কলম্বিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মার্কসবাদী গেরিলা দল দ্য ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (ইএলএন) শীর্ষ কমান্ডার নিহত
Posted: June 15, 2015 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad Leave a commentভারতঃ মাওবাদী বনধের ফোন নিয়ে ধোঁয়াশা
Posted: June 15, 2015 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: গুলি, জঙ্গল, ধোঁয়াশা, পলামু, ফোন, বনধ, বাহিনী, মাওবাদী, মৃত্যু, সিআরপি, ১২ জন Leave a commentসংবাদমাধ্যমে কে ফোন করে জানিয়েছিল তিন দিনের মাওবাদী বনধের কথা? ওই তথ্য কি ভুল ছিল? গত রাতে সংবাদমাধ্যমে মাওবাদী মুখপাত্র গোপালজির পাঠানো বিবৃতিতে ওই প্রশ্নই উঠল।
ওই বিবৃতিতে জানানো হয়— ১২, ১৩ ও ১৪ জুন মাওবাদীরা কোনও বনধ ডাকেনি। পলামুর জঙ্গলে সিআরপি বাহিনীর গুলিতে ১২ জনের মৃত্যুর প্রতিবাদে ২৩ জুন বনধ পালন করা হবে। গোপালজি ওই বিবৃতিতে লিখেছেন— ‘আমরা তিন দিনের বনধ নিয়ে কোনও ফোন কাউকে করিনি। পুলিশ চক্রান্ত করে এ সব করেছে। ২৩ জুন ঝাড়খণ্ড, বিহার, ছত্তীসগঢ়ে বনধ পালন করা হবে।’ তা ছাড়া, ১৬ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি (পিএলজিএ) ‘প্রতিরোধ সপ্তাহ’ পালন করবে। গোপালজির হুঁশিয়ারি, পলামুর জঙ্গলে সিআরপি বাহিনীর অভিযানের বদলা তাঁরা নেবেন। তাঁর দাবি, ওই সংঘর্ষে নিহত ১২ জনের মধ্যে পাঁচ জন তাঁদের সংগঠনের সদস্য ছিলেন না।
মাওবাদী নেতার বক্তব্য উড়িয়েছেন রাজ্য পুলিশের এডিজি সত্যনারায়ণ প্রধান। তিনি বলেন, ‘‘১১ জুন রাতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দফতর থেকে পুলিশকে জানানো হয়, মাওবাদী নেতা গোপালজি ফোন করে তিন দিন বন্ধের কথা জানিয়েছেন।’’ প্রধান জানান, কিন্তু পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের কাছে সে রকম কোনও তথ্য ছিল না। পুলিশকর্তার মন্তব্য, ‘‘আমরা তখন সংবাদমাধ্যমগুলিকে জানিয়েছিলাম যে ওই ফোন ভুয়োও হতে পারে। তবে বনধের খবর প্রকাশিত হওয়ায় পুলিশ সর্তকতা নিয়েছিল।’’ প্রধান জানিয়েছেন, ২৩ জুন মাওবাদী বনধের খবর তিনি পেয়েছেন।
এ দিকে তিন দিনের মাওবাদী বনধে ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন প্রান্তে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। বোকারো, ধানবাদ, লাতেহার, হাজারিবাগের খনি অঞ্চলে কাজকর্ম বন্ধ ছিল। ঝাড়খণ্ড ট্রাক ওনার্স অ্যসোসিয়েশন জানিয়েছে, আগে মাওবাদী বন্ধে রাস্তায় ট্রাক পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। তাই বন্ধে তাঁদের কোনও সদস্য ট্রাক চালানোর সাহস দেখাননি।
এ দিকে, গুমলার চৈনপুরে ধৃত মাওবাদী সাব-জোনাল কম্যান্ডার অরবিন্দজি ওরফে প্রসাদ লকড়ার বাড়ি থেকে প্রচুর বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সেখানে মিলেছে ১০০ কিলোগ্রাম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, তার ও বোমা তৈরির নানা সরঞ্জাম। বাড়ির উঠোনে বিস্ফোরক পুঁতে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার প্রসাদকে গ্রেফতার করা হয়। আজ সকালে গুমলা থেকে ‘পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া’র আঞ্চলিক কম্যান্ডার অমৃত হোর ও জোনাল কম্যান্ডার অর্জুন রামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সুত্রঃ http://www.anandabazar.com/national/controversy-on-maoist-strike-at-ranchi-1.160498#
ভারতঃ নিহত মাওবাদীদের মধ্যে একজন ছিল সূর্যপেটের ১৯ বছরের কিশোর
Posted: June 15, 2015 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: মা, মাওবাদ, মাওবাদী, মাওবাদীরা, CPI-MAOIST, Vivek Kodamagundla Leave a commentশুক্রবার তেলেঙ্গানা-ছত্তিসগড় সীমান্তের কাছে পুলিশের সাথে ‘এনকাউন্টারে’ নিহত মাওবাদীদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম বিবেক কোডামাগুন্ডলা (১৯)। তিনি হায়দ্রাবাদের পেন্ডেকান্তি আইন কলেজের পাঁচ বছর মেয়াদী কোর্সের পড়া ছেড়ে দিয়েছিলেন। বিবেকের মৃত্যু তার নিজের শহর সূর্যপেটকে নাড়া দিয়েছে কারণ এখানকার অধিবাসীরা কেউ তার মাওবাদী সংযোগের কথা জানত না। তারা বলছিলেন ছোটবেলায় তারা কীভাবে বিবেককে বড় হয়ে উঠতে দেখেছেন।
ভগত সিং নগরে বিবেকদের বাড়ির প্রতিবেশীরা সাংবাদিকদের বলেন, বিবেক ও তার বড় ভাই শ্রীনিবাস কৃষ্ণ শৈশবে তাদের সাথে খেলাধুলা করেছেন।
শ্রীনিবাস কৃষ্ণ হায়দ্রাবাদের একটি বেসরকারী কলেজ থেকে বি-টেক পাশ করে চাকরী খুঁজছিলেন।
বিবেক তেলেঙ্গানা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
বিবেকের মা মাধবী ও বাবা যোগানন্দ চারি সহ তাদের অনেক নিকটাত্মীয় ছিলেন সরকারী স্কুলের শিক্ষক।
চারি ছিলেন নুথানকাল গ্রামের স্কুলের অংকের শিক্ষক ও তার স্ত্রী মাশবী ওয়ারাঙ্গাল জেলার কুম্মারাগুন্তলা গ্রামের স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।
বিবেক সূর্যপেটের কাকাতিয়া কনসেপ্ট স্কুলে ক্লাস সেভেন পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন, এরপর তার মায়ের সাথে ওয়ারাঙ্গালে চলে যান।
স্কুলের একজন শিক্ষক বলেন, বিবেক সামাজিক শিক্ষা বিষয়ে ভাল ছিল কিন্তু তার বাবা তাকে আইআইটি তে ভর্তির জন্য কোচিং এ ভর্তি করান।
বিবেক সর্বশেষ ফেসবুকে তার স্কুলের এক বান্ধবীর সাথে যোগাযোগ করে তার বন্ধুদের খোঁজ খবর জানতে চেয়েছিল।
বিবেকের পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠ একজন শিক্ষক জানান, বিবেকের বাবা চারি ছোটবেলা থেকে আরএসএস (RSS) এর সাথে যুক্ত ছিলেন তবে ওসামা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন তিনি কমিউনিস্টদের সাথে কাজ করতে শুরু করেন। বর্তমানে তিনি Democratic Teachers Federation এর সাথে কাজ করছিলেন।
ইতোমধ্যে, চারি ও মাধবী বিপ্লবী লেখক ভারাভারা রাও এর সাথে হায়দ্রাবাদে সাক্ষাৎ করেন এবং জানান, বিবেক ‘দরিদ্র মানুষকে নিপীড়নের হাত থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে’ কাজ করবে এই জেদ ধরে অক্টোবরের ৯ তারিখ বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। এর এক সপ্তাহ পর সে তার বাবাকে ফোন দিয়ে জানায় যে সে বাড়ি ফিরে আসবে।
খাম্মামে সিপিআই (মাওবাদী) এর তেলেঙ্গানা সেক্রেটারি জগন এক বিবৃতিতে বলেন, তেলেঙ্গানা-ছত্তিসগড় সীমান্তের কাছে লংকাপল্লী জঙ্গলে পার্টির কাজ সেরে ফেরার পথে তারা পুলিশের একতরফা গুলিবর্ষণের মুখে পড়ে। এতে বিবেক ও অপর দুই নারী নিহত হয়।
জগন বিবেককে একজন ‘দলম’ কমান্ডার হিসেবে শনাক্ত করেছেন। বিবেক গত বছর পার্টিতে যোগদান করেন। দরিদ্র জনগণকে মুক্ত করার পথ বেছে নিয়েছিল বিবেক।
এই ‘এনকাউন্টার’টি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত ‘গ্রিন হান্ট’ এর তৃতীয় পর্যায়ের একটি অংশ।
সূত্রঃ