ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী হামলায় ৪ পুলিশ নিহত

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনি প্রচারণা চলাকালে লাতেহার শহরে ভয়াবহ মাওবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এক অফিসারসহ অন্তত চার পুলিশ কর্মকর্তার প্রাণহানি হয়েছে। তাছাড়া আহত হয়েছে বাহিনীর আরও বেশকিছু সদস্য।

কর্তৃপক্ষের বরাতে গণমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’ জানায়, শুক্রবার (২২ নভেম্বর) গভীর রাতে স্থানীয় থানার পাশেই মর্মান্তিক এই হামলাটি চালানো হয়। মাওবাদী স্কোয়াড টহলরত পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে অতর্কিতভাবে গুলি বর্ষণ করলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ সময় মাওবাদীরা অন্তত ৭০-৮০ রাউন্ড গুলি চালায়।

সংশ্লিষ্টদের মতে, গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই লাতেহার শহরেই প্রথম জনসভা করেছিলেন বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

ঐ জনসভায় তিনি বলেছিলেন, ‘বিজেপির আমলেই মাওবাদীদের আগ্রাসন থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ঝাড়খণ্ড। মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের আমলেই এটা বাস্তবায়ন সম্ভব।’  তার এই জনসভার একদিনের মাথায় ভয়াবহ মাও হামলা হলো লাতেহার।

এ দিকে রাজ্য পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ঘটনার দিন রাতে পুলিশ একটি ভ্যান চান্দোয়া থানার পাশে টহল দিচ্ছিল। তখনই মাওবাদীরা তাদের চারদিক থেকে ঘিরে একের পর এক গুলি চালাতে শুরু করে। সশস্ত্র পুলিশের পক্ষ থেকে পাল্টা জবাব দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত এক ওসিসহ ৪ পুলিশের প্রাণহানি হয়।

অপর দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য এরই মধ্যে লাতেহারে অবস্থান করছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ, তাই সড়কে টহল দিতে শুরু করেছেন সিআরপিএফ বাহিনীর জাওয়ানরা। মোট ৫ দফায় হবে এই নির্বাচন। তাই প্রতি দফাতেই মাওবাদী হামলার আশঙ্কা বেড়ে গেছে।


সূত্রঃ https://www.odhikar.news/international/106269


কেরলে মাও পুস্তিকা প্রচারের অভিযোগে সিপিএমের ২ কর্মী UAPAতে গ্রেফতার

কেরলে ২ সিপিএম কর্মীকে মাওবাদী পুস্তিকা প্রচারের অভিযোগে গ্রেফতার করল পুলিস। এমনটাই জানাচ্ছে দ্য নিউজ মিনিট ওয়েবসাইট। শুক্রবার রাতে কোঝিকোড়ে আইনের ২ ছাত্র মাওবাদীদের সমর্থনে লেখা পুস্তিকা বিলি করছিল বলে অভিযোগ। ওই  ২ ছাত্র  মাওবাদীদের সমর্থনে শ্লোগান দিচ্ছিল বলেও পুলিসের অভিযোগ।  সেই সময় পুলিস UAPA আইনে তাদের গ্রেফতার করে। এলেন সুয়াইব ও থাহা ফয়সল কেরলের শাসকদলের কর্মী। এলেন কোজিকোড়ে দলের শাখা সদস্য। থাহা DYFI এর স্থানীয় নেতা।

মাওবাদী পুস্তিকা বিলির অভিযোগে ২ ছাত্রকে গ্রেফতারের  নিন্দা করে একে বর্বরোচিত কাজ বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলের নেতা রমেশ চেন্নিথালা। কংগ্রেসের এই নেতা স্মরণ করে দিয়েছেন আদর্শ বিশ্বাসের ক্ষেত্রে ওই আইন প্রযোজ্য করা যায় না। বাম সরকার গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করছেন বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা।

কয়েকেদিন আগেই পাল্লাকাডে ৩ মাওবাদীকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ভুয়ো সংঘর্ষের অভিযোগ উঠেছে। খোদ শাসকদলের শরিক সিপিআই এই প্রশ্ন তুলে তদন্তের দাবি জানিয়েছে। পুনরায় বিজয়ন সরকারে আসার পর ৬জন মাওবাদীকে সংঘর্ষে হত্যা করা হয়েছে। সিপিআই এর তরফে জানান হয়েছে গুলি করে মাওবাদীদের হত্যার তারা সবসময়েই সমালোচনা করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এবার মাওবাদী পুস্তিকা প্রচারের অভিযোগে UAPAতে ২ ছাত্রের গ্রেফতার ঘটনা প্রমাণ করছে রাজ্য মাওবাদীদের মোকাবিলায় ক্রমশ পুলিস নির্ভর হয়ে পড়ছে শাসকদল। তোয়াক্কা করছে না গণতান্ত্রিক পদ্ধতির।

সূত্রঃ সাতদিন.ইন


কেরলে ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যা ৪ মাওবাদীকেঃ অভিযোগ কেরল সিপিআই এর

তামিলনাড়ুর থেকে আসা ‘মনিভাসাকাম ও কার্ত্তিক’ এবং কর্ণাটক থেকে আগত ‘শ্রীমতী ও সুরেশ’ নামে ৪ সন্দেহভাজন নিহত মাওবাদী’র ৩জন

গত সোমবার ও মঙ্গলবার কেরলের প্রক্কালাদ জেলার আদালিতে তামিলনাড়ুর থেকে আসা ‘মনিভাসাকাম ও কার্ত্তিক’ এবং কর্ণাটক থেকে আগত ‘শ্রীমতী ও সুরেশ’ নামে ৪ সন্দেহভাজন মাওবাদীকে গুলি করে হত্যার ঘটনাকে ভুয়ো সংঘর্ষ বলে জানাল কেরলের বাম শরিক সিপিআই। সিপিআই রাজ্য কাউন্সিলের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বলা হয়েছে, স্থানীয় কর্মীদের থেকে পাওয়া তথ্যে এটা মনে করা  হচ্ছে একটি ভুয়ো সংঘর্ষের ঘটনা। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছে সিপিআই। এমনটাই জানাচ্ছে the newindian express ওয়েবসাইট। মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন দাবি করেছেন- আত্মরক্ষার জন্যই পুলিস গুলি চালায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি মানতে নারাজ শরিক সিপিআই। সিপিআই এর তরফে জানান হয়েছে নিহতদের মধ্যে একজন মাওবাদী অসুস্থ ছিলেন । তার পক্ষে একে ৪৭ ধরা সম্ভবই নয়। সিপিআই তরফে পুলিসের শাস্তি দেওয়ার এই পদ্ধতিকে নিন্দা করা হয়েছে।

কেরল পুলিসের থান্ডারবোল্ট বাহিনী গত সোমবার পাল্লকাডের জঙ্গলে ৩ মাওবাদী ও পরদিন আত্তাপাদিতে ১ মাওবাদীকে সংঘর্ষে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছিল। নিহতদের মধ্যে ১জন মহিলা। সোমবার খুব ভোরে পালাক্কাড জেলার আগালির জঙ্গলে এই তথাকথিত সংঘর্ষটি হয় বলে জানাচ্ছে সংবাদ মাধ্যম। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মাওবাদীদের লুকিয়ে থাকার খোঁজ পেয়ে তল্লাশির সময় এই সংঘর্ষ হয়। অধিকাংশ সংঘর্ষের মত এখানেও শুধু মাওবাদীরাই নিহত হয়েছেন। পুলিসকর্মীদের আহত হওয়ার কোন খবর নেই। কেরল গত কয়েক বছরে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন মাওবাদী নেতা ও কর্মী নিহত হয়েছেন। মানবাধিকার কর্মীদের তরফে ভুয়ো সংঘর্ষের অভিযোগ করা হয়েছিল আগেই এবার সিপিএমের শরিক সিপিআইও সংঘর্ষকে ভুয়ো বলাই রাজ্য সরকারের অস্বস্তিতে আরো বাড়ল বলে মনে করছে অনেকে।

সূত্রঃ সাতদিন.ইন

http://en.maktoobmedia.com/2019/10/30/4-maoists-were-shot-and-killed-by-kerala-police/

 

 


Fellows remember Comrade Nizamuddin Matin

Comrade Nizamuddin Matin was a legend among the youths during 1980’s and also played a vital role during the Liberation War of 1971

Associates, co-workers and fellows remembered Comrade Nizamuddin Matin, a revolutionist left politician, widely known for his role in left-leaning politics in Bangladesh.

Prominent left politicians and comrades came up with the memories during a remembrance program held for Comrade Nizamuddin Matin at the Rc Majumdar Auditorium, Dhaka University (DU) on Friday.

Comrade Nizamuddin Matin was a legend among the youths during 1980’s and also played a vital role during the Liberation War of 1971, said his fellows and associates.

Comrade Nizamuddin Matin was a life-time revolutionist who tried to form a strong base of left-leaning politics according to Marx-Lenin and Mao’s theories, added the speakers.

Hasan Fakri was in the commemoration chair while Bangladesh Samajtantrik Andolon Convener Hamidul Haque, Jatiya Ganatantrik Ganomoncha President Masud Khan, Nayaganatantrik Gano Morcha President Zafor Hassain, Jatiya Mukti Council General Secretary Faizul Hakim, energy expert Rahamatullah and Khanon Editor Badol Sha Alam spoke at the event.

Comrade Matin was born in 1955 in Barisal and joined politics while he was a student of class nine in 1969. 

He was in prison for ten years after the Liberation War.

He died on August 11, 2019 due to old-age complications.

Source: https://www.dhakatribune.com/bangladesh/dhaka/2019/10/19/fellows-remember-comrade-nazimuddin-matin?fbclid=IwAR1M7lQz3mCqejul_aWhumUq0aRiYz036BUIlkCtTpeUBsQQjJ2uIUw45ds


মহান মাওবাদী নেতা কমরেড নিজামউদ্দিন মতিনের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

 

 

কমরেড নিজামউদ্দিন মতিন ১৯৮০এর দশকে তরুণ-যুবকদের মধ্যে একজন কিংবদন্তি ছিলেন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার  জন্য মহান মাওবাদী নেতা কমরেড নিজামউদ্দিন মতিনকে গতকাল তাঁর সহযোগী, সহকর্মী এবং অনুগামীরা প্রাণভরে স্মরণ করেন।

গতকাল ১৮ই অক্টোবর, বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে ‘মাওবাদী নেতা কমরেড নিজামউদ্দিন মতিন স্মরণ কমিটি’র উদ্যোগে কমিটির আহায়ক কমরেড হাসান ফকরীর সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বিশিষ্ট বাম রাজনীতিবিদ, প্রগতিশীল গণমাধ্যমের প্রকাশক ও কমরেডরা আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন। এদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহায়ক হামিদুল হক, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান, নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নিরুপমা চাকমা, বিপ্লবী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনায়ার হোসেন, বিপ্লবী বুদ্ধিজীবী ও জালানী বিশেষজ্ঞ বিডি রহমতুলাহ এবং খনন পত্রিকা’র সম্পাদক বাদল শাহ আলম প্রমুখ। সভায় সঞ্চালনা করেন প্রগতিশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ঘাস ফুল নদী’র প্রকাশক মুনির মোর্শেদ।  

বক্তারা কমরেড মতিনের আমৃত্যু বিপ্লবের প্রতি অঙ্গীকার, অধ্যবসায়, ত্যাগ, অবিরাম বিপ্লবী অনুশীলন ও জনগণের মুক্তির লড়াইয়ে তার অবদান নিয়ে আলোচনা করেন। বক্তাগণ কমরেড নিজামউদ্দিন মতিনের অনুকরণীয় শিক্ষা ও দিশাকে আত্মস্থ করে নয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লব সম্পন্ন করে সমাজতন্ত্র ও সাম্যবাদ বিনির্মাণের আহবান জানান।

কমরেড নিজামউদ্দিন মতিন ছিলেন একজন জীবনকালীন বিপ্লববাদী, যিনি মার্কস-লেনিন এবং মাওয়ের তত্ত্ব অনুসারে কমিউনিস্ট রাজনীতির একটি শক্ত ভিত্তি গঠনের চেষ্টা করেছিলেন বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন।

কমরেড মতিন ১৯৫৫ সালে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং ১৯৬৮ সালে ৯ম শ্রেণির ছাত্র অবস্থায় তিনি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ১০ বছর কারাগারে ছিলেন। বার্ধক্যজনিত জটিলতার কারণে তিনি গত ১১ই আগস্ট ২০১৯ এ মারা যান।

 


18th October: Commemoration meeting of Maoist Leader Nizamuddin Motin

 

Dear Comrade

Nizamuddin Motin, a whole time revolutionary and Maoist leader, died at a hospital in Dhaka at 12pm, 11 August 2019 after suffering from prolonged illness. Nizamuddin was born at Alekanda in Barisal in 1955. He joined Purbobanglar Sormik Andolon (East Bengal Workers Movement), led by Siraj Shikder, in 1969. As a Maoist leader, he had been working to free the poor peasants and workers over five decades. A discussion will be held at 4pm, 18 October 2019 at RC Majumder Hall, University of Dhaka upholding the contribution of this whole time revolutionary attended by intellectuals and leaders from several revolutionary organizations. You are cordially requested to join us on the occasion.

With revolutionary greetings

Hasan Fakri

Convener,

Maoist Leader Nizamuddin Motin Commemoration Committee.


কাশ্মীরে নিপীড়ন বন্ধের দাবি মাওবাদীদের

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে সরকারি বাহিনীর নিপীড়ন বন্ধের দাবি জানিয়েছে মাওবাদীদের একটি গ্রুপ। বৃহস্পতিবার ভিশাকা এজেন্সি এলাকায় তারা কাশ্মিরের পক্ষে ব্যানার নিয়ে হাজির হয় এবং স্লোগান দেয়। তারা জানায়, আত্মনিয়ন্ত্রণ কাশ্মিরিদের জন্মগত অধিকার। কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক নীতির কারণে তারা অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। লাদাখ ও কাশ্মিরকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে বিল পাস হয়। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। জারি করা হয়েছে বিধিনিষেধ। কাশ্মিরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীসহ শত শত মানুষকে আটকের কথা জানা গেলেও মোট আটকের সংখ্যা বিষয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি ভারত সরকার।

বৃহস্পতিবার মাদ্দিারুভু, বনগ্রাম, গোমাঙ্গি ও মাদগুলার অন্যান্য অঞ্চলের মাওবাদীরা ভিশাকা এজেন্সি এলাকায় এসে জড়ো হয়। এর আগে মাওবাদীরা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে, কাশ্মীরিদের ‘স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম’কে সমর্থন জানানোর জন্যে জনগনের প্রতি আহবান জানিয়েছিল। তারা জানায় সরকারের ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মিরকে দ্বিখণ্ডিত করে দেওয়ার নীতিকে সমালোচনা করা উচিত। মাওবাদীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মিরের প্রাকৃতিক সম্পদগুলো ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিতে চায়। তারা জানায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এর পক্ষে কোনও যুক্তি না দিয়ে বলছেন পাকিস্তানে সন্ত্রাস রুখতে এই পদক্ষেপ। আগামী পাঁচবছরও এই নাটক চালিয়ে যাবেন তিনি।

ষাটের দশকের শেষ দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ী থেকে মাওবাদী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। তবে নকশালপন্থী আন্দোলন সত্তরের দশকের প্রথমার্ধ্ব থেকেই গতি হারাতে শুরু করেছিল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের ছত্তিশগড়ের জঙ্গলসহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে আবারও মাওবাদী আন্দোলন জোরালো হতে শুরু করে।

সূত্রঃ https://timesofindia.indiatimes.com/city/visakhapatnam/maoists-put-up-banners-raising-kashmir-issue/articleshow/71103173.cms


তুরস্কের ইস্তাম্বুলে কমিউনিস্টদের সশস্ত্র হামলা

গত সপ্তাহে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের বাণিজ্যিক জেলা সারিগাজিতে একটি ব্যাংক এবং স্থানীয় ডাক বিভাগের শাখায় বোমা ও আগুন ককটেল নিয়ে কমিউনিস্টরা আক্রমণ করে। কুর্দি জাতি ও তাদের সংগ্রামী আন্দোলনের উপর তুর্কি রাষ্ট্রের চলমান বর্বর হামলার প্রতিবাদে তুরস্কের কমিউনিস্ট পার্টি[TKP/ML (Communist Party of Turkey / Marxist-Leninist)] এবং তার সামরিক শাখা TIKKO (Liberation Army of the Workers and Peasants of Turkey)  এই আক্রমণ করেছে জানিয়ে এর দায় স্বীকার করেছে। এসময় তারা রাস্তায় একটি চিঠি ও ব্যানারও ঝুলিয়ে দেয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, যে কোন জাতিসত্ত্বার উপর ফ্যাসিবাদী হামলা হলে পার্টি চুপ করে বসে থাকবে না।

এই সশস্ত্র আক্রমণটি মূলত বহু বছর ধরে TKP/ML পার্টির মধ্যে চলা দুই লাইনের একটি সংগ্রামের ফসল। এর কয়েক্ মাস আগে TKP/M পার্টি তার ১ম কংগ্রেস সম্পন্ন করেছে। এই ১ম কংগ্রেসের লাইনের সামরিক গনলাইনকে উর্ধ্বে তুলে ধরে এগিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই প্রথম সশস্ত্র পদক্ষেপটি চালানো হয়েছে বলে পার্টি তার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনের অংশ হিসেবে TKP/ML TIKKO এর এই সশস্ত্র পদক্ষেপ তুরস্কের প্রতিক্রিয়াশীল আমলাতান্ত্রিক পুঁজিবাদী রাষ্ট্র ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং জার্মানির মতো সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলির বিরুদ্ধে একটি দৃঢ় ও শক্তিশালী বার্তা বহন করবে।

সূত্রঃ http://www.yenidemokrasi5.net/sarigazide-banka-ve-ptt-subelerine-duzenlenen-eylemleri-tkp-ml-ustlendi.html


বিগত ৮ বছর ধরে মাওবাদী আন্দোলন হোঁচট খাচ্ছেঃ গণপতি

 এই বছরের শুরুর দিকে সিপিআই(মাওবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরে আসা ‘গণপতি ওরফে মুপ্পালা লক্ষ্মণ রাও’ মনে করেন, গত আট বছর ধরে “বিপ্লব আন্দোলন” হোঁচট খেয়ে চলছে। পার্টির মুখপত্র পিপলস মার্চকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে গণপতি বলেছেন, “… প্রতিবিপ্লবীদের আক্রমণ এবং আমাদের বিষয়গত ভুল ও দুর্বলতা গত আট বছর ধরে বিপ্লবী আন্দোলনের দুর্বল হওয়ার মূল কারণ।”

সত্তর বছর বয়সী গণপতি তার ‘অসুস্থতা ও বয়সের’ কথা উল্লেখ করে পার্টির পদ থেকে সরে গিয়ে পরবর্তি নতুন নেতৃত্বের জন্যে বাসবরাজকে সামনে নিয়ে আসার পথ করে দেন।।

গণপতি’র মতে, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলি ৫.৫ লক্ষ পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করে অপারেশন গ্রিন হান্ট ও সমাধানের মত আক্রমণাত্মক ঘটনাগুলির সময়ও পার্টির আন্দোলন সক্রিয় ছিল ঐ সমস্ত স্থানগুলোতে। এর ফলস্বরূপ, গণযুদ্ধের ভরকেন্দ্র দুর্বল হয়ে পড়ে এবং আন্দোলনের অঞ্চল সঙ্কুচিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা বিস্তৃত সমভূমি, গ্রামীণ ও শহুরে অঞ্চলে শ্রেণী সংগ্রামকে প্রসারিত করতে পারিনি।

“আমাদের বিষয়ভিত্তিক ভুল এবং দুর্বলতাগুলো সামনে আসায় আমরা নেতৃত্বের ক্যাডার এবং বিষয়ভিত্তিক শক্তিগুলি যথেষ্ট পরিমাণে হারিয়েছি। আন্দোলনের নতুন প্রোগ্রাম এবং কৌশলগুলি তৈরি করতে পারেনি। পার্টিতে অসর্বহারা প্রবণতা সংশোধন করার প্রচারণায় কিছু ত্রুটি ছিল এবং যার ফলে প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জন করা যায়নি,” বলে তিনি জানান।

“মোদী চক্র” “জরুরী পরিস্থিতি মতো পরিস্থিতি প্রকাশ করছে” বলে উল্লেখ করে গণপতি বলেন, “আমাদের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক কাজ হচ্ছে এই ফ্যাসিবাদী রাজনীতিকে লক্ষ্যবস্তু করা, নিপীড়িত মানুষকে একত্রিত করা, আমাদের শ্রেণিবদ্ধ সংগঠনের মাধ্যমে ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দু ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অবিরাম আন্দোলন এবং প্রচারমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা এবং সেই রাজনীতিকে পরাস্ত করার জন্য অন্যান্য সংস্থাগুলিকে সাথে নিয়ে একটি বিস্তৃত যুক্তফ্রন্ট গঠনের মাধ্যমে জঙ্গি আন্দোলন গড়ে তোলা। ”

সূত্রঃ https://indianexpress.com/article/india/maoist-movement-sliding-for-past-eight-years-ganapathi-5957702/?fbclid=IwAR3HRMorfBHGBE8gBeMAqF6r8FdqrLDJmLBxeiE3DOVBnRTzPFynx0u-zMo


মাওবাদী ধরার নামে শিশু-হত্যা ভারতীয় বাহিনীর

মাওবাদী খোঁজার অভিযানে শিশুহত্যার অভিযোগে কাঠগড়ায় ঝাড়খণ্ডের পুলিশ ও সিআরপিএফ। পালামৌ জেলার বাকোরিয়ায় এই বীভৎস ঘটনা গত শুক্রবারের। সেই বাকোরিয়া, যেখানে পুলিশ-আধা সেনার তথাকথিত মাওবাদী বিরোধী অভিযানে ১১ জন নিহত হয়েছিলেন। সেই গণহত্যা নিয়ে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত চলছে। তার মধ্যেই বাবা-কে না-পাওয়ার পরিণামে উন্মত্ত বাহিনী তিন বছরের একটি শিশুকে ছুড়ে ফেলে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠল। পালামৌর পুলিশ সুপার অজয় লিন্ডা সোমবার সংবাদমাধ্যমে এই অভিযোগ দায়েরের কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে।

সন্তানহারা ববিতা দেবী অভিযোগে জানিয়েছেন, শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশ-সিআরপিএফের একটি দল বাকোরিয়া গ্রামে তাঁদের বাড়িতে আসে। ববিতার স্বামী বিনোদ সিংয়ের খোঁজ করে। যৌথ বাহিনী দাবি করে, বিনোদ নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠন ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চার সদস্য। পুলিশ ও জওয়ানরা জোর করে বাড়ির মধ্যে ঢুকে সব তছনছ করে। বিনোদকে না পেয়ে তিন বছরের মেয়েকে কেড়ে নিয়ে সজোরে মেঝেতে ছুড়ে ফেলে দেয়। মারা যায় দুধের শিশুটি। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির মাথায় ও শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন মিলেছে ময়না-তদন্ত রিপোর্টে। পুলিশ ও সিআরপিএফের কারা সে রাতের অভিযানে ছিল, খোঁজ করা হচ্ছে। তবে কেউই এখনও ধরা পড়েনি। আতঙ্কে গ্রাম ছেড়েছেন ববিতারা। ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চা বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাকোরিয়ায় বিনোদ সিং বলে কেউই তাদের সদস্য নয়।

সূত্রঃ https://eisamay.indiatimes.com/nation/maoist-capture-of-child-killing-force/articleshow/70849750.cms?fbclid=IwAR2tJZWA24kVGeEAErN6OInHhy2GoMzrzmw_aDNAOYfcHe_FbGAWUiNtYXs