বাংলাদেশঃ মহান মে দিবসে বামপন্থী ৪ সংগঠনের যৌথ কর্মসূচী
Posted: April 22, 2017 Filed under: ইভেন্ট, লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা Leave a commentগুলশানের বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ‘নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা’
Posted: July 8, 2016 Filed under: অন্যান্য, লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা Leave a commentনয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা
মোবাইল: ০১৯১৫২২১৯৮০
বিবৃতি
তারিখ: ০৩-০৭-’১৬
গুলশানে জঙ্গী-মৌলবাদীদের বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ
ধর্মীয় মৌলবাদের স্রষ্টা সাম্রাজ্যবাদ, পৃষ্ঠপোষক দালাল শাসকশ্রেণি, রাষ্ট্রযন্ত্র ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন
১ জুলাই’১৬ রাত ৮-৩০ মিঃ এ একদল মৌলবাদী জঙ্গী অস্ত্র-গোলাবরুদসহ গুলশানের একটি অভিজাত রেস্তোরায় ঢুকে দেশি-বিদেশী বেশ কিছু নারী-পুরুষকে জিম্মি করে। তারা রাতভর দেশি-বিদেশী ২০ জনকে জবাই করে হত্যা করে। পত্রিকায় প্রকাশ অস্ত্রধারীরা জঙ্গী নেতা সাইফুল্লাহ’র মুক্তি এবং হামলাকারী জঙ্গীরা নিরাপদে বের হয়ে যাওয়ার দাবী করেছিল। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখন অস্বীকার করছেন জঙ্গীরা কোন শর্ত দেয়নি। র্যাব-এর মহা পরিচালক বেনজির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে কিছু করা যায় কিনা চেষ্টা করছি। কারণ প্রতিটি জীবন আমাদের কাছে মহামূল্যবান। কিন্তু শান্তিপূর্ণ উপায়ে তারা কি কি চেষ্টা করেছে তার কোন তথ্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করেনি। বরং পুলিশ-প্রশাসন থেকে সাংবাদিকদের শাসিয়েছে এই বলে যে,তারা যেন ঘটনাস্থল থেকে দূরে অবস্থান করে এবং ঘটনার সরাসরি সম্প্রচার না করেন। তা না হলে তাদেরকে জিম্মি উদ্ধার কাজে বাধাদানকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। শেষে দেখা গেল সমস্ত বিভাগের ফোর্স যৌথ অভিযান চালিয়ে ২০ জনের প্রাণের বিনিময়ে ৬ জঙ্গীকে হত্যা করে ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। বিগত কয়েক বছর যাবত ধর্মীয় মৌলবাদী জঙ্গী গোষ্ঠী প্রগতিশীল লেখক, প্রকাশক এবং মুক্ত মনা ব্লগারদের হত্যা করছে একের পর এক। আওয়ামী মন্ত্রীরা এমনকি প্রধানমন্ত্রী এর জন্য প্রগতিশীল লেখক-প্রকাশক এবং মুক্তমনা ব্লগারদের ধর্মের অবমাননাকারী বলে বিরোধীতা করে জঙ্গী মৌলবাদীদের পক্ষ নিয়েছে। তার পর একে একে বিদেশী, ধর্মযাজক, পুরোহিত, শিয়াদের উপর হামলা ও হত্যার ঘটনা যখন ঘটে চলেছে এবং প্রতিটি ঘটনায় আইএস তার দায়িত্ব শিকার করেছে ও করছে। তখনও মন্ত্রীরা তারস্বরে বলছে দেশে কোন আইএস নেই এবং এর দায়ভার তাদের প্রতিপক্ষ বিএনপি-জামাতের উপর চাপিয়ে মূলত মৌলবাদী জঙ্গীদেরই রক্ষা করেছে ও বিকশিত হতে দিয়েছে। সম্প্রতি সপ্তাহব্যাপী সরকারী অভিযানে জঙ্গী দমনের নামে যে ১৩ হাজার লোক গ্রেপ্তার করেছে যার অধিকাংশই বিএনপি-জামাত এর নেতা-কর্মী। গুলশান ঘটনার ক্ষেত্রেও সরকার একই বক্তব্যের পুনারাবৃত্তি করছে। সরকার বলছে এই হামলার সাথে আইএস’র সম্পর্ক নেই। তারা এটা বলে তাদের উপর মার্কিসসহ সাম্রাজ্যবাদের চাপ এড়াতে চাইছে এবং বিএনপি-জামাত’র কর্ম বলে দেখাতে চাইছে। সারা বিশ্ব জানে এই মৌলবাদী জঙ্গীদের সৃষ্টি ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে চলেছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ মৌলবাদকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন দেশে আগ্রাসন ও অনুপ্রবেশের ষড়যন্ত্র করে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করছে। দেশে জঙ্গীদের ধারাবাহিক হত্যাকান্ড এবং সর্বশেষে গুলশান হত্যাকান্ডের সাথে সাম্রাজ্যবাদ এবং দেশীয় শাসকশ্রেণির কোন গোষ্ঠীর যুক্ত থাকাটা অমূলক নয়। দালাল শাসকশ্রেণি ও সরকার দেশে এই মৌলবাদীদের জিইয়ে রাখছে তাদের শ্রেণিগত ও গোষ্ঠীগত স্বার্থেই। এদেশে জঙ্গী হামলায় মার্কিনের উদ্বিগ্নতা আজ দৃষ্টিগ্রাহ্য। গুলশান ঘটনায়ও মার্কিনসহ সাম্রাজ্যবাদীরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে যা আওয়ামী লীগের বিপক্ষে এবং বিএনপি’র পক্ষে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই, কিছু দিন যাবৎ আওয়ামী মন্ত্রীরা এবং প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন এই জঙ্গী হামলার পিছনে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র রয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী গুলশানের হত্যাকান্ডের পরও তার ভাষণে বলেছেন দেশী-বিদেশী একটি চক্র বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে বানচালের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকগণও বলছেন এই হামলাকে রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেখতে পারছি না। কিন্তু এই মৌলবাদী জঙ্গী তৎপরতা জিইয়ে রেখে বিএনপি-জামাতকে কোনঠাসা করার অপকৌশল আওয়ামী লীগের থাকলেও এখন তা তাদের জন্য বুমেরাং হয়ে দাঁড়িয়েছে। গুলশান হত্যাকান্ড তার প্রমাণ। আজ প্রধানমন্ত্রী যতই বলুক না কেন জঙ্গীদের তারা নির্মূল করবেন। কিন্তু তাদের পক্ষে তা সম্ভব নয়। কারণ ধর্মীয় মৌলবাদীরা বিচ্ছিন্ন কোন গোষ্ঠী নয়, এরা সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থার অংশ। এদের সৃষ্টিকারী ও পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ, দালাল শাসকশ্রেণি এবং আওয়ামী সরকার নিজে। তারা নিজ নিজ স্বার্থে মৌলবাদীদের ব্যবহার করে। গুলশানের হতাহতরা এদের এই ঘৃন্য রাজনীতির শিকার। আমরা এই বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সাথে মনে করি ধর্মীয় মৌলবাদের স্রষ্টা ও পৃষ্ঠপোষক সাম্রাজ্যবাদ, ভারতীয় সম্প্রসারণবাদ দালাল শাসকশ্রেণি, রাষ্ট্রযন্ত্র ও সরকার উচ্ছেদ ছাড়া ধর্মীয় মৌলবাদকে মোকাবেলা করা সম্ভব নয়।
বার্তা প্রেরক
বিপ্লব ভট্টাচার্য
সদস্য
নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা
নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা ও তার সদস্য সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে সারাদেশব্যাপী মে দিবস পালিত
Posted: May 3, 2016 Filed under: অন্যান্য, লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা, মে দিবস Leave a commentনয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা
জাতীয় কমিটি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
“নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা ও তার সদস্য সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে সারাদেশব্যাপী মে দিবস পালিত”
রাজশাহীঃ রাজশাহীর সাধুর মোড় থেকে পথসভা শেষে নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার ব্যানারে র্যালি শুরু হয়। র্যালিটি সাহেব বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিরো পয়েন্টে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে কমরেড খোকন এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি শামিম পারভেজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম সারোয়ার, কৃষক মুক্তি সংগ্রাম এর নেতা এমদাদ আলী মাষ্টার। সমাবশে বক্তারা মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরেন ও বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর চরিত্র যে ঐ হে মার্কেটের শ্রমিকদের উপর গুলি চালানো শাসকগোষ্ঠীরর থেকে ভিন্ন নয় তা তুলে ধরেন। তারা দেশের এই ফ্যাসিবাদী দূরাবস্থা থেকে উত্তরণ এর পথ হিসেবে নয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লবের বিপ্লবী পথকে নির্দেশ করেন।
সিরাজগঞ্জঃ সকাল নয়টায় সিরাজগঞ্জ শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একটি র্যালি হয়। র্যালি শেষে স্থানীয় একটি বাজারে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল চারটায় স্থানীয় বাহিরগোলা গুরের বাজারে মে দিবস উদযাপন কমিটির ব্যানারে আলোচনা সভা ও সফদার হাশ্মীর বিখ্যাত নাটক হত্যারে মঞ্চস্থ করা হয় বর্তমান প্রেক্ষাপটকে তুলে ধরে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটির আহবায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক এবং সভা পরিচালনা করেন গণমোর্চার নেতা কমরেড আব্দুল আলিম। সভায় আলোচনা করেন বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন এর জাতীয় কমিটির সহ-আহবাহক আহনাফ আতিফ অনিক, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের জাতীয় কমিটির সহ-আহবায়ক জাকি সুমন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের নেতা কমরেড বরকত উল্লাহ ও জাতীয় গণফ্রন্টের নেতা কমরেড হালিম।বক্তারা শ্রমিক-কৃষকের সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে এই মালিক শ্রেনীর সরকার ও রাষ্ট্রকে উচ্ছেদ করে জনগনের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে বেগবান করার আহবান জানান। আলোচনা সভা শেষে স্থানীয় ছেলেমেয়েরা সুকান্তের বিপ্লবী কবিতা আবৃত্তি করে ও এরপরেই হত্যারে নাটক মঞ্চস্থ করা হয়।
ফুলবাড়ি(দিনাজপুরঃ ফুলবাড়ি থানা কৃষক মুক্তি সংগ্রাম এর নেতৃত্বে স্থানীয় খয়েরবাড়ী হাট ও মাদিলা হাটে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন কৃষক মুক্তি সংগ্রাম এর নেতা আমিনুল হক, মোসলেম উদ্দিন ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। ময়মনসিংহঃবিপ্লবী শ্রমিক আন্দোলন এর নেতৃত্বে শহরের কাঠগোলা বাজারে আলোচনা সভা করা হয় এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে পথসভা করা হয়।
ঢাকাঃ মহান মে দিবস উপলক্ষে সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে ওসমানী উদ্যানে জমায়েত হয়ে বিপ্লবী শ্রমিক আন্দোলন, বিপ্লবী ছাত্র – যুব আন্দোলন এবং নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা’র ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।মিছিলটি গোলাপ শাহের মাজার, জিপিও, পল্টন মোড় হয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে বিপ্লবী শ্রমিক আন্দোলন এর ব্যানারে প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী শ্রমিক আন্দোলনের প্রাক্তন নেতা ও নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার বর্তমান সভাপতি জাফর হোসেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন বিপ্লবী ছাত্র – যুব আন্দোলনের আহবায়ক বিপ্লব ভট্টাচার্য্য। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শহীদ বিপ্লবী ও দেশপ্রেমিক স্মৃতিসংদের সভাপতি হাসান ফকরী, কমরেড ফয়সাল, তৌহিদুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, কমরেড জয়, নাসীমা নাজনীন, আব্দুর রাজ্জাক, জাকি সুমন প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন মে দিবস কোন উৎসব উদযাপনের দিন নয়, প্রতিবাদী দিবস। রক্ত দিয়ে পাওয়া এই দিবসের সত্যিকারের দাবি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। বক্তারা আর ও বলেন যে,মালিক শ্রমিক কখনো ঐক্য হতে পারেনা। উনারা সরকারি এই ভুয়া প্রচারণার তীব্র নিন্দা জানান। বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, শ্রমিকদের অধিকার বল প্রয়োগের মাধ্যমেই আদায় করতে হবে। এই ব্যবস্থা উচ্ছেদ করে সমাজতন্ত্র – কমিউনিজম প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবেই কেবল সত্যিকারের মুক্তি সম্ভব। শ্রমিক, কৃষক, মধ্যবিত্ত জনগণকে একতাবদ্ধ হয়ে সমাজ পরিবর্তনের বিপ্লবী রাজনীতিতে সজ্জিত হওয়ার আহবান জানিয়ে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
মহান মে দিবসে ‘নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার’ পোস্টার
Posted: April 29, 2016 Filed under: ছবির সংবাদ, লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা Leave a commentনয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার মে দিবসের পোস্টারিংয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা
Posted: April 28, 2016 Filed under: অন্যান্য, লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: আওয়ামী সন্ত্রাস, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা Leave a commentনয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা
জাতীয় কমিটি
বিবৃতি
“নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার মে দিবসের পোস্টারিং করার সময় আদাবরের কমরেডদের, আওয়ামী গুন্ডাদের বাঁধা দেয়ার ও পোস্টার ছিরে ফেলার এবং পোস্টার কেড়ে নেয়ার তীব্র নিন্দা জানাই!”
নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ, এক বিবৃতির মাধ্যমে আদাবর, ঢাকা শাখায় পোস্টারিং এর সময় আওয়ামী গুন্ডাদের পোস্টারিং এ বাঁধা দেয়ার তীব্র নিন্দা জানান। তারা বলেন, আজ ২৮-৪-২০১৬ সন্ধ্যায় যখন নয়া গনতান্ত্রিক গণমোর্চার আদাবর শাখার কমরেডরা মহান মে দিবসের পোস্টার তাদের শাখায় লাগাচ্ছিলেন তখন আদাবর ১৬ নাম্বার বাজারে আওয়ামী গুন্ডারা প্রথমে পোস্টার লাগানোতে বাঁধ প্রদান করে। এরপরে এক পর্যায়ে কমরেডদের হাত থেকে পোস্টার ও আঠা কেড়ে নেয় তারা। এসময় কমরেডদের তারা গালিগালাজ করে ও পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করে। আওয়ামী দালালেরা বলে, সরকার এত উন্নয়ন করছে তারপরও কেন তারা সরকারের বিরোধীতা করছে। আর যদি এখানে থেকে পোস্টার লাগানোর চেস্টা করা হয় তাহলে পুলিশে দেয়া হবে। এই বাধা প্রদান দেশে চলমান ফ্যাসীবাদী শাসকগোষ্ঠীর শ্রমিক শ্রেনীর তীব্র বিরোধীতাই প্রকাশ পায়।আর এই শাসকগোষ্ঠীরর ই তথাকথিত শ্রমিক সংগঠন গুলো আবার” ঢাকঢোল” পিটিয়ে মে দিবস” উদযাপন” করে। পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবসে যখন কিনা সারা বিশ্বের শ্রমিক শ্রেনী সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হয় তখন এই বাধা প্রদান আমাদের সংগ্রামকে আরো উচ্চতর পর্যায়ে বিকশিত করে।শাসকগোষ্ঠীর শ্রেনী চরিত্র আরো একবার স্পস্ট ভাবে বুঝে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার সময় এসে গেছে। এই সাম্রাজ্যবাদের দালাল দের উচ্ছেদ করে শ্রমিক শ্রেনীর কাংখিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।গড়ে তুলতে হবে এক নয়া গনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা।যেখানে শ্রমিক শ্রেনীর সকল অধিকার আদায় হবে।
বার্তা প্রেরক
তৌহিদুল ইসলাম
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
‘রাবি শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যার তীব্র নিন্দা জানাই’ – নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা
Posted: April 28, 2016 Filed under: অন্যান্য, লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা, রাবি Leave a commentবিবৃতি
নয়া গনতান্ত্রিক গণমোর্চা জাতীয় কমিটি
“রাবি শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যার তীব্র নিন্দা জানাই নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা।“
নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে রাবি শিক্ষক সহ সারা দেশ ব্যাপী চলমান হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন,রাবি শিক্ষক হত্যা ও তার পরে সংঘটিত হত্যাকান্ডই দেশের সামগ্রিক ভয়াবহ পরিস্থিতি তুলে ধরে! সারা দেশ ব্যাপী যখন একের পর এক হত্যাকান্ড সংঘটিত হচ্ছে তখন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, “এসব বিচ্ছিন্ন হত্যাকান্ড। এসবের কারনে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে না।”এই যখন রাষ্ট্র পক্ষের অবস্থান তখন আর বুঝতে বাকি থাকে না যে এই রাষ্ট্র নিজেই খুনির ভুমিকা পালন করছে।জনগনের নিরাপত্তা এরা দিতে পারে না।বরং জনগনকে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ঠেলে দেয়। এই কদিনেই অসংখ্য মানুষ খুন হয়েছে।এই খুনের কোন বিচার হবে না,এটা পরিষ্কার। কারন রাষ্ট্র প্রত্যক্ষভাবে খুনিদের মদদ দিচ্ছে।তাই জনগনের নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করা ছাড়া দ্বিতীয় কোন অপশন নেই।জীবন রক্ষা ও স্বাভাবিক মৃত্যুর জন্যই জনগনের গনতান্ত্রিক সংগ্রামকে বিপ্লবী গণক্ষমতা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে পরিণত করতে হবে।যা সম্প্রতি তনু হত্যা-ধর্ষন বিরোধী আন্দোলনে আবারো পরিস্কার হয়েছে। উল্লেখ্য, যবিপ্রবিতে চলমান ছাত্র আন্দোলন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান শিক্ষক হত্যার বিচারের দাবিতে চলমান আন্দোলন এবং বাঁশখালীতে পুনরায় আরম্ভ হওয়া আন্দোলনকে আমরা জোড়ালোভাবে সমর্থন জানাই।
বার্তা প্রেরক
তৌহিদুল ইসলাম
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
০১৯১৫২২১৯৮০
বাঁশখালীতে রাষ্ট্রীয় দমনের প্রতিবাদে ‘নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা’র বিবৃতি
Posted: April 5, 2016 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা 1 Commentনয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা
(New Democratic Peoples Forum)
জাতীয় কমিটি
বিবৃতি
“বাঁশখালীতে সংগ্রামী জনতার উপর পুলিশের গুলি, বর্তমান ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রের জনবিরোধী ও পুঁজিপতিদের সেবা করার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।”
“জনগণ আন্দোলন অব্যাহত রাখবে এবং বাধা অতিক্রম করে বিজয় অর্জন করবে।“
নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার জাতীয় নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে চট্টগ্রাম এর বাঁশখালীতে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ এর বিরুদ্ধে আন্দোলনরত সংগ্রামী জনতার উপর গুলি এবং ৪ জনকে গুলি করে হত্যা করার তীব্র প্রতিবাদ জানান।
তারা বলেন, এই সরকার ও তার খুনী বাহিনী জনতার উপর নির্মম ভাবে গুলি চালিয়েছে।আজ এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে, রাষ্ট্র যখন তখন যাকে খুশি তাকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে।চলমান ইউপি নির্বাচনেও একি অবস্থা দেখা গেছে। পুলিশ নির্বিচারে গুলি করে মানুষ মারছে। অর্থাৎ বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার জনগণ এর উপর ধারাবাহিক ভাবে অত্যাচার নির্যাতন করছে।
আজ যখন জনগন এস আলম কোম্পানী ও চাইনিজ কোম্পানীর কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধিতা করছে তখন পুলিশ তাদের উপর গুলি করছে। আসলে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র কার স্বার্থে?? যখন সাধারণ জনগন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র চাচ্ছেন না এবং তার প্রতিবাদে মিছিলে সমাবেশে গুলি চলছে তখন আর বুঝতে বাকি থাকে না যে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র কার স্বার্থে। এই রাষ্ট্র পুঁজিপতিদেরই স্বার্থ রক্ষা করে।তার জ্বলন্ত উদাহরণ এই সংগ্রামী জনতার উপর গুলিবর্ষণ।
এটা বন্ধ করার একমাত্র উপায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিবাদী এই রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে উচ্ছেদ করা।
আর সেই লক্ষ্যে বিপ্লবী বল প্রয়োগের গণ আন্দোলন গড়ে তোলা।আশা করি বাঁশখালীর সংগ্রামী জনতা পুলিশের ও রাষ্ট্র এর এই চরিত্র অনুধাবন করবেন ও সেই লক্ষ্যে নিজেরা সজ্জিত হয়ে আন্দোলন চলমান রাখবেন।
বার্তা প্রেরক
তৌহিদুল ইসলাম
মোবাইল:০১৯১৫২২১৯৮০
বাংলাদেশঃ সুন্দরবন রক্ষার জন্য ঢাকা থেকে সুন্দরবনে জাতীয় কমিটির জনযাত্রায় ‘নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা’ এর সংহতি মিছিল
Posted: March 10, 2016 Filed under: ছবির সংবাদ, লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা, বিদ্যুৎ, রামপাল Leave a commentবাংলাদেশঃ নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা জাতীয় কমিটির বিবৃতি
Posted: December 24, 2015 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: ‘ডানকান ব্রাদার্স, চা শ্রমিক, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা 1 Commentনয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা জাতীয় কমিটি বিবৃতি
‘ডানকান ব্রাদার্সের চা শ্রমিকদের আন্দোলনকে সমর্থন করুন,চা শ্রমিকদের আন্দোলনকে সামগ্রিক শোষণ মুক্তির লক্ষ্যে এগিয়ে নিতে প্রস্তুতি নিন।’
গত কয়েকদিন ধরেই চান্দপুর ডানকান ব্রাদার্সের চা শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করছেন।এই আন্দোলনের মূল কারণ খুব পরিষ্কার।তারা তাদের বাপ দাদার জমি অর্থাৎ তারা তাদের অস্তিত্বকে বিলীন করতে চান না। ১৮৯০ সাল থেকে যারা এই ৫১১ দশমিক ৮৩ একর জমিতে ফসল ফলিয়ে আসছেন,তাদের স্পেশাল ইকনোমিক জোনের নাম করে জমি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে।এটা একটি অগণতান্ত্রিক জুলুমবাজ সরকারের ‘সাধারণ’ সিদ্ধান্ত বটে।এই গণবিরোধী সরকার গত কয়েক বছর ধরে উন্নয়নের নামে যা শুরু করেছে এই চা বাগান থেকে জনগণকে উচ্ছেদ তার একটি নমুনা।এর আগে আমরা দেখেছি কয়লা খনি বানানোর নাম করে ফুলবাড়ির জনগণকে উচ্ছেদের চেষ্টা,যা এখনো চলমান।এছাড়াও রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম করে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করার যে উৎসবে মেতেছে এই ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র তাতে বাঁচার জন্য জনগণের জঙ্গি হয়ে ওঠার শর্ত সৃষ্টি করছে। আমরা এই স্পেশাল ইকনোমিক জোনের নাম করে জনগণকে তার জমি থেকে উচ্ছেদের তীব্র বিরোধিতা করি ও অবিলম্বে সেখান থেকে ফ্যাসিবাদী সরকারকে হাত গুটানোর দাবি জানাই। জনগণের প্রতি আহবান জানাই আন্দোলনকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার এবং এই আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিয়ে জনগণের সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে আন্দোলন গড়ে তোলায় অংশ নেয়ার আহবান জানাই।
বার্তা প্রেরক
বিপ্লব ভট্টাচার্য্য
বাংলাদেশঃ বামপন্থীদের মোদি বিরোধী বিক্ষোভ , আটক ৭
Posted: June 7, 2015 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: ইডেন কলেজ, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট Leave a commentভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে বামপন্থী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ সমাবেশ করতে গেলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। আগে থেকে ঘোষিত গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা এবং বামপন্থী চার সংগঠনের পৃথক এই বিক্ষোভ সমাবেশ দমনে শনিবার বিকেলে প্রায় দুই শতাধিক পুলিশ প্রেস ক্লাব, সেগুনবাগিচা ও তোপখানা এলাকায় অবস্থান নেয়।
সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা প্রেস ক্লাবের সামনে জমায়েত হতে গেলে অন্তত ৭ নেতাকর্মীকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন— বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্কসবাদী) নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, ঢাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নেত্রী প্রগতি বর্মণ তমা ও ইডেন কলেজ নেত্রী সীমা আফরোজ, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের নেতা আহমদ মহিউদ্দীন ও ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরের সহ সভাপতি দীপা মল্লিক এবং নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার আহ্বায়ক জাফর আহমেদ ও বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের নেতা জাকির সুমন।
তিস্তা নদীসহ অভিন্ন ৫৪ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়, রামপালের বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে শনিবার বিকেলে পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় সাতটি বাম দলের জোট গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা এবং জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা, জাতীয় গণফ্রন্ট ও জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমোর্চা।
দুটি জলকামান, একটি রায়ট ও বেশ কয়েকটি প্রিজন ভ্যান দুই শতাধিক পুলিশ প্রেস ক্লাব ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। বাম মোর্চার তোপখানা রোডের কার্যালয়ও ঘেরাও করে রেখেছে পুলিশ।
রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শিবলী নোমান বলেন, ‘বামদলগুলো ঝামেলা সৃষ্টি করছে। অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য সতর্ক অবস্থান নিয়েছি। মোদির সফর নিরাপদ করতে ও জানমালের নিরাপত্তায় আমরা সতর্ক আছি।’
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক এসআই শাহাবুল বলেন, ‘এখান থেকে সাতজনকে আটক করেছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘সরকারের পেটোয়াবাহিনী জনগণের কণ্ঠরোধ করতে চায়। আমরা প্রতিবাদ জানাতে চেয়েছি। কিন্তু পেটোয়া পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের আটক করে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’
সুত্রঃ http://www.thereport24.com/article/108919/index.html