Posted: June 5, 2015 | Author: লাল সংবাদ/lal shongbad | Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad, সাহিত্য ও সংস্কৃতি | Tags: কোবাদ গান্ধী, kobad gandhi, kobad gandhy |
বাবা বহুজাতিক কোম্পানিতে উচ্চবেতনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। কলেজপড়ুয়া ছেলে কোবাদের জন্য তিনি একদিন শখ করে সোনার চেইনওয়ালা একটি ঘড়ি কিনে দেন। ঘড়িটি বাবার দেওয়া শখের উপহারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পছন্দের ছিল তার। তাই ঘড়িটি সারাক্ষণ আগলে রাখত ছেলেটি। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই পরিবারের সদস্যরা লক্ষ করল, কোবাদের হাতে ঘড়িটি নেই। বাবা জিজ্ঞেস করলেন, ‘ঘড়িটি কি হারিয়ে ফেলেছ?’ কোবাদ শান্ত গলায় জবাব দিল, ‘ঘড়িটি আমি পাশের বাসার কাজের ছেলেটাকে দিয়ে দিয়েছি। ওর ওটা খুব পছন্দ হয়েছিল।’ ওই দিন কোবাদের এমন জবাব শুনে পরিবারের সবাই আকাশ থেকে পড়ে। তাদের আশঙ্কা, ছেলেটা হয়তো পাগল হয়ে যাচ্ছে! অথচ তারা জানত না গরিবের জন্য দরদি এই ছেলেটার মনে রয়েছে একজন মহান বিপ্লবী।
এতক্ষণ কোবাদ নামের যে ছেলেটার কথা বলা হলো, আসলে তিনি হলেন ভারতের নকশালপন্থী বিপ্লবী নেতা কোবাদ ঘেন্দি (৫৮)। ছেলে পাগল হয়ে যাচ্ছে—পরিবারের এমন আশঙ্কা অবশ্য শেষ পর্যন্ত সত্য হয়নি। তবে সেই কোবাদ মহাপাগল হয়েছিলেন। কোবাদের বন্ধুদের মতে, ওই মহাপাগল হতদরিদ্রদের অধিকার আদায়ে বিপ্লবের পথে নেমেছিলেন। ঘুণে ধরা সমাজে তিনি দেখেছেন কীভাবে ভূমিহীন আর দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ দিন দিন আরও দরিদ্র হচ্ছে, বিপরীতে ধনীরা কীভাবে সম্পদের পাহাড় গড়ছে। তিনি দেখেছেন বঞ্চিত কৃষক কীভাবে ক্ষুধা আর দারিদ্র্যের জাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে, কীভাবে তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। সমাজের ওই উঁচুতলার মানুষজনই নিয়ন্ত্রণ করছে রাষ্ট্রকে। তারা শুধু গরিবের অধিকার আদায়ের কথা বলে, কিন্তু কাজ করে অভিজাত শ্রেণীর জন্যই। কোবাদ নিজেও ছিলেন উঁচুতলার মানুষ। তাই হয়তো হতদরিদ্রদের নিপীড়নের চিত্র খুব কাছ থেকে দেখতে পেয়েছিলেন। বিলাসী সুখের জীবন ত্যাগ করে তাই একদিন নাম লেখান ভারতের মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টিতে। কোবাদ চেয়েছিলেন, মহা ঝড় তুলে সমাজকে একেবারে গুঁড়িয়ে দেবেন। এরপর সেখানে আবার গড়া হবে নতুন এক সমাজ, যেখানে থাকবে সাম্য আর ন্যায়বিচার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলেন না তিনি। ৩০ বছর গোপনে (আন্ডারগ্রাউন্ড) বিপ্লবের বীজ বুনে ২০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন এই বিপ্লবী। নকশালদের কাছে যে কোবাদ এক আদর্শের নাম!
কোবাদদের পারসি পরিবারে অভাব বলতে কিছু ছিল না। সমাজের উঁচুতলার মানুষ বলতে যা বোঝায়, কোবাদরা তাই-ই। কোবাদের এক ভাই প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব সুনীল শনবাগ। সুনীল বলেন, ‘আমাদের পরিবারে কোবাদের প্রভাব স্পষ্ট। মাওবাদী রাজনীতিতে জড়ানোর পরও তাঁর জন্য আমাদের পরিবারের সমর্থনে কখনো ভাটা পড়েনি। কারণ আমরা ভালো করেই জানি, কোবাদ গণমানুষের জন্য মুক্তির সংগ্রামে নেমেছে।’
কোবাদ পড়ালেখা করেছেন অভিজাত দুন স্কুল এবং সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। এরপর উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন লন্ডনে। সেখানে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি পাস করেছেন ভালো ফল নিয়ে।
কোবাদের এক বন্ধু রাজনীতিক পি এ সেবাস্তিয়ান বলেন, মূলত ইংল্যান্ডে পড়ালেখার সময়ই তিনি দেশের রাজনীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেন। এরপর দেশে ফিরে আসেন। ১৯৭৫-৭৭ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সরকার জরুরি অবস্থা জারি করলে তিনি আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। ওই সময় তিনি গড়ে তোলেন কমিটি ফর প্রটেকশন অব ডেমোক্রেটিক রাইট (সিপিডিআর) নামের সংগঠন। আসগর আলী ইঞ্জিনিয়ারের মতো আরও অনেক রাজনীতিক তখন এই সিপিডিআরে নাম লেখান।
আরেক বিপ্লবী এবং কোবাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু সুসান সেবাস্তিয়ান বলেন, ‘সমাজের অভিজাত শ্রেণী থেকে আসার পরও কোবাদের মধ্যে কখনো আভিজাত্যের ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি। সদাহাস্য মানুষটি সাদামাটা জীবন যাপন করতেন। তাঁর স্ত্রী অনুরাধা শনবাগও ছিলেন যোগ্য সহযোদ্ধা। স্বামীর সঙ্গে তিনিও বেছে নিয়েছিলেন বিপ্লবের পথ। জঙ্গলে জঙ্গলে আর বনবাদাড়ে ঘুরতে ঘুরতে শরীরে ম্যালেরিয়া বাসা বেঁধেছিল তাঁর। এ অবস্থায় ২০০৮ সালে মারা যান তিনি। ২০০৮ সালে বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে কোবাদ বলেছিলেন, ‘ভারতে এখনকার সমাজব্যবস্থাটা হলো আধাসামন্ততান্ত্রিক ও আধা ঔপনিবেশিক। এ সমাজকে খাঁটি গণতান্ত্রিক পথে আনতে হবে। তাই আমাদের সংগ্রাম হলো ভূমিগ্রাসী আর গরিব-দুঃখীদের ব্যবহার করে যারা সম্পদের পাহাড় গড়ে তাদের বিরুদ্ধে। গ্রামের হতদরিদ্রদের অধিকার আদায়ের আগ পর্যন্ত এ সংগ্রাম চলবেই।’
মহারাষ্ট্র পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, নাগপুর ও চন্দ্রপুরে কোবাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর কোনো অভিযোগ মেলেনি।
এরই মধ্যে কোবাদ ঘেন্দির মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন প্রচার শুরু করেছে। তারা বলেছে, কিছু কিছু গণমাধ্যম কোবাদ ঘেন্দিকে ভুলভাবে তুলে ধরছে। এমন একটি সংগঠনের এক নেতা বলেন, কোবাদ কোনো রক্তলোলুপ সন্ত্রাসী নন। তিনি একজন শান্তিকামী বিপ্লবী। অথচ অনেকে তাঁকে ভুলভাবে তুলে ধরার অপচেষ্টা করে। এটা বড় হতাশাজনক।
সমাজকর্মী ও লেখক জ্যোতি পুণ্যানী বলেন, ‘আমরা যখন দুন স্কুলে একসঙ্গে পড়তাম, তখন জানতামই না যে, কোবাদেরা এত বড়লোক। ওরলি এলাকায় তাঁদের বিশাল বাড়ি ছিল। পরে যখন বিদেশে পড়ালেখা করে দেশে আসে, তখন তাঁর কাঁধে থাকত কাপড়ের একটি ঝোলা। তাতে থাকত নানা ধরনের বই। একেবারে সাধারণ একজন মানুষ। অথচ ওই সাধারণ মানুষটাই সবার সঙ্গে করতেন অসাধারণ আচরণ। সবার মাঝে মিশে যেতেন তিনি অবলীলায়। করতেন হাসি-তামাশা। সব শ্রেণীর মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল তাঁর। তাঁর স্ত্রীও গোটা জীবনটাই দিয়ে গেলেন হতদরিদ্র মানুষের মুক্তির সংগ্রামের পেছনে। কোবাদ সম্পর্কে এ মুহূর্তে শুধু একটি কথাই বলতে চাই, তিনি কোনো মনীষী নন, বরং একজন বড় মাপের ভাবাদর্শী। গ্রেপ্তার হলেও তাঁর ওই আদর্শের মৃত্যু হবে না। এতে অনুপ্রাণিত হবে পরিবর্তনপ্রত্যাশী ভারতের লাখো বিপ্লবী।’
সর্বশেষঃ
নকশাল বাদী হিসেবে ২০০৯ সাল থেকে নয়াদিল্লীর তিহার জেলে আটক কোবাদ গান্ধী কারা কর্তৃপক্ষের হয়রানির প্রতিবাদে গত শনিবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্যে অনশন শুরু করেছেন।
বর্তমানে কোবাদ গান্ধী(৬৮)কে যেখানে রাখা হয়েছে সেখানেই রাখার জন্য তার একাধিক অনুরোধ সত্ত্বেও কারা কর্তৃপক্ষ এখন তাকে ৮ নম্বর কারাগারে স্থানান্তর করছে । সীমিত পরিসরে হলেও এখানে তার মত শারীরিকভাবে অসুস্থ একজন সিনিয়র বন্দী নাগরিকের জন্য কিছু সুযোগ সুবিধা রয়েছে। তাছাড়া, যাবতীয় বই পুস্তক জিনিসপত্র এক জেল থেকে বহুদূরে অবস্থিত অন্য জেলে টেনে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত শ্রম সাপেক্ষ বিষয় যা এ মুহূর্তে কোবাদের বর্তমান ভঙ্গুর শারীরিক অবস্থায় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
এক বিবৃতিতে কোবাদ গান্ধী জানান, তিনি হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রা, বাত এবং আর্থরাইটিস, কিডনি সহ বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছেন। অথচ, এসব জেনেও কারা কর্তৃপক্ষ প্রতিনিয়ত তাকে হয়রানি করে যাচ্ছে।
যেহেতু এটা পরিস্কার যে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে স্থানান্তর করবেই; তার অসংখ্যবার অনুরোধের পরেও তার কোন কথা তারা কানে তুলছে না, এ পরিস্থিতিতে এই ধরনের অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে অনশনে যাওয়া ছাড়া কোবাদের সামনে আর কোন পথ খোলা নেই।
তিহার জেল থেকে লেখা কোবাদ গান্ধীর বিবৃতি –
Declaration Kobad Ghandy, June 1:
‘I have 68 years and I spent five and a half years in Tihar Jail in Delhi with the case almost buckled. Although routine transfers (every three to five months) of prisoners to the high-risk area of the prison to take place for four years, I did about that since August 2014. This is the third in nine months. Previously, transfers were carried out in prison that as a punishment. I have a heart condition, blood pressure, a sliding vertebral disc, ankylosing spondylitis, a kidney problem and many other health problems – and specifically all worsened after August 2014.
During our transfers, we must carry our bags ourselves (10-15 kilos), undergo various excavations of all our items, we are made to wait outside the gates of the prison for 4-5 hours waiting for a vehicle, packed like sardines with our luggage in one van and taken to the new prison door. Then two more thorough searches, and again carry all our stuff to the neighborhood, etc. We must pass the medical examination for any newcomer. Then a rush to the cells, the latecomers getting worst. Then, roughly 2 or 3 days pass clean the disgusting cell and storage of our business, without any help. In the new jail, all medical treatments are interrupted, medical plans and other permissions must be requested again, as was the bed and western toilet. This may take a few days to a few months. Furthermore, Vodafone equipment must also be started from scratch. No sooner are we installed and adapted to the new batch of criminals (some of which can be very bad) that occurs the next transfer, and the whole process starts again.
My transfer was made on 30 May in the middle of an examination for a heart problem at the GB Pant Hospital. Since the order of the High Court in 2012 asking the Tihar Jail to take better care of its senior citizens (aged 65 to read), I asked to be transferred in the area reserved for senior citizens, or that the I am given similar equipment in the high-risk area, but in vain. On the contrary, whereas at the beginning he never transferred me he employ it since August 2014, this clearly being a method of harassment and destruction of my health. Since all calls, both on legal grounds humanitarians were ignored, I, ultimately, had to put in an unlimited hunger strike since my last transfer on 30 May. ‘
Kobad Ghandy
Tihar Jail 8/9
High Risk Ward (Ward 5)
সুত্রঃ
http://archive.prothom-alo.com/print/news/9215
http://www.signalfire.org/2015/06/05/strike-declaration-by-kobad-ghandy-june-1/
http://zeenews.india.com/news/india/naxalite-kobad-ghandy-on-indefinite-hunger-strike-inside-tihar-jail_1606746.html
Posted: June 5, 2015 | Author: লাল সংবাদ/lal shongbad | Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad, সাহিত্য ও সংস্কৃতি | Tags: চলচ্চিত্র, নকশাল, মাওবাদী, লালগড়, সিনেমা |
শুধু দেড়টা বছর।
মার্কিন নেভি সিল কম্যান্ডোরা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করেছিল ২০১১ সালের ২ মে। আর ২০১২-র ডিসেম্বরে মুক্তি পেয়েছিল সেই ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হলিউডের ছবি ‘জিরো ডার্ক থার্টি’।
শুধু একটা বছর।
১৯৭২-এ গ্রেফতার হন চারু মজুমদার। কিছু দিনের মধ্যে হাজতেই নিহত হন তিনি। তার পরই এক রকম সাময়িক দাঁড়ি পড়ে যায় সত্তরের নকশাল আন্দোলনে। আর ১৯৭৩-এ মুক্তি পায় মৃণাল সেনের ‘পদাতিক’। এক গেরিলা যোদ্ধার অজ্ঞাতবাসকে কেন্দ্র করে তৈরি ছবি।
সাড়ে তিন বছর পার।
কোথাও কিচ্ছু নেই। মাওবাদী নেতা কিষেণজি মারা যান ২০১১ সালের নভেম্বরে। ২০০৮-এর নভেম্বরে শুরু লালগড় আন্দোলনও মোটামুটি ওখানেই আপাত স্থির। কিন্তু আজও লালগড়ের পটভূমিকায় কোনও ছবি তৈরি হল না। আফসোস করছিলেন তখনকার লালগড়ে পুলিশি সন্ত্রাসবিরোধী জনসাধারণের কমিটির অন্যতম নেতা কিঙ্কর সিংহ। ‘‘আমাদের আন্দোলন গোটা ভারতে নজির তৈরি করেছিল। অথচ সেটা নিয়ে ছবি করার কথা কেউ ভাবলেন না। জঙ্গলমহল এ ক্ষেত্রেও বঞ্চিত,’’ আক্ষেপ কিঙ্করের। তাঁদের হতাশার অবশ্য আরও কারণ আছে। চলতি মাসেই মুক্তি পেতে চলেছে এমন দু’টি বাংলা ছবি, যাদের প্রেক্ষাপট মূলত রাজনৈতিক। একটির নাম ‘নকশাল’, অন্যটি ‘শীর্ষেন্দুর ডায়েরি’।
‘মেঘের মেয়ে’ নামে আরও একটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায়। আর এই ছবিতে পুরোদস্তুর উপস্থিত নকশাল মতাদর্শ নিয়ে টানাপড়েন, অন্তর্দ্বন্দ্ব ও জঙ্গলমহলে মাওবাদী কার্যকলাপ। তা সত্ত্বেও ‘মেঘের মেয়ে’ সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছে লালগড়কে। অবশ্য ‘শীর্ষেন্দুর ডায়েরি’-র কেন্দ্রীয় চরিত্রের একটি সংলাপ ছুঁয়ে যায় ওই উত্তাল সময়কে। ‘‘সূর্যগড়ে রোজ একটা করে খুন হচ্ছে।’’ সূর্যগড় বলতে আসলে কায়দা করে লালগড়কেই বোঝানো হয়েছে। আর ‘নকশাল’-এ সত্তর দশকের এক বিপ্লবী বর্তমান আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক ব্যবস্থায় নিজেকে মানিয়ে নিতে না পেরে তীব্র অস্তিত্বের সঙ্কটে ভোগেন। কিন্তু সেই প্রাক্তন বিপ্লবী (ভূমিকায় মিঠুন চক্রবর্তী) যেন জঙ্গলমহলের খোঁজই রাখেন না!
এই তিনটি রাজনৈতিক ছবির পরিচালক আর অভিনেতারা কার্যত স্বীকার করে নিচ্ছেন, তাঁদের কাজে লালগড় আন্দোলনকে ধরার সুযোগ ছিল এবং সময়ের দাবি মেনেই ওই ঘটনাবলি নিয়ে ছবি হওয়া উচিত। তা হলে হচ্ছে না কেন? ছত্তীসগঢ় ও ঝাড়খণ্ডের মাওবাদী ডেরায় দীর্ঘ সময় পড়ে থেকে ‘মাই ডেজ উইথ মাওয়িস্ট আর্মি’ তথ্যচিত্র তৈরি করা সৌমিত্র ঘোষদস্তিদারের মতে, বিষয়টা নিয়ে পড়াশোনা, চর্চার বড্ড অভাব। তাঁর কথায়, ‘‘ক’জন জানেন যে, পশ্চিমবঙ্গে মাওবাদীরা প্রথম গণ মিলিশিয়া তৈরি করেছিল লালগড়ে। ওই এলাকা ও আশপাশের বিস্তীর্ণ তল্লাটে দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রের কোনও উপস্থিতিই ছিল না! এই ধরনের ছবি তৈরি করার প্রয়োজনীয় নিষ্ঠা, দায়বদ্ধতা খুব কম লোকেরই আছে।’’
‘মেঘের মেয়ে’-র পরিচালক গায়ক-অভিনেতা পল্লব কীর্তনীয়া। তাঁর যুক্তি, ‘‘লালগড় আন্দোলন শুরুর আগেই চিত্রনাট্য লেখা হয়ে গিয়েছিল। পরে লালগড় ঢোকালে ফোকাস নষ্ট হত। লালগড়ের ক্যানভাস অনেক বড়।’’
‘পদাতিক’-এর নায়ক সুমিত, ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় ‘নকশাল’-এ এক মিডিয়া টাইকুনের ভূমিকায়। তাঁর মতে, ‘‘এখন আমরা অনেক অসহিষ্ণু সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। যাঁরা ছবি করেন, তাঁরা হয়তো ঝামেলার মধ্যে যেতে না চেয়ে এ সব ঘাঁটাঘাঁটি করার ঝুঁকি নিচ্ছেন না।’’ একই মত পরিচালক সুদীপ্ত দে’র। ‘‘পরিস্থিতি খুব খারাপ। ‘শীর্ষেন্দুর ডায়েরি’ও গত বছর সেন্সর বোর্ড আটকে দিয়েছিল। বিতর্কিত বিষয় নিয়ে ছবি তৈরি করার জন্য গবেষণায় যেমন খামতি, তেমনই প্রযোজক পাওয়া মুশকিল। পরিচালকদের সাহসেরও অভাব আছে,’’ অকপট তিনি।
তবে রাজ্যের মন্ত্রী তথা সাংস্কৃতিক কর্মী ব্রাত্য বসুর বক্তব্য, ‘‘চলচ্চিত্র অনেক ক্ষেত্রেই বিনোদনের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমস্যাটা সেখানেই।’’ ব্রাত্যরই পরিচালিত, ২০১০-এ মুক্তি পাওয়া ‘তারা’ ছবিতে লালগড়ের আন্দোলনের কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করা হয়েছিল। ছবিতে মাওবাদীদের ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ ও গুপ্তহত্যা, নিরপরাধের উপরে পুলিশি পীড়নের প্রেক্ষাপটে প্রেম কাহিনি আঁকা হলেও লালগড় আন্দোলনের সময়কার জঙ্গলমহলের চিত্র যে তুলে ধরা হয়নি, সেটা ব্রাত্য মেনে নিচ্ছেন। ব্রাত্যর পরিচালনায় এখন মঞ্চস্থ হচ্ছে ‘বোমা’, যে নাটক তুলে ধরেছে বাংলার প্রথম সশস্ত্র বিপ্লবের সময়কাল। কিন্তু বাংলার আপাতত শেষ সশস্ত্র বিপ্লবী অর্থাৎ মাওবাদীরা যখন গণ আন্দোলনকে চালনা করছে, ওসি-কে অপহরণ করে যুদ্ধবন্দি ঘোষণা করছে, সেই সময়কাল তুলে ধরবেন কে? পল্লব কীর্তনীয়া ও সুদীপ্ত দে অবশ্য বলছেন, ‘‘ভবিষ্যতে অবশ্যই লালগড় নিয়ে ছবি করব। ওই সময়কাল ও আন্দোলনের পরতে পরতে কাহিনির উপাদান ভর্তি।’’
আপাতত সেই আশাতেই আছে লালগড়।
সুত্রঃ http://www.anandabazar.com/state/no-movie-till-now-on-kishenji-encounter-1.155396
Posted: June 5, 2015 | Author: লাল সংবাদ/lal shongbad | Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: ফিলিপিন মাওবাদী, মাওবাদী, CPP, maoist, NPA |
গত মঙ্গলবার এক সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়, আদেলবের্তো সিলভা ফিলিপিন কমিউনিস্ট পার্টি ও এর সশস্ত্র শাখা নিউ পিপলস আর্মির (এনপিএ) একজন “সর্বোচ্চ স্তরের” নেতা। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোসেলিতো কাকিলালা বলেন, “তিনি গোটা দেশের মাওবাদী আন্দোলনের সার্বিক সমন্বয়ক। তিনি মাওবাদীদের কার্যক্রম সমন্বয় করতেন।”
কাকিলালা আরো বলেন, “এই গ্রেফতারের ফলে একটি বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। এতে করে তাদের কৌশলগত দিক নির্দেশনা ও কার্যক্রমে বাধা পড়বে।”
গত বছরের মার্চ মাসে ফিলিপিনের নিরাপত্তা বাহিনী ফিলিপিন কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান বেনিতো তিয়ামজন ও তার স্ত্রী, পার্টির সেক্রেটারি জেনারেল উইলমা তিয়ামজনকে গ্রেফতার করে।
কাকিলালা বলেন গোটা দেশ জুড়ে হাজার হাজার নিহত হবার পর বর্তমানে এনপিএ এর ৪০০০ এর কম সংখ্যক যোদ্ধা রয়েছে।
তিনি বলেন, তিয়ামজনদের গ্রেফতারের পর সিলভা ফিলিপিন কমিউনিস্ট পার্টি-এনপিএ এর নেতৃত্ব ভার গ্রহণ করেন। তার বয়স ও তার ব্যক্তিগত অতীত সম্পর্কে কেউ জানত না।
পুলিশ জানায় সোমবার রাতে ম্যানিলার দক্ষিণ প্রান্তে বাকুর শহরে অপর একজন পুরুষ ও এক নারী সহ তাকে তার আশ্রয়স্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয় তিনি এক বছর ধরে এ বাড়িটিতে বসবাস করছিলেন, সবাই জানত তিনি একজন ব্যবসায়ী।
তার আবাসস্থল থেকে পুলিশ ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, গ্রেনেড ও দলিলপত্র উদ্ধার করেছে।
মিলিটারি জানিয়েছে, ১৫ জনকে হত্যার অভিযোগে সিলভার বিচার হবে। ১৯৮৫ সালে লেতে দ্বীপের একটি গণকবর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
রাষ্ট্রের অভিযোগ, মিলিটারির গুপ্তচর সন্দেহে এনপিএ এই ১৫ জনকে অপহরণের পর হত্যা করে।
গত মাসে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য তিয়ামজন দম্পতির বিচারে তারা আত্মপক্ষ সমর্পণের সুযোগ প্রত্যাখান করেন, তাই আদালত তাদের পক্ষ হয়ে “নির্দোষ” আবেদন জারী করে।
মাওবাদী বিপ্লব থামানোর উদ্দেশ্যে বিগত বেশ কয়েক দশক ধরে বিভিন্ন সরকার বারংবার আলোচনায় বসার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। রাষ্ট্রীয় হিসাব মতে মাওবাদী আন্দোলনে দেশটিতে প্রায় ৩০০০০ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে।
সূত্রঃ
http://www.dailymail.co.uk/wires/afp/article-3107127/Philippines-highest-ranking-communist-rebel-held-military.html
Posted: June 5, 2015 | Author: লাল সংবাদ/lal shongbad | Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad |
বুধবার সকালে, চার দিনের নির্বাচনের আগে তুর্কি পুলিশ কুর্দি শহরের সিরনাক এবং সিলপির বিভিন্ন স্থানে অভিযানে চালিয়ে ৮ শিশুসহ ৩০ জনকে গ্রেফতার করে। সাঁজোয়া যানবাহন দ্বারা সমর্থিত পুলিশি অপারেশনে, পিকেকে(কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি)র ৩০ জনকে রাত ৩ টায় তুলে নিয়ে যায় পুলিশ ।
সুত্রঃ http://maoistroad.blogspot.com/2015/06/turquiekurdistan-30-arrestations-visait.html
Posted: June 5, 2015 | Author: লাল সংবাদ/lal shongbad | Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad |
Declaration Kobad Ghandy, June 1:
‘I have 68 years and I spent five and a half years in Tihar Jail in Delhi with the case almost buckled. Although routine transfers (every three to five months) of prisoners to the high-risk area of the prison to take place for four years, I did about that since August 2014. This is the third in nine months. Previously, transfers were carried out in prison that as a punishment. I have a heart condition, blood pressure, a sliding vertebral disc, ankylosing spondylitis, a kidney problem and many other health problems – and specifically all worsened after August 2014.
During our transfers, we must carry our bags ourselves (10-15 kilos), undergo various excavations of all our items, we are made to wait outside the gates of the prison for 4-5 hours waiting for a vehicle, packed like sardines with our luggage in one van and taken to the new prison door. Then two more thorough searches, and again carry all our stuff to the neighborhood, etc. We must pass the medical examination for any newcomer. Then a rush to the cells, the latecomers getting worst. Then, roughly 2 or 3 days pass clean the disgusting cell and storage of our business, without any help. In the new jail, all medical treatments are interrupted, medical plans and other permissions must be requested again, as was the bed and western toilet. This may take a few days to a few months. Furthermore, Vodafone equipment must also be started from scratch. No sooner are we installed and adapted to the new batch of criminals (some of which can be very bad) that occurs the next transfer, and the whole process starts again.
My transfer was made on 30 May in the middle of an examination for a heart problem at the GB Pant Hospital. Since the order of the High Court in 2012 asking the Tihar Jail to take better care of its senior citizens (aged 65 to read), I asked to be transferred in the area reserved for senior citizens, or that the I am given similar equipment in the high-risk area, but in vain. On the contrary, whereas at the beginning he never transferred me he employ it since August 2014, this clearly being a method of harassment and destruction of my health. Since all calls, both on legal grounds humanitarians were ignored, I, ultimately, had to put in an unlimited hunger strike since my last transfer on 30 May. ‘
Kobad Ghandy
Tihar Jail 8/9
High Risk Ward (Ward 5)
Source- http://www.signalfire.org/2015/06/05/strike-declaration-by-kobad-ghandy-june-1/