বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের ৬ষ্ঠ কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত

37118522_829507100565771_2706062243836985344_n

 

বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন

জাতীয় কমিটি

তারিখঃ ১৩ জুলাই,২০১৮

প্রেস রিলিজ

বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত

“সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ, আমলা-মুৎসুদ্দি পুঁজিবাদ ও সামন্তবাদ বিরোধী নয়াগনতান্ত্রিক শিক্ষানীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নয়াগণতান্ত্রিক বিপ্লব বেগবান করুন” ও “সমাজতন্ত্র-কমিউনিজমের লক্ষ্যে মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদের আদর্শে সজ্জিত হোন” এই স্লোগানকে ধারন করে বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের ৬ষ্ঠ কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ১৩ জুলাই শুক্রবার’২০১৮ ঢাকাস্থ শিশু কল্যান পরিষদ মিলনায়তনে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাউন্সিল উদ্বোধন করেন নয়াগনতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন ও সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির সমন্বয়ক বিপ্লব ভট্টাচার্য্য। কাউন্সিল কমরেড আহনাফ আতিফ অনিককে সভাপতি করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়। উদ্বোধনী সমাবেশের পূর্বে লাল পতাকা এবং মার্ক্স-এঙ্গেলস-লেনিন-স্তালিন-মাও সেতুং–এর ছবি সংবলিত একটি মিছিল প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে সম্মেলন স্থলে হাজির হয়। সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ-মাসুদ খান, অবঃ ব্রিগেডিয়ার জাহাঙ্গীর হোসাইন, হাসান ফকরী, বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবিদের মধ্যে জ্বালানী গবেষক বিডি রহমত উল্লাহ, লেখক সৈয়দ আবুল কালাম, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের প্রাক্তন নেতৃবৃন্দের মধ্যে সর্বজন কমরেড শাহজাহান সরকার, সাইফুজ্জামান বুলবুল, বাদল শাহ আলম এবং ছাত্র-যুব আন্দোলনের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন বিপ্লবী শ্রমিক আন্দোলনের কমরেড ফয়সাল আহমেদ, কৃষক মুক্তি সংগ্রামের নেতা আমিনুল হক, বিপ্লবী নারী মুক্তির নাসিমা নাজনীন, আদিবাসী মুক্তিমোর্চার রেমিন চাকমা এবং লিখিত বক্তব্য প্রেরণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। এছাড়াও বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ও বুদ্ধিজীবিগণ বক্তব্য রাখেন। বক্তাগণ সমাজ বদলের অগ্রগ্রামী সংগঠন হিসেবে বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের সাফল্য কামনা করেন।

বার্তা প্রেরক

প্রিয়া

প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক

বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন

মোবাইলঃ০১৭৩৭২৮৪০৬৩


বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের রাজশাহী মহানগর প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

12417833_1688840634690050_3632575340618560178_n

প্রেস রিলিজ

বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের রাজশাহী মহানগর প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

গতকাল  (২৩/০১/২০১৮) বিকেল চারটায় রাজশাহী মহানগরীর পদ্মাপাড়ের নজরুল-রবীন্দ্র মঞ্চে বাংলাদেশের মাওবাদী ধারার বিপ্লবী ছাত্র-যুব সংগঠন বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন রাজশাহী মহানগর শাখার প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের জাতীয় কমিটির সহ-আহবায়ক আতিফ অনিকের সঞ্চালনায় প্রতিনিধি সম্মেলন শুরু হয়। সভার শুরুতে এদেশের মাওবাদী আন্দোলনের শহীদ ও সারা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের মুক্তির লড়াইয়ে শহীদদের স্মরনে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপরে রাজশাহী নগরের সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করা হয়। সাংগঠনিক রিপোর্টের উপর সকলের আলোচনা শেষে জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে আশরাফুল ইসলাম তারেককে আহবায়ক করে নগর কমিটির খসড়া প্যানেল প্রস্তাব করা হয়। প্রতিনিধিদের সকলের সম্মতিতে এগারো সদস্য বিশিষ্ট্য রাজশাহী মহানগর কমিটি গঠিত হয়। যার আহবায়ক নির্বাচিত হন আশরাফুল ইসলাম তারেক। তিনি বরেন্দ্র কলেজে পড়াশোনা করছেন। কমিটি গঠনের পরে নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সহ সভাপতি শামীম পারভেজ, রাজশাহী মহানগর গণমোর্চার নেতা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম সারোয়ার সুজন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুল মজিদ অন্তর। বক্তারা সকলে দেশে চলমান ফ্যাসিবাদী শাসনের তীব্র নিন্দা জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন ন্যায়সঙ্গত প্রতিটি আন্দোলনেই শাসকগোষ্ঠী হামলা চালাচ্ছে ধারাবাহিকভাবে। বিপ্লবী ক্ষমতা দখলের রাজনীতিতে অর্থাৎ মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী-মাওবাদী বিপ্লবী রাজনীতিতে ছাত্র-যুবদের অংশগ্রহণ এর মধ্য দিয়েই এই পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করতে হবে।

বার্তা প্রেরক

আবদুল মতিন বাদশা

সহ-আহবায়ক, রাজশাহী মহানগর


‘জেরুজালেম ফিলিস্তিনের রাজধানী, ইজরাইলের নয়’ -বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন

12417833_1688840634690050_3632575340618560178_n

জেরুজালেম ফিলিস্তিনের রাজধানী, ইজরাইলের নয়

জেরুজালেম নিয়ে ট্রাম্প ও ইজরাইলের চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন

বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের জাতীয় কমিটি জেরুজালেম নিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। কয়েক দশক ধরে ইজরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে সাম্রাজ্যবাদের প্রত্যক্ষ মদদে ফিলিস্তিনের জনগনের উপর নিপীড়িত ও আগ্রাসন চালাচ্ছে জায়নবাদী ইজরাইল। ইজরাইল রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করেছে যেখানে মাঝে মাঝেই তারা তাদের নতুন নতুন অস্ত্রের প্রদর্শনী করে অর্থাৎ ফিলিস্তিনকে মারণাস্ত্র পরীক্ষাগার বানিয়েছে। তারা লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিন জনগনকে হত্যা-উচ্ছেদ করছে। এর সাথে সরাসরি রয়েছে সারা বিশ্বের জনগনের শত্রু আমেরিকা। বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন- ফিলিস্তিনের সংগ্রামী জনতার সাথে সুর মিলিয়ে মনে করে, জেরুজালেম শুধু মাত্র ফিলিস্তিনের জনগনের রাজধানী। এটা ইজরাইলের রাজধানী নয়। ফিলিস্তিনের জনগনের ঐক্যবদ্ধ ফিলিস্তিন ও তার রাজধানী জেরুজালেমই ফিলিস্তিনের জনতার দাবী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার নগ্ন চেহারা দেখিয়ে দিয়েছে বিশ্ব জনগনের কাছে। ফিলিস্তিন জনগনের মুক্তির লক্ষ্যে, আমেরিকা -ইজরাইলের বিরুদ্ধে বিপ্লবী গণযুদ্ধ গড়ে তোলা ছাড়া দ্বিতীয় কোন উপায় নেই। সমাজতন্ত্র-সাম্যবাদ অভিমূখী একটি গণতান্ত্রিক ফিলিস্তিনই সেখানকার জনগনের মুক্তির পথ। আমরা ফিলিস্তিনের সংগ্রামী জনগনের কাছে সেই আহবান জানাই।

বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন

25589799_726368200879662_588193509_n

 


“শহীদ ২৪ জন মাওবাদী কমরেডস লাল সেলাম!” – বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন

sakshipost%2f2016-10%2f76f67ff2-303b-4f34-830d-a7148690f2d1%2f2

ভারতের মাওবাদী গণযুদ্ধ জিন্দাবাদ!

মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদ জিন্দাবাদ!

গতকাল ২৪শে অক্টোবর ভারতের ঊড়িষ্যা -অন্ধ্রপ্রদেশ সীমান্তের পাশে মালকানগিরিতে ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি (মাওবাদী)র ২৪ জন গেরিলাকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেছে নকশাল দমন বিশেষ বাহিনী গ্রেহাউন্ড। বিপ্লবী কবি ভারাভারা রাও এই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটা রাষ্ট্রীয় ঠাণ্ডা মাথার খুন। বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন এর ধিক্কার জানাই। ভারত রাষ্ট্রের এই হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে তারা জনগনের যুদ্ধকে কতটা ভয় পায়। ৭০ এর দশক থেকে আজ অব্দী ভারতে স্বশস্ত্র সংগ্রাম চলছে। ভারত রাষ্ট্র তখন থেকেই এই লড়াইকে দমন করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। কিন্তু সংগ্রাম থেমে থাকেনি। সংগ্রাম এগিয়ে চলছে। দুনিয়াব্যাপী শোষণ-নিপীড়নের প্রতিবাদে জনগণের যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন ভারতের কমরেডগণ। সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালরা যখন জনগনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে তখন এই সমস্ত অন্যায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে পৃথিবীর সর্বত্র মুক্তিকামী জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ভারতের বিপ্লবী সংগ্রাম সারা দক্ষিণ এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়বে। প্রতিটি শহীদ কমরেড এর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। শহীদদের রক্তের বদলা তার সাথীরা নেবেই নেবে।

বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন

14875248_547795308736953_1041348140_n


কমরেড চারু মজুমদারের শহীদ বার্ষিকীতে বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের বিবৃতি

500x350_0718bd934ac49f1e112b30cd4cfd4285_charu_Majumder

শহীদ কমরেড চারু মজুমদার —লাল সেলাম!

মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদ–জিন্দাবাদ!

সংশোধনবাদ ধ্বংস হোক-নিপাত যাক!

আজ ২৮ জুলাই কমরেড চারু মজুমদারের মৃত্যু বার্ষিকী।  ১৯৭২ সালের এই দিনে চারু মজুমদারকে হত্যা করা হয় জেলহাজতে।  প্রায় অচল এই মানুষটাকে রাষ্ট্র ভয় পেয়েছিল।কারণ প্রতিটা ঘরে ঘরে তখন একেকটা চারু মজুমদার জন্ম নিচ্ছিলো। ৭০ এর সেই উত্তাল দশকে চারু মজুমদার ভারত উপমহাদেশকে পথ দেখালেন। আদী ভারতীয় কমিউনিষ্ট আন্দোলনের সকল ধরনের সুবিধাদি লাইন ও নেতৃত্বের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে কমরেড চারু মজুমদার বিপ্লবী দিশা হাজির করলেন মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদ(তৎকালে মাও চিন্তাধারা) এর আলোকে।  চীনের সর্বহারা বিপ্লবকে উর্দ্ধে তুলে ধরে কমরেড চারু মজুমদার এদেশে বিপ্লবী গণযুদ্ধের রাজনীতিকে হাজির করেন।  সকল ধরনের মধ্যপন্থাকে চূর্ণবিচূর্ণ করেন।  এর মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন ভারতীয় বিপ্লবের সঠিক তাত্ত্বিক লাইন।  ভারতীয় বিপ্লবে চারু মজুমদার এক অবিস্মরণীয় নাম।  তাকে বাদ দিয়ে দক্ষিন এশিয়ার বিপ্লবকে ধারন করা যায় না।  তিনিই সর্বপ্রথম ভারতের বুকে সুবিধাবাদকে ঝেটিয়ে বিদায় করেন।  চারু মজুমদার বেঁচে থাকবেন আমাদের সংগ্রামের মাঝে।  আমরা তারই উত্তরসূরি।

বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন

b


শহীদ কমরেড রাকেশ কামালের শহীদ বার্ষিকীতে বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের বিবৃতি-

ডাঃ মিজানুর রহমান টুটুল

ডাঃ মিজানুর রহমান টুটু

 

শহীদ কমরেড রাকেশ কামাল(ডাঃমিজানুর রহমান টুটু)– লাল সালাম!

মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদ -জিন্দাবাদ!

আজ কমরেড রাকেশ কামালের ৯ম শহীদ দিবস। ২০০৮ সালের ২৭শে জুলাই রাষ্ট্রের পোষা খুনি বাহিনী র‍্যাব কর্তৃক ক্রসফায়ারের নাটকের নামে তাকে হত্যা করা হয়।  এই হত্যাকান্ডই প্রমাণ করে যে রাষ্ট্র শক্তি রাকেশ কামালদের কতটা ভয় পেত।  তারা মাওবাদী বিপ্লবী কমরেড রাকেশ কামালকে হত্যা করে ভেবেছিল দেশ থেকে মাওবাদীদের উৎখাত করবে।  কিন্তু বলা দরকার বিপ্লবী আদর্শের মৃত্যু নেই।তেমনি রাকেশ কামালরা ইতিহাসে ভিন্ন নামে বারবার ফিরে আসে।  রাকেশ কামাল বুর্জোয়া শিক্ষাব্যবস্থায় অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন।তিনি এসএসসি ও ইন্টারে বোর্ড স্ট্যান্ড করে পাস করেন।  এরপর ভর্তি হন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে।  এই সময়েই তিনি বিপ্লবী রাজনীতির সাথে জড়িত হন।  খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি (এমএল)-এর নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে উঠে আসেন।তিনি তার তাত্ত্বিক ভিত্তিকে শক্তিশালী রূপে গড়ে তোলেন বাস্তব অনুশীলনের মাধ্যমে।  আত্মপ্রতিষ্ঠার সকল সুযোগকে ত্যাগ করে আজীবন বিপ্লবী থাকা কমরেড টুটু জীবন যাপন করতেন খুবই সহজ সরলভাবে।  শুধু বাবা মার অনুরোধ রাখতে মাত্র এক বছর চাকরী করেছিলেন।অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি কর্মী ও জনগনের খুব কাছাকাছি আসতে পেরেছিলেন,।তিনি খুব সহজেই গ্রামের কৃ্ষক জনতার সাথে মিশতে পারতেন।  মাওবাদী কমিউনিষ্ট বিপ্লবী রাকেশ কামাল বাংলাদেশের মাওবাদী আন্দোলনকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।তিনি।  মৃত্যুর কিছুদিন আগে পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি (এমএল)[লাল পতাকা] অতীত লাইনের মৌলিক সারসংকলন করেন।  যা বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট আন্দোলনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।তিনি, আজীবন মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদের পতাকাকে উর্দ্ধে তুলে ধরেছেন। আমরা কমরেড রাকেশ কামালের বিপ্লবী জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন

13816750_512179742298510_2077377882_n


পরিমার্জিতঃ সাম্প্রতিক পুলিশি অভিযানের সম্পর্কে বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের বিবৃতি

12417833_1688840634690050_3632575340618560178_n

পরিমার্জিত –

অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ন্যায়সঙ্গত

সাম্প্রতিক পুলিশি অভিযানের সম্পর্কে বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের বিবৃতিঃ

জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনের নামে সরকার সপ্তাহব্যাপী এক দমন অভিযান পরিচালনা করেছে।সরকার দলীয় বাদে অন্য সকল রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক,কয়েক হাজার মানুষকে অতর্কীতে নির্বিচারে গ্রেফতার করেছে।ইদকে সামনে রেখে দেশব্যাপী র্যাব পুলিশের এই সাঁড়াশী অভিযান জনগন আমলা-পুলিশ,সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও ক্যাডারদের ইদ বানিজ্য হিসেবেই বিবেচনা করছে।

বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন নিপীড়িত শ্রমিক-কৃষক-মধ্যবিত্তসহ ব্যাপক জনগনের এই প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা ও মূল্যায়নের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছে।

একই সাথে ইসলামপন্থী উগ্র মৌলবাদের বিকাশ একের পর এক ভিন্ন ধর্ম,সংস্কৃতি ও চিন্তার মানুষদের হত্যার ঘটনায় রাষ্ট্র সরকার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের নামে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ও ধর্মান্ধতা কে উস্কে দিয়ে উগ্র ধর্মীয় মৌলবাদ বিকাশে মদদদানের বিরুদ্ধে জনগনকে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানাচ্ছে।

বর্তমান ভু-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সাম্রাজ্যবাদীদের মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক অন্যায় যুদ্ধে ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণের মেরুকরনের প্রক্রিয়ায় আমাদের দেশে বর্তমান সরকার ভারতের একচেটিয়া দালালী নির্ভর ক্ষমতায় টিকে থাকার হুমকিতে রয়েছে।

এমতাবস্থায় সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের জাতীয় স্বার্থ বিরোধী প্রকল্প বাস্তবায়নে রাষ্ট্র সরকারের ফাঁস হয়ে পড়া লাগামহীন ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, লুটপাট, অর্থপাচার এবং এসব দেশদ্রোহী গণবিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে জনগনের আন্দোলন সংগ্রামকে দমনের জন্য গুম-খুন, ভূয়া বন্দুক যুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, গণগ্রেফতার মিথ্যা মামলা ইত্যাদি ফ্যাসিবাদী কায়দা অবলম্বন করেছে।  এসবের বিরুদ্ধে জনগনের ফুঁসে ওঠা গণ বিস্ফোরণ কে ঠেকিয়ে রাখার একটি অপচেষ্টা এই পুলিশি সাঁড়াশী অভিযানের মূল উদ্দেশ্য।

বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন এই গণ নির্যাতনমূলক আকস্মিক সাঁড়াশী অভিযানে গণগ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

একই সাথে এই অভিযানে গ্রেফতারকৃত সকল বন্দীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করছে।

তাই বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন, বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা উচ্ছেদের লক্ষ্যে শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-যুব, নারী ও নিপীড়িত জাতিসত্ত্বাকে দেশব্যাপী দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানাচ্ছে।

বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন

০১৫২১-৫১৭৪০০


পিসিপির ২৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের বিবৃতি

12417833_1688840634690050_3632575340618560178_n

বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন

জাতীয় কমিটি

বিবৃতি

পিসিপি’র ২০ মে ২৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সমাবেশ স্থলে সমাবেশ পন্ড করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর অবস্থান ও মঞ্চ করতে বাধা দেয়ার তীব্র নিন্দা জানাই।

বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতির মাধ্যমে বলা হয়, পিসিপির ২৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনে বাধা দেয়া ও পাহাড়ের অধিকার আদায়ের গণতান্ত্রিক সংগঠন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের নেতাদের মঞ্চ তৈরীতে বাধা দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন। ছাত্র-যুব আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বলেন, এই বাঙালী ধনীক শ্রেনির রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে ওঠার শুরু থেকেই পাহাড়ের নিপীড়ণ চালিয়ে আসছে।  আজও প্রতিদিন বুর্জোয়া খবরের কাগজ খুললে দেখা যায় পাহাড়ের নিপীড়ন এর কোন না কোন খবর।  পাহাড়ে অঘোষিতভাবে সেনা শাসন চলছে।সেখানে জনগনের মত প্রকাশের প্রধান বাধা এই রাষ্ট্র ও তার পোষা সেনাবাহিনী।  সারাদেশব্যাপী বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার চরম ফ্যাসীবাদী কায়দায় জনগনকে দমনপীড়ণ করে চলেছে।   প্রতিদিন প্রতি মুহুর্তে আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে সাধারণ জনগনকে।  এমন একটি পরিস্থিতিতে যখন পাহাড়ে সমাবেশ এর আয়োজন চলছিল তখন সেখানে বাধা দেয়া বর্তমান সরকারের ফ্যাসীবাদী আচরনের ধারাবাহিকতা মাত্র।  তাই আজ পাহাড়-সমতলের সকল নিপীড়িত মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদের ভিত্তিতে বিপ্লবী সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।

বার্তা প্রেরক

আহনাফ আতিফ অনিক

সহ-আহবায়ক

13245860_488392468010571_802297275_n


বাংলাদেশঃ JNU আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন জাতীয় কমিটি

images2

কমরেডস,

লাল সালাম।

আপনারা আজ যে সংগ্রাম করছেন আমরা তাকে নীতিগতভাবে সমর্থন করি। আমরা কমরেড কানহাইয়া কুমার ও অধ্যাপক গিলানি কে গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।কমরেড উমার খালিদের বিরুদ্ধে ইসলামি সন্ত্রাসবাদী বলে প্রচার ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এই জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা আমাদের আবারো ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের ফ্যাসিবাদী চরিত্রকে নগ্নভাবে দেখিয়ে দিল। আমরা এর আগে ব্রাহ্মন্যবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছিলাম।এখনো আমরা এই ফ্যাসিবাদী ভারত রাষ্ট্রকে ধিক্কার জানাই।সমগ্র ভারতবর্ষে আজকে আওয়াজ উঠেছে কাশ্মীর, মনিপুর,নাগার স্বাধীনতার।আমরা এই আওয়াজ এর সাথে সুর মিলিয়ে বলছি,কাশ্মীর,মনিপুর,নাগার স্বাধীনতা দিতে হবে। জাতপাতের অবসান ঘটাতে হবে।আমরা তার সাথে সাথে আহবান জানাই,

ভারতীয় সম্প্রসারণবাদী ফ্যাসিবাদকে রুখে দিন, চূর্ণ-বিচূর্ণ করুন!

জাতপাতের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে আদিবাসীদেরকে ভুমি থেকে উচ্ছেদের আন্দোলনের সাথে যুক্ত করুন!

কানহাইয়া কুমার ও অধ্যাপক গিলানির মুক্তি আন্দোলনের সাথে সাথে সকল রাজ বন্দিদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলুন!

জনগনের গনতান্ত্রিক ভারত নির্মাণের চলমান সংগ্রামে নিজেকে সামিল করুন!

বার্তা প্রেরক,

আহনাফ আতিফ অনিক,

সহ আহবায়ক,

বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন”,বাংলাদেশ


বাংলাদেশঃ ব্রাহ্মন্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের সমর্থনে ‘বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন’-র পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠি

12562831364_915523f563_b

‘ভারতের হিন্দু ব্রাহ্মন্যবাদ আর বাংলাদেশের ধর্মীয় মৌলবাদী ফ্যাসিবাদ একসূত্রে গাঁথা।’ তাই আমাদের দেশের মৌলবাদ আর ভারতের হিন্দু মৌলবাদের বিরুদ্ধে যে লড়াই তাও একই পথে হবে। আমরা এপার থেকে বলতে চাই,কমরেড রহিতের জন্য গড়ে ওঠা আজকের এই আন্দোলন আমাদেরও আন্দোলন।আমরা মনে করি ভারতের জনগনের মৌলিক শত্রু আমাদের দেশের জনগনেরও মৌলিক শত্রু।আর মৌলিক শত্রুর বিরুদ্ধে যে লড়াই সে লড়াই কাঁধে কাধ মিলিয়েই করতে হবে।ভারতের কমরেডগন ও আজকের আন্দোলনে সামিল জনগণকে,আমরা আমাদের সংগঠন ‘বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের’ জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে লাল সালাম জানায় এবং জনগনের ব্রাহ্মন্যবাদের বিরদ্ধে যে লড়াই সে লড়াইকে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ের সাথে যুক্ত করার আহবান জানাই। তারসাথে,যে আন্দোলন আজ সমগ্র ভারতব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে অর্থাৎ ভারতের মাওবাদীদের আন্দোলন দমনের নামে আদিবাসি ও দলিতের ওপর যে দমন নিপীড়ন চলছে আমরা এই বার্তার মাধ্যমে সেই দমন-নিপীড়নেরও তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

বার্তা প্রেরক
আহনাফ আতিফ অনিক
সহ-আহ্বায়ক
বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন’, বাংলাদেশ।

২৫/০১/২০১৬