ভারতঃ গত ৩৫ বছরে রাষ্ট্র এবং মাওবাদীদের সংঘর্ষে ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে

Indian-Maoists

মাওবাদী কার্যকলাপের জেরে গত ৩৫ বছরে  দেশে ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তথ্য জানার অধিকার আইনে করা এক প্রশ্নের উত্তরে এই পরিসংখ্যান জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। এদের মধ্যে ১২১৭৭জন ছিলেন নাগরিক। তবে নাগরিকদের মধ্যে কতজন পুলিস বা আধাসেনার গুলিতে আর কতজন মাওবাদীদের হাতে মারা গেছেন তার উল্লেখ অবশ্য মিডিয়ার রিপোর্টে নেই। ৩১২৫জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও নিহত হয়েছেন এই ৩৫ বছরে। ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে  পুলিস- আধাসেনার গুলিতে নিহত হয়েছেন ৪৭৭৮জন নকশালপন্থী বা মাওবাদী।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ পিটিআইয়ের কপিতে বলা হয়েছে ৩৫ বছরে ১৫ হাজার মানুষ মারা গেছেন। তাতে নাগরিক ও নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যাকেই ধরা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলছে মাওবাদীদের দেশের সন্তান অথচ পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী মাওবাদীরা বোধ হয় দেশের মানুষ নন?

সুত্রঃ http://satdin.in/?p=1985


ভারতঃ ছত্তিসগড়ে চার মাওবাদী নিহত, তিনজন গ্রেফতার

maoist_jpg_2437798f

শুক্রবার ছত্তিসগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে দুইটি পৃথক বন্দুকযুদ্ধে চার মাওবাদী নিহত ও তিন মাওবাদী গ্রেফতার হয়েছে।

ছত্তিসগড় পুলিশের মাওবাদী দমন অপারেশনের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল আর কে নিজ জানান, “বিজাপুর জেলায় ছত্তিসগড় পুলিশ ও অন্ধ্র প্রদেশের মাওবাদী দমনে নিযুক্ত এলিট বাহিনী গ্রে হাউন্ডের এক যৌথ অভিযানে তিন জন মাওবাদী নিহত হয়েছে।”

এডিজি আরো জানান, অপারেশনে পাঁচটি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।

পৃথক এক ঘটনায় সুকমা জেলার তুম্মা ভাগু গ্রামের কাছে সুকমার জেলা সংরক্ষিত নিরাপত্তা রক্ষী (District Reserve Guard) ও মাওবাদীদের সাথে বন্দুকযুদ্ধে এক মাওবাদী নিহত ও তিনজন গ্রেফতার হয়েছে।

বস্তার রেঞ্জের পুলিশের আইজি এস আর পি কাল্লুরি বলেন, “গোপন সূত্রে মাওবাদী কমান্ডার নাগেশ ও সুধাকর সহ তাদের দলের অন্যান্যদের উপস্থিতির খবর পেয়ে জেলার সংরক্ষিত নিরাপত্তা রক্ষীদের একটি দল অপারেশন চালায়। তুম্মা গ্রামের কাছে মাওবাদী ও নিরাপত্তা রক্ষীদের মধ্যে প্রচণ্ড বন্দুকযুদ্ধ সঙ্ঘটিত হয়।

এতে রামা(২৭) নামে এক মাওবাদী মিলিশিয়া সদস্যের মৃতদেহ পাওয়া যায়।”

আইজি আর বলেন, বন্দুকযুদ্ধে মাওবাদী ব্যাটেলিয়নের সদস্য আপকা পান্ডু (২৭), ভেজী মাওবাদী মিলিশিয়ার সদস্য মদভী ভীমা (২৮) ও কিষ্টরাম মাওবাদী মিলিশিয়ার সদস্য মাদভী সোমলুকে গ্রেফতার করা হয়।

কাল্লুরি জানান, সুকমা বন্দুকযুদ্ধের স্থান থেকে একটি দেশীয় বন্দুক, তিনটি বিস্ফোরক ও মাওবাদীদের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

 

সূত্রঃ

http://www.thehindu.com/news/national/other-states/four-maoists-killed-three-arrested-in-chhattisgarh/article7312792.ece


রোজাভায় গড়ে উঠেছে আন্তর্জাতিকতাবাদী মুক্ত ব্রিগেড

R1

R2

R3

 

রোজাভা ও মধ্য পূর্বাঞ্চলীয় জনগণের শক্তিমত্তাকে বিবেচনায় রেখে রোজাভায় মুক্ত ব্রিগেড গঠন করা হয়েছে।

এই ব্রিগেডটি আইএসআইএস ও সমগোত্রীয় দখলদারী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালাবে।

জানুয়ারী থেকে এমএলকেপি (MLKP) ব্রিগেড স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।

ব্রিগেডের যোদ্ধাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বিভিন্ন সংগঠন যেমন, Reconstruction (Spain), TIKKO, United Freedom Forces (BÖG), MLSPB Revolution Front ও গ্রীসের বিপ্লবীরা

৬ জুন থেকে শুরু হওয়া YPJ (Women’s Protection Units) এর কমান্ডার রুবার কামিসলোর উদয়োগকে  ব্রিগেড সমর্থন জানায় এবং এ প্রসঙ্গে নিম্নে উল্লেখিত বিবৃতিটি তারা প্রকাশ করেছে।

“সাম্রাজ্যবাদী রক্তপিপাসু শোষকদের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে রক্তের বন্যা বইছে।

এই সাম্রাজ্যবাদী শক্তি একত্রে আইএসআইএস কে নিয়ে এসেছে যাতে করে এ অঞ্চলের জনগণ দখলদারিত্ব ও শোষণের কাছে মাথা নত করে। আইএসআইএস জঙ্গিরা খ্রিস্টান, আরবীয় ও মুসলমান জনগণদের নির্বিচারে হত্যা করেছে।

জঙ্গিরা নারী ও শিশুদের দাস বাজারে বিক্রি করছে এবং ব্যাপক আকারে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে যা তাদের সাম্রাজ্যবাদী প্রভুদের শতাব্দীর পুরনো কৌশলকেই মনে করিয়ে দেয়।

এই সব গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য তাদের ভাষা, সংস্কার, জীবনযাত্রা ও পরিচয়কে ধ্বংস করা, আর এই উদ্দেশ্যকে নস্যাৎ করতে YPG-YPJ এর নেতৃত্বে  যে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে তা কোবানি, সিঞ্জর, তিল-হেমিস ও সেরেকানিয়েতে সফল হয়েছে।

বিশ্ব রাজনীতির সম্মুখ ভাগে উঠে এসেছে রোজাভা বিপ্লব। দারিদ্র্যপীড়িত গণমানুষের কাছে YPG-YPJ এর প্রতিরোধ প্রশংসিত হয়েছে ও সমর্থন পেয়েছে।

আন্তর্জাতিক যোদ্ধাদের সহযোগিতায় রোজাভা আজকের বেকা ও ফিলিস্তিন হয়ে উঠেছে।

রোজাভা বিপ্লব হয়ে উঠেছে জার্মান অবরোধ কালীন প্যারি কমিউন, স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধ কালীন মাদ্রিদ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কালীন স্টালিনগ্রাদ।

রোজাভা বিপ্লব প্রতিবেশী দেশগুলোর (বিশেষত তুরস্কে) ক্ষমতার ভারসাম্যকে বিপর্যস্ত করেছে এবং এভাবে বিশ্ব বিপ্লবের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ও নিপীড়িত জনগণের প্রতিরোধের আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছে।

নারীদের বিপ্লব হিসেবে রোজাভা নারীর ইচ্ছাকে শক্তিশালী করে তোলার পাশাপাশি পিতৃতন্ত্র ও বৈশ্বিক ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

সারা বিশ্বের বিপ্লবীরা রোজাভার দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন এবং বিপ্লবকে প্রসারিত করার লক্ষ্যে এখানে বিজয় অর্জনের জন্য লড়াই করে মৃত্যু বরণ করতে তারা দ্বিধা করেননি।

বিপ্লবকে শক্তিশালী করা ও তারা যে সকল স্থান থেকে এসেছেন সে সব স্থানে যুদ্ধকে ছড়িয়ে দেবার লক্ষ্যে তুরস্কের বিপ্লবী বাহিনী ও বিশ্বের বিভিন্ন অংশ থেকে বিপ্লবীরা রোজাভায় এসেছেন।

আমরা রোজাভায় যুদ্ধ করছি, শহীদ হচ্ছি ও প্রতিরোধের ঝান্ডা বহন করে চলেছি…

আমরা এ অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অগ্রভাগে যুদ্ধ করছি…

আমরা এ বিপ্লবে আইএসআইএস জঙ্গিদের নৃশংস আক্রমণের মোকাবেলা করছি…

আমরা বিপ্লবে বসবাস করছি ও নিজেদের ধমনী ও কোষের ভিতরে বিপ্লবকে অনুভব করছি…

YPG-YPJ এর পতাকার নীচে লড়াই করে আমরা কুর্দিস্তানের মেহনতি মানুষ, নিপীড়িত জনগণ, নারী ও আন্তর্জাতিকতাবাদী বিপ্লবীরা একত্রে রোজাভা বিপ্লব ঘটিয়েছি…

আমরা স্প্যানিশ, জার্মান, গ্রীক, তুর্কি, আরব, আর্মেনিয়, লাজ, সার্কেশীয় ও আলবেনিয়…

আন্তর্জাতিকতাবাদী মুক্ত ব্রিগেড গঠনের লক্ষ্যে আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বিপ্লবী বাহিনী ও সংগঠন।

গোটা বিশ্বের নিপীড়িত, মেহনতি, শ্রমিক, নারী, তরুণ, ধ্ররমীয় দল, পরিবেশবিদ, সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ফ্যাসিবাদ বিরোধী, পুঁজিবাদ বিরোধী, গণতান্ত্রিক ও বিপ্লবী গণমানুষকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি,  মধ্যপ্রাচ্য ও সারা বিশ্বে জনগণের ভ্রাতৃত্ব স্থাপনের লক্ষ্যে রোজাভা বিপ্লবকে এগিয়ে নেয়া ও একে বিস্তৃত করতে আন্তর্জাতিকতাবাদী মুক্ত ব্রিগেডের পতাকার নীচে লড়াই করুন।”

সূত্রঃ

http://en.firatajans.com/kurdistan/internationalist-free-brigade-established-in-rojava


ভারতঃ তেলেঙ্গানা-ছত্তিসগড় সীমান্তের বনে বন্দুক যুদ্ধে তিন মাওবাদী নিহত

11391174_711063599020198_2603492459987221721_n

হায়দ্রাবাদ: গত শুক্রবার তেলেঙ্গানা-ছত্তীসগঢ় সীমান্তের বনে মাওবাদী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলিতে সিপিআই (মাওবাদী)র ২ জন নারী ক্যাডার সহ ৩ জন নিহত হয়েছে।

ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তা জানায়, “এটা গ্রে হাউণ্ড (তেলেঙ্গানা নকশাল বিরোধী পুলিশ ফোর্স) এবং ছত্তীসগঢ় পুলিশের একটি যৌথ অভিযান ছিল, বিজাপুর জেলার তারলাঙ্গুদা থানাধীন জিনিপাতে বিকেল ৩.৪৫ মিনিটে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চিহ্নিত করা নিহত মাওবাদীদের ৫ টি অস্ত্র উদ্ধার করে। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর কেউ আহত হয়নি ।”

সুত্রঃ http://www.sakshipost.com/index.php/news/state/57976-three-maoists-killed-in-encounter-on-telangana-c-garh-border.html?psource=Home-Latest Firecracker,


ভারতঃ ‘লাল সালাম’ চিঠি ছোঁড়া হল বিচারকের বাড়িতে

marcapaginas_lal_salaam
জেলা জজ মহাদেব কতুলকারের সরকারী বাসভবনের বাইরে অজ্ঞাত কিছু ব্যক্তি আতশবাজি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হুমকি দেয়া চিঠি ছুঁড়ে ফেলে। মহাদেব কপ্তুলকার ২০১৩ সালের জীরাম ভ্যালিতে মাওবাদীদের হামলার মামলাটি পরিচালনা করছেন। এক উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “আজ ভোরের দিকে সিভিল লাইন থানাধীন নেহেরু চকে জেলা জজের সরকারী বাংলোর গাড়িবারান্দার কাছে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।” তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। বাংলোয় কর্তব্যরত পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি হুমকি দেয়া চিঠি উদ্ধার করেছে। চিঠির উপরে ‘লাল সালাম‘ শব্দ দুটি লেখা ছিল। তবে পুলিশ কর্মকর্তা এর থেকে বেশি কিছু প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানান। এ ঘটনার পর জেলা জজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে।

সূত্রঃ
http://www.outlookindia.com/news/article/firecracker-lal-salaam-letter-thrown-at-judges-residence/901787