Fellows remember Comrade Nizamuddin Matin

Comrade Nizamuddin Matin was a legend among the youths during 1980’s and also played a vital role during the Liberation War of 1971

Associates, co-workers and fellows remembered Comrade Nizamuddin Matin, a revolutionist left politician, widely known for his role in left-leaning politics in Bangladesh.

Prominent left politicians and comrades came up with the memories during a remembrance program held for Comrade Nizamuddin Matin at the Rc Majumdar Auditorium, Dhaka University (DU) on Friday.

Comrade Nizamuddin Matin was a legend among the youths during 1980’s and also played a vital role during the Liberation War of 1971, said his fellows and associates.

Comrade Nizamuddin Matin was a life-time revolutionist who tried to form a strong base of left-leaning politics according to Marx-Lenin and Mao’s theories, added the speakers.

Hasan Fakri was in the commemoration chair while Bangladesh Samajtantrik Andolon Convener Hamidul Haque, Jatiya Ganatantrik Ganomoncha President Masud Khan, Nayaganatantrik Gano Morcha President Zafor Hassain, Jatiya Mukti Council General Secretary Faizul Hakim, energy expert Rahamatullah and Khanon Editor Badol Sha Alam spoke at the event.

Comrade Matin was born in 1955 in Barisal and joined politics while he was a student of class nine in 1969. 

He was in prison for ten years after the Liberation War.

He died on August 11, 2019 due to old-age complications.

Source: https://www.dhakatribune.com/bangladesh/dhaka/2019/10/19/fellows-remember-comrade-nazimuddin-matin?fbclid=IwAR1M7lQz3mCqejul_aWhumUq0aRiYz036BUIlkCtTpeUBsQQjJ2uIUw45ds


রাজবাড়ীঃ পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি(MBRM) এর সদস্য গ্রেফতার

1495557789

রাজবাড়ীতে একটি বিদেশি নাইন এমএম পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলিসহ আলমগীর খান (৩৫) নামে পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি(MBRM) এর এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৩ মে) সন্ধ্যা ৭টায় জেলা সদরের দাদশী ইউনিয়নের আগমাড়াই গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আলমগীর রাজবাড়ী জেলা সদরের বরাট ইউনিয়নের গোপালবাড়ী গ্রামের মোসলেম খানের ছেলে।

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. কামাল হোসেন ভূইয়া বাংলানিউজকে জানান, ২০১০ সালের রাজবাড়ী জেলা সদরের বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দার আলোচিত ফোর মার্ডার মামলার আসামি আলমগীর। তিনি ডিএসবি’র তালিকাভূক্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি সংগঠন পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি(MBRM) এর সক্রিয় সদস্য।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যায় দাদশী ইউনিয়নের আগমাড়াই গ্রামের মাইনদ্দিনের বাড়ির পাশে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি নাইন এমএম পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে আলমগীরের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

সূত্রঃ http://www.banglanews24.com/national/news/bd/576297.details


পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি(মাওবাদী বলশেভিক পুনর্গঠন আন্দোলন) এর দলিল-

poster

মিল-কারখানার রাষ্ট্রীয় মালিকানা থেকে ব্যক্তি মালিকানায় হস্তান্তর বিতর্কে আমাদের অবস্থান

 

সম্প্রতি কয়েকটি মিলকে রাষ্ট্রীয় মালিকানা থেকে ব্যক্তি মালিকানায় হস্তান্তরের সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে খুলনার খালিশপুর শিল্পঞ্চলের শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। বিভিন্ন ধরনের প্রতিবাদী আন্দোলনও করেছেন। আমাদেরখুলনা শাখার বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা পার্টির পরিচিতি গোপন রেখে এই আন্দোলনে শরিক হয়েছেন।  এটা খুবই ভালো। চলমান বিভিন্ন ধরনের শ্রেণিসংগ্রামে সর্বদাই অংশগ্রহণ করতে হবে।  শ্রেণির লোকদের পাশে দাঁড়াতে হবে। শ্রেণিসংগ্রামে সর্বদাই সামনের কাতারে থাকতে হবে। এবং শ্রেণিসংগ্রামের মধ্যে থেকেই শ্রেণিসংগ্রামের ভুলগুলোকে তুলে ধরতে হবে।  ভুলগুলো সম্পর্কে শ্রেণির লোকদেরকে সচেতন করতে হবে। ভুলগুলোকে শোধরানোর চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শ্রেণিসংগ্রামের কর্মসূচিকে তথা তার আশু ও চূড়ান্ত লক্ষ্যকে স্পষ্ট করা, সেক্ষেত্রে কোনো ভুল থাকলে তাকে উদ্ঘাটন ও সংশোধনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের শ্রেণিসংগ্রামকে বিপ্লবী শ্রেণিসংগ্রামে রূপান্তরিত করা যায় না। এবং তা দ্বারা বিপ্লবেরও সেবা করা যায় না। ফলে তা অর্থনীতিবাদী-সংস্কারবাদী কর্মসূচি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে অর্থনীতিবাদী-সংস্কারবাদী-ট্রেড ইউনিয়নবাদী আন্দোলনের স্তরেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়। এবং তা দ্বারা শেষাবধি শ্রেণীশত্রুরাই লাভবান হয়।  এসম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন। অথচ এক্ষেত্রে আমাদের খুলনা শাখার নেতা-কর্মীদের মধ্যে বেশ পরিমাণে সমন্বয়বাদের ঝোক দেখা গিয়েছিল।  যা ভুল।  তারা বিষয়টি সম্পর্কে এমনভাবে বক্তব্য দিচ্ছিলেন যাতে মনে হবার অবকাশ থেকে যায় যে, আমরা যেনো ব্যক্তি মালিকানার বিপক্ষে রাষ্ট্রীয় মালিকানার পক্ষে।  অথচ আমরা দুটোরই বিপক্ষে এবং জনগণের মালিকানার পক্ষে।  আর জনগণের মালিকানা তো প্রতিষ্ঠিত হতে পারে গণযুদ্ধের মধ্য দিয়ে।  তাই আমরা গণযুদ্ধের পক্ষে।  একথা সত্যি যে, রাষ্ট্রীয় মালিকানা থেকে ব্যক্তি মালিকানায় হস্তান্তর করা হয় শাসক বড় ধনীশ্রেণির স্বার্থেই।  এবং এ হস্তান্তরের অর্থ হচ্ছে তাদের বর্ধিত মুনাফা। যার অর্থ হচ্ছে শ্রমিকশ্রেণি ও শ্রমজীবী জনগণের ওপর বর্ধিত লুন্ঠন ও নিপীড়ন।  তাই শ্রমিকশ্রেণির তার বিরুদ্ধে ও সংগ্রাম করেন। আমরা কমিউনিস্টরা যেহেতু মানব কর্তৃক মানব শোষণের বিরুদ্ধে সেহেতু যে কোনো বর্ধিত লুন্ঠনেরও বিরুদ্ধে।  তাই আমরা শ্রমিকশ্রেণির ট্রেড ইউনিয়নধর্মী এই ধরনের আন্দোলনেও অংশগ্রহণ করি। কিন্তু নিছক অংশগ্রহণের জন্য আন্দোলনে অংশগ্রহণ করাটা আমাদের কর্তব্য নয়। আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে তাকে বিপবের কর্মসূচিতে সজ্জিত করা ও তার ভিত্তিতে আন্দোলনকে পরিচালিত করার জোরালো চেষ্টা চালানো আমাদের দায়িত্ব।  এক্ষেত্রে খুলনা শাখার কমরেডদের মধ্যে যে ভুল প্রবণতা দেখা দিয়েছিল সেটা এসেছিল প্রাসঙ্গিক বিষয়টির রাজনৈতিক প্রকৃতি সম্পর্কে অস্পষ্টতা থেকে। তাই প্রাসঙ্গিক বিষয়টির রাজনৈতিক প্রকৃতির উন্মোচনের মধ্য দিয়েই একে কাটিয়ে তুলতে সহায়তা করা সম্ভব। এই নিবন্ধের মধ্য দিয়ে সংক্ষেপে তাই করার চেষ্টা হয়েছে।

মিল-কারখানার রাষ্ট্রীয় মালিকানা থেকে ব্যক্তি মালিকানায় হস্তান্তর নিয়ে বিতর্কটি আমাদের দেশে নতুন নয়, বরং বেশ পুরাতনই।  এই বিতর্কে দুটো পক্ষই বেশ সোচ্চার।  এক পক্ষ হস্তান্তরের পক্ষে।  এবং অন্য পক্ষ হস্তান্তরের বিপক্ষে।  হস্তান্তরের পক্ষে যারা তাদের যুক্তি হচ্ছে হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে দেশ-জাতিজনগণ তথা রাষ্ট্র উপকৃত হবে। বিপরীত পক্ষের যুক্তি হচ্ছে, হস্তান্তর হলে তাতে দেশ-জাতি-জনগণ তথা রাষ্ট্রের ক্ষতি হবে। অথচ কোনো পক্ষই প্রামাণ্যভাবে দেখাচ্ছেন না যে, ইতোপূর্বে যে সব হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে তাতে দেশজাতি-জনগণের কি সব উপকার হয়েছে? অথবা যে সব মিল-কারখানার হস্তান্তর প্রক্রিয়া এখনো সম্পন্ন হয়নি সেগুলো দ্বারাই বা দেশ-জাতি-জনগণ কিভাবে উপকৃত হচ্ছেন?

আসলে হস্তান্তরের পক্ষে-বিপক্ষে দেয়া বক্তব্যসমূহ হচ্ছে ফালতু প্যাঁচাল। এসব ফালতু প্যাঁচালের মধ্য দিয়ে আসল বিষয়টিকে আড়াল করে ফেলা হচ্ছে। এসব তুচ্ছ বিতর্ক ক্ষমতাসীন বড় ধনীশ্রেণি আর তাদের উচ্ছিষ্টভোগীদের স্বার্থেই করা হচ্ছে, জনগণের স্বার্থে নয়।

প্রকৃত বিষয় হচ্ছে এই যে, ক্ষমতাসীন শাসকশ্রেণির স্বার্থেই প্রয়োজন ভিত্তিক এক সময়ে মিল-কারখানাগুলো রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নেয়া হয়েছিল এবং এখন আবার তাদের শ্রেণিস্বার্থেই সেগুলোকে ব্যক্তি মালিকানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে।  এক্ষেত্রে কখনো জনগণের স্বার্থ বিবেচ্য বিষয় ছিল না এবং এখনো নেই।

আমাদের দেশের বর্তমান শাসকশ্রেণি হচ্ছে বাঙালি আমলা মুৎসুদ্দি বুর্জোয়াশ্রেণি।  এরা হচ্ছে মার্কিনের নেতৃত্বে সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের দালাল। এবং দেশীয় সামন্তবাদের রক্ষক।  ৭২ সালের পূর্ববর্তী সময়কালে এরা প্রধানত শাসন ক্ষমতায় ছিল না, বা থাকলেও তা ছোট শরিক হিসেবেই ছিল। তখন আমাদের পূর্ববাংলা নামক ভূখণ্ডটি ছিল অখণ্ড পাকিস্তানের অংশ। এবং অখণ্ড পাকিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল প্রধানত পাকিস্তনপন্থী অবাঙালি আমলা মুৎসুদ্দি বুর্জোয়াশ্রেণি।  তারাও ছিল মার্কিনের নেতৃত্বে সাম্রাজ্যবাদের দালাল ও সামন্তবাদের রক্ষক।  পাকিস্তানি উপনেবেশিক শাসকগোষ্ঠীর জাতীয় নিপীড়নকে যখন আমাদের দেশের জনগণ বিরোধিতা করেছিলেন তখন তাতে বাঙালি জাতীয় বুর্জোয়াশ্রেণি এবং এমনকি বাঙালি আমলা মুৎসুদ্দি বুর্জোয়াশ্রেণির একটা অংশও যোগ দিয়েছিল।  নিজেদের বিকাশের অপরিহার্য স্বার্থেই তারা তা করেছিল।  কেননা তারা ছোট পুঁজির মালিক ছিল এবং পুঁজিকে বড় করার জন্য নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন নিরাপদ বাজার তাদের জন্য অপরিহার্য ছিল।  ’৭১ সালে জনগণের মুক্তি সংগ্রামকে কাজে লাগিয়ে এবং তাকে বিপথগামী করে সোভিয়েত সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের সহায়তায় ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের প্রত্যক্ষ মদদে এরা “বাংলাদেশ” নামক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করে তার শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিল।  এবং রাষ্ট্রযন্ত্রটাকে পরিণত করেছিল নিজেদের স্বার্থরক্ষক রাষ্ট্রযন্ত্রে।  আর রাষ্ট্রব্যবস্থাটাকে পরিণত করেছিল নিজেদের স্বার্থরক্ষক রাষ্ট্রব্যবস্থায়।  ফলে তখন এই শাসকশ্রেণিটা নিজেদের বিকাশের স্বার্থে যা প্রয়োজন, ঠিক তাই করেছিল।  সে সময়ে পাকিস্তানি “বিগ-ব্রাদার”-দের ফেলে যাওয়া বড় বড় মিল-কারখানা ব্যক্তি মালিকানায় পরিচালনা করার মতো পুঁজির জোর এবং ব্যবস্থাপনাগত সক্ষমত কোনোটাই এদের ছিল না।  ফলে পুঁজির দ্রুত বিকাশ এবং ব্যবস্থাপনা গত সক্ষমতা অর্জন করাটাই তখন তাদের আশু লক্ষ্য ছিল।  এবং যেহেতু পুঁজিবাদের প্রাথমিক অবস্থায় পুঁজির দ্রুত বৃদ্ধির স্বাভাবিক নিয়ম হচ্ছে লুটেরা অর্থনীতি, সেহেতু আমাদের দেশের শাসকশ্রেণি তাদের দ্রুত বিকাশের স্বার্থে সেই লুটেরা অর্থনীতিকেই গ্রহণ করেছিল। এই লুটেরা অর্থনীতিরই প্রকাশ ছিল শত্রু  সম্পত্তি আইন ও অর্পিত সম্পত্তি আইনের ব্যানারে মিল-কারখানাগুলোকে রাষ্ট্রীয় খাতে নেয়া।  এবং তার মধ্য দিয়ে সেগুলোর ওপর রাষ্ট্রীয় মালিকানার প্রতারণাপূর্ণ সিল মারা।  বাস্তবে রাষ্ট্রের মালিকানা ছিল উঠতি বড় ধনীশ্রেণির এবং তাই রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মিল-কারখানাগুলোরও প্রকৃত মালিক বনে ছিল তারাই। ফলে তথাকথিত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মিল-কারখানাগুলো ছিল উঠতি ধনী শ্রেণির আর তাদের উচ্ছিষ্টভোগীদের সীমাহীন লুটপাটের দায় ভোগ করতে হয়েছে জনগণকে। ফলে জনগণ গরিব থেকে গরিবেতর হয়েছেন এবং মুষ্টিমেয় লুটেরা ধনী ফুলে কোলাব্যাঙ হয়েছে। এভাবে লুটেরা ধনীশ্রেণিটির বড় পুঁজি গড়ে উঠেছে।  তাদের পরিচালনাগত তথা চোট্টামীর বর্ধিত সামর্থ অর্জিত হয়েছে।  এদের দালালীর যোগ্যতা সম্পর্কে বিদেশী মুরুব্বীদের আস্থা সৃষ্টি হয়েছে।  এবং এদের মাধ্যমে তারা বর্ধিত মুনাফার জন্য বর্ধিত পুঁজি লগ্নি করাটাকে নিরাপদ ও প্রয়োজনীয় মনে করেছে।  ফলে বিদেশী প্রভু এবং এদেশীয় শাসকশ্রেণি- উভয়ের স্বার্থেই রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মিল-কারখানাগুলোকে এখন ব্যক্তি মালিকানায় হস্তান্তর করা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। যাতে বর্ধিত মুনাফা লুটে এরা আরো স্ফীত হতে পারে এবং তার দায় যথারীতি জনগণকেই বহন করতে হয়।  শাসকশ্রেণির শ্রেণিহিসেবে সুসংহত ও শক্তিশালী হওয়ার জন্য এখন যা খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে।

ফলে এটা খুবই পরিষ্কার যে, জনগণের স্বার্থে নয় বরং শাসকশ্রেণির নিজস্ব শ্রেণিগত বিকাশের স্বার্থেই মিল-কারখানাগুলোকে এক সময়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নেয়া হয়েছিল এবং নিজ শ্রেণির উচ্চতর বিকাশের স্বার্থেই এখন আবার মিলকারখানাগুলোকে ব্যক্তি মালিকানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে।  অর্থাৎ, মিলকারখানাগুলোকে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নেয়া হয়েছিল রাষ্ট্রীয় খাতে লুটপাট চালিয়ে ধনীশ্রেণিকে আরো বড় ধনী হবার সুযোগ করে দেবার জন্য।  এবং বড় পুঁজি গড়ে ওঠার পর ও স্থূল লুটপাটের অর্থনীতির প্রতি জনগণের ঘৃণা সৃষ্টির কারণে ভিন্নরূপে বর্ধিত মুনাফার জন্যই এখন আবার মিল-কারখানাগুলোকে ব্যক্তি মালিকানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে। উভয় ক্ষেত্রেই বলী হয়েছেন ও হচ্ছেন সাধারণ জনগণ।

সুতরাং দাবি বা কর্মসূচি হতে পারে একটাই, এবং তা হচ্ছে, জনগণের সম্পদ জনগণের হাতে ফিরিয়ে আনা। মিল-কারখানা যেহেতু জনগণের সম্পদ,  তাদের রক্ত নিংড়ে বের করা প্রতিটা পয়সা এক জায়গায় জড় করেই এসব সম্পদ গড়ে উঠেছে ও টিকে আছে, সেহেতু তার প্রকৃত মালিক হচ্ছেন জনগণের হাতে জনগণের সম্পদ ফিরিয়ে আনার উপায় হচ্ছে একটাই।  এবং তা হচ্ছে গণযুদ্ধের মধ্য দিয়ে শাসকশ্রেণি আর তাদের বিদেশী প্রভু ও দেশীয় দোসরদেরকে উৎখাত করা। এদের স্বার্থরক্ষক রাষ্ট্রযন্ত্র ও রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ধ্বংস করা। এবং শ্রমিকশ্রেণির নেতৃত্বে শ্রমিক-কৃষক-মধ্যবিত্ত- জাতীয় বুর্জোয়াশ্রেণির নয়াগণতান্ত্রিক বিপ্লবী রাষ্ট্রক্ষমতা, রাষ্ট্রযন্ত্র ও রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।

এই রাজনৈতিক কর্মসূচি ও লক্ষ্যকে স্পষ্ট না করে এবং তাকে বারংবার শ্রমিকদের সামনে না এনে, নিছক আন্দোলন কোনো বিপ্লবী আন্দোলনে পরিণত হতে পারে না।  এবং ব্যাপক সংখ্যক শ্রমিক ও শ্রমজীবী জনগণকেও ট্রেড ইউনিয়নবাদী অভিজাত সুবিধাবাদী তথাকথিত শ্রমিক নেতাদের খপ্পর থেকে মুক্ত করা সম্ভব নয়। রাষ্ট্রীয় মালিকানা থেকে ব্যক্তি মালিকানায় মিল-কারখানাগুলোকে হস্তান্তরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী আন্দোলনের স্বাভাবিক অর্থ কী? তা হচ্ছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানা বজায় রাখার পক্ষে আন্দোলন। এর দ্বারা কারা লাভবান হয়? তা কোন শ্রেণির স্বার্থের পক্ষে যায়? ব্যক্তি মালিকানায় হস্তান্তর যেমনি মালিক বড় ধনীদের পক্ষে যায় তেমনি রাষ্ট্র যেহেতু তাদের, তাই রাষ্ট্রীয় মালিকানা বজায় রাখার দাবি ও আন্দোলনও তাদেরই স্বার্থের পক্ষে যায়।  এসব হচ্ছে জনগণের শত্রু  সাম্রাজ্যবাদ-সম্প্রসারণবাদের দালাল ও সামন্তবাদের রক্ষক আমলা মুৎসুদ্দি বুর্জোয়াশ্রেণির লেজুড় ও উচ্ছিষ্টভোগী ট্রেড ইউনিয়নবাদী অভিজাত সুবিধাবাদী তথাকথিত শ্রমিক নেতাদের চালবাজী।  রাষ্ট্রীয় মালিকানায় বড় ধনীদেরকে সীমাহীন লুটপাট চালানোর সুযোগ প্রদানের মধ্য দিয়ে এরা তার ভাগ পায়। ব্যক্তি মালিকানায় যা কমে যায়।  ফলে তারাই মিল-কারখানাকে ব্যক্তি মালিকানায় হস্তান্তরের বিপক্ষে থাকে সর্বদাই সবচেয়ে বেশি সোচ্চার। অন্যদিকে, হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় ইস্পিত ফললাভে বঞ্চিত বড় ধনীদের একটা অংশও তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদেরকে বেকায়দায় ফেলার জন্য আপাতভাবে নির্দিষ্ট হস্তান্তরের বিরোধিতায় নামে। এক্ষেত্রে তারা কাজে লাগায় ট্রেড ইউনিয়নবাদী অভিজাত শ্রমিক নেতাদেরকে এবং তাদের মাধ্যমে বিভ্রান্ত করে সাধারণ শ্রমিক ও শ্রমজীবী জনগণকেও ব্যবহার করে।

এসবকে আমাদের বিরোধিতা করতে হবে। এসবের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।  এবং মিল-কারখানাসহ সকল সম্পদের ওপর, গোটা রাষ্ট্রযন্ত্র ও রাষ্ট্রক্ষমতার ওপর শ্রমিকশ্রেণির ও তার নেতৃত্বে অন্যান্য নিপীড়িত শ্রেণিগুলোর জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠার দাবি বা কর্মসূচিকে সামনে নিয়ে আসতে হবে।  এটাই হচ্ছে আমাদের অবস্থান। এবং তার ভিত্তিতে ব্যক্তি মালিকানায় হস্তান্তরের বিরুদ্ধে আমাদের ধ্বনি হচ্ছে –

মিল-কারখানাসহ জনগণের সকল সম্পদ নিয়ে শাসক প্রতিক্রিয়াশীল শ্রেণির ক্রমাগত ষড়যন্ত্র-চক্রান্তকে বিরোধিতা করুন। জনগণের সম্পদের ওপর জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠার জন্য অপরাজেয় গণযুদ্ধ গড়ে তুলুন।  নয়াগণতান্ত্রিক পূর্ববাংলার প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করুন।  সমাজতন্ত্র ও কমিউনিজমের লক্ষ্যে এগিয়ে চলুন। মানব কর্তৃক মানব শোষণের চির অবসান ঘটান।

 দ্বিতীয় সপ্তাহ, এপ্রিল ২০০২

[ নোট: আমাদের খুলনা শাখার দায়িত্বে নিয়োজিত উচ্চতর প্রতিনিধি কমরেডের প্রেরিত একটি লিফলেটের খসড়ার জবাবে কমরেড মোহাম্মদ শাহীন গত জানুয়ারিতে যে সমালোচনামূলক পত্র পাঠিয়েছিলেন তার ভিত্তিতে এই নিবন্ধটি রচিত হয়েছে।  নিবন্ধটি হচ্ছে মূলত পত্রে বর্ণিত দৃষ্টিভঙ্গিরই সারসংক্ষেপ।  -সম্পাদনা বোর্ড, স্ফুলিঙ্গ]

 

সূত্রঃ pbspmbrm


বাংলাদেশঃ ‘মাওবাদী বলশেভিক পুনর্গঠন আন্দোলন’ এর নেতা গ্রেফতার

আকরাম হোসেন

আকরাম হোসেন

রাজবাড়ী সদর উপজেলার পাচুরিয়ার আন্ধার মানিক গ্রাম থেকে আকরাম হোসেন (৪৪) নামের একজন ‘মাওবাদী বলশেভিক পুনর্গঠন আন্দোলন’এর নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। গত সোমবার দুপুরে ৩.৩০টায় তাঁকে গ্রেপ্তারের সময় তাঁর কাছ থেকে চারটি গুলি ও যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি একটি নাইন এমএম বোরের পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

আকরাম পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি(মাওবাদী বলশেভিক পুনর্গঠন আন্দোলন-MBRM)র আঞ্চলিক কমান্ডার বলে পুলিশ দাবি করেছে। আকরামের বাড়ি গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা উইনিয়নের চরআন্ধার মানিক গ্রামে।

রাজবাড়ীর এসপি জিহাদুল কবির তার অফিসে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে পার্টির সদস্যরা গোপন বৈঠক করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির গোয়েন্দা টিম আন্ধার মানিক গ্রামের মেহগনি বাগান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও চারটি গুলিসহ আকরাম হোসেনকে আটক করে। তিনি রাজবাড়ী অঞ্চলের ‘মাওবাদী বলশেভিক পুনর্গঠন আন্দোলন’ এর আঞ্চলিক কমান্ডার। সম্প্রতি তিনি একটি অস্ত্র মামলা আইনে ১০ বছর কারাভোগ করে জেল থেকে বের হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলাও রয়েছে।

সূত্রঃ http://www.thedailystar.net/country/gang-member-held-after-gunfight-sundarbans-163243


“প্যারাগুয়ে পিপলস আর্মির (Ejército del Pueblo Paraguayo) বিবৃতি”

স্পানিশ ভাষা থেকে অনুবাদিত – 

Statement of Paraguayan People’s Army (Ejército del Pueblo Paraguayo) -2015/6/2

11004878_879355445460682_1980571020_n

Reactionaries are lies, the revolutionary truth.

 

The Narco-government,” because of Horacio Cartes has been rushing to deploy a media campaign, seeking to place blame for their crimes to the insurgency. Wednesday night the Task Forces criminals (FTC), mercenary forces of the Colorado Party, shot on a command of elite of the EPP guarding those detained, Robert Natto and Erika Reiser. In the scuffle the first shots that came from the FTC, reached to the prisoners, due to the fact that they do not have military training, being unemployed, being targets of the indiscriminate firing by the forces of repression, they fall in battle by firing on everything that has movement, are not controlled, they go crazy before the fear. Read the rest of this entry »