র‌্যাবের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির ২ সদস্য নিহত

1496230903_01

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলায় র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির ২ সদস্য নিহত হয়েছেন।

এরা হলেন- উপজেলার বখশীপুর গ্রামের মাইদুল ইসলাম রানা (৪৫) ও বহরমপুরের আলিমুদ্দিন (৫৭)।

রানা পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা ও আলিমুদ্দিন তার সহযোগী ছিলেন বলে র‌্যাব-৬ এর ঝিনাইদহ কোম্পানি কমান্ডার মনির আহমেদ জানান।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে “উপজেলার কুশনা গ্রামের একটি মাঠে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির ১০ থেকে ১২ জন বসে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল বলে আমাদের কাছে খবর ছিল।

“র‌্যাবের একটি টহল দল রাত ১২টার দিকে সেখানে গেলে র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। র‌্যাবও পাল্টা গুলিকবর্ষণ করে। প্রায় ১০ মিনিট বন্দুকযুদ্ধ হয়।”

এরপর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে রানা ও আলিমুদ্দিনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

র‌্যাব কর্মকর্তা মনির বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুটি রাইফেল, একটি নাইন এম এম পিস্তল, ১৪টি গুলি, একটি হাঁসুয়া ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

সূত্রঃ bdnews24.com/samagrabangladesh/detail/home/1342546


রাজবাড়ীঃ কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি(এমএল-লাল পতাকা)-র আঞ্চলিক প্রধান নিহত

92a2b76f06343764ecbedd266682c140-59171d071e047

রাজবাড়ীতে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক প্রধান ও তার সহযোগী নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ মে) ভোরে জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের পদ্মার রাখাল গাছী চরে এ ঘটনা ঘটে। এসময় র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

নিহতরা হলেন— নিষিদ্ধ ঘোষিত পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল-লাল পতাকা) বাহিনীর আঞ্চলিক প্রধান পাবনা জেলার জালালপুর গ্রামের সফি মুন্সির ছেলে রাকিবুল হাসান বাপ্পি (৩০) ও তার সহযোগী রাজবাড়ী জেলা সদরের বরাট ইউনিয়নের গোপালবাড়ি গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার ছেলে লালন মোল্লা (৩৩)।

ঘটনাস্থল থেকে র‌্যাব সদস্যরা একটি টুটু রাইফেল, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি রাম দা, দুইটি ছোরা, দুইটি এলজি, পিস্তল ও রাইফেলের ৬০ রাউন্ড গুলি, দুইটি মোবাইল, দুইটি টর্চ লাইট, একাধিক লিফলেট, দুইটি ঘড়িসহ মাদকদ্রব্য ও পানীয় উদ্ধার করা হয়।

আহত র‌্যাব সদস্যরা হলেন— ল্যান্স কর্পোরাল হারুন-অর-রশীদ, পিসি সিরাজুল ইসলাম। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ক্যাম্পে ফিরে গেছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

ফরিদপুর র‌্যাব-৮-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব পদ্মার এই দুর্গম চরাঞ্চলে অভিযান চালায়। সেখানে নিষিদ্ধ লাল পতাকা বাহিনীর সদস্যরা মিটিং করছিল। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। দু’পক্ষের মধ্যে আধা ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলি হয়। এসময় র‌্যাব ১৩৭ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। পরে ঘটনাস্থলে দুই ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া যায়। অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়।

রাজবাড়ী জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (অপরাধ) সদর সার্কেল মো. আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মৃতদেহ দু’টির সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।

সূত্রঃ banglatribune


পাবনায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির(এমএল-লাল পতাকা) ২ সদস্য নিহত

%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%a5%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be-%e0%a6%89%e0%a6%aa%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a6%be

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল-লাল পতাকা) ২ সদস্য নিহত হয়েছেন।

গতকাল ২৮শে অক্টোবর  শুক্রবার ভোর রাত ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এরা হলেন- সাঁথিয়া উপজেলার মাদারবাড়িয়া গ্রামের আফসার আলীর ছেলে বিপ্লব ব্যাপারী ওরফে বিপলু (২৮) এবং একই উপজেলার পাইকশা গ্রামের মোতালেব হোসেন মিস্ত্রির ছেলে ময়েন উদ্দিন মদন (২৬) ।

র‌্যাবের ভাষ্য, নিহত দুজন নিষিদ্ধঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল-লাল পতাকা)  সদস্য ও পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাঁদের বিরুদ্ধে আতাইকুলা থানায় গয়েশবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাজাহান আলী মাস্টার হত্যাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কিছু গুলি উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-১২ পাবনার কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) বীণা রানী দাস জানান, আতাইকুলার গয়েশবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে কয়েকজন চরমপন্থী নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করছে বলে খবর পায় র‍্যাব। সেই সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযানে যায় র‌্যাব। উপস্থিতি টের পেয়ে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে চরমপন্থী সন্ত্রাসীরা। র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে পিছু হটে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে ঘটনাস্থলে দুজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়।

সূত্রঃ  ntvbd.com

 


সাতক্ষীরায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে ‘পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি’র নেতা নিহত


ভারতঃ গত ৩ বছরে ৫৪৩টি বন্দুকযুদ্ধে ১২৮জন নকশাল ও ১০০জন পুলিশ নিহত হয়েছে

naxals2

ছত্তিশগড় সরকার বলেছে, গত ৩ বছরে ৫৪৩টি বন্দুকযুদ্ধে ১২৮জন নকশাল ও ১০০জন পুলিশ নিহত হয়েছে। কংগ্রেস এমএলএ দীপক বাজি’র এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র বিভাগের দায়িত্ত্বে থাকা রাষ্ট্র পঞ্চায়েত মন্ত্রী অজয় চন্দ্রকর এর লিখিত জবাবে বলেন, “ছত্তিশগড়ের মাওবাদী অধ্যুষিত জেলাগুলোতে ২০১৩সাল থেকে জানুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত পুলিশ এবং নকশালদের ৫৪৩টি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে”, এই সময়টিতে বন্দুকযুদ্ধে ১২৮জন নকশাল ও ১০০জন পুলিশ নিহত হয়েছে। এছাড়াও উভয়পক্ষের গোলাগুলিতে ২১০জন পুলিশ ও ৮জন নকশাল আহত হয়েছে।

অনুবাদ সূত্রঃ business-standard.com


ভারতঃ ঝাড়খণ্ডে নারী গেরিলা সহ ৪ মাওবাদীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে

default

default-1

2016_2largeimg219_Feb_2016_111308010

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডে আজ সকালে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কথিত এক বন্দুকযুদ্ধের নামে এক নারী গেরিলাসহ ৪ মাওবাদী গেরিলাকে হত্যা করেছে।

শুক্রবার এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে ৪০ সদস্যের গেরিলাদের একটি দল পুলিশকে লক্ষ্য করে অতর্কিতে হামলা চালায়। রাজ্যের রাজধানী রাঁচির কাছে অবস্থিত তাইমারা ঘাঁটি উপত্যকা এলাকার একটি গ্রামে এ হামলা চালানো হয়। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র। উভয় পক্ষের মধ্যে এ সময় ৯ ঘণ্টা ধরে প্রচণ্ড বন্দুকযুদ্ধ চলে। শুক্রবার সকালে বন্দুকযুদ্ধ শেষ হয়। বন্দুকযুদ্ধের পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। রাঁচির পুলিশ প্রধান কুলদীপ দ্বিবেদী বলেন, ”অন্য বিদ্রোহীরা পালিয়ে গেছে। কিন্তু আমরা তাদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছি।” এই ঘটনায় আধাসামরিক বাহিনীর দুই সদস্যও আহত হয়েছে।

অনুবাদ সূত্রঃ

http://timesofindia.indiatimes.com/india/Four-Maoists-gunned-down-in-Jharkhand/articleshow/51049453.cms


ভারতঃ ছত্তিসগড়ে মাওবাদী-পুলিশ বন্দুকযুদ্ধ, নিহত ২

maoist1-655x360

রায়পুর: ছত্তিশগড়ের কোন্দানগাঁও অঞ্চলে মাওবাদীদের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধে  দুজন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ছয়জন। আহত মাওবাদীদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশি নিরাপত্তায় তাঁদের চিকিৎসা চলছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার অভিযান চালায় ছত্তিশগড়ের পুলিশ ও টাস্কফোর্স। কোন্দাগাঁও অঞ্চলে জঙ্গলের মধ্যে হঠাৎ মাওবাদীদের সঙ্গে পুলিশের মুখোমুখি হয়। সেই সময়ই বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যু হয় দুজনের। আহত হয় আরও ছয়জন।

সূত্রঃ http://newsr.in/n/India/7559xzszr/Two-Naxals-killed-in-Kondagaon-encounter.htm


বাংলাদেশের গণযুদ্ধের সংবাদ-

b9831

পাবনায় অস্ত্রসহ মাওবাদী আটক

গত ১০ই আগস্ট পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা থানার রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে অস্ত্রসহ ১২ মামলার ফেরারি মাওবাদী নেতা স্বপন হোসেন (৩২) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোর রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত স্বপন উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (এম এল লাল পতাকা) আঞ্চলিক নেতা বলে পুলিশ জানায়। আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোর রাতে সড়াডাঙ্গী বাজারে অভিযান চালিয়ে স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে দেশীয় তৈরি পাইপগান ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।

টাঙ্গাইলে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুক যুদ্ধে ‘মাওবাদী’ নিহত

টাঙ্গাইলে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্ধুকযুদ্ধে এক ‘মাওবাদী’ নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোরে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত মজিবর রহমান ওরফে শেখে (৪০) টাঙ্গাইল সদরের কাশিনগর গ্রামের মৃত সোনা মন্ডলের ছেলে। তিনি পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল লাল পতাকা) আঞ্চলিক নেতা বলে র‌্যাব জানিয়েছে। র‌্যাব-১২ সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, ভোর ৪টার দিকে সদর উপজেলার শ্যামার ঘাট এলাকায় দুই মাওবাদী গ্রুপের গোলাগুলির সংবাদ পেয়ে র‌্যার সদস্যরা সেখানে গেলে তারা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়লে শেখে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে দুপুরে সেখানে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয় বলেও তিনি জানান। শেখের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানাসহ বিভিন্ন থানায় তিনটি হত্যাসহ ৯টি মামলা রয়েছে, বলেন এই র‌্যাব কর্মকর্তা।

সূত্রঃ

http://www.sheershanewsbd.com/2015/08/11/92017

http://www.priyo.com/2015/Aug/21/163390-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E2%80%8C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87-%E2%80%98%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E2%80%99-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%A4


বাংলাদেশঃ কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে কমিউনিস্ট নেতা নিহত

কথিত বন্দুকযুদ্ধের পর পলাশ মালিথার লাশ নিয়ে পুলিশ

কথিত বন্দুকযুদ্ধের পর পলাশ মালিথার লাশ নিয়ে পুলিশ

1a11694509ebe77ac719ad6770fb276a_XL

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে পলাশ মালিথা (২৮) নামের একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও পুলিশ দাবি করে।

শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ভাঙ্গাবটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পলাশ মালিথা মিরপুরের আমলা খামারপাড়া গ্রামের আবুল মালিথার ছেলে। পুলিশের দাবি, পলাশ মালিথা পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল-লাল পতাকা) আঞ্চলিক নেতা।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, রাতে ভাঙ্গাবটতলা এলাকার কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কে দড়ি বেঁধে একদল ‘চরমপন্থী’ অবস্থান করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে টহলরত পুলিশ তাদের ঘিরে ধরে। এ সময় সেখানে থাকা চরমপন্থী সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে চরমপন্থীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ পলাশকে উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি বলেন, নিহত পলাশ মালিথা (২৮) প্রায় এক ডজন মামলার আসামি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধারালো অস্ত্র, একটি শাটারগান ও তিনটি কার্তুজ উদ্ধার করেছে।

উল্লেখ্য যে, কথিত বন্দুক যুদ্ধ নিয়ে পুলিশ সবসময়ই একই গল্প সাজিয়ে আসছে। সেই গল্পে এবারে বলি হলেন পলাশ মালিথা ।

সূত্রঃ http://bangla.bdnews24.com/samagrabangladesh/Khulna/article1001501.bdnews


ভারতঃ বন্দুকযুদ্ধের কাহিনী ভূয়া, দাবী মাওবাদীদের

Palamau: Dead bodies of 12 maoist rebels after an encounter with police at Palamau district in Jharkhand on June 9, 2015. (Photo: IANS)

রাঁচিঃ মঙ্গলবার গভীর রাতে পালামৌ-লাতেহার সীমান্তের কাছে যে বন্দুকযুদ্ধে ১১ জন সক্রিয় মাওবাদী সদস্য ও একজন জোনাল কমান্ডার নিহত হন, সেটি ভুয়া বলে দাবী করেছে মাওবাদীরা। স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় পাঠানো এক চিঠিতে তারা দাবী করে। চিঠিতে সিপিআই (মাওবাদী) এর মুখপাত্র গোপালজী আরও উল্লেখ করেন, ঝাড়খণ্ড জন মুক্তি পরিষদ (JJMP) নামে বিচ্ছিন্ন একটি মাওবাদী গোষ্ঠীর সশস্ত্র সদস্যরা পুলিশের মদদে মাওবাদীদের হত্যা করে। বন্দুকযুদ্ধের দুই দিন পর নিহত ১২ জনের মধ্যে ১১ জনকে মাওবাদী হিসেবে চিহ্নিত করার কোন সূত্র খুঁজে পায়নি পুলিশ। নিহতদের মধ্যে একজন ছিল শিশু।

ইতিপূর্বেও, ঝাড়খণ্ড পুলিশের বিরুদ্ধে ভুয়া বন্দুকযুদ্ধে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। কয়েক মাস আগে লাতেহারে এ ধরনের একটি বন্দুকযুদ্ধে দুইজন মাওবাদী নিহত ও একজন আহত হওয়ার ঘটনার তদন্ত করছে রাজ্যের অপরাধ তদন্ত দপ্তর state crime investigation department (CID)। এর আগে যে বড় ধরনের বন্দুকযুদ্ধ গুলো ঘটেছে সেখানে পুলিশ অনেক দ্রুত মাওবাদীদের পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল কিন্তু এবারের ঘটনায় তারা সেটা করতে পারেনি এবং এতে করে তাদের বিরুদ্ধে সন্দেহ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। পালামৌ এর এসপি ময়ূর প্যাটেল বলেন, “নিহতদের মধ্যে অনুরাগ যাদব ওরফে আরকেজী ওরফে ডাক্তারজীকে আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি, তিনি জোঅনাল কমান্ডার ছিলেন, তাকে ধরিয়ে দেবার জন্য ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। আমরা অন্যদেরকেও শনাক্ত করেছি কিন্তু তাদের মাওবাদী পরিচয় খুঁজে বের করতে কিছুটা সময় লাগবে।” ছত্র গ্রামের অধিবাসী ডাক্তারজীর ভাই লখন যাদব স্থানীয় টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, সন্তোষ কুমার (ডাক্তারজীর ছেলে) ও যোগেশ কুমার (ডাক্তারজীর ভাইপো) কোনদিন মাওবাদীদের জন্য কাজ করেনি। ওদের একজন ছিল পাড়ার শিক্ষক ও অপরজন ছিল গাড়িচালক। বৃহস্পতিবার লখন তাদের তিনজনের লাশ গ্রহণ করেন।

অবসরপ্রাপ্ত এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে পুলিশ প্রদত্ত তত্ত্বের মধ্যে বেশ কিছু ফাঁক রয়েছে। তার প্রশ্ন, “১২ জন মানুষ কীভাবে অস্ত্র সহ একটা SUV গাড়িতে চড়ে? এমন একটা শক্তিশালী অপারেশনে একটা SUV গাড়ি এত সহজে পালিয়ে গেল আর আরেকটা গাড়ি ধরা পড়ে গেল? ১২ জন মাওবাদী এত সহজে মারা গেল আর নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্য নূন্যতম আহতও হল না,” এক আইপিএস অফিসার জানান, ডাক্তারজীর মতো শীর্ষ পর্যায়ের একজন মাওবাদী যার মাথার মূল্য ১০ লাখ রুপি, তিনি কখনো এমন অপ্রস্তুত অবস্থায় চলাফেরা করেন না। তারা যখন বিশ্রাম নেন, তখনো সশস্ত্র ক্যাডাররা তাদের পাহারা দেয়। তিনি বলেন, “সত্যিকারের বন্দুকযুদ্ধে মাওবাদীরা অন্তত কয়েকজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে আহত করত। রাতের অন্ধকারে তাদের ১২ জনকে এমন অবলীলায় মেরে ফেলা এত সহজ নয়।”

মাওবাদী মুখপাত্র গোপালজী একইরকম অভিযোগ করেছেন। প্রেস নোটে বলা হয়েছে, “মাওবাদীদের সাথে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। JJMP এর বিদ্রোহীরা ১২ জনকে হত্যা করে এবং পুলিশ তাদেরকে সেইসব অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র পুরস্কার হিসেবে প্রদান করে যেগুলো তারা মৃত কমরেডদের থেকে কেড়ে নিয়েছিল। রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র এস এন প্রধান এইসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “যাদের হত্যা করা হয়েছে তাদের সকলের সাথেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল এবং তারা ডাক্তারজীর (মোস্ট ওয়ান্টেড) সাথে যাচ্ছিল। পুলিশকে দোষী সাব্যস্ত করার যে দাবী মাওবাদীরা করছে এটি তাদের একটি পুরনো অভ্যাস। আমরা অপারেশনে যে সূত্রই ব্যবহার করি না কেন, মাওবাদীরা তাদেরকে বলে JJMP।” মৃতদের মধ্যে একজন শিশু ছিল এ প্রসঙ্গে প্রধান বলেন, “একজন শিশু যদি আমাদেরকে গুলি করার চেষ্টা করে, আমরা প্রথমে তাকে প্রতিরোধ করব, তার বয়স জিজ্ঞেস করব না।”

সূত্রঃ http://timesofindia.indiatimes.com/city/ranchi/Encounter-fake-claim-Maoists/articleshow/47633626.cms