ভিডিওঃ ফিলিপিনের কমিউনিস্ট পার্টি’র ৪৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

গত ২৬শে ডিসেম্বর ২০১৬, ফিলিপিনের কমিউনিস্ট পার্টি’র ৪৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন হয়েছে। এতে নেতৃত্ব দেয় পার্টির সশস্ত্র শাখা ‘নিউ পিপলস আর্মি’র পুলাং বাগানি ব্যাটেলিয়ন।


ফিলিপাইন সরকার ও মাওবাদীদের অস্ত্রবিরতি চুক্তি

e23aac650d4cd8d5b65a1674463e0cad-57c1673fc345c

শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে ফিলিপাইন সরকার ও মাওবাদীদের মধ্যে একটি অনির্দিষ্টকালীন অস্ত্রবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। শুক্রবার নরওয়েতে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। নরওয়েই মূলত এ চুক্তির ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে কাজ করেছে।
উল্লেখ্য, অনির্দিষ্টকালীন অস্ত্র্র বিরতি চুক্তিতে উপনীত হতে সোমবার থেকে অসলোতে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। শুক্রবার চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে আপাতত আলোচনার সমাপ্তি হয়েছে। আগামী ৮-১২ অক্টোবর আবারও দুই পক্ষের আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তের শান্তিবিষয়ক উপদেষ্টা জেসুস দুরেজা বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন ঘটনা।’ প্রেসিডেন্ট দুয়ার্তে নিজেও এ চুক্তির প্রশংসা করেছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শান্তি প্রক্রিয়ার গতি বাড়াতে এবং ছয় মাসের মধ্যে অর্থনেতিক ও সামাজিক সংস্কার নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ করার জন্য দুই পক্ষ সম্মত হয়েছে।’
কমিউনিস্ট পার্টি অব ফিলিপাইন ১৯৬৮ সালে ফিলিপাইন সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। সরকারি হিসেবে মতে, এ পর্যন্ত দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩০ হাজার লোকের প্রাণহানি হয়েছে।

সূত্র: আল জাজিরা


ফিলিপাইনে ৭ দিনের অস্ত্রবিরতি পালন করবে মাওবাদী কমিউনিস্টরা

1471690733

শান্তি আলোচনাকে সামনে রেখে নতুন করে অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিয়েছে ফিলিপাইনের সরকার এবং কমিউনিস্ট পার্টি। চলতি মাসের ২২ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত নরওয়েতে ওই শান্তি আলোচনা হওয়ার কথা।  ফিলিপাইনের কমিউনিস্ট পার্টি সাত দিনব্যাপী অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করার পর ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তেও নতুন করে অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দেন।  এর আগে মাওবাদী গেরিলাদের হাতে সরকারের মিলিশিয়া বাহিনীর একজন সদস্য নিহত হলে প্রেসিডেন্ট ঘোষিত ওই অস্ত্রবিরতি ভেস্তে যায়।
উল্লেখ্য নিউ পিপলস আর্মি-র দুইটি ফ্রন্ট। এর প্রকাশ্য রাজনৈতিক সংগঠন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট। অপর ফ্রন্ট নিউ পিপলস আর্মি আন্ডারগ্রাউন্ডে মাওবাদী ধারায় গেরিলাযুদ্ধ করে থাকে।
এক বিবৃতিতে কমিউনিস্ট পার্টি জানিয়েছে, ‘আমরা আশা করি অস্ত্রবিরতির ঘোষণা সরকারের পক্ষ থেকেও আসবে। যা শান্তি আলোচনার প্রতি সরকারের আস্থাকে নির্দেশ করবে।’ সেখানে আরও বলা হয়, ‘শান্তি আলোচনা আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য পার্টি এবং তার সশস্ত্র ইউনিট (নিউ পিপল’স আর্মি) দীর্ঘমেয়াদী অস্ত্রবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে।’ পার্টির প্রকাশ্য সংগঠন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট জানিয়েছে, তারা শান্তি আলোচনার জন্য তৈরি।
এর আগে প্রেসিডেন্ট দুয়ার্তে ২৫ জুলাই মাওবাদীদের প্রতি অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করেন। তবে তা টিকেছিল মাত্র পাঁচ দিন। মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে সরকারি বাহিনীর এক কর্মকর্তা নিহত হলে ওই অস্ত্রবিরতি ভেঙে পড়ে। এবার সরকারের পক্ষ থেকে নতুন অস্ত্র বিরতির ঘোষণা দিয়ে শান্তি আলোচনায় অংশ নেওয়া পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা জেস দুরেজা বলেন, ‘এই ভূখণ্ডে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যা দরকার, তা-ই করা হচ্ছে। বন্দুকের মুখ বন্ধ করে আমরা নিজেদের মধ্যকার দূরত্ব কমিয়ে আনতে পারবো।’

এর আগে শুক্রবার দুয়ার্তে দুই জ্যেষ্ঠ কমিউনিস্ট নেতাকে মুক্তি দেন। তারা শান্তি আলোচনার জন্য নরওয়ের অসলোর জন্য যাত্রা শুরু করেছেন।

ফিলিপাইনে ১৯৬৯ সাল থেকে সশস্ত্র কমিউনিস্টদের সঙ্গে সরকারের চলমান বিরোধের বলি হয়েছেন অন্তত ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। ৩০ বছর ধরে চলছে আলোচনা। কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি।

সর্বশেষ ২০১২ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট বেনিগনো অ্যাকিনোর সঙ্গে শান্তি আলোচনা ভেঙে পড়ে। ধারণা করা হয়, এখন প্রায় চার হাজার সশস্ত্র যোদ্ধা রয়েছে মাওবাদীদের।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, আল-জাজিরা।


রিপোর্টঃ বিশ্বের সবচাইতে দ্রুততম ও সফল গেরিলা অপারেশনটি মাওবাদীদের

maxresdefault

অনূদিতঃ

বিশ্বের সবচাইতে দ্রুততম ও সফল গেরিলা অপারেশনটি ফিলিপাইনের মাওবাদীদের ।  ফিলিপাইনের কমিউনিস্ট পার্টির(CPP) সশস্ত্র শাখা নিউ পিপলস আর্মির(NPA) মাওবাদী দশজন গেরিলা ২০০৮ সালের ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে ফিলিপাইনের কুইজন প্রাদেশিক কারাগারে প্রবেশ করে।   এসময় তারা ফিলিপাইন ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির পোশাক পরা ছিল।  কুইজন কারাগারের কর্মকর্তারা গেরিলাদের ছদ্মবেশি ফাঁদে পা দেয়।  গেরিলারা ভেতরে ঢুকেই কারারক্ষীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে।  ঘটনার আকস্মিকতায় বোকা বনে যাওয়া ২৪জন কারারক্ষী ও প্রহরীরা কোনো প্রকার বাঁধা না দিয়েই আত্মসমর্পন করে। বাকি ২৬জন কারারক্ষী ও ডেপুটি প্রহরী তখন ম্যানিলায় একটি সেমিনারে অংশগ্রহণ করছিল।  স্বশস্ত্র নিউ পিউপলস আর্মি গেলিরারা কারারক্ষী ও প্রহরীদের একটি সেলে বন্ধী করে রাখে।  এরপর তারা কারাগারের বিভিন্ন অংশ থেকে তাদের ৭জন নেতাকে খুঁজে বের করে যারা এই কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা ভোগ করছিল। এরপর আগে থেকেই প্রস্তুত চারটি ভ্যানে গেলিরারা তাদের নেতাদের নিয়ে পালিয়ে যায়।

নিউ পিপলস আর্মির এই অপারেশনটি মাত্র ১৫মিনিট স্থায়ী হয়েছিল।  এই অপারেশনে কোনো গুলিবর্ষন ও রক্তপাত হয়নি।  কারাগার থেকে মাওবাদী বন্দী উদ্ধার করা অপারেশন এর থেকে দ্রুত গতিতে ও সার্থক ভাবে বিশ্বের কোন গেরিলা দল আগে করতে পারেনি।

১৯৬০ দশকে ফিলিপাইনসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের তরুণ ও ছাত্রদের মধ্যে জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেমের একটি জোয়ার দেখা যায়।  ওই রেঁনেসা বা জোয়ারের অংশ হিসেবে নিউ পিপলস আর্মি ১৯৬৯ সালের মার্চ মাসে গঠিত হয় যাদের উদ্দেশ্য ছিল মাওবাদী গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে সেই সময়ের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস শাসিত সরকারের পতন ঘটানো ও দেশে কমিউনিজম প্রতিষ্ঠা করা।  মার্কসবাদী আদর্শ ও মাওবাদী লাইন নিয়ে এই গ্রুপটি গঠন করা হয়।  ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত চীনের সরকার নিউ পিপলস আর্মিদের বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা দিয়েছিল।  এই সময়ে দলটি প্রচুর গেরিলা নিবন্ধন করে এবং বেশ কিছু বড় অপারেশন পরিচালনা করে।  কিন্তু ১৯৭৬ সালে চীন সরকার তাদের সব ধরণের সাহায্য-সহযোগিতা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।  চীনের সমর্থন হারানোর পর নিউ পিপলস আর্মি বেশ খারাপ কয়েকটি বছর অতিক্রম করে। ১৯৮০ সালের মাঝামাঝিতে নিউ পিপলস আর্মির নেতারা পশ্চিমা কমিউনিস্ট পার্টি বিশেষ করে কানাডা, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডের কাছ থেকে সাহায্য-সহযোগিতা পাওয়ার নতুন উৎস তৈরি করে।  একই সময়ে তারা ফিলিপাইনের ধনীব্যক্তি ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ‘বিপ্লবী কর’ হিসেবে টাকা-পয়সা সংগ্রহ করতে শুরু করে।

নিউ পিপলস আর্মি তাদের অপারেশনে এম-১৬, এম-১৪, এম১ গারান্ডস, কার্বিনেস ও স্প্রিংফিল্ড রাইফেল, সি৪ এক্সপ্লোসিভ, বি৪০ এন্টি ট্যাংক রকেট এবং হাতে তৈরি গ্রেনেড ব্যবহার করে।

যদিও নিউ পিপলস আর্মিরা প্রাথমিকভাবে একটি গ্রাম্যভিত্তিক গেরিলা দল, কিন্তু তারা শহুরে অবকাঠামোর মধ্যেও কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে।  ১৯৮৫ সালে তারা শহর ভিত্তিক গেরিলা স্কোয়াড তৈরি করে।  নিরাপত্তা বাহিনী, রাজনীতিবিদ, বিচারক, সরকারি কর্মকর্তা ও অভিযুক্ত অপরাধীদের টার্গেট করা হয়।  নিউ পিপলস আর্মি মাওবাদী আদর্শের অনুসারী হওয়ায় শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ছিল তাদের অবস্থান। তাই ফিলিপাইনে যুক্তরাষ্ট্রের খবরদারির বিরুদ্ধে তারা অবস্থান নেয় এবং আমেরিকার সামরিক ব্যক্তিদের তাদের প্রধান টার্গেট হিসেবে নেয়।  এক সময় তারা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহীনির মেজর জেমস রোকে গুলি করে হত্যা করে যিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর ‘সার্ভাইভাল, এভাসন, রেসিস্ট্যান্ট ও এস্কেপ স্কোয়াড প্রতিষ্ঠাতা।  ২০০২ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র ও ২০০৫ সালের নভেম্বরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন মাওবাদীদের বৈদেশিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে।

বর্তমানে নিউ পিপলস আর্মির প্রতিষ্ঠাতা হোসে মারিয়া সিসন সহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তরা আত্মগোপনে থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করেন।  এখন তাদের কার্যক্রম ফিলিপাইনের ৬০টি প্রদেশে রয়েছে।

 

সূত্রঃ https://page11.wordpress.com/2014/07/09/the-story-of-new-peoples-army/


যুদ্ধবন্দী ৫ পুলিশ অফিসারকে মুক্তি দিলেন ফিলিপাইনের মাওবাদী গেরিলারা (ভিডিওসহ)

যুদ্ধবন্দীদের মুক্তি অনুষ্ঠান

যুদ্ধবন্দীদের মুক্তি অনুষ্ঠান

অনূদিতঃ

গত ২৫শে এপ্রিল ফিলিপিনের বারাঙ্গায় লিমিয়াদ এ একটি জনাকীর্ণ ব্যায়ামাগারে ফিলিপিনের মাওবাদী NPA-নিউ পিপলস আর্মি’র সদস্যরা গত ১৬ই এপ্রিল তাদের হাতে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা আটক হওয়ার পর হেফাজতে থাকা যুদ্ধবন্দী এই ৫ পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মেয়র রডরিগো দুতেরতে’র কাছে হস্তান্তর করেছে।  এসময় মাওবাদীদের ১ম পুলাং বাগানি ব্যাটেলিয়ন যুদ্ধবন্দীদের প্রহরারত ছিল।

মাওবাদী NPA এর কম্যান্ডার কা ইয়াঞ্চ্য বলেন, পাঁচ পুলিশকে তাদের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতির অংশ হিসেবে আটক করা হয়েছে।  “সামরিক, আধা-সামরিক বা পুলিশ, যারা আমাদের এলাকায় প্রবেশ করবে তারা সবাই ধরা পড়বে ও জনগণের আদালতে তাদের বিচার করা হবে” বলে জানান কা ইয়াঞ্চ্য।

এসময় যুদ্ধবন্দী পুলিশ কর্মকর্তা আলী জুনিয়র বলেন যে, “তার জন্যে শুয়োরের মাংস ছাড়া খাবার প্রস্তুত করে তাকে সম্মানিত করায় তিনি মাওবাদীদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞ।”

আরেক যুদ্ধবন্দী পুলিশ প্রধান তারঙ্গয় বলেন, “মাওবাদীরা আমাদের সাথে যা করেছেন, তা আমাদের কাছে অপ্রত্যাশিত, যা আমাদের পুলিশ ইউনিটে হয় না, মাওবাদীরা আমাদের সাথে ভাল ব্যবহার করেছেন, খাবার দিয়েছেন, শোবার জায়গা দিয়েছেন, চিকিৎসা করিয়েছেন, এমনকি যে সব পুলিশ সদস্যরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের ঔষধ দিয়েছেন, তারা খুবই শৃঙ্খলাবদ্ধ, আমরা খুব উঁচু সম্মান পেয়েছি তাদের কাছ থেকে, বুঝেছি এটা তাদের মানবাধিকার বোধ থেকেই আসে।  আমাদের বন্দী করার পর প্রথমেই খাবার দেয়া হয়েছিল, এক পর্যায়ে অনুভব করতে পারি যে আমরা নিজেরা তাদের উপর বোঝা হয়ে পরেছি।  তাদের ধন্যবাদ জানাই “।

উপস্থিত মেয়র দুতেরতে ও যাজক জেইমি যুদ্ধবন্দীদের সুশৃঙ্খল মুক্তি বাস্তবায়নে মাওবাদী এনপিএ-র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সূত্রঃ  http://davaotoday.com/main/politics/duterte-receives-npas-prisoners-of-war/


ফিলিপিনে মার্কিন সামরিক স্থাপনাগুলোকে টার্গেট করেছে মাওবাদীরা

y101predicts_042611main

অনুদিতঃ  খুব শীঘ্রই ফিলিপিনের অন্তত পাঁচটি অবস্থানে গড়ে উঠবে এমন মার্কিন সামরিক ঘাঁটির বিরুদ্ধে কৌশলী অভিযান পরিচালনা করতে ফিলিপাইনের কমিউনিস্ট পার্টি(CPP), তার সশস্ত্র শাখা নিউ পিপলস আর্মি(NPA)কে নির্দেশ দিয়েছে।

৪ঠা এপ্রিল ২০১৬তে দেয়া এক বিবৃতিতে CPP জানায়, “বালিকাতানে শুরু হওয়া ফিলিপিন-মার্কিন যৌথ সামরিক মহড়ায় ৫০০০ মার্কিন সৈন্য, যুদ্ধের যানবাহন ও যন্ত্রপাতির প্রবেশ ও ব্যবহার হয়েছে। মহড়াটি ১৫ই এপ্রিল শেষ হয়। মার্কিন-ফিলিপিন প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি (Edca) এর আওতায় এ সব সেনা ফিলিপাইনে মোতায়েন করবে আমেরিকা। পাম্পাঙ্গা’র সাবেক ক্লারক বিমান ঘাঁটিতে এ সব সেনা অবস্থান করবে। মাওবাদীরা এই অঞ্চলে সকল মার্কিন কার্যকলাপ ও সামরিক অবস্থান ও তাদের দেশীয় বিশ্বাসঘাতক বাহিনীর বিরোধিতা করবে এবং এর বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেবে।”

গত ২৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম ফিলিপাইনে সেনা মোতায়েন করতে চলেছে আমেরিকা। ওয়াশিংটনের ফিলিপাইনের দূতাবাস মার্কিন সেনা মোতায়েন সংক্রান্ত এ ঘোষণা দিয়েছে।ভবিষ্যতে আরো কয়েকটি ঘাঁটির বিষয়ে চুক্তি হতে পারে। ফিলিপাইন আসার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশ কার্টার এমন আভাস দেন।কার্টার ঘোষণা করেন, ফিলিপাইনে শত শত মার্কিন সেনা এবং পাঁচটি রণতরী মোতায়েন করা হবে । ১১ দিনের এই মহড়ায় ৫হাজার মার্কিন এবং ৪ হাজার ফিলিপিন সেনা অংশগ্রহণ করেছে। এ ছাড়া, অস্ট্রেলিয়ারও ৮০ সেনা এ মহড়ায় অংশ নিয়েছে।

এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফিলিপাইনের যৌথ সামরিক মহড়ার প্রতিবাদে রাজধানী ম্যানিলায় বিক্ষোভ করেছে দেশটির ছাত্ররা। ফিলিপাইনের ভূখণ্ডে মার্কিন সেনাদের অবস্থান ও যৌথ মহড়ায় অংশ নেয়ার বিরুদ্ধে ছাত্ররা নিন্দা জানিয়েছে এবং একে তারা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছে।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কথিত কৌশলগত ভারসাম্য পুন প্রতিষ্ঠার অজুহাতে ফিলিপাইনে সেনা পাঠানোর এই পরিকল্পনা নিয়েছে আমেরিকা। এর আগে, একই পরিকল্পনার আওতায় অস্ট্রেলিয়া এবং সিঙ্গাপুরেও মার্কিন সেনা মোতায়েনের কাজে এগিয়ে চলেছে। মার্কিন সাবেক উপনিবেশ ফিলিপাইনে অতীতে আমেরিকার কয়েকটি ঘাটি ছিল। এ সব ঘাটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘাটিগুলোর অন্যতম হিসেবে গণ্য করা হতো।

সূত্রঃ bulatlat


‘যুদ্ধবন্দীদের বিষয়ে আলোচনার পথ খোলা’ – ফিলিপিনের মাওবাদী NDFP

comval46-7

ফিলিপিন কমিউনিস্ট পার্টির রাজনৈতিক শাখা ফিলিপাইন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (NDFP) গত ১২ই এপ্রিল, মঙ্গলবার, ঘোষণা দিয়েছে যে মাওবাদী নিউ পিপলস আর্মি (NPA) এর হেফাজতে থাকা পুলিশ ও সৈন্যদের মুক্তির জন্য তারা আলোচনার পথ খোলা রাখবে।
গত ৩রা এপ্রিল, মিন্দানাওয়ের ৭টি অঞ্চলে চেকপয়েন্ট বসিয়ে মাওবাদী NPA’র সদস্যরা তিন পুলিশ কর্মকর্তা ও দুই সৈন্যকে যুদ্ধবন্দী হিসেবে নিজেদের হেফাজতে নেয়।

বন্দীদের চূড়ান্ত মুক্তির জন্যে নিরাপত্তা সম্পন্ন অঞ্চলেই আলোচনা হতে হবে,-  NDFP-মিন্দানাও মুখপাত্র সেজার রেনেরিও,  এক বিবৃতিতে এ খবর জানায়।

সেজার রেনেরিও বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের হেফাজতে থাকা বন্দীদের একটি ভিডিও বার্তা তাদের প্রিয়জনদের জন্য প্রকাশ করবে বলে পরিবারকে আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন,  তাদের পরিবারদের দেশে “গৃহযুদ্ধের বাস্তবতা” বুঝতে হবে। কারণ তারা শাসক শ্রেণীর সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য বলেই তাদের বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হয়।

সশস্ত্র বাহিনী, প্রতিক্রিয়াশীল আইন এবং আদালত ও কারাগার ব্যবহার করে শাসকশ্রেণী আধিপত্য চালাচ্ছে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, “তা সত্ত্বেও বিপ্লবী আন্দোলন বন্দীদের ‘নিপীড়িত অংশ’ হিসাবেই মূল্যায়ন করে”। কিন্তু যুদ্ধের কারণে, বন্দীদের আপনাদের(পরিবার) কাছে মুক্তি দেয়ার আগে কিছু বিপ্লবী নীতি আছে যা আমরা পালন করে থাকি। আশা করি আপনারা তা বুঝবেন। যদি বন্দীরা জনগণের বিরুদ্ধে কোন গুরুতর অপরাধ না করে থাকে, তবে দীর্ঘ সময় ধরে তাদের আটকে রাখার কোন প্রয়োজন নেই। তবে, বন্দীদের মুক্তির জন্য একটি অনুকূল অবস্থা থাকা উচিত এবং সরকারী বাহিনীর উপরই তা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

অনুবাদ সূত্রঃ davaotoday


‘আমরা বৃহৎ আর শক্তিশালী হচ্ছি’ -ফিলিপিনের মাওবাদী আর্মি(NPA)’র একটি রিপোর্ট

NPA1

(অনূদিত)

ফিলিপিন কমিউনিস্ট পার্টি(CPP)’র সশস্ত্র শাখা নিউ পিপলস আর্মি(NPA) এর উত্তর পূর্ব মিন্দানাও অঞ্চল শাখা দলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করতে গিয়ে তাদের অর্জন সম্পর্কে বলেন ‘আমরা বড় আর শক্তিশালী হচ্ছি’।

ফিলিপিন কমিউনিস্ট পার্টি(CPP)’র উত্তর পূর্ব মিন্দানাও অঞ্চল শাখার মুখপাত্র ‘কা নরসেন মাংগুবাট’ বলেন, – গত ৪৭ বছর ধরে গ্রামাঞ্চলে জনগণতান্ত্রিক সরকার গঠন ও সংরক্ষণের জন্য NPA’র বিপ্লবী গণ সংগঠন গ্রামাঞ্চলে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। মাংগুবাট’ বলেন, সরকারের প্রতিবিপ্লবী অভিযান এবং অপারেশন NPAকে দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে। “একাগ্রতা, বিচ্ছুরণ আর দিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আমরা সঠিকভাবে মৌলিক গেরিলা কৌশল কব্জা করেছি। এখন বেশ কয়েক বছরে, আমাদের রেড আর্মি যুদ্ধবিগ্রহের মাধ্যমে যুদ্ধবিগ্রহ শিখেছে, জনগনের নিরংকুশ সমর্থন অর্জন করেছেন এবং এইভাবে ছোট এবং দুর্বল থেকে বৃহৎ ও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।

মাংগুবাট বলেন, কৃষি-নির্ভর বিপ্লবে জমি মালিকানার একাধিপত্য নিরাবরণ করতে এবং সামন্তবাদী, আধা-সামন্তবাদী শোষণ থেকে কৃষক ও Lumad(ফিলিপিনের দক্ষিণ অঞ্চলের আদিবাসী) জনগণকে মুক্তিদান, বহুজাতিক আবাদের বিরুদ্ধে এবং সামরিকীকরণ প্রতিরোধী করতে বিপ্লবী সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়কে চলুন আমরা উদযাপন করি।

NPA বলছে, গণভিত্তি ৮.৫% হারে বৃদ্ধি হয়েছে।

মাংগুবাট দাবি করেন যে, তারা ৫৬ পর্বের “সামন্তবাদ বিরোধী সংগ্রাম”  শুরু করেছেন, যার বেশিরভাগই ব্যারিওসের ইন্টার-ক্লাস্টারের মধ্যে পাওয়া যায়।  চাল ও ভুট্টা মিলের বেতন কমিয়ে আনা, তাদের খামার পণ্যের দাম উত্থাপন, পানযোগ্য পানির ব্যবস্থা অর্জন, খামার শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে কমপক্ষে ১,৫০,০০০ কৃষক ও তাদের পরিবারের উপকৃত হয়েছে।

তবে লক্ষনীয় যে, মানুষের কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান সমর্থন সত্ত্বেও, কৃষকরা এখনও বেশ “অরাজক” সমস্যার ভুগছেন, যেমন ভূমিহীনতা, নিজ সম্প্রদায় হতে কৃষকদের স্থানচ্যুতি এবং সাম্রাজ্যবাদী বীজের বিস্তার, পরিবেশ বান্ধব পোকামাকড় এবং ঐতিহ্যগত বীজের ক্ষতি করছে।

সদস্যদের মধ্যে দৃঢ়তা, রাইফেল, আক্রমণাত্মক অভিযান ও সদস্য পদ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাংগুবাট বলেন, তাদের দলে সার্বক্ষণিক গেরিলার সংখ্যা ১৯% ভাগ বেড়েছে,  নতুন প্লাটুনের সংখ্যা ২৯% ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রাইফেলের সংখ্যা ২৩%ভাগ বেড়েছে।” আমরা ১৩২ ধরণের বিভিন্ন সামরিক পদক্ষেপ চালু করেছি, এর মধ্যে শত্রুদের কাছ থেকে জব্দ করা ২টি K3 হালকা মেশিনগানসহ ৩৬ ধরণের আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। সমগ্র NPA’র সামরিক পদক্ষেপের মধ্যে শতকরা ২০%ভাগ গণমিলিশিয়ার অংশগ্রহণ থাকে। গণমিলিশিয়া’র পৌর এবং ক্লাস্টার কমান্ডের জন্য ৪টি গেরিলা ফ্রন্ট কমান্ড সম্মেলন শুরু করেছে।

NPA- ২০১৫ সালের মার্চ থেকে বর্তমান পর্যন্ত শহীদ ২জন  NPA কমান্ডার, ২জন গণমিলিশিয়া সদস্যসহ ও ১১ জন বিপ্লবী শহীদ ও বীরদের প্রতি জানাচ্ছে শ্রদ্ধাঞ্জলি।
(সংক্ষেপিত)

Cpp-npa

বিস্তারিত

This was how the North Central Mindanao Region of the Communist Party of the Philippines – New People’s Army described their gains as they celebrate their 47th founding anniversary.

For 47 years, the NPA has served as the leading revolutionary mass organization in the countryside tasked to building and preserving the people’s democratic government in the countryside, according to Ka Norsen Manggubat, spokesperson of CPP in North Central Mindanao Region.

Manggubat said the government’s counter-revolutionary campaigns and operations have failed to crush the NPA.

“We have correctly grasped the basic guerrilla tactics of concentration, dispersal and shifting. For several years now, our Red army learned warfare through warfare, earned the overwhelming support of the people and thus, grew from being small and weak to become large and strong.”

“Let us celebrate the victories we have earned in advancing the revolutionary armed struggle, in agrarian revolution to dismantle the monopoly of land ownership and in liberating the peasant and Lumad masses from feudal and semi-feudal exploitation, in the struggle against multinational plantations and in resisting militarization,” Manggubat said.

NPA says mass base gained by 8.5%

Manggubat claimed that they have launched 56 episodes of “anti-feudal struggles” wherein majority of these are found in inter-cluster of barrios.

“More than 150,000 peasants and their families have benefited from the increase of wages of the farm-workers, in bringing down the pay of rice and corn mills, in raising the prices of their farm produce, in attaining potable drinking water, in resisting the health-hazard operations of mechanical dryers and in raising the share of rice field maintainers.”

He, however, noted that despite the increasing support from the people, peasants are still suffering from several “unsettled” problems such as landlessness, displacement of peasants from their communities, and proliferation of imperialist seeds damaging environment-friendly insects and traditional seeds.

‘Steady increase in members, rifles, offensive operations’

In terms of its members, Manggubat said that their group has achieved “19 % increase in the number of full-time guerillas, 29% increase in the number of new platoons and 23% increase in high-powered rifles.”

“We have launched 132 different types of military actions in which 36 assorted firearms were seized, including two K3 light-machine guns,” Manggubat noted. “The people’s militias have maintained 20% share in the total NPA military actions. The four guerrilla fronts have launched command conferences for the municipal and cluster commands of the people’s militias.”

NPA honors revolutionary martyrs, heroes

Manggubat said that NPA gave a tribute to honor the 11 revolutionary martyrs and heroes since March 2015 up to this date, including two NPA commanders and two members of the people’s militia.

He urged the members of the NPA to “persist in accumulating victories and sustain the advance of the armed struggle and fulfil the requisites of the strategic stalemate.”

NPA calls for ‘socialist revolution’

With the upcoming elections, Manggubat has called for a “socialist revolution” to end the problems of the country.

“With the upcoming reactionary elections in May 2016, the masses must not be swayed in their focus to revolution. No presidential candidate can resolve the three basic problems of the Philippines. The real solution is to end the semi-feudal and semi-colonial system and replace it with the genuine people’s democratic government which would proceed to the next stage of socialist revolution,” he stressed.

He added: “We must prepare for the counter-revolutionary plot of the succeeding regime which will impede the continuous advance of the national-democratic revolution.”

অনুবাদ সূত্রঃ davaotoday.com


ফিলিপিনের কমিউনিস্ট পার্টি’র শহীদ মুখপাত্র ‘কা রজার’ লাল সালাম

tumblr_lsu93uUSE01qesnz6o1_1280-1-791x1024

ফিলিপাইন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (NDFP), নিউ পিপলস আর্মি (এনপিএ) এর ৪৭তম বার্ষিকীতে কমরেড ‘কা রজার’ এর প্রতি আবারো সর্বোচ্চ সন্মান জানিয়েছে।

কা রজার ছিলেন এনপিএ’র একজন দৃষ্টান্তমূলক কমান্ডার ও ফিলিপাইনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র। ফিলিপিনে ৪৭ বছর ব্যাপী মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ, সামন্তবাদ ও আমলা পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে বিপ্লবী সশস্ত্র সংগ্রামে ও ফিলিপিনের জনগণের প্রতি তিনি অকৃত্রিম সেবা করে গেছেন। তার নেতৃত্বে এনপিএ, প্রতিক্রিয়াশীল শাসকগোষ্ঠীর সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অনেক কৌশলী অভিযান পরিচালনা করেছিল। বহু বছর ধরে মার্কোস স্বৈরতন্ত্রের সময় থেকে কা রজার বিপ্লবী আন্দোলনের প্রাণবন্ত মুখ হিসেবে ফিলিপিন জনগণের ভালোবাসার ও পছন্দের পাত্র ছিলেন। তিনি একজন চমৎকার যোগাযোগ বিনিময়কারী ছিলেন,  জনগণের আন্দোলনের লাইনকে সবচেয়ে কার্যকরভাবে সম্প্রচার, বিভিন্ন বিষয়, এমনকি সবচেয়ে কঠিন কিছুকে সহজ ব্যাখ্যা এবং খুব বোধগম্য ভাবে জনগণের কাছে উপস্থাপন করতেন। শ্রমজীবি জনগণের কাছ থেকে আসা তাদের অবস্থা, জীবন ও সংগ্রামের গভীরতম অনুভূতি ও আকাঙ্ক্ষা তিনি সহজেই বুঝতে পারতেন। গণমাধ্যম কর্মীদের কাছেও তিনি বেশ প্রিয় ছিলেন। তারাও ভালোবেসে তার সাক্ষাৎকার নিতেন।

তার স্মৃতি এবং অনুপ্রেরণা সমগ্র জনগণের মধ্যে বেঁচে থাকবে। প্রকৃত ভূমি সংস্কার এবং জাতীয় শিল্পায়ন, মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য এবং শুধু মাত্র দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য তাঁর অবিরাম সংগ্রামের জীবন ও সেবা জনগণের হৃদয়ে আঁকা থাকবে।

কমরেড ‘কা রজার‘ এর প্রতি রইল ‘লাল সংবাদ‘ এর লাল সালাম।।

(অনূদিত)


ফিলিপিনে মাওবাদী NPA’র রাজনৈতিক প্রশিক্ষক গ্রেফতার

pr5

ফিলিপিনের সেনাবাহিনী এক রিপোর্টে জানাচ্ছে, তারা ১৬ই মার্চ বুধবার মাওবাদী New People’s Army এর একজন রাজনৈতিক প্রশিক্ষককে দাভাও’য়ের লুপন শহর থেকে গ্রেফতার করেছে। সেনাবাহিনী বলছে, অভিযুক্ত অ্যালান মন্তেকাল্ভো ওরফে এম-এম মাওবাদী New People’s Army’র “উপ-আঞ্চলিক কমিটি(SRC)২ এবং গেরিলা ফ্রন্ট ২৭ এর রাজনৈতিক প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছিলেন”।

New People’s Army’র এই সদস্যকে লুপন পৌর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে সেনাবাহিনী জানায়।

অনুবাদ সূত্রঃ davaotoday.com