ভারতঃ মাওবাদী হিসেবে অভিযুক্ত অধ্যাপক সাইবাবার মেডিক্যাল রিপোর্ট তলব করল বোম্বে হাইকোর্ট

saibabaprof

জেল বন্দি দিল্লির রামলাল কলেজের অধ্যাপক  জিএন সাইবাবার শারীরিক অবস্থা কী সেই বিষয় মহারাষ্ট্র সরকার ও পুলিসকে  রিপোর্ট দিতে বুধবার নির্দেশ দিল বোম্বে হাইকোর্ট। মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার সন্দেহে গত বছর মে মাসে সাইবাবাকে গ্রেফতার করে পুলিস।

৯০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী সাইবাবার শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ার সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে বোম্বে হাইকোর্টের মহিত শাহ ও একে মেননের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন।

সলমন খান মত্ত অবস্থায় গাড়ি চাপা দিয়ে মানুষ মারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরও সাজা না কেটে জেলের বাইরে থাকেন অথচ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিএন সাইবাবাকে ১ বছর ধরে জেলে পচতে হচ্ছে। গত বছর মে মাসে তাঁর দিল্লির ফ্ল্যাট থেকে কার্যত অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় সাইবাবাকে। এর পর জানা যায় মহারাষ্ট্র পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করেছে। সাইবাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি কোন মাওবাদী নেতাকে কম্পিউটার চিপ দিয়েছিলেন। অভিযোগ মাত্র, তাঁর বিরুদ্ধে কোন অপরাধ এখনও প্রমাণ  হয়নি। তা সত্ত্বেও ৯০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী  এই অধ্যাপককে রাখা হয়েছে কুখ্যাত আন্ডা সেলে। সাইবাবার মত ৩ লক্ষের বেশি বিচারাধীন বন্দি সারা দেশে জেলে পচে মরছেন।

সুত্রঃ  http://www.satdin.in/index.php/13-2014-04-07-17-10-23/2410-2015-06-10-13-46-30


‘আমাদের প্রথমে অবশ্যই শ্রেণীসংগ্রাম করতে হবে, দ্য সেকেন্ড সেক্স’ লেখার সময় বুঝলাম, আমি আসলে একটি মিথ্যা জীবন যাপন করছি——- সিমোন দা বুভোয়ার সাক্ষাৎকার

প্রখ্যাত নারীবাদী লেখক, দার্শনিক, সমালোচক, শিক্ষক ও আন্দোলনকর্মী সিমোন দা বুভোয়ার (Simone de Beavuoir) ১৯৭৬ সালের প্রথম দিকে বিখ্যাত সাংবাদিক জন গেরাসিকে (John Gerassi) এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দেন। বিখ্যাত বই ‘দ্য সেকেন্ড সেক্স’ (The Second Sex) প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৪৯ সালে। প্রায় ২৫ বছর আগে সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়। বুভোয়ার ‘দ্য সেকেন্ড সেক্স’ প্রকাশিত হওয়ার সমসাময়িক এবং পরবর্তী বছরগুলোতে বিভিন্ন দেশ ও সমাজে ধ্বনিত প্রতিক্রিয়ার অনুঘটকগুলোর স্বরূপ উন্মোচন করেছেন এই সাক্ষাৎকারে। সেই সঙ্গে নারীবাদের সামাজিক সংজ্ঞায়ন, পরিপাশ্র্বের দৃশ্যপট এবং ব্যক্তিগত জীবনবোধ-জীবনাচরণ বর্ণনা করেছেন অকপটে। ‘সোসাইটি’ পত্রিকায় একই বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় এটি প্রকাশিত হয়। সাক্ষাৎকারটি বাংলায় ভাষান্তর করেছেন সুশান্ত বর্মণ

1

জন গেরাসি :  ‘দ্য সেকেন্ড সেক্স’ প্রকাশিত হওয়ার পর প্রায় ২৫ বছর কেটে গেল। অনেকে মনে করেন, বিশেষ করে আমেরিকায় বইটি সমকালীন নারীবাদী আন্দোলনের সূচনা করেছে। আপনিও কি?

সিমোন দা বুভোয়ার :  আমি সে রকম ভাবি না। বর্তমানের নারীবাদী আন্দোলন শুরু হয়েছে ঠিক পাঁচ অথবা ছয় বছর আগে। তখন এই বইয়ের সমকালীন কয়েকজন নেতা তাঁদের কিছু তত্ত্বীয় ধারণা এখান থেকে নেন। ‘দ্য সেকেন্ড সেক্স’-এর নারীবাদী আন্দোলন শুরু করার কোনো সুযোগ ছিল না। যেসব মেয়ে আন্দোলনে সক্রিয় ছিল, তারা ১৯৪৯-৫০ সালের দিকে খুব অল্পবয়সী ছিল। বইটি ঠিক সেই সময় বের হয়। আমাকে যেটা খুশি করেছে তা হলো, তারা এটাকে পরে আবিষ্কার করেছে। অবশ্যই তাদের মধ্যে একজন হলেন বেটি ফ্রাইডেন। তিনি ‘The Feminine stique’ বইটি আমাকে উৎসর্গ করেছেন। তিনি বইটি পড়েছেন, আর হয়তো একটু হলেও কোনো দিকে প্রভাবিত হতে পারেন। কিন্তু অন্যরা, সবাই সে রকম নয়। উদাহরণ হিসেবে কেট মিলেটকে ধরি। তাঁর কোনো কাজে আমার জন্য সামান্য সময়ও তিনি ব্যয় করেননি। ‘দ্য সেকেন্ড সেক্স’-এ ব্যাখ্যা করেছি, এমন কোনো কারণে তাঁরা হয়তো নারীবাদী হতে পারেন, কিন্তু তাঁরা সেই কারণগুলো তাঁদের নিজেদের জীবন-অভিজ্ঞতায় আবিষ্কার করেছেন; আমার বইয়ে নয়।

জন গেরাসি :  আপনি বলেছিলেন, আপনার নারীবাদী চেতনা ‘দ্য সেকেন্ড সেক্স’ লেখার অভিজ্ঞতা অবলম্বন করে বেড়ে উঠেছে। আপনার নিজের জীবনচক্রের অবয়বে এটা প্রকাশিত হওয়ার পর আন্দোলনের উন্নতি হওয়ার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন এবং কিভাবে তা বেড়ে উঠেছে বলে মনে করেন?

সিমোন দা বুভোয়ার :  ‘দ্য সেকেন্ড সেক্স’ লেখার সময় আমি সচেতন ছিলাম। সেই প্রথমবারের মতো আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমি আসলে একটি মিথ্যা জীবন যাপন করছি। অথবা অন্যভাবে বলা যায়, আমি পুরুষ প্রভাবিত সমাজকে না চিনে এর কাছ থেকে উপকার নিচ্ছিলাম। আমার জীবনের প্রথম দিকে যা হয়েছিল, আমি পুরুষদের নীতিবোধগুলো স্বীকার করে নিয়েছিলাম। আর তার সবগুলো মেনে নিয়ে এর মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করছিলাম। আমি অবশ্যই কিছুটা সফল ছিলাম। আমার বিশ্বাস ছিল, পুরুষ ও নারী সমান হতে পারে, যদি নারী তেমন সমানাধিকার চাইতে পারে। অন্যভাবে বললে বলতে হয়, আমি একজন বুদ্ধিজীবী ছিলাম। সমাজের এক বিশেষ শ্রেণী বুর্জোয়া শ্রেণী থেকে আমার আসার সৌভাগ্য হয়েছে। এটা আমাকে সবচেয়ে ভালো স্কুলে পাঠিয়েছে এবং অবসরে চিন্তা করার সুযোগ দিয়েছে। একই কারণে খুব বেশি জটিলতা ছাড়াই আমি পুরুষ-জগতে ঢুকতে সক্ষম হয়েছি।

আমি দেখিয়েছি, আমি দর্শন, শিল্প, সাহিত্য ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করতে পারি। নিজের নারীসুলভ যা আছে, তা নিজের মধ্যেই সীমিত রাখতে পেরেছিলাম; সেই সময় আমি আমার সাফল্য সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা পেয়েছিলাম যেমনটা আমি করেছিলাম, আমি দেখলাম, পুরুষ বুদ্ধিজীবীদের মতো জীবনযাপনের জন্য ভালো আয় আমি করতে পারি। পুরুষ সহযোগীদের মতোই আমি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিলাম। আমি যেমন ছিলাম, তেমন হয়ে ওঠার পর বুঝতে পারলাম, যদি চাই তাহলে আমি একা একা ভ্রমণ করতে পারি, ক্যাফেতে বসতে পারি, লিখতে পারি, যেকোনো পুরুষ লেখকের মতো সমান সম্মান-শ্রদ্ধা আদায় করতে পারি এবং আরো অনেক কিছু। প্রতিটি অংশ আমার স্বাধীনতা ও সমানাধিকারের ধারণা আরো শক্তিশালী করল। এটা হয়ে গেল। এরপর আমি খুব সহজেই ভুলে গেলাম, একজন সেক্রেটারির এই অধিকার ভোগ করার কোনো সুযোগ নেই। সে উত্ত্যক্ত হওয়া ছাড়া কোনো ক্যাফেতে বসে বই পড়তে পারত না। সে যে একজন ব্যক্তি, তার যে বুদ্ধিমত্তা আছে, তার কোনো মূল্য না দিয়ে তাকে সম্ভোগযোগ্য প্রাণী বলে মনে করা হতো। চিন্তাসামর্থ্যের জন্য খুব কম জায়গায় সে আমন্ত্রণ পেত। সে নিজস্ব পুঁজি গড়ে তুলতে বা সম্পত্তি করতে পারত না। আমি পারতাম। বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ যে তখনো। যারা পুরুষের কাছে নিজ স্বাধীনতা প্রকাশ করার জন্য নিজেদের অর্থনৈতিক ও মানসিক দিক দিয়ে সামর্থ্যহীন মনে করে, এ ধরনের নারীদের আমি সেই সময় অবজ্ঞা করতাম। তাই আমি চিন্তা করতে পারি, নিজেকে এটা না বলেও যে ‘যদি আমি পারি, তাহলে তারাও পারবে।’

‘দ্য সেকেন্ড সেক্স’ লিখতে এবং গবেষণা করতে গিয়ে আমি বুঝতে পারলাম, আমার প্রাপ্ত অধিকারগুলো আসলে আমার ছেড়ে দেওয়া দাবির বিনিময়ে পাওয়া। নিজ নারীজীবনকে যদি সামান্যতম শ্রদ্ধাও করি, তাহলেও এ কথা বলা যায়। যদি আমরা এটাকে অর্থনৈতিক শ্রেণীর ধারণায় ফেলি, তাহলে আপনি খুব সহজে এটা বুঝে যাবেন আমি এক শ্রেণী সহযোগীবাদীতে পরিণত হয়েছিলাম।

‘দ্য সেকেন্ড সেক্স’-এর মাধ্যমে আমি লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন হয়েছিলাম। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমার যা ছিল, তা পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা বেশির ভাগ নারীর ছিল না। আসলে পুরুষ প্রভাবিত সমাজ কর্তৃক দ্বিতীয় লিঙ্গ হিসেবে বর্ণিত ও চিহ্নিত হওয়ার; সেই সমাজে পুরুষ প্রভাবের জায়গাটিকে ধ্বংস করতে পারলে কথিত সমাজ-কাঠামো ধসে পড়বে। অর্থনীতি ও রাজনীতি প্রভাবিত মানুষ সবখানেই আছে। উন্নতির জন্য বিদ্রোহ করা খুব কঠিন আর ধীর হয়ে পড়বে। প্রথমে সেই ধরনের মানুষকে প্রভাবের জায়গাটা চিনতে হবে, সেই সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। এরপর একে পরিবর্তন করার জন্য নিজ শক্তির ওপর আস্থা রাখতে হবে। যারা ‘পারস্পরিক সহযোগিতা’র কারণে লাভবান হচ্ছে, তাদের বিশ্বাসঘাতকতার প্রকৃতি বুঝতে হবে; এবং পরিশেষে তাদেরও চিনতে হবে, যারা কোনো পদক্ষেপ নেওয়ায় অনেক কিছু হারানোর ঝুঁকিতে আছে। এর অর্থ হলো, আমার মতো নারী, যারা একটি সফল কর্মভারহীন মর্যাদাপূর্ণ পদ এবং দীর্ঘ কর্মজীবনের জন্য একটু বাঁকা হয়েছে, নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা বহন করাকে স্বীকার করেছে…কিন্তু এটা আত্মপ্রশংসার পরিমাণ বাড়ানোর জন্য নিজেকে শুধু উপহাসস্পদ করে তোলা মাত্র; এবং তাদের এটা বুঝতে হবে, তাদের যেসব বোন সবচেয়ে বেশি শোষণ করেছে, তারা সবার শেষে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবে। উদাহরণ হিসেবে একজন শ্রমিকের স্ত্রীকে ধরি।…এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য ততটা স্বাধীন সে নয়। সে জানে, তার স্বামী নারীনেতাদের চেয়ে বেশি শোষিত; এবং সে তার গৃহকর্ত্রী ভূমিকার ওপর অনেক বেশি মাত্রায় নির্ভরশীল। যা হোক, এসব কারণে নারীরা আন্দোলন করতে পারে না। আর হ্যাঁ, রাজনৈতিক সফলতার জন্য, সরকারে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য কিছু ছোট আকারের বুদ্ধিদীপ্ত আন্দোলন আছে। এসব দলের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক ছিল না। এরপর ১৯৬৮ এল এবং সব কিছু বদলে গেল। আমি জানি, এর আগেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে গেছে। যেমন বেটি ফ্রাইডেনের বই। ১৯৬৮ সালের আগেই প্রকাশিত হয়েছে।

আসলে আমেরিকার মেয়েরা সেই সময় থেকে আন্দোলনে উন্নতি করছিল। তারা অন্য মেয়েদের চেয়ে বেশি বুঝত। তারা সুস্পষ্ট কারণে রান্নাঘরে মেয়েদের রেখে দেওয়ার রক্ষণশীল ভূমিকার সঙ্গে নতুন প্রযুক্তির বৈপরীত্য সম্পর্কে বেশি সচেতন ছিল। প্রযুক্তি ছড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তি পেশিশক্তির নয়, মগজের শক্তির বশীভূত হয়েছে।…পুরুষতান্ত্রিক নীতি হলো, মেয়েরা দুর্বল এবং সে জন্য তাকে অবশ্যই নিম্নতর ভূমিকা পালন করতে হবে; এদের কখনো যুক্তি দিয়ে পরিচালনা করা যায় না। একই সময়ে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির আবিষ্কারে আমেরিকা ভরে যাচ্ছিল যে মেয়েরা পরস্পরবিরোধিতা থেকে মুক্ত হতে পারছিল না। এরপর এটাই স্বাভাবিক যে পুঁজিবাদের রাজধানীর মধ্যভাগে বসেই নারীবাদী আন্দোলন সবচেয়ে বেশি প্রেরণা পেয়েছে; এমনকি এই প্রেরণা যদি শুধু অর্থনৈতিক কারণেও হয়। অর্থাৎ সমান কাজের জন্য সমান মজুরি চাওয়া। কিন্তু আসলে সত্যিকারের নারীবাদী সচেতনতার উন্নতি ঘটেছে পুঁজিবাদবিরোধী আন্দোলনের প্রভাবে। আমেরিকায় ভিয়েতনাম যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনে কিংবা ফ্রান্স এবং ইউরোপীয় অন্য দেশগুলোতে ১৯৬৮ সালের বিদ্রোহের ফলাফল হিসেবে মেয়েরা নিজ শক্তি অনুভব করতে পারল। তারা বুঝতে পারল, পুঁজিবাদ স্বভাবগতভাবেই সারা পৃথিবীর গরিবদের ওপর কর্তৃত্ব ফলাতে চায়। শ্রেণীসংগ্রামের ধারণা পুরোপুরি মেনে না নিলেও নারীরা দলে দলে শ্রেণীসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তারা সক্রিয় হলো। তারা মিছিলে, বিভিন্ন উপস্থাপনায়, প্রতিবাদ সভাগুলোতে গোপন দলে, সশস্ত্র বাম দলগুলোতে যোগ দিয়েছিল। অন্য পুরুষদের মতো তারাও সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে শোষণহীন অবিচ্ছেদ্য (Nonalienting) ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করেছিল। কিন্তু কী ঘটল? তারা আবিষ্কার করল, যে সমাজকে তারা ধ্বংস করতে চায়, সেই সমাজে তারা যেমন ‘দ্বিতীয় লিঙ্গ’ ছিল, একই অবস্থা ছিল যেসব দল বা প্রতিষ্ঠানে তারা যোগ দিয়েছিল, সেখানেও। এখানে ফ্রান্স ও আমেরিকায়ও প্রায় একই অবস্থা। তারা দেখল, পুরুষরা সব সময় নেতা হচ্ছে। এসব ছদ্মবিপ্লবী দলে নারীরা হচ্ছে টাইপিস্ট বা কফি প্রস্তুতকারক। আমার ‘ছদ্ম’ বলা উচিত নয়। পুরুষ প্রাধান্য রয়েছে এমন অনেক আন্দোলনের কর্মীরা সত্যিকারের বিপ্লবী। কিন্তু এগুলো পুরুষ প্রভাবিত সমাজে সৃষ্টি, প্রচারিত ও বিকশিত হয়েছে। এসব বিপ্লবীর মধ্যে কেউ কেউ সেই প্রভাবকে আন্দোলনে নিয়ে গেছেন। বুঝতে হবে, এসব পুরুষ স্বেচ্ছায় ‘প্রভাব’কে পরিত্যাগ করবে না, যেমন বুর্জোয়া শ্রেণী নিজ শক্তিকে স্বেচ্ছায় বিসর্জন দেবে না। অতএব গরিব মানুষকে যেমন ধনীদের শক্তি ছিনিয়ে নিতে হবে, তেমনি নারীদেরও পুরুষদের কাছ থেকে শক্তি ছিনিয়ে নিতে হবে। এর মানে, পুরুষদের ওপর উল্টো কর্তৃত্ব ফলানো বোঝায় না। সমাজতন্ত্রে যেমন, সত্যিকারের সমাজতন্ত্রে সব মানুষের মধ্যে অর্থনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ থেকে নারীবাদী আন্দোলন শিখেছে যে শাসকশ্রেণী অর্থাৎ পুরুষের কাছ থেকে শক্তি ছিনিয়ে এনে লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

আরেক দৃষ্টিতে দেখুন। শ্রেণীসংগ্রামের ভেতর থেকে দেখা যাক। নারীরা বুঝতে পেরেছিল, শ্রেণীসংগ্রাম লৈঙ্গিক সংগ্রামকে বাদ দিতে পারেনি। এটাই সেই পয়েন্ট, যেখানে এসে আমি যা বলতাম, সেই সম্পর্কে সচেতন হতাম। এর আগে আমি মনে করতাম, একবার পুঁজিবাদ ধ্বংস হয়ে গেলে লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠা পাওয়া সম্ভব হবে। তারপর, হ্যাঁ, এই ‘তারপর’ একটা প্রতারণামূলক টাইপের কিছু। আমাদের প্রথমে অবশ্যই শ্রেণীসংগ্রাম করতে হবে। এটা সত্য যে পুঁজিবাদের অধীনে লিঙ্গসমতা আসা অসম্ভব। যদি সব নারী পুরুষদের সমান কাজ করে, তাহলে পুঁজিবাদ নির্ভর করে এ রকম প্রতিষ্ঠানগুলোর কী হবে? সে রকম কিছু প্রতিষ্ঠান হলো চার্চ, সেনাবাহিনী এবং লাখ লাখ কারখানা, দোকান, গুদাম ইত্যাদি। এগুলো তো আবার খণ্ডকালীন, অতিরিক্ত সময়কালীন এবং স্বল্প বেতনের শ্রমিকদের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে। কিন্তু এটা সত্য নয় যে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব স্বভাবগতভাবে লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠা করে। সোভিয়েত রাশিয়া বা চেকোস্লোভাকিয়ার দিকে তাকান। এসব দেশে (আমরা হয়তো এসব দেশকে সমাজতান্ত্রিক বলি, যদিও আমি বলি না) সর্বহারা ও নারীমুক্তি নিয়ে গভীর বিভ্রান্তি আছে। যেভাবেই হোক না কেন, প্রলেতারিয়েত শেষ পর্যন্ত পুরুষের দ্বারাই নির্মিত হয়। সেসব দেশেও এখানকার মতো পিতৃতান্ত্রিক মূল্যবোধ অবিকৃত থেকে গেছে। এক নতুন ভাবনা সচেতন মেয়েদের মধ্যে ছড়িয়ে যাচ্ছে যে শ্রেণীসংগ্রাম লৈঙ্গিক সংগ্রামকে প্রতিস্থাপন করে না। এখন লড়াইরত বেশির ভাগ মেয়ে সে কথা জানে। নারীবাদী আন্দোলনের এ এক পরম পাওয়া। এটা তা-ই, যা আগামী দিনের ইতিহাস পাল্টে দেবে।

Read the rest of this entry »


বাংলাদেশঃ কল্পনা চাকমা অপহরণের তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ ও চিহ্নিত অপহরণকারীদের শাস্তির দাবি করেছে হিল উইমেন্স ফেডারেশনসহ তিনটি নারী সংগঠন

Kolpona_504946462

kolpona0

হিল উইমেন্স ফেডারেশন নেত্রী কল্পনা চাকমা অপহরণ ঘটনায় টালবাহানা বন্ধ করে অবিলম্বে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ ও চিহ্নিত অপহরণকারী লে. ফেরদৌস গঙদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে হিল উইমেন্স ফেডারেশন সহ পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি নারী সংগঠন।

আজ বুধবার (১০ জুন) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের দোতলাস্থ হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

একই দাবিতে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে আগামী ১২ জুন (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং বিকাল ৪টায় শাহবাগ জাতীয় যাদুঘরের সামনে কল্পনা চাকমার প্রথম ভিডিও বক্তৃতা প্রদর্শন ও সংহতি সভা কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরূপা চাকমা। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন সাজেক নারী সমাজের সভাপতি নিরূপা চাকমা, সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎন্সারানী চাকমা ও ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কাজলী ত্রিপুরা। এছাড়া কল্পনা চাকমার বড় ভাই কালিন্দি কুমার চাকমাও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিরূপা চাকমা বলেন, দীর্ঘ ১৯ বছরে চিহ্নিত অপহরণকারী ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে আজও কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো না, সেটাই আমাদেরকে তথা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশের নারী সমাজকে বিক্ষুব্ধ ও প্রতিবাদী করে তোলে। ১৯টি বছর ধরে আমরা চিহ্নিত অপহরণকারীর শাস্তি দাবী জানিয়ে আসছি। কিন্তু বাস্তবে কোন সরকারই কল্পনা চাকমার চিহ্নিত অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এদেশে কী আইন আদালত বিচার ব্যবস্থা ন্যায়ের শাসন কোনদিন প্রতিষ্ঠিত হবে না? খুনি দাগী অপরাধী দুর্বত্তরা খেয়াল খুশি চরিতার্থ করবে, অপহরণ, নারীর অমর্যাদা-শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ-খুনের মত জঘন্য অপরাধ সংঘটিত করে যাবে, সরকার-প্রশাসন তাদেরকে ব্যাপারে কোন পদক্ষেপই নেবে না? দেশে এ অরাজকতা কি চলতেই থাকবে?

Kolpona-Chakma-2-300x267

নিরূপা চাকমা আরো বলেন,“লেঃ ফেরদৌস সামরিক বাহিনীর সদস্য হবার কারণে তথা রাষ্ট্র ক্ষমতার জোরেই অপহরণের মত গুরুতর অপরাধ সংঘটিত করেও বহাল তবিয়তে রয়েছে, শুধু তাই নয় মেজর পদোন্নতি লাভ করে সিলেটের এক সেনানিবাসে কর্মরত থাকার কথাও জানা যায়। পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্যাপারে সরকারের যে বিদ্বেষপ্রসূত নীতি জারি রয়েছে, তারই পরিণতি হচ্ছে কল্পনা চাকমাকে অপহরণ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন সময়ে নারী নির্যাতন শ্লীলতাহানি সহ আরো অনেক নৃশংস ঘটনা যার বিশদ বিবরণ এখানে দেয়ার অবকাশ নেই। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম জাতীয়ভাবে প্রান্তিক অবস্থানে থাকায় অর্থনৈতিক ও অন্যান্য দিক দিয়ে কেবল অবহেলিত বা বঞ্চিতই নয়, এখানে অপারেশন উত্তরণের নামে কার্যত সেনা শাসন জারি রয়েছে। একাত্তরের অভিজ্ঞতা বলে দেয়, পাহাড়ে নারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর দিক থেকে সবচেয়ে বেশী হুমকির সম্মুখীন, কল্পনা অপহরণ ঘটনার তারই একটি জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। সারা দেশের নারীরা এমনিতে অবহেলিত ও প্রান্তিক অবস্থানে রয়েছে, পহেলা বৈশাখে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে শ্লীলতাহানি, কর্মশেষে ঘরমুখো গারো সম্প্রদায়ের তরুণীকে তুলে নিয়ে বাসে ধর্ষণসহ বহু ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটে চলেছে। তবে সার্বিক বিচারে পার্বত্য চট্টগ্রামে নারীদের অবস্থা সবচেয়ে করুণ।”

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “আলোর বিপরীতে অন্ধকারের মতোই প্রগতিশীলতার বিপরীতে প্রতিক্রিয়াশীল চক্র সর্বকালে ছিল এবং এখনও সক্রিয়। ১৯৯৬ সনেও প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী কল্পনা অপহরণ নিয়ে নানা গালগল্প অপপ্রচার চালিয়েছিল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্টগ্রামস্থ ২৪ পদাতিক ডিভিশনের সদর দফতর থেকে সে সময় কল্পনা চাকমার সন্ধান চেয়ে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা দিয়ে লিফলেট প্রচার করে, যা সংবাদ মাধ্যমেও বহুল আলোচিত হয়। নাটকীয়তার সাথে একটি সাইনবোর্ড সর্বস্ব মানবাধিকার সংস্থা তদন্ত চালিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের এক অজপাড়া গাঁয়ে কল্পনার সন্ধান পেয়েছে দাবি করে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তদন্ত রিপোর্টও প্রকাশ করে। অত্যন্ত দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক ব্যাপার হলো, ঐ তথাকথিত মানবাধিকার সংস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক শিক্ষক সক্রিয় ভূমিকা রেখে প্রকারান্তরে শিক্ষক সমাজকে কলঙ্কিত করেছিলেন। ২৪ পদাতিক ডিভিশন তাকে পুরস্কার দিয়েছে কিনা, সে খবর আর জানা যায়নি। তার রহস্য কিন্তু উন্মোচিত হয় নি, এটাও একটি বড় দুর্বলতা বলে আমরা মনে করি। চিহ্নিত অপহরণকারীদের আড়াল করতে সে সময় বহু ষড়যন্ত্র চক্রান্ত হয়, এবং এখনও তা অব্যাহত আছে। ডিএনএ টেস্টের নামে আসলে অপহৃত কল্পনা চাকমার ভাইদের হয়রানি ও তাচ্ছিল্য করার আইনী মারপ্যাঁচ ছাড়া আর কিছু নয়।”

সংবাদ সম্মেলনে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলা হয়, কল্পনা অপহরণ শুধু পাহাড়ের ঘটনা নয়, কেবল একটি নারীর ব্যাপারও নয়, এক অর্থে এটি সমগ্র দেশের জনগণের ন্যায়-নীতি ও বাঁচার অধিকারের প্রশ্ন জড়িত। যতদিন কল্পনা চাকমার বিচার না হবে, চিহ্নিত অপহরণকারীদের সাজা না হবে, ততদিন হিল উইমেন্স ফেডারেশন রাজ পথের আন্দোলন অব্যাহত রাখবে। সত্য ও ন্যায়ের সংগ্রামে পার্বত্য চট্টগ্রামের নারীরা সোচ্চার থাকবে।

Picture1-1433788469

সংবাদ সম্মেলন থেকে ৪ দফা দাবি জানানো হয়েছে। দাবিগুলো হচ্ছে– ১.অপহরণকারী লেফটেন্যান্ট ফেরদৌস, ভিডিপি সদস্য নুরুল হক ও সালেহ আহমেদকে আসামী করে কল্পনা চাকমা অপহরণের বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয়া, পাহাড়ি ও বাঙালি প্রতিনিধির সমন্বয়ে বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করা, অবিলম্বে উপরোক্ত তিন অপহরণকারীসহ কল্পনা চাকমা অপহরণ ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা ও অপরাধীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত বাঘাইছড়ি থানা হেফাজতে থাকা অপহরণের আলামত সংরক্ষণ করা।

সুত্রঃ http://www.chtnews.com/%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-3/


ভারতঃ নারীরা মাওবাদী দলে যোগ দিচ্ছেন কেন ?

n1

ভারতের ওডিশা রাজ্যের এক সাধারণ আদিবাসী মেয়ে রেবেকা। আর দশটা মানুষের মতো স্বাভাবিক জীবন-যাপনের স্বপ্ন ছিল তাঁর চোখে। সামাজিক বঞ্চনা, নিপীড়ন তাঁকে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বাধ্য করেছে। সমাজ বদলের অঙ্গীকারে সাড়া দিয়ে তিনি ভিড়েছেন মাওবাদীদের দলে।

জীবনের চাওয়া যেখানে শৃঙ্খলিত, পাওয়ারও কিছু নেই। সেখানে সশস্ত্র বিপ্লব করে যদি কাঙ্ক্ষিত অধিকার আদায়, সেটাই তো লাভ। এমন আশা নিয়ে রেবেকা এখন ওডিশার কান্ধামাল জেলার একটি মাওবাদী দলের স্থানীয় কমান্ডারের সহযোদ্ধা।

ভারতে মাওবাদী দলগুলোতে রেবেকার মতো নারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এসব দলে নারী ও পুরুষের সংখ্যা এখন প্রায় কাছাকাছি। প্রশ্ন উঠতে পারে, মাওবাদীদের দলে এত নারীর অন্তর্ভুক্তির কারণটা কী? ২০১৩ সালে বিবিসি অনলাইনে এ ব্যাপারে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

২০১০ সালে মাওবাদীদের সঙ্গে যোগ দেন রেবেকার বোন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশের হেফাজতে নির্মম গণধর্ষণের শিকার হন তিনি। তাঁর ভাইও পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় কোনো এক অজানা কারণে মারা যান। এসব ঘটনাই রেবেকাকে এ পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে।

রেবেকা স্পষ্ট কণ্ঠে বলেন, বিপ্লবে যোগ দেওয়া ছাড়া আমার আর কোনো উপায় ছিল না। এখন পেছনে ফিরে তাকানো আর সম্ভব নয়।

n2
বিশ্লেষকদের মতে, বড় বড় বাণিজ্যিক প্রকল্পের কারণে নিজ ভূমি থেকে উৎখাত হওয়া, সীমাহীন দারিদ্র্য, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নির্যাতনের ভয়—এ ধরনের নানা কারণে অনেক নারী মাওবাদী দলে যোগ দিচ্ছেন।

পুলিশের দাবি, কোনো আদর্শগত কারণে নয়, বরং মাওবাদী দলগুলোতে নারীদের পুরুষ বিদ্রোহীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। লড়াইয়ের সময় তাঁদের সামনের সারিতে রাখা হয়, যাতে পুলিশকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করা সম্ভব হয়।

বিহারের সাবেক বিদ্রোহী কমান্ডার রামপতি রঘুর ভাষ্য, ‘অনেক নারী তাঁদের ও পরিবারের সদস্যদের ওপর নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতে আমাদের সঙ্গে যোগ দেন।

রাঁচির সাবেক মাওবাদী যোদ্ধা রেশমি মাহলি জানান, অভাবের তাড়নায় ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি একটি মাওবাদী দলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এখন তিনি রাঁচিতে একটি চায়ের দোকান চালান।

আরো জানতে – 

“গেরিলা বাহিনীতে ৫০ শতাংশই নারী” – জানালেন মাওবাদী নেতা অর্জুন

“গেরিলা বাহিনীতে ৫০ শতাংশই নারী” – জানালেন মাওবাদী নেতা অর্জুন

 

ভারতের মাওবাদী নারী গেরিলারা –

ভারতের মাওবাদী নারী গেরিলারা –