  তাদের সঙ্গে বিপ্লবী সংহতি প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে তারা ভারতে গণযুদ্ধের প্রতি শক্তিশালী সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। “আমাদের ফিলিপাইন, ভারত ও তুরস্কের গণযুদ্ধকে অধ্যয়ন করতে হবে এবং তাদের তেজস্বিতা এবং অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে হবে. আমরা অবশ্যই “সর্বহারা আন্তর্জাতিকতাবাদের মান অনুসরণ করবো।” তারা ‘বিপ্লবী আন্তর্জাতিক আন্দোলন (রিম)” বিলুপ্ত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যেমনটি তারা দলিলে উল্লেখ করেছেন, ‘বিপ্লবী আন্তর্জাতিকতাবাদী আন্দোলন (রিম) এর একটি নতুন ভ্রূণ কেন্দ্র গঠনে অবদান রাখার বিষয়টি আমরা গভীর গুরুত্বের সাথে নিয়েছি’। – (সংক্ষেপিত)

অনুবাদ সূত্রঃ  The Next Front

বিস্তারিত

Last Week, a group of Maoists held a meeting in Dang district, western part of Nepal. Dang is known as the threshold of Rolpa, Rukum and Salyan-the Rapti Zone, the first base area of Ten Year’s People’s War. They formed a new Maoist Party–Communist Nucleus, Nepal. Comrade Hemanta Prakash Oli, known as Sudarshan, is the Convener of Communist Nucleus, Nepal. He was the first man who had taken responsibility of Base Area in the eve of People’s War. He was the Politburo member of the Communist Party of Nepal (Maoist) and division Commissar of 5th Division PLA, during the Ten Year’s People’s War. In 11 member’s Nucleus, most of the members are former PLA from the base area and the intellectuals from the urban area, who joined 10 Year’s People’s War.

In an appeal released on April 2, 2016 they have appealed to join Nucleus to fulfill the task of New Democratic Revolution. They have appealed also for the revolutionary polarization. In their appeal they have quoted the famous words of Comrade Mao : The seizure of power by armed force, the settlement of the issue by war, is the central task and the highest form of revolution. This Marxist-Leninist principle of revolution holds good universally, for China and for all other countries.

In their document, they have mentioned Prachanda and Baburam Bhattarai as the traitor of Nepalese revolution and the faithful clients of Imperialism and Indian expansionism. In their document they have expressed revolutionary solidarity with the people of India, Philippines and Turkey, who are waging People’s War, against the fascist regime. Particularly they have expressed strong support to the People’s War in India. As they have mentioned– ”We must study the People’s ‘War in Philippines, India, and Turkey and should learn from their spirit and experience. We must follow the value of Proletarian Internationalism”. They have expressed deep concern also on defunct ‘Revolutionary International Movement (RIM). As the document writes: ”We must take deep concern and initiation and should contribute to form a new embryonic center–The Revolutionary Internationalist Movement(RIM).”

It is known to us that, these days Maoist party led by Mohan Baidhya ‘Kiran’ (now it is named as revolutionary Maoist), is facing massive internal dispute. Rapidly, it is going in the way to liquidation. A faction of this party, led by then General Secretary Ram Bahadur Thapa ‘Badal’ is going to merge his faction in the Communist Party of Nepal led by Prachanda. The faction led by ‘Badal’ has launched signature campaign against Kiran to join the UCPN (Maoist).This faction has accepted UNCP(Maoist) as the revolutionary party and Prachanda as a revolutionary leader. After the split of Badal faction, what the Kiran faction will do, is not clear. In document, Comrade Kiran has committed for the New Democratic Revolution through armed struggle. But in practice he has nothing to do. The main problem of Comrade Kiran is: not to move forward in practice. We all know, just to write in the document is not enough.

Another party, The Communist party of Nepal, Maoist, led by Comrade Biplav also is not clear in the ideological and political line. In the place of New Democratic Revolution, Biplav party has replaced ‘Unified Revolution’. ‘Unified Revolution’ is the character of Nepalese revolution or it is the Party’s political line ? They have not made it clear. Their analysis about International Communist Movement and the character of Nepalese society also is not scientific. To some extent, among the all Maoist organizations the organization led by Biplav is dynamic. But the ideological and political line that they are pleading is ambiguous. In fact, they are still at the crossroads.

Now the newly formed Communist Nucleus, Nepal has appealed the revolutionary cadres of all Maoist parties to join the Nucleus. There is going to be happened a new polarization of the Nepalese Maoist Movement. The revisionist will join Prachanda , the ring leader of Neo-reactionary camp and the revolutionaries will form a new revolutionary camp. There is a possibility of joint step between Nucleus, Baidhya led faction and Biplav’s CPN, Maoist. It is the demand of the time that later or sooner the revolutionaries will form a new center for the New Democratic Revolution guided by Marxisn-Leninism-Maoism.

It is the fact that, most of the revolutionary leaders and cadres accept, that the revolution of Nepalese society is the New Democratic Revolution and without arm struggle we can’t achieve the goal of revolution. But in practice, they don’t want to move forward. What type of armed struggle? Ideological and political line is the issue that the Nepalese revolutionary comrades are debating these days.

We want to make clear that there must not be any confusion, it is crystal clear that ultimately Nepalese revolution will take the road of Peoples War– Maoist Road of Nepalese character. The document of Nucleus also has stressed the following writing from Comrade Mao tse-tung’s famous document ‘Problems Of War And Strategy’.

Every Communist must grasp the truth, “Political power grows out of the barrel of a gun.” Our principle is that the Party commands the gun, and the gun must never be allowed to command the Party. Yet, having guns, we can create Party organizations, as witness the powerful Partyorganizations which the Eighth Route Army has created in northern China. We can also create cadres, create schools, create culture, create mass movements. Everything in Yenan has been created by having guns. All things grow out of the barrel of a gun. According to the Marxist theory of the state, the army is the chief component of state power. Whoever wants to seize and retain state power must have a strong army. Some people ridicule us as advocates of the “omnipotence of war”. Yes, we are advocates of the omnipotence of revolutionary war; that is good, not bad, it is Marxist. The guns of the Russian Communist Party created socialism. We shall create a democratic republic. Experience in the class struggle in the era of imperialism teaches us that it is only by the power of the gun that the working class and the labouring masses can defeat the armed bourgeoisie and landlords; in this sense we may say that only with guns can the whole world be transformed. We are advocates of the abolition of war, we do not want war; but war can only be abolished through war, and in order to get rid of the gun it is necessary to take up the gun.

It is the point to note that, if we are revolutionaries, if we are Maoists, without hesitation, we must follow the spirit and value of above mentioned writing of Comrade Mao tse-tung. To follow the Marxism means to apply it into practice.

সূত্রঃ  The Next Front


নেপালঃ একীভূত হবার ঘোষণা দিল CPN-Maoist ও CPN (Unified)

??????????????????????

৮ নভেম্বর, ২০১৫– রবিবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর কুপান্ডলের মাওবাদী ভ্যালি ব্যুরো কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত একত্রিকরণ সম্মেলনে সিপিএন-মাওবাদী ও সিপিএন (ঐক্যবদ্ধ) দল দুটি একীভূত হবার ঘোষণা দিয়েছে। নতুন গঠিত এই পার্টির নাম আপাতত সিপিএন (মাওবাদী বিপ্লবী) / CPN (Maoist Revolutionary) রাখার ব্যাপারে দুই দলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জাতীয় সম্মেলনে নামটি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে।

সম্মেলনে সিপিএন-মাওবাদী এর সভাপতি মোহন বৈদ্য বলেন, নেপালের জনগণের গণতান্ত্রিক বিপ্লব ও বিপ্লবের বাদবাকি কাজ সমাপ্ত করার লক্ষ্যে এই দুই পার্টির একত্রীকরণ ঘটেছে। সম্মেলনে সিপিএন (ঐক্যবদ্ধ) এর সাধারণ সম্পাদক পারি থাপা বলেন, দেশে উদ্ভূত সমস্যাসমূহ মোকাবেলা ও বিপ্লবের কর্তব্য সম্পন্ন করার লক্ষ্যে দুই পার্টি একত্রিত হয়েছে।

অনুবাদ সূত্রঃ http://kathmandupost.ekantipur.com/news/2015-11-08/cpn-maoist-cpnunified-announce-merger.html


নেপালঃ সংবিধানের খসড়া কপিতে চাঁদ নেতৃত্বাধীন মাওবাদী ক্যাডারদের অগ্নিসংযোগ

11140060_10153144012152981_1149811910921717714_n_20150719014204

দং, ১৯ জুলাই– দং জেলায় নতুন সংবিধানের খসড়া কপি পুড়িয়ে ফেলল নেত্র বিক্রম চাঁদ নেতৃত্বাধীন সিপিএন-মাওবাদী এর ক্যাডাররা। জেলার তুলসিপুর ও গোরাহিতে প্রাথমিক খসড়া বিষয়ে আলোচনা চলাকালে এই অগ্নিসংযোগ ঘটানো হয়। তুলসিপুরের দামারগাঁও ও গোরাহির রাপ্তি সুপার লজে পার্টির ক্যাডাররা খসড়া কপি ছিঁড়ে ফেলে ও আগুন ধরিয়ে দেয়।

পার্টির জেলা সম্পাদক বল বাহাদুর ওলি জানিয়েছেন ক্যাম্পেইনে বাধা দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পার্টি, সুতরাং তারা খসড়া কপি পুড়িয়ে ফেলবেন এবং মতামত সংগ্রহের পথে বাধা সৃষ্টি করবেন। দং জেলার ডিএসপি রণজিৎ সিং রাঠোর বলেন, যে কেউ মতামত সংগ্রহ ক্যাম্পেইনে বাধাদান করবে ও খসড়া কপি পুড়িয়ে ফেলবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দং জেলার প্রধান জেলা কর্মকর্তা লোকনাথ পোদিয়াল বলেন, মতামত সংগ্রহ ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য জেলায় প্রচুর সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

 

সূত্রঃ

http://www.ekantipur.com/2015/07/19/top-story/chand-cadres-burn-copies-of-statute-draft/408115.html

 


নেপালের মাওবাদী সংবাদঃ লিপুলেক চুক্তির বিরুদ্ধে সিপিএন-মাওবাদী ক্যাডারদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

jinping-main (1)

কাঠমান্ডু, ২৮শে জুন– ভারত ও চীনের মধ্যে স্বাক্ষরিত লিপুলেক চুক্তি বাতিলের দাবীতে কাঠমান্ডুর সুন্ধরাতে সিপিএন-মাওবাদীর ডাকা প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশ বাধা দেয় ও প্রায় তিন ডজন ক্যাডারকে আটক করে।

কাঠমান্ডুর টেকুতে মেট্রোপলিটান পুলিশ রেঞ্জ প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, সিপিএন-মাওবাদী এর পলিটব্যুরো সদস্য তিলক পোখরেল সহ প্রায় ৩২ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশের সুপারিন্টেন্ডেন্ট বিশ্ব রাজ পোখরেল বলেন, কাঠমান্ডুতে কোন ধরনের প্রতিবাদ সমাবেশ করার অনুমতি নেই কারণ সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের ঘটনার পর কাঠমান্ডুকে জরুরী জোন হিসেবে ঘোষণা করে হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।

সূত্রঃ

http://www.ekantipur.com/2015/06/24/capital/cpn-maoist-cadres-stage-protest-against-lipulek-pact/406992.html

 


মোদীর সফরে মাওবাদী হাতে আটক ২৫০, মুক্তি, জনতার আদালতে ১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

2afeab2c-6f96-4d23-8a29-b70f89aa5714wallpaper1

কথিত উন্নয়নের বার্তা নিয়ে এ বারে মাওবাদীদের গড়ে পৌঁছে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তিনি গিয়ে ওঠার আগে রাত থেকেই কমপক্ষে দু’‌শো জন গ্রামবাসীকে আটক করে রেখে মাওবাদীরা বুঝিয়ে দিল, কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি সরকারের উপরে তাদের আদৌ আস্থা নেই। মাওবাদীদের দাবি, এলাকার ভূ-সম্পদ লুঠ করে কয়েকটি বড় শিল্পগোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়াই এই দুই সরকারের মূল লক্ষ্য। এ দিন রাতে ওই গ্রামবাসীদের ছেড়ে দিলেও, মাওবাদীরা ‘জন আদালত’-এ বিচার করে এক জনকে হত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মোদীর সভাস্থল থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে জিরম উপত্যকায়। দু’বছর আগে ঠিক এখানেই কংগ্রেসের কনভয়ে বড়সড় হামলা চালিয়ে বেশ কয়েক জন নেতাকে হত্যা করেছিল মাওবাদীরা।

ছত্তীসগঢ়ের মাওবাদী অধ্যুষিত দন্তেওয়াড়ায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেষ গিয়েছিলেন রাজীব গাঁধী। এর তিন দশক পরে গেলেন মোদী। কলকাতায় যাওয়ার আগে তাঁর এই সফরের লক্ষ্য ছিল দুটি: এক, মাওবাদী অধ্যুষিত এই একটি জেলাতেই ২৪ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প পৌঁছে দেওয়া। যে প্রকল্পে ইস্পাত কারখানা থেকে রেল লাইন পাতা হবে। দুই,  মাওবাদীদের সুস্থ জীবনে ফেরার বার্তা দেওয়া।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই মাওবাদীরা বয়কটের ডাক দেয়। শুধু তাই নয়, সুকমা জেলার বিভিন্ন গ্রামের অন্তত দু’‌শো জন গ্রামবাসীকে আটক করে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, শুধুই দেশি-বিদেশি কয়েকটি বড় শিল্পগোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই প্রধানমন্ত্রী মোদী ও ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ এই সব প্রকল্প ঘোষণা করছেন। প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করাই তাঁদের উদ্দেশ্য। সেই কারণেই কেন্দ্র জমি বিল আনতে চাইছে। বস্তারে হচ্ছে সেনা প্রশিক্ষণ স্কুলও। কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার (মাওবাদী) দণ্ডকারণ্য বিশেষ জোনাল কমিটি তাই কেন্দ্রের ‘ফ্যাসিবাদী হিন্দুত্বের সরকার’-এর বিরুদ্ধে সংগঠিত জঙ্গি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

দন্তেওয়াড়ায় শান্তি-বার্তা দিয়ে মোদী কলকাতায় পৌঁছে গেলেও রমন সরকারের মাথাব্যথা হয়ে ওঠে আটক করে রাখা গ্রামবাসীদের মুক্তির বিষয়টি। আলোচনার পথেই তাঁদের মুক্ত করার চেষ্টা চালাতে থাকে রাজ্য প্রশাসন। রাতে এক জন বাদে সবাইকেই ছেড়ে দেয় মাওবাদীরা। সদারাম নাগ এক জন শুধু জীবিত ফেরেননি। ‘জন আদালতে দোষী’ হওয়ায় মাওবাদীরা তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।

images (2)

মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মাওবাদী মোকাবিলার পথ নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। ইউপিএ আমলের এই নীতি থেকে অনেকটাই সরে এসে রাজনাথ সিংহের অধীনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি খসড়া নীতিও তৈরি করে। যেখানে বলা হয়, দরকারে স্থলসেনা ও বায়ুসেনাকেও মাওবাদী মোকাবিলায় কাজে লাগানো হবে। এই খসড়া সমালোচনার ঝড় তোলে। দেশের সেনাকে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে বন্দুক তুলতে নির্দেশ দেওয়া যায় কি না, এ নিয়ে বিতর্ক হয় বিস্তর। এই পরিস্থিতিতে মোদী আজ মাওবাদী গড়ে গিয়ে যে ভাবে উন্নয়নের কথা বললেন, সেখানকার মানুষের দুঃখ-বেদনা বোঝার কথা বললেন, তাতে স্পষ্ট, কেন্দ্র এখন দ্বিমুখী রণকৌশল নিয়েই এগোতে চাইছে। এক দিকে কড়া হাতে মাওবাদী মোকাবিলার প্রস্তুতি চালানো। এর পাশাপাশি, উন্নয়নের মাধ্যমে মাওবাদীদের থেকে সাধারণ মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা।

মোদী এই সফরে দু’টি কাজই করতে চাইলেন। চলতি বছরে এপ্রিল পর্যন্ত ছত্তীসগঢ়ে ১৮৮টি মাওবাদী হামলা হয়েছে। নিহত ৪৬ জন। এই অবস্থায় মাওবাদীদের গড়ে পৌঁছে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ান ও গ্রামবাসীদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করলেন। আর তাঁর বক্তব্যে জোর পেল দ্বিতীয় পথটি।

সূত্রঃ

http://www.hindustantimes.com/india-news/pm-modi-to-visit-dantewada-today-maoists-call-for-bandh/article1-1345390.aspx


নেপাল: ইউএমএল ও ইউসিপিএন (মাওবাদী) এর নেতাদের সম্পত্তি দখল করল চাঁদ এর নেতৃত্বাধীন মাওবাদীরা

Netra_Bahadur_Chand_20150421090438_20150421104315

নেত্র বিক্রম চাঁদ এর নেতৃত্বাধীন সিপিএন মাওবাদী দলের সদস্যরা ইউসিপিএন (মাওবাদী) এর নেতার একটি বাড়ি ও সিপিএন-ইউএমএল এর নেতার জমি দখল করে নিয়েছে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে চাঁদ এর নেতৃত্বাধীন মাওবাদীরা জানিয়েছে তারা ইউসিপিএন (মাওবাদী) এর প্রাক্তন বিধানসভা সদস্য জিৎ বীর লামার একটি বাড়ি ও সিপিএন-ইউএমএল নেতাদের জমি দখল করে নিয়েছে। দলের পক্ষ থেকে বিষয়টি পরিস্কার করে বলা হয়েছে, জমিটি (১২০০ বর্গ কিমি) পূর্বে কমিউনিটি স্বাস্থ্য প্রমোশন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হত, পরবর্তীতে এটি ইউএমএল নেতা কুমার খাদকা ও প্রকাশ কেসির মালিকানায় চলে যায় তাই এটি দখল করা হয়েছে। পার্টি জমির উপর তাদের পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে। অবশ্য, পার্টি থেকে শর্ত হল জমিটি কমিউনিটি স্বাস্থ্য প্রমোশন কেন্দ্রের কাছে হস্তান্তর করা হলে এটি তাদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হবে।

অনুরূপভাবে মালিকানা হস্তান্তরের কোন রকম দলিলপত্র তৈরী না করেই বাড়ি বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে প্রাক্তন বিধানসভার সদস্য লামার বিরুদ্ধে। তিনি ১৪ বছর আগে পাথর ও মাটির তৈরী বাড়িটি দাম্বার বাহাদুর বুদ্ধতকির কাছে বিক্রি করে দেন। ভিকটিম বুদ্ধতকি বলেন তিনি পঞ্চান্নো হাজার রুপি ইতোমধ্যে কিস্তিতে পরিশোধ করেছেন, বাড়িটি আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এখনো পাননি। উল্টো কিস্তি পরিশোধ করার প্রমাণ দেখানো হলে লামা তাকে হুমকি দেন।

সূত্রঃ http://www.ekantipur.com/2015/04/21/top-story/chand-led-maoist-captures-properties-of-uml-ucpn-m-leaders/404360.html

নেপালগঞ্জে হামলায় আহত এডভোকেট

মঙ্গলবার নেপালগঞ্জে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন একজন এডভোকেটের উপর হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ চারা থেকে পাঁচজন অজ্ঞাত্নামা ব্যক্তি নেপালগঞ্জে এডভোকেট উদয় লাল ভার্মার আইনী প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এতে এডভোকেট ভার্মা মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ডিএসপি (DSP) জানক শাহী জানান, হামলাকারীরা লাঠি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। ঘটনাস্থলে নেত্র বিক্রম চাঁদ এর নেতৃত্বাধীন সিপিএন মাওবাদীদের পুস্তিকা পাওয়া গেছে। এতে এডভোকেট ভার্মা বেআইনী ভাবে মানুষের জমি দখল করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সূত্রঃ http://www.ekantipur.com/2015/04/21/headlines/Unidentified-group-attacks-a-law-firm/404366/


নেপালের গণযুদ্ধের লাল সংবাদ –

 

image2030817522

নেপালের গণযুদ্ধের লাল সংবাদ –   

নেত্র বিক্রম চাঁদ নেতৃত্বাধীন সিপিএন মাওবাদী সঙ্গে যুক্ত ছাত্র সংগঠন সর্ব নেপালি জাতীয় স্বাধীন ছাত্র ইউনিয়ন-বিপ্লব( ANNISU-R),  দুই স্কুলের মেয়েদের উপর এসিড হামলার বিরুদ্ধে সোমবার একটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে. মূলত রাউতাহাট থেকে আসা সঙ্গীতা মাগার ১৬ এবং সীমা বাসনেত ১৫, বসন্তপুরে রবিবার সকালে একটি শিক্ষাদান কেন্দ্রে অ্যাসিড আক্রমণে আহত হয়। মাগার এবং বাসনেত , জাইসিদেওাল এবং ভিমসেন্সথানে তাদের বাবা মায়ের সঙ্গে রুম ভাড়া নিয়ে বসবাস করত. এই আক্রমণ মেয়েদের নিরাপত্তা উপর একটি গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে বলে জানিয়েছে সর্ব নেপালি জাতীয় স্বাধীন ছাত্র ইউনিয়ন-বিপ্লব( ANNISU-R) । তারা অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবী জানান। 

 

সূত্র – http://www.myrepublica.com/portal/index.php?action=news_details&news_id=92792