ভারতের গণযুদ্ধের লাল সংবাদ- ১১/০৩/২০১৫, KFC রেস্টুরেন্টে হামলা…

Maoists-warn-Ch29425

-তিন জন সন্দেহভাজন মাওবাদী গ্রেফতার

মঙ্গলবার ছত্তিসগড়ের বিজাপুর জেলার বাসাগুদা থানাধীন ধর্মপুর গ্রামের কাছে লিঙ্গগিরির গহীন জঙ্গল থেকে নিরাপত্তা বাহিনী এক যৌথ তল্লাশি অভিযানে তিনজন সন্দেহভাজন মাওবাদীকে গ্রেফতার করেছে।

– গত ডিসেম্বর মাসে পলাক্কাদের কেএফসি রেস্টুরেন্টের হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে আশরাফ নামে একজন সন্দেহভাজন মাওবাদীকে গত মঙ্গলবার পেরাভুর থেকে গ্রেফতার করেছে পেরাভুর থানা পুলিশ।

সূত্রঃ ptinews.com /newindianexpress.com


আসানসোল: আলোচনা সভা “মানুষের জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে আর কত কোলিয়ারি দরকার?”, শীর্ষক আলোচনা সভা – মার্চ ২৯, ২০১৫

ভারত

india-reclaims-31-coal-blocks-from-private-firms-over-delay_190214063409

২৯ শে মার্চ, ২০১৫, আলোচনা সভা
বিষয়মানুষের জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে আর কত কোলিয়ারি দরকার ?

স্থানবার অ্যাসোসিয়েশানের হল, আসানসোল কোর্টের কাছে, আসানসোল। [আসান্সোল স্টেশন থেকে বার্নপুরের বাসে আসানসোল কোর্টের স্টপেজে নামতে হবে।]
সময়সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা

Organised by
ADHIKAR, Organisation For Labour’s Rights, Movement, Labour Research & Social Welfare
Dishergarh 10 No. School More, PO- School More, Burdwan, Pin-713333

আমরা জেনেছি কয়লা একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খনিজ সম্পদ।এই মূহুর্তে প্রায় ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় কয়লা থেকে। তাছাড়া কয়লা দরকার হয় স্টীল ও সিমেন্ট কোম্পানিতে।বর্তমানে দেশের ২১৪ টি কয়লা বল্ক তুলে দেওয়া হচ্ছে বা ৫০ হাজার মিলিয়ন টন কয়লা সম্পদ নিলাম করে তুলে দেওয়া হচ্ছে বেসরকারি মালিকের হাতে। কয়লা শিল্পের শুরুতে বেসরকারি উদ্যোগে কয়লা খনি তৈরি হয়েছিল। ব্রিটিশসরকারের হাত থেকে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা ঘোষণা পরে ভারতসরকার দেশে শিল্পের উন্নয়নের জন্য পরিকাঠামো গড়ে দেবার প্রয়োজনে ১৯৭২ ও ১৯৭৩ সালে কয়লাক্ষেত্রকে জাতীয়করণ করে।তখন শিল্পপতিদের হাতে মাটির তলার খনি চালাবার মত যথেষ্ট পুঁজি ছিল না। আম আদমির টাকায় গড়ে তোলা মাটির তলার খনি ও সস্তায় পরিকাঠামোর সুবিধা পেয়ে গড়ে তোলা পুঁজির পাহাড় নিয়ে টাটা , বিড়লা, গোয়েঙ্কা, আম্বানির মত পুঁজির মালিকরা এখন কয়লা শিল্পে আগ্রহী হয়েছে । বর্তমানে সরকারের হাতে টাকা নেই এই অজুহাতে কয়লা শিল্পকে তুলে দেওয়া হল বেসরকারি মালিকদের হাতে। ১৯৯৩ ও ২০০০ সালে কয়লা শিল্প জাতীয়করণ আইন সংশোধ্নী অনুসারে কয়লা শিল্পকে বেসরকারি উদ্যোগের হাতে তুলে দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যায়। প্রথমে বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানি , পরে বেসরকারি কাঁচ ও ইষ্পাত কোম্পানি নিজস্ব মালিকানায় ক্যাপ্টিভ কয়লা খনি করার ছাড়পত্র পেল। বর্তমানে সরকার ২০১৫ সালে অর্ডিনান্স জারি করে বেসরকারি মালিকদের বাজারে কয়লা বিক্রর করার অধিকার দিয়ে দিল।আগেই ২০০৩ সালে বিদ্যুৎ বিল এনে বিদ্যুৎকেও বাজারের একটি গুরুত্তপূর্ণ পণ্যে পরিনত করা হয়েছেzফলে বেসরকারি উদ্যোগ বিদ্যুৎ উৎপাদনের ছাড়পত্র পেয়ে গেল। বিদ্যুতের মাসুল নির্ধারনের ক্ষেত্রে রেগুলেটরি অথরিটি তুলে দিয়ে বিদ্যুতের দাম নির্ধারনের ভার বাজারের উপর ছেড়ে দেওয়া হল।প্রতিযোগিতামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারি সংস্থা স্বাভাবিক কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে কম খরচে বিদ্যুৎউৎপাদন করবে। যে শক্তির উৎস থেকে কম খরচে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে বেসরকারি উদ্যোগ সেই শক্তির উপকরণকেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করবে। দিনের সবসময় বিদ্যুতের চাহিদার জন্য কয়লা থেকে সবচেয়ে কম খরচে বিদ্যুৎ তৈরি হয়। দিনের সর্বোচ্চ চাহিদার সময় কম খরচে বিদ্যুৎ যোগান দেয় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। তাই প্রতিযোগিতামূলক বিদ্যুতের বাজার আরও আরও বেশি করে কয়লা থেকে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র বসানোর পরিকল্পনার দিকে এগোচ্ছে।

বেসরকারি মালিকরা খরচসাপেক্ষ মাটির তলার খনি থেকে খোলামুখ খনিতে বেশি আগ্রহী। বর্তমানে সরকারি বা বেসরকারি যে কোনো নতুন কয়লা খনি বলতে বোঝায় সমস্তই খোলামুখ কয়লা খনি। খোলামুখ খনিতে ভারি মাটি কাটার যন্ত্র যেমন ডোজার, ডম্পার, প্রকলেন ইত্যাদির মাধ্যমে হাজার হাজার একর জমিতে কয়লার উপরের স্তরের মাটি ও পাথরের স্তর উপরে ফেলা হয়। তারপর নীচের কয়লা কেটে আনা হয় । আগে কয়লা উত্তোলনের জন্য মাটির তলায় খোলাখাদের থেকে শাবল গাইতি দিয়ে কয়লা তোলা হত। তখন খোলা খাদের জন্য ডোজার, ডাম্পারের মত ভারি মাটি কাটার যন্ত্র আবিষ্কার হয় নি। তখন মাটির তলার খনি লাভজনক ছিল। মাটির তলার খনির বয়স বাড়ার সাথে সাথে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। বর্তমানে ভারি মাটিকাটার যন্ত্র আবিষ্কারের ফলে খুব অল্প সময়ে প্রচুর পরিমান কয়লা তুলে আনা যায়। এখন খোলামুখ পদ্ধতিতে মাটির অনেক গভীর থেকে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ মিটার গভীরতা থেকে সম্পূর্ণ যান্ত্রিক উপায়ে কয়লা তোলা সম্ভব হচ্ছে। ফলে শ্রমিক দরকার হয় খুব কম। খোলামুখ খনির সামাজিক ও পরিবেশগত ক্ষতি বাদ দিলে মাটির তলার খনির তুলনায় উৎপাদন খরচ খুব কম। উৎপাদন খরচ খুব কম বলে বেসরকারি পুঁজি খোলামুখ খনি তৈরিতে আগ্রহী। সরকারের সব নীতি ও প্রচলিত আইন যেমন খনি আইন, জমি অধিগ্রহণ আইন , পরিবেশ আইন, শ্রম আইন বেসরকারি মালিকের স্বার্থেই সংশোধিত ও পরিবর্তিত হচ্ছে।

খোলামুখ খনির জন্য মাটির উপরের সব কিছু ধ্বংস করে একদিকে উঁচু হতে থাকা ওভারবার্ডেনের পাহাড় এবং গভীর হতে থাকা পুকুরখাদ। খোলামুখ খনির কারনে ধংস হবে বা হচ্ছে মাটির উপরের জীবজগৎ। মাটিতে গভীর গর্ত হয়ে যাবার ফলে কয়লা খাদান অঞ্চলের সমস্ত জলের উৎস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । কৃষি জমি নষ্ট হচ্ছে। ওভারবার্ডেন দিয়ে খাদ ভরলেও মাটির চরিত্র স্থায়ীভাবে বদলে যাবার ফলে কৃষির অযোগ্য হয়ে পড়চ্ছে।কোলিয়ারি যেখানে হচ্ছে সেখানে মানুষ জীবন জীবিকা থেকে উচ্ছেদ হচ্ছে এবং আশেপাশের অঞ্চলের মানুষের সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার সমস্ত অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে ৯০ শতাংশ এলাকা আদিবাসী-প্রধান অঞ্চল কারণ ভারতের কয়লা সমৃদ্ধ এলাকার ৯০ শতাংশ আদিবাসী-প্রধান অঞ্চল। এই অঞ্চল বেশিটাই মধ্যভারতের পাহাড় জঙ্গল ঘেরা আদিবাসী এলাকা। ঝাড়খন্ডের করণপুরা উপত্যকার কৃষিতে সমৃদ্ধ এলাকা ধ্বংস হয়ে যাবে।ধ্বংস হবে জঙ্গল, প্রচুর খরোস্রোতা নদী, মরশুমি জলের ধারা।ধ্বংস হয়ে যাবে সমস্ত বন্যপ্রাণী।

মাটির তলার খনির জন্যও নষ্ট হয়েছে অনেক গ্রাম, জনপদ, চাষের জমি। ২৫০ বছ্রেরর কয়লা খননে রাণীগঞ্জ কয়লাখনি অঞ্চল ধ্বসপ্রবন এলাকায় পরিনত হয়েছে। ঝরিয়া এবং রাণীগঞ্জ কয়লাখনি অঞ্চলের ধ্বসপ্রবন এলাকার মানুষদের সঠিক পূর্ণবাসনের জন্য প্রাক্তন সাংসদ হারাধন রায় সুপ্রিম কোর্টে একটা কেস ফাইল করেন। এই মামলায় ১৩৯টি জায়গাধ্বস প্রবন এলাকা বলে চিহ্নিতক্রন করা হয় ।মামলার রায়ে ২৬১০.১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয় ধ্বস প্রবন জায়গার মানুষকে ক্ষতিপূরণ দেবার জন্য। আজও তারা ক্ষতিপূরণ পায় নি। উপরন্তু ২০১৪ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কোল কোম্পানি ইসিএল – এর হেড অফিসের এলাকার সাঁকতোড়িয়া গ্রামের একটি বাড়ির রান্নাঘর ধ্বসের কারণে বসে যাওয়ায় একটি মেয়ে মাটির তলায় চলে গিয়ে মারা যায় । বর্তমানে এশিয়ার সবচেয়ে পুরন কয়লাখনি অঞ্চলে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কোল কোম্পানির খোলামুখ খনির কারনে উচ্ছেদ হচ্ছে অসংখ্য গ্রাম। যেমন আদিবাসি গ্রাম শালডাংরা, আরশোলা, এবং সোনপুর, বাজারি, বিলপাহাড়ি, বঞ্জেমারি ইত্যাদি গ্রাম। এমনকি রানীগঞ্জ কয়লাখনি অঞ্চলও খোলামুখ খনির জন্য আজ উচ্ছেদের মুখোমুখি। এই অঞ্চলেই প্রথম তৈরি হয়েছে ভারতবর্ষের প্রথম সম্পূর্ণ বেসরকারি কয়লাখনি যার মালিক গোয়েঙ্কা, সরিষাতলি খোলামুখ খনি। তাছাড়া অজয় ও দামোদর নদীর ধার বরাবর যথাক্রম বীরভূম ও বর্ধমান সীমান্ত এবং বাঁকুড়া ও বর্ধমান সীমান্তে মোট ২১টি কয়লা ব্লকের জন্য উচ্ছেদ হবেন বহু মানুষ এবং নষ্ট হবে হাজার হাজার একর কৃষিজমি।

১৯৯৯ সালে কেরালার একজন জমির মালিক তার জমিতে গ্রাফাইট খনি করার জন্য রয়ালিটি দিতে অস্বীকার করে কেরালা হাইকোর্টে কেস ফাইল করে।হাইকোর্ট খনিজ সম্পদের মালিকানা সংক্রান্ত আইনি বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে তিনজনের বেঞ্চ এই মামলায় রায় দিয়েছে । সেই রায়ে বলেছে ভারতবর্ষে এমন কোনো আইন নেই যার বলে সরকার বা রাষ্ট্র মাটির তলার খনিজের উপর মালিকানা দাবি করতে পারে। তাই জমির মালিকই নীচের খনিজ সম্পদের মালিক এবং কোর্ট জমির মালিককে রয়ালিটি দেবার আদেশ দিতে পারে না। এই বিষয়টা এরপর আরও বড় বেঞ্চে রেফার করা হয়। অথচ এতদিন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কোল কোম্পানি কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড কয়লাকে সরকারি সম্পত্তি বলে দাবি করে যথেচ্ছ ভাবে কয়লা লুট করেছে।

খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ এলাকাগুলোয় হাজার হাজার বছর ধরে যে মানুষগুলো বসবাস করছে , সেই অঞ্চল থেকে জীবিকার সংস্থান করছে, সমস্ত রকম সম্পদকে রক্ষা করে রেখেছে, তাদের বিস্থাপিত করে মাটির তলায় মূল্যবান খনিজ সম্পদ সরকার এক মৌ সই করে বেসরকারি মালিকদের হাতে তুলে দিচ্ছে – তা কতটা ন্যায়সঙ্গত? যাদের জমির তলায় কয়লা আছে বা যে মানুষদের বিচবণ ক্ষেত্র পাহাড় জঙ্গল সেই জমি, পাহাড় জঙ্গলের উপর এলাকার জনগোষ্ঠীর কেন অধিকার থাকবে না? কেন আমরা প্রশ্ন করব না কয়লা বা অন্য খনিজ পদার্থ যদি জাতীয় সম্পদ তবে তা দেশের সমস্ত মানুষের জন্য কেন? সেই কয়লা যদি মানুষের প্রয়োজনেই না লাগল, শুধু অল্প কিছু মানুষের ক্রমবর্ধমান স্বাচ্ছন্দের ব্যবস্থা করতে কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ , কয়লাকে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করে স্টিল, কাঁচ ইত্যাদি তৈরি হয় তাহলে কেন কয়লা খনির জন্য এই মানুষগুলো এতবড় বলিদান দেবে? এই মানুষরা সত্যিই কি মাটির তলার খনিজ সম্পদ সরকারি আদেশে দেশি বিদেশি পুঁজির হাতে তুলে দিলে তার বিনিময়ে উন্নয়নের মুখ দেখবে? এই প্রশ্নে ভারতবর্ষে বহু জায়গার মানুষ জল জমি জঙ্গল রক্ষার আন্দোলন শুরু করে দিয়েছে। যে দেশের সরকার স্বাধীনতার ৬৭ বছর পরেও সকলের খেয়েপড়ে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনটুকু মেটাতে পারল না তারা দেশের সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদ দেশি-বিদেশি মালিকদের হাতে কেন বেচে দিচ্ছে তা নিয়ে সবার প্রশ্ন করা দরকার।

বন্ধু এই বিষয় এর উপর একটি গভীর ও আন্তরিক আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা অধিকার সংগঠন একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছি। আমাদের বিনীত আবেদন উক্ত আলোচনা সভায় আপনি আসুন এবং সক্রিয় অংশ গ্রহন করে সভাকে সফল করুন ।

সুত্র- http://sanhati.com/event/13006/#sthash.lESrYmFg.dpuf


“আমাকে শান্তিতে মরতে অন্তত দিন, স্বেচ্ছামৃত্যু মঞ্জুর করুন” —উড়িষ্যা মানবাধিকার কমিশন এর কাছে প্রাক্তন মাওবাদী নেতা কেশব রাও ওরফে আজাদ ।

10930103_1037177122965175_3419074035354740341_n

 

“আমাকে শান্তিতে মরতে অন্তত দিন, স্বেচ্ছামৃত্যু মঞ্জুর করুন”  —উড়িষ্যা মানবাধিকার কমিশন এর কাছে প্রাক্তন মাওবাদী নেতা কেশব রাও ওরফে আজাদ

তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী  কিরণ কুমার রেড্ডির এর আত্মসমর্পণ এর আহ্বানে প্রাক্তন মাওবাদী নেতা আজাদ ২০১১ সালের ১৮ই মে অন্ধ্র প্রদেশের থানায় আত্মসমর্পণ করেন। সে সময় তাকে ধরিয়ে দেয়ার বিনিময়ে ২০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। আত্মসমর্পণ করলে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সমস্ত মামলা তুলে নেয়া হবে এবং তাকে শান্তিতে জীবনযাপন করার সুযোগ দেয়া হবে এই প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আত্মসমর্পণ করার পর দৃশ্যপট বদলে যায়। তাকে বহু মামলায় অভিযুক্ত করা হয় এবং বিভিন্ন থানা, আদালত ও কারাগারে তাকে প্রেরণ করা হয়। তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছেন ও চলাফেরার শক্তি  হারিয়ে ফেলেছেন।  আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাকে তিনি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে উল্লেখ করেছেন এবং উড়িষ্যা মানবাধিকার কমিশনের কাছে ‘স্বেচ্ছামৃত্যুর’ আাবেদন জানিয়েছেন। তিনি কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছেন ” আমার বিরুদ্ধে  একের পর এক মামলা দায়ের করে আমাকে আজীবন কারারুদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করেছে পুলিশ। তিনি মানবাধিকার কমিশনের কাছে বলেন, “আমার পুরো জীবন ব্য্য় করেও এই সব মামলার মীমাংসা সম্ভব নয়। এর পরিবর্তে আমাকে স্বেচ্ছামৃত্যু মঞ্জুর করুন অথবা কারাগার থেকে মুক্ত দিন।”