রোজাভায় গড়ে উঠেছে আন্তর্জাতিকতাবাদী মুক্ত ব্রিগেড

R1

R2

R3

 

রোজাভা ও মধ্য পূর্বাঞ্চলীয় জনগণের শক্তিমত্তাকে বিবেচনায় রেখে রোজাভায় মুক্ত ব্রিগেড গঠন করা হয়েছে।

এই ব্রিগেডটি আইএসআইএস ও সমগোত্রীয় দখলদারী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালাবে।

জানুয়ারী থেকে এমএলকেপি (MLKP) ব্রিগেড স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।

ব্রিগেডের যোদ্ধাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বিভিন্ন সংগঠন যেমন, Reconstruction (Spain), TIKKO, United Freedom Forces (BÖG), MLSPB Revolution Front ও গ্রীসের বিপ্লবীরা

৬ জুন থেকে শুরু হওয়া YPJ (Women’s Protection Units) এর কমান্ডার রুবার কামিসলোর উদয়োগকে  ব্রিগেড সমর্থন জানায় এবং এ প্রসঙ্গে নিম্নে উল্লেখিত বিবৃতিটি তারা প্রকাশ করেছে।

“সাম্রাজ্যবাদী রক্তপিপাসু শোষকদের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে রক্তের বন্যা বইছে।

এই সাম্রাজ্যবাদী শক্তি একত্রে আইএসআইএস কে নিয়ে এসেছে যাতে করে এ অঞ্চলের জনগণ দখলদারিত্ব ও শোষণের কাছে মাথা নত করে। আইএসআইএস জঙ্গিরা খ্রিস্টান, আরবীয় ও মুসলমান জনগণদের নির্বিচারে হত্যা করেছে।

জঙ্গিরা নারী ও শিশুদের দাস বাজারে বিক্রি করছে এবং ব্যাপক আকারে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে যা তাদের সাম্রাজ্যবাদী প্রভুদের শতাব্দীর পুরনো কৌশলকেই মনে করিয়ে দেয়।

এই সব গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য তাদের ভাষা, সংস্কার, জীবনযাত্রা ও পরিচয়কে ধ্বংস করা, আর এই উদ্দেশ্যকে নস্যাৎ করতে YPG-YPJ এর নেতৃত্বে  যে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে তা কোবানি, সিঞ্জর, তিল-হেমিস ও সেরেকানিয়েতে সফল হয়েছে।

বিশ্ব রাজনীতির সম্মুখ ভাগে উঠে এসেছে রোজাভা বিপ্লব। দারিদ্র্যপীড়িত গণমানুষের কাছে YPG-YPJ এর প্রতিরোধ প্রশংসিত হয়েছে ও সমর্থন পেয়েছে।

আন্তর্জাতিক যোদ্ধাদের সহযোগিতায় রোজাভা আজকের বেকা ও ফিলিস্তিন হয়ে উঠেছে।

রোজাভা বিপ্লব হয়ে উঠেছে জার্মান অবরোধ কালীন প্যারি কমিউন, স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধ কালীন মাদ্রিদ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কালীন স্টালিনগ্রাদ।

রোজাভা বিপ্লব প্রতিবেশী দেশগুলোর (বিশেষত তুরস্কে) ক্ষমতার ভারসাম্যকে বিপর্যস্ত করেছে এবং এভাবে বিশ্ব বিপ্লবের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ও নিপীড়িত জনগণের প্রতিরোধের আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছে।

নারীদের বিপ্লব হিসেবে রোজাভা নারীর ইচ্ছাকে শক্তিশালী করে তোলার পাশাপাশি পিতৃতন্ত্র ও বৈশ্বিক ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

সারা বিশ্বের বিপ্লবীরা রোজাভার দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন এবং বিপ্লবকে প্রসারিত করার লক্ষ্যে এখানে বিজয় অর্জনের জন্য লড়াই করে মৃত্যু বরণ করতে তারা দ্বিধা করেননি।

বিপ্লবকে শক্তিশালী করা ও তারা যে সকল স্থান থেকে এসেছেন সে সব স্থানে যুদ্ধকে ছড়িয়ে দেবার লক্ষ্যে তুরস্কের বিপ্লবী বাহিনী ও বিশ্বের বিভিন্ন অংশ থেকে বিপ্লবীরা রোজাভায় এসেছেন।

আমরা রোজাভায় যুদ্ধ করছি, শহীদ হচ্ছি ও প্রতিরোধের ঝান্ডা বহন করে চলেছি…

আমরা এ অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অগ্রভাগে যুদ্ধ করছি…

আমরা এ বিপ্লবে আইএসআইএস জঙ্গিদের নৃশংস আক্রমণের মোকাবেলা করছি…

আমরা বিপ্লবে বসবাস করছি ও নিজেদের ধমনী ও কোষের ভিতরে বিপ্লবকে অনুভব করছি…

YPG-YPJ এর পতাকার নীচে লড়াই করে আমরা কুর্দিস্তানের মেহনতি মানুষ, নিপীড়িত জনগণ, নারী ও আন্তর্জাতিকতাবাদী বিপ্লবীরা একত্রে রোজাভা বিপ্লব ঘটিয়েছি…

আমরা স্প্যানিশ, জার্মান, গ্রীক, তুর্কি, আরব, আর্মেনিয়, লাজ, সার্কেশীয় ও আলবেনিয়…

আন্তর্জাতিকতাবাদী মুক্ত ব্রিগেড গঠনের লক্ষ্যে আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বিপ্লবী বাহিনী ও সংগঠন।

গোটা বিশ্বের নিপীড়িত, মেহনতি, শ্রমিক, নারী, তরুণ, ধ্ররমীয় দল, পরিবেশবিদ, সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ফ্যাসিবাদ বিরোধী, পুঁজিবাদ বিরোধী, গণতান্ত্রিক ও বিপ্লবী গণমানুষকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি,  মধ্যপ্রাচ্য ও সারা বিশ্বে জনগণের ভ্রাতৃত্ব স্থাপনের লক্ষ্যে রোজাভা বিপ্লবকে এগিয়ে নেয়া ও একে বিস্তৃত করতে আন্তর্জাতিকতাবাদী মুক্ত ব্রিগেডের পতাকার নীচে লড়াই করুন।”

সূত্রঃ

http://en.firatajans.com/kurdistan/internationalist-free-brigade-established-in-rojava