ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী হামলায় ৪ পুলিশ নিহত
Posted: November 23, 2019 Filed under: গণযুদ্ধের সংবাদ, ভারত, লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: latehar Leave a comment
ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনি প্রচারণা চলাকালে লাতেহার শহরে ভয়াবহ মাওবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এক অফিসারসহ অন্তত চার পুলিশ কর্মকর্তার প্রাণহানি হয়েছে। তাছাড়া আহত হয়েছে বাহিনীর আরও বেশকিছু সদস্য।
কর্তৃপক্ষের বরাতে গণমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’ জানায়, শুক্রবার (২২ নভেম্বর) গভীর রাতে স্থানীয় থানার পাশেই মর্মান্তিক এই হামলাটি চালানো হয়। মাওবাদী স্কোয়াড টহলরত পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে অতর্কিতভাবে গুলি বর্ষণ করলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ সময় মাওবাদীরা অন্তত ৭০-৮০ রাউন্ড গুলি চালায়।
সংশ্লিষ্টদের মতে, গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই লাতেহার শহরেই প্রথম জনসভা করেছিলেন বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
ঐ জনসভায় তিনি বলেছিলেন, ‘বিজেপির আমলেই মাওবাদীদের আগ্রাসন থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ঝাড়খণ্ড। মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের আমলেই এটা বাস্তবায়ন সম্ভব।’ তার এই জনসভার একদিনের মাথায় ভয়াবহ মাও হামলা হলো লাতেহার।
এ দিকে রাজ্য পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ঘটনার দিন রাতে পুলিশ একটি ভ্যান চান্দোয়া থানার পাশে টহল দিচ্ছিল। তখনই মাওবাদীরা তাদের চারদিক থেকে ঘিরে একের পর এক গুলি চালাতে শুরু করে। সশস্ত্র পুলিশের পক্ষ থেকে পাল্টা জবাব দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত এক ওসিসহ ৪ পুলিশের প্রাণহানি হয়।
অপর দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য এরই মধ্যে লাতেহারে অবস্থান করছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ, তাই সড়কে টহল দিতে শুরু করেছেন সিআরপিএফ বাহিনীর জাওয়ানরা। মোট ৫ দফায় হবে এই নির্বাচন। তাই প্রতি দফাতেই মাওবাদী হামলার আশঙ্কা বেড়ে গেছে।
সূত্রঃ https://www.odhikar.news/international/106269
কেরলে মাও পুস্তিকা প্রচারের অভিযোগে সিপিএমের ২ কর্মী UAPAতে গ্রেফতার
Posted: November 4, 2019 Filed under: গণযুদ্ধের সংবাদ, ভারত, লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: কেরল, সিপিএম Leave a comment
কেরলে ২ সিপিএম কর্মীকে মাওবাদী পুস্তিকা প্রচারের অভিযোগে গ্রেফতার করল পুলিস। এমনটাই জানাচ্ছে দ্য নিউজ মিনিট ওয়েবসাইট। শুক্রবার রাতে কোঝিকোড়ে আইনের ২ ছাত্র মাওবাদীদের সমর্থনে লেখা পুস্তিকা বিলি করছিল বলে অভিযোগ। ওই ২ ছাত্র মাওবাদীদের সমর্থনে শ্লোগান দিচ্ছিল বলেও পুলিসের অভিযোগ। সেই সময় পুলিস UAPA আইনে তাদের গ্রেফতার করে। এলেন সুয়াইব ও থাহা ফয়সল কেরলের শাসকদলের কর্মী। এলেন কোজিকোড়ে দলের শাখা সদস্য। থাহা DYFI এর স্থানীয় নেতা।
মাওবাদী পুস্তিকা বিলির অভিযোগে ২ ছাত্রকে গ্রেফতারের নিন্দা করে একে বর্বরোচিত কাজ বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলের নেতা রমেশ চেন্নিথালা। কংগ্রেসের এই নেতা স্মরণ করে দিয়েছেন আদর্শ বিশ্বাসের ক্ষেত্রে ওই আইন প্রযোজ্য করা যায় না। বাম সরকার গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করছেন বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা।
কয়েকেদিন আগেই পাল্লাকাডে ৩ মাওবাদীকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ভুয়ো সংঘর্ষের অভিযোগ উঠেছে। খোদ শাসকদলের শরিক সিপিআই এই প্রশ্ন তুলে তদন্তের দাবি জানিয়েছে। পুনরায় বিজয়ন সরকারে আসার পর ৬জন মাওবাদীকে সংঘর্ষে হত্যা করা হয়েছে। সিপিআই এর তরফে জানান হয়েছে গুলি করে মাওবাদীদের হত্যার তারা সবসময়েই সমালোচনা করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এবার মাওবাদী পুস্তিকা প্রচারের অভিযোগে UAPAতে ২ ছাত্রের গ্রেফতার ঘটনা প্রমাণ করছে রাজ্য মাওবাদীদের মোকাবিলায় ক্রমশ পুলিস নির্ভর হয়ে পড়ছে শাসকদল। তোয়াক্কা করছে না গণতান্ত্রিক পদ্ধতির।
সূত্রঃ সাতদিন.ইন
কেরলে ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যা ৪ মাওবাদীকেঃ অভিযোগ কেরল সিপিআই এর
Posted: October 31, 2019 Filed under: গণযুদ্ধের সংবাদ, ভারত, লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: কেরল, ভুয়ো সংঘর্ষ Leave a commentগত সোমবার ও মঙ্গলবার কেরলের প্রক্কালাদ জেলার আদালিতে তামিলনাড়ুর থেকে আসা ‘মনিভাসাকাম ও কার্ত্তিক’ এবং কর্ণাটক থেকে আগত ‘শ্রীমতী ও সুরেশ’ নামে ৪ সন্দেহভাজন মাওবাদীকে গুলি করে হত্যার ঘটনাকে ভুয়ো সংঘর্ষ বলে জানাল কেরলের বাম শরিক সিপিআই। সিপিআই রাজ্য কাউন্সিলের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বলা হয়েছে, স্থানীয় কর্মীদের থেকে পাওয়া তথ্যে এটা মনে করা হচ্ছে একটি ভুয়ো সংঘর্ষের ঘটনা। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছে সিপিআই। এমনটাই জানাচ্ছে the newindian express ওয়েবসাইট। মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন দাবি করেছেন- আত্মরক্ষার জন্যই পুলিস গুলি চালায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি মানতে নারাজ শরিক সিপিআই। সিপিআই এর তরফে জানান হয়েছে নিহতদের মধ্যে একজন মাওবাদী অসুস্থ ছিলেন । তার পক্ষে একে ৪৭ ধরা সম্ভবই নয়। সিপিআই তরফে পুলিসের শাস্তি দেওয়ার এই পদ্ধতিকে নিন্দা করা হয়েছে।
কেরল পুলিসের থান্ডারবোল্ট বাহিনী গত সোমবার পাল্লকাডের জঙ্গলে ৩ মাওবাদী ও পরদিন আত্তাপাদিতে ১ মাওবাদীকে সংঘর্ষে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছিল। নিহতদের মধ্যে ১জন মহিলা। সোমবার খুব ভোরে পালাক্কাড জেলার আগালির জঙ্গলে এই তথাকথিত সংঘর্ষটি হয় বলে জানাচ্ছে সংবাদ মাধ্যম। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মাওবাদীদের লুকিয়ে থাকার খোঁজ পেয়ে তল্লাশির সময় এই সংঘর্ষ হয়। অধিকাংশ সংঘর্ষের মত এখানেও শুধু মাওবাদীরাই নিহত হয়েছেন। পুলিসকর্মীদের আহত হওয়ার কোন খবর নেই। কেরল গত কয়েক বছরে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন মাওবাদী নেতা ও কর্মী নিহত হয়েছেন। মানবাধিকার কর্মীদের তরফে ভুয়ো সংঘর্ষের অভিযোগ করা হয়েছিল আগেই এবার সিপিএমের শরিক সিপিআইও সংঘর্ষকে ভুয়ো বলাই রাজ্য সরকারের অস্বস্তিতে আরো বাড়ল বলে মনে করছে অনেকে।
সূত্রঃ সাতদিন.ইন
http://en.maktoobmedia.com/2019/10/30/4-maoists-were-shot-and-killed-by-kerala-police/
কাশ্মীরে নিপীড়ন বন্ধের দাবি মাওবাদীদের
Posted: September 13, 2019 Filed under: গণযুদ্ধের সংবাদ, ভারত, লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: কাশ্মীর, kashmir Leave a commentভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে সরকারি বাহিনীর নিপীড়ন বন্ধের দাবি জানিয়েছে মাওবাদীদের একটি গ্রুপ। বৃহস্পতিবার ভিশাকা এজেন্সি এলাকায় তারা কাশ্মিরের পক্ষে ব্যানার নিয়ে হাজির হয় এবং স্লোগান দেয়। তারা জানায়, আত্মনিয়ন্ত্রণ কাশ্মিরিদের জন্মগত অধিকার। কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক নীতির কারণে তারা অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। লাদাখ ও কাশ্মিরকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে বিল পাস হয়। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। জারি করা হয়েছে বিধিনিষেধ। কাশ্মিরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীসহ শত শত মানুষকে আটকের কথা জানা গেলেও মোট আটকের সংখ্যা বিষয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি ভারত সরকার।
বৃহস্পতিবার মাদ্দিারুভু, বনগ্রাম, গোমাঙ্গি ও মাদগুলার অন্যান্য অঞ্চলের মাওবাদীরা ভিশাকা এজেন্সি এলাকায় এসে জড়ো হয়। এর আগে মাওবাদীরা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে, কাশ্মীরিদের ‘স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম’কে সমর্থন জানানোর জন্যে জনগনের প্রতি আহবান জানিয়েছিল। তারা জানায় সরকারের ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মিরকে দ্বিখণ্ডিত করে দেওয়ার নীতিকে সমালোচনা করা উচিত। মাওবাদীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মিরের প্রাকৃতিক সম্পদগুলো ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিতে চায়। তারা জানায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এর পক্ষে কোনও যুক্তি না দিয়ে বলছেন পাকিস্তানে সন্ত্রাস রুখতে এই পদক্ষেপ। আগামী পাঁচবছরও এই নাটক চালিয়ে যাবেন তিনি।
ষাটের দশকের শেষ দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ী থেকে মাওবাদী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। তবে নকশালপন্থী আন্দোলন সত্তরের দশকের প্রথমার্ধ্ব থেকেই গতি হারাতে শুরু করেছিল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের ছত্তিশগড়ের জঙ্গলসহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে আবারও মাওবাদী আন্দোলন জোরালো হতে শুরু করে।
বিগত ৮ বছর ধরে মাওবাদী আন্দোলন হোঁচট খাচ্ছেঃ গণপতি
Posted: September 2, 2019 Filed under: গণযুদ্ধের সংবাদ, ভারত, লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: গণপতি Leave a commentএই বছরের শুরুর দিকে সিপিআই(মাওবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরে আসা ‘গণপতি ওরফে মুপ্পালা লক্ষ্মণ রাও’ মনে করেন, গত আট বছর ধরে “বিপ্লব আন্দোলন” হোঁচট খেয়ে চলছে। পার্টির মুখপত্র পিপলস মার্চকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে গণপতি বলেছেন, “… প্রতিবিপ্লবীদের আক্রমণ এবং আমাদের বিষয়গত ভুল ও দুর্বলতা গত আট বছর ধরে বিপ্লবী আন্দোলনের দুর্বল হওয়ার মূল কারণ।”
সত্তর বছর বয়সী গণপতি তার ‘অসুস্থতা ও বয়সের’ কথা উল্লেখ করে পার্টির পদ থেকে সরে গিয়ে পরবর্তি নতুন নেতৃত্বের জন্যে বাসবরাজকে সামনে নিয়ে আসার পথ করে দেন।।
গণপতি’র মতে, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলি ৫.৫ লক্ষ পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করে অপারেশন গ্রিন হান্ট ও সমাধানের মত আক্রমণাত্মক ঘটনাগুলির সময়ও পার্টির আন্দোলন সক্রিয় ছিল ঐ সমস্ত স্থানগুলোতে। এর ফলস্বরূপ, গণযুদ্ধের ভরকেন্দ্র দুর্বল হয়ে পড়ে এবং আন্দোলনের অঞ্চল সঙ্কুচিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা বিস্তৃত সমভূমি, গ্রামীণ ও শহুরে অঞ্চলে শ্রেণী সংগ্রামকে প্রসারিত করতে পারিনি।
“আমাদের বিষয়ভিত্তিক ভুল এবং দুর্বলতাগুলো সামনে আসায় আমরা নেতৃত্বের ক্যাডার এবং বিষয়ভিত্তিক শক্তিগুলি যথেষ্ট পরিমাণে হারিয়েছি। আন্দোলনের নতুন প্রোগ্রাম এবং কৌশলগুলি তৈরি করতে পারেনি। পার্টিতে অসর্বহারা প্রবণতা সংশোধন করার প্রচারণায় কিছু ত্রুটি ছিল এবং যার ফলে প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জন করা যায়নি,” বলে তিনি জানান।
“মোদী চক্র” “জরুরী পরিস্থিতি মতো পরিস্থিতি প্রকাশ করছে” বলে উল্লেখ করে গণপতি বলেন, “আমাদের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক কাজ হচ্ছে এই ফ্যাসিবাদী রাজনীতিকে লক্ষ্যবস্তু করা, নিপীড়িত মানুষকে একত্রিত করা, আমাদের শ্রেণিবদ্ধ সংগঠনের মাধ্যমে ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দু ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অবিরাম আন্দোলন এবং প্রচারমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা এবং সেই রাজনীতিকে পরাস্ত করার জন্য অন্যান্য সংস্থাগুলিকে সাথে নিয়ে একটি বিস্তৃত যুক্তফ্রন্ট গঠনের মাধ্যমে জঙ্গি আন্দোলন গড়ে তোলা। ”
মাওবাদী ধরার নামে শিশু-হত্যা ভারতীয় বাহিনীর
Posted: August 27, 2019 Filed under: গণযুদ্ধের সংবাদ, ভারত, লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: শিশু Leave a commentমাওবাদী খোঁজার অভিযানে শিশুহত্যার অভিযোগে কাঠগড়ায় ঝাড়খণ্ডের পুলিশ ও সিআরপিএফ। পালামৌ জেলার বাকোরিয়ায় এই বীভৎস ঘটনা গত শুক্রবারের। সেই বাকোরিয়া, যেখানে পুলিশ-আধা সেনার তথাকথিত মাওবাদী বিরোধী অভিযানে ১১ জন নিহত হয়েছিলেন। সেই গণহত্যা নিয়ে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত চলছে। তার মধ্যেই বাবা-কে না-পাওয়ার পরিণামে উন্মত্ত বাহিনী তিন বছরের একটি শিশুকে ছুড়ে ফেলে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠল। পালামৌর পুলিশ সুপার অজয় লিন্ডা সোমবার সংবাদমাধ্যমে এই অভিযোগ দায়েরের কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে।
সন্তানহারা ববিতা দেবী অভিযোগে জানিয়েছেন, শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশ-সিআরপিএফের একটি দল বাকোরিয়া গ্রামে তাঁদের বাড়িতে আসে। ববিতার স্বামী বিনোদ সিংয়ের খোঁজ করে। যৌথ বাহিনী দাবি করে, বিনোদ নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠন ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চার সদস্য। পুলিশ ও জওয়ানরা জোর করে বাড়ির মধ্যে ঢুকে সব তছনছ করে। বিনোদকে না পেয়ে তিন বছরের মেয়েকে কেড়ে নিয়ে সজোরে মেঝেতে ছুড়ে ফেলে দেয়। মারা যায় দুধের শিশুটি। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির মাথায় ও শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন মিলেছে ময়না-তদন্ত রিপোর্টে। পুলিশ ও সিআরপিএফের কারা সে রাতের অভিযানে ছিল, খোঁজ করা হচ্ছে। তবে কেউই এখনও ধরা পড়েনি। আতঙ্কে গ্রাম ছেড়েছেন ববিতারা। ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চা বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাকোরিয়ায় বিনোদ সিং বলে কেউই তাদের সদস্য নয়।
ভারতের মাওবাদীরা মোবাইলের ব্যবহার সম্পূর্ণ বাতিল করেছে
Posted: December 28, 2018 Filed under: গণযুদ্ধের সংবাদ, ভারত, লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: ইন্টারনেট, মোবাইল Leave a commentকেরালায় মাওবাদীদের বিরুদ্ধে চলমান অপারেশনে পুলিশ এক নতুন ধরণের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্র জানাচ্ছে, মাওবাদীরা নিজ ক্যাডারদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার জন্যে মোবাইলের ব্যবহার সম্পুর্ন বাতিল করেছে, এতে করে মাওবাদীদের অবস্থানগুলি চিহ্নিত করতে বা তথ্য সংগ্রহের জন্য নিয়োজিত গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বেশ কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে।
কেরল পুলিশের কয়েকটি জেলার বিশেষ দলগুলি (ওয়াইনাদ, পালক্কাদ, কোজিকোড এবং মালাপ্পুরাম) একত্রিত হয়েও তারা সিপিআই (মাওবাদী) ক্যাডারদের বিস্তারিত সন্ধান করতে সক্ষম হয়নি, যদিও এসময় মাওবাদীরা জনসাধারণের মাঝে সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করেছিল।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনও ধরণের ট্র্যাকিং এড়াতে মাওবাদী বিদ্রোহীরা মোবাইল ফোনের বা অন্যান্য ডিজিটাল যোগাযোগ ডিভাইসগুলি ব্যবহার করে বন্ধ করে দিয়েছে। এর বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে তারা মানব কুরিয়ার ব্যবহার করার মতো প্রচলিত যোগাযোগ পদ্ধতিগুলি ব্যবহারে আরও বেশি সক্রিয় হয়েছে”।
কানুর রেঞ্জের ইন্সপেক্টর জেনারেল বলরাম কুমার উপাধ্যায় বলেন, ওয়াইনাডের বন এলাকায় মাওবাদীদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। তিনি বলেন, “তারা জানে যে আমরা তাদের দমনে অঙ্গীকারবদ্ধ অপারেশন শক্তিশালী করেছি”।
আরেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, ‘মাওবাদীরা তাদের সেল গুলোর সাথে যোগাযোগের জন্য লংহ্যান্ড নোট ব্যবহার প্রথায় ফিরে গেছে। মাওবাদীদের কাছ থেকে জব্দ করা নথিপত্রের বিশদ বিশ্লেষণ করে মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দ্বারা প্রদত্ত নির্দেশিকা পাওয়া গেছে’।
মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, মোবাইল ফোন বহন করা বা এর ব্যবহার করে কোন তথ্য ডাউনলোডের বিরুদ্ধে ক্যাডারদের সতর্ক করা করেছে। সকল গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা নিজেদের অবস্থান ট্র্যাকিং এড়াতে নিজ কর্মীদের খুব সতর্কতার সঙ্গে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করতে বলা হয়েছে।
আসামের মানুষ বাঙালিবিরোধী নয়, দাবি উলফার
Posted: December 25, 2018 Filed under: গণযুদ্ধের সংবাদ, ভারত, লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: assam, আসাম, উলফা, এনআরসি, ulfa Leave a commentআসামের মানুষ বাঙালি বা বাংলাদেশের বিরোধী নয়—এমন দাবি করেছেন সংযুক্তি মুক্তি বাহিনী আসামের (উলফা) চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়ার। উলফার এই আলোচনাপন্থী নেতা আগরতলায় প্রথম আলোর কাছে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগও করেন।
জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন তালিকা (এনআরসি) আর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে উত্তাল আসামের রাজনীতি। অভিযোগ, বাঙালিবিদ্বেষ থেকেই আসামের নাগরিকেরা ৪০ লাখেরও বেশি ভারতীয়র নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে চাইছে।
ত্রিপুরার সাবেক কট্টর সশস্ত্র সংগঠন অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্সের (এটিটিএফ) প্রধান সুপ্রিমো রঞ্জিত দেববর্মার ডাকে ত্রিপুরায় এসেছিলেন উলফার আলোচনাপন্থীদের নেতা অরবিন্দ। আগরতলা থেকে ৪২ কিলোমিটার দূরে এসরাই গ্রামে দুই নেতাই ভারত সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগ করেন।
উলফা চেয়ারম্যানের দাবি, ‘আমরা মোটেই বাঙালিবিদ্বেষী নই। আসামের নাগরিকেরা বরং বাঙালিদের বন্ধু বলে মনে করেন।’ একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ‘আমাদের (আসামের নাগরিক ও বাঙালিদের) লড়াই লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ব্রিটিশ আমলেই শুরু হয়েছিল এই দ্বিজাতি তত্ত্ব। এখনো সেটাই অব্যাহত।’
একই সঙ্গে সম্প্রতি আসামের তিনসুকিয়ায় পাঁচ বাঙালি হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অরবিন্দ রাজখোয়ার। তিনি মনে করেন, এর পেছনে গভীর রহস্য রয়েছে। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওঁরা কিসের বাঙালি! গরিব মানুষ। খেতে পান না। নিজেদের মধ্যে কথাও বলেন আসামের ভাষায়। রাজনৈতিক লাভের প্রশ্নেই প্রাণ দিতে হয়েছে তাঁদের। উলফা করেনি। তাহলে করল কে? কে খুন করল তাঁদের?’ তাঁর অভিযোগ, ভারত সরকার ঘটা করে তাঁদের আলোচনার টেবিলে ডেকে আনলেও শান্তি আলোচনা সঠিক পথে এগোচ্ছে না। প্রতারণা করা হচ্ছে। কোনো প্রতিশ্রুতিই রাখা হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁদের এই শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হলে গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চল ফের অশান্ত হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন অরবিন্দ রাজখোয়ার।
এদিকে অরবিন্দের বক্তব্যকে সমর্থন করে সুপ্রিমো রঞ্জিত দেববর্মা বলেন, ত্রিপুরাতেও একই ছবি। আত্মসমর্পণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে বলেও জানান তিনি।
অস্ত্র ছাড়লেও সশস্ত্র গোষ্ঠীর সাবেক দুই নেতা বলেন, নিজেরা সংঘবদ্ধ হয়ে দাবি আদায়ের লড়াই চালিয়ে যাবেন। তবে আর অস্ত্র হাতে নয়, শান্তিপূর্ণভাবেই লড়াই করবেন নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায়।
পশ্চিমবঙ্গে আবার মাওবাদী সক্রিয়তা বাড়ছে, উদ্বিগ্ন প্রশাসন
Posted: December 4, 2018 Filed under: গণযুদ্ধের সংবাদ, ভারত, লাল সংবাদ/lal shongbad Leave a commentরাজ্যে আবার মাওবাদী সক্রিয়তা শুরু হয়েছে, খোদ লালবাজারের পুলিশি রিপোর্ট তেমনটাই বলছে। আর এই রিপোর্ট পাওয়ার পড়েই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। রিাপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, বন্ধ কলকারখানা, বিভিন্ন বস্তি এলাকায় মাওবাদী কার্যকলাপ শুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে বাইরে থেকে বিভিন্ন লোকজনদের আনাগোনা চলছে শহর ও শহরতলির বিভিন্ন এলাকায়। এ বিষয়ে পুলিশকে বিশেষ নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর। কেন আবার মাওবাদী কার্যকলাপ বাড়ছে, তার অনুসন্ধান করতে গিয়ে প্রশাসনের নজরে এসেছে বিভিন্ন এলাকার বন্ধ কলকারখানা, এলাকার মস্তান ও তোলা বাজিরদের অত্যাচারে অতিষ্ট মানুষজনকে কাছে টানছে মাওবাদীরা। এলাকায় এলাকায় সরকার ও প্রশাসনের নানা ব্যর্থতা তুলে ধরে প্রচার চালানো হচ্ছে বলেও প্রশাসনের কাছে খবর এসেছে। এই রিপোর্ট প্রশাসনকে যথেষ্ট উদ্বেগে রেখেছে বলে সূত্রের খবর। এর মোকাবিলা করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন তেমনটাই খবর।
সুত্রঃ satdin.in
গণপতির পরিবর্তে সিপিআই(মাওবাদী)’র নতুন সম্পাদক ‘নম্বলা কেশব রাও’
Posted: November 29, 2018 Filed under: গণযুদ্ধের সংবাদ, ভারত, লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: নম্বলা কেশব রাও Leave a commentশারীরিক কারণে cpi( মাওবাদী) এর সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন মুপলা লক্ষণরাও ওরফে গণপতি। বেশকিছুকাল ধরেই গণপতির সরে যাওয়া বা অপসারণ নিয়ে মিডিয়ায় খবর হচ্ছিল। হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, গণপতিকে সরিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন নামবালা কেসবরাও ওরফে বাসবরাজ। ১০ নভেম্বর তারিখে জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সিপিঅাই মাওবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটি জানিয়েছে শারিরীক কারণে পদ থেকে সরে দাঁড়াতে ইচ্ছে প্রকাশ করেন গণপতি। দলের কেন্দ্রীয় কমিটি সেই ইচ্ছেকে সম্মতি দিয়েছে। ওয়ারঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্নাতক বাসবরাজই এতদিন দলের নম্বরটু হিসাবে পরিচিত ছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরেই সিপিঅাই মাওবাদী দলের তরফে প্রবীণ নেতৃত্বের জায়াগায় অপেক্ষাকৃত কম বয়সের নেতাদের নিয়ে অাসার কথা বলা হচ্ছিল। সেই কৌশলের অঙ্গ হিসাবেও এই পরিবর্তন হয়ে থাকতে পারে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের।
সূত্রঃ satdin.in