মনিপুর ও ভারতের গণযুদ্ধের লাল সংবাদ – ২০/০৩/২০১৫

india-oggi

-ক্যাথলিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধের পেছনে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছে মাওবাদীরা
বৃহস্পতিবার মনিপুর মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টি জানিয়েছে রাজ্যের লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল, সেন্ট জোসেফ স্কুল, ক্রাইস্ট জ্যোতি স্কুল ও কাঞ্চিপুর ক্যাথলিক স্কুল- এ চারটি বিদ্যালয় বন্ধ হবার সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। পার্টির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে পার্টির দাবী মেনে নিতে ব্যর্থ হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নির্মলাবাস স্কুলকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তবে পার্টি এমএম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও লিটল রোজ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে স্থায়ী ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুটি বিদ্যালয়কেই সিবিএসই (CBSE) পরীক্ষায় প্রবেশপত্র না পাওয়া আড়াই হাজার ছাত্রছাত্রীর দায়দায়িত্ব নিতে হবে। এছাড়া পার্টির পক্ষ থেকে সকল বেসরকারি বিদ্যালয়কে সর্ব মনিপুর বেসরকারি বিদ্যালয় কল্যাণ সংস্থার (All Manipur Private School Welfare Association) সাথে সংশ্লিষ্ট হবার জন্য ঘোষণা জারী করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সূত্রঃ kanglaonline.com

18

-উড়িষ্যার নুয়াপাড়াতে আরো অধিক সিআরপিএফ ইউনিট মোতায়েন
বুধবার সিআরপিএফ এর ডিরেক্টর জেনারেল প্রকাশ মিশ্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সিপিআই (মাওবাদী)এর থেকে নুয়াপাড়াকে মুক্ত করতে প্রয়োজনে আরো অধিক সংখ্যক সিআরপিএফ ইউনিট মোতায়েন করা হবে। তিনি আরো বলেন, মাওবাদীদের ভয়ে পর্যটকদের যেন নুয়াপাড়া জেলার সুনাবেদা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ঘুরতে কোন অসুবিধা না হয় সেটি তিনি নিশ্চিত করবেন। মিশ্র জানান, গত পাঁচ বছরে মাওবাদীদের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকার পর্যটন খাতের উপর প্রভাব পড়েছে। তিনি একটি হেলিকপ্টারে চড়ে সুনাবেদা গ্রাম পরিদর্শনে যান।

সূত্রঃ satp.org


“গেরিলা বাহিনীতে ৫০ শতাংশই নারী” – জানালেন মাওবাদী নেতা অর্জুন

4

ভারতের নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দল সিপিআই (মাওবাদী) এর সশস্ত্র শাখা পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মিতে (PLGA) তে দিন দিন নারী গেরিলার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৩-১৪ সালে বাহিনীতে যোগদানকারীদের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই নারী। সিপিআই (মাওবাদী) এর কেন্দ্রীয় আঞ্চলিক ব্যুরোর ৫০ শতাংশের বেশি ক্যাডারই নারী। DNA এর সাথে উর্ধ্বতন মাওবাদী নেতা চাম্বালা রবিন্দর ওরফে অর্জুনের দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকার ভিত্তিক ৭৩ পৃষ্ঠা সংবলিত তদন্ত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

কে এই চাম্বালা রবিন্দর ওরফে অর্জুন

৪৪ বছর বয়সী চাম্বালা রবিন্দর ওরফে অর্জুন ২০১৪ সালের জুলাই মাসে স্ত্রী ভি আদিমি সহ তেলেঙ্গানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তাকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল ও আদিমিকে ধরিয়ে দিতে ৫ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।

তদন্ত প্রতিবেদনে কী বেরিয়ে এল ?

মাওবাদীদের শক্তিশালী ঘাঁটি ছত্তিসগড়ের বস্তার অঞ্চলে তাদের বর্তমান কার্যক্রম, অর্থায়ন ও হামলার বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। ১৯৯৭ সাল থেকে রবিন্দর অন্তত দশটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন যেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর ৮৩ জন খতম ও ৩৪ জন আহত হয়েছে। এছাড়া মাওবাদীরা ৫৬৯টি অস্ত্র ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।

5

বাহিনীতে কেন এত বেশী সংখ্যক নারী যোগদান করছে ?

রবিন্দরের ভাষ্যমতে, পুরুষেরা বিপ্লবে অংশ নেয়ার চাইতে বাইরে কাজ করেই বেশী সুখী। বিয়ে ও অন্যান্য সামাজিক কারণে নারীরা তুলনামূলক সহজে বিপ্লবে যোগদান করে থাকে। জিজ্ঞাসাবাদকারীদের রবিন্দর বলেন, “কেন্দ্রীয় আঞ্চলিক ব্যুরোর প্রায় অর্ধেক PLGA ক্যাডার নারী।”

মাওবাদীদের ভেতরে কি ঝরে পড়ার ঘটনা আছে ?

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দণ্ডকারণ্য বিশেষ জোনাল কমিটি (DKSZC)  ২০১৩-১৪ সালে প্রায় ৩৬০ জন ক্যাডারকে নিয়োগ দেয়া হয় এবং একই সময়ে প্রায় সমান সংখ্যক ক্যাডার সংগঠন ছেড়ে চলে যায়। দক্ষিণ বস্তার ও পশ্চিম বস্তার অঞ্চল থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক নিয়োগ দেয়া হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

naxalites

প্রতিবেদনে কী তুলে ধরা হল ?

সমগ্র আন্দোলন জুড়ে সামরিক দিক থেকে সাফল্য অর্জিত হলেও মতাদর্শিক উত্তরাধিকার খুঁজে পেতে সংগ্রাম চালাতে হচ্ছে। “২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আমার সাথে গণপতি ওরফে রমানার সাক্ষাৎ হয়। ১২ দিন ধরে আমাদের আলাপচারিতা চলে। পূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্ত গুলোর বাস্তবায়ন ঘটাতে সংগঠনটি ব্যর্থ হয়েছে…নেতৃত্বে সংকট চলছে;…নেতৃত্বের দ্বিতীয় লাইনটি এখনো ঠিকমত গড়ে উঠেনি”।

রবিন্দর কি সশস্ত্র প্রশিক্ষণে যুক্ত ছিলেন  ?

রবিন্দর মোবাইল মিলিটারি বিদ্যালয়(MOMIS), দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়ন ও দণ্ডকারণ্য যোগাযোগ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। তাঁর জন্ম তেলেঙ্গানার ওয়ারেঙ্গালের থম্মদাপল্লীতে। ১৯৯০ সালের দিকে তিনি মাওবাদী বাহিনীতে যোগদান করেন। ২০০০ সালে তিনি দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়নের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ও ২০১০ সালে মোবাইল মিলিটারি বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন যেখানে মাওবাদী ক্যাডারদের সামরিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হত।

2

দল কি তার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে একমত পোষণ করে ?

২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত দলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সভায় ও ২০১৪ সালে আরেকটি উচ্চ পর্যায়ের সভায় প্রতিবেদনে দেয়া রবিন্দরের বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করা হয়েছে। দলের অভ্যন্তরীণ দলিলপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিপ্লবী আন্দোলনের উপর আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের প্রতি দৃষ্টি রাখতে হবে ও তাদের ভেতর আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলে দৃঢ়ভাবে দাঁড় করাতে হবে।’

প্রতিবেদনে প্রাপ্ত তথ্য মতে রবিন্দর আরো উল্লেখ করেন, অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ছাড়াও ‘যুদ্ধের দীর্ঘসূত্রিতার কারণেও তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন এবং…বিপ্লবকে উর্ধ্বে তুলে ধরার জন্য কোন আশার আলো দেখতে পাননি।’

তদন্তকারীদের তিনি আরো জানান, সালওয়াজুডুম এর সদস্যরা ‘যদি মাওবাদীদের কাছে আত্মসমর্পণ করে’ তবে তাদেরকে গ্রহণ করে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাওবাদীরা।

সূত্রঃ dnaindia.com


ছেলেটা না সত্যিই মাওবাদী হয়ে যায়, রুপাছড়ার সাতকাহন (৩)

aj

 

 

 

সুত্র – http://samayikprasanga.in/epaper.php?pn=1