ভারতঃ নকশাল তাত্ত্বিক কোবাদ গান্ধী অনশন ভঙ্গ করেছেন

SS-E2614-KobadG

k1

তিহার জেলে আটক বিচারাধীন ৬৮ বছর বয়সী নকশাল তাত্ত্বিক কোবাদ গান্ধী শুক্রবার অনশন ভঙ্গ করেছেন। আদালত থেকে কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি কোবাদ গান্ধীকে যথাযথ স্বাস্থ্য সুবিধা ও মৌলিক সুযোগ সুবিধা প্রদানের নির্দেশ আসার পরপরই তিনি অনশন ভঙ্গ করেন। কোবাদের আইনজীবী ভাভুক চৌহান সাংবাদিকদের বলেন, “এটি অত্যন্ত উপযোগী একটি নির্দেশ। আদালত তার (কোবাদের) বয়স ও প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করেছে।” মাওবাদী মতাদর্শবাদী তাত্ত্বিক হবার অভিযোগে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বাস্থ্যের যাতে অবনতি ঘটে সেই উদ্দেশ্যে তিহার কারা কর্তৃপক্ষ তাকে হয়রানি করছে এই অভিযোগে গত শনিবার থেকে কোবাদ অনশন শুরু করেন। এক কারাগার থেকে তাকে আরেক কারাগারে স্থানান্তর করা হলে ঔষধপত্র, গরম পানি, বিছানা ও কমোড ইত্যাদি মৌলিক সুবিধাগুলো থেকে তিনি বঞ্চিত হবেন; তাই মুলতঃ এই স্থানান্তরের প্রতিবাদে তিনি অনশন করেছিলেন। কোবাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিহার কারা কর্তৃপক্ষ একটি প্রতিবেদন পেশ করে, যাতে উল্লেখ করা হয় তাকে চিকিৎসা সেবা থেকে কখনো বঞ্চিত করা হয়নি। ‘অভিযুক্তকে যেসকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করার কথা সেগুলো যেন তাকে যথাযথ ভাবে প্রদান করা হয়’ সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে আদালত জেল সুপারিন্টেন্ডেন্টকে নির্দেশ দেয়। ১৫ মিনিটের শুনানি শেষে এ নির্দেশ দেয়া হয়।

সুত্রঃ http://www.thehindu.com/news/national/ghandy-ends-hunger-strike/article7287551.ece


ভারতঃ ছত্তিশগড়ে ফের মাওবাদী হামলা, মৃত ১ জওয়ান

naxal-Maoists-AFP1

রায়পুর: ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়ায় মাওবাদী হামলায় মৃত্যু হল ১ জওয়ানের৷ জখম আরও ২ জওয়ান৷তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ শনিবার দান্তেওয়াড়ার তুমনার অঞ্চলে এদিন জওয়ানদের উপর হামলা চালায় মাওবাদীরা৷ এই ঘটনার নিন্দা করেছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং৷

এদিনই সকালে অন্ধ্রপ্রদেশ-ওড়িশা সীমান্তে পুলিশের হাতে এক মাওবাদীর মৃত্যু হয়৷ তারপরই, দান্তেওয়াড়ায় এই হামলা চালায় মাওবাদীরা৷

সুত্রঃ http://www.bengali.kolkata24x7.com/mao-attack-at-chattisgarh.html


সিপিএমএলএম বাংলাদেশ-এর দলিলঃ সাম্প্রতিক যৌন সন্ত্রাসের শ্রেণী প্রকৃতি (১৪ জুন ২০১৫)

সিপিএমএলএম বাংলাদেশ-এর দলিল

১৪ জুন ২০১৫

Kalo-haat

সাম্প্রতিক যৌন সন্ত্রাস

নববর্ষে বর্ষবরণ করতে আসা নারীদের উপর ছাত্রলীগের যৌন সন্ত্রাস মধ্য শ্রেণীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। ছাত্রলীগের এ জাতীয় আচরণ নতুন না হলেও আওয়ামী লীগের আশির্বাদ নিয়ে চলে এরূপ অনেক বুদ্ধিজীবিদের এ ঘটনাগুলো হতাশ করেছে। বলা বাহুল্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। তারপর এর প্রতিবাদ করতে আসা বিভিন্ন গোষ্ঠীর উপর পুলিশি সন্ত্রাস মধ্যশ্রেণীর স্বচ্ছল অংশকে আরো হতাশ করেছে।

উক্ত যৌন সন্ত্রাসের শ্রেণী

এই যৌন নিপীড়কগণ আমলাতান্ত্রিক বুর্জোয়া। এই বুর্জোয়ারা নারীদের ভোগের বস্তু মনে করে। নারীদের পন্য মনে করে ও পন্যে রূপান্তরের প্রচেষ্টা চালায়। অন্যদিকে সামন্ততান্ত্রিক নিপীড়ন নারীকে পুরুষের দাসী ও ভোগ্য বস্তু মনে করে। এরা নারীকে গৃহদাসীরূপে আবদ্ধ রাখতে চায়। তাই তারা নারীদের উপর অবরোধ আরোপ করতে চায়। বাংলাদেশে এই দুই রূপের নারী নিপীড়ণ বিরাজ করছে।

মধ্যশ্রেণীর বাঙালী সংস্কৃতি ও হতাশা

শ্রমিক, কৃষক ও মধ্যশ্রেণীর বিপুল অধিকাংশ মানুষ বাঙালী সংস্কৃতি পালন করেন। এটা অবশ্যই ভাল। প্রতিটি জাতি নিজস্ব সংস্কৃতি লালন করবে এটাই স্বাভাবিক।

বাংলা নববর্ষ ১৪২২ উদযাপন

কিন্তু মধ্যশ্রেণীর অনেকেই প্রতিক্রিয়াশীল বুর্জোয়া ধারার উপর আস্থা রাখেন এবং সেখান থেকে আশীর্বাদ গ্রহণ করতে চান। কিন্তু তারা যখন বিশ্বাসঘাতকতা—ধর্ষণ, লাঞ্চনা গঞ্চনা প্রাপ্ত হন তখন তারা মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু তারা এর শ্রেণীপ্রকৃতি আবিষ্কার করতে পারেননা। সামন্ততান্ত্রিক নিপীড়ণ তারা বোঝেন, এটা তাদের কাছে খানিকটা পরিষ্কারভাবে ধরা পড়ে, কিন্তু বুর্জোয়া প্রতিক্রিয়াশীলদের নিপীড়ণ কাঠামোটি তাদের কাছে পরিষ্কার হয়না, তারা শুধু উপরিতলের ঘটনা দেখেন, এর গভীরে যেতে পারেন না। কেন? কারণ তারা নিজেরা কেউ কেউ কিছু সুবিধাপ্রাপ্ত, কেউ কেউ তা দেখে লালায়িত, কেউ কেউ এসব থেকে বঞ্ছিত হলেও ঐ স্বপ্ন তাদের মন থেকে একেবারে উবে যায়নি। আর ঐ শ্রেণীর ব্যাপক অধিকাংশই তাদের স্বপ্ন দিন দিন অধিক থেকে অধিক ভেঙে চুরমার হয়ে যেতে দেখছে, যে স্বপ্ন কিন্তু আর কিছুনা, স্রেফ কোনভাবে বেঁচে থাকা। শ্রমিক ও কৃষকেরও কোনভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন। কিন্ত আরেক বিপরীত স্বপ্ন আছে যা শুধু বেঁচে থাকার নয়, বরং এমন এক জীবনের যেখানে মানুষের মত মানুষ হয়ে বেঁচে থাকা যায়। কিন্তু সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে দরকার এক জীবন মরণ সংগ্রাম।

নারী নিপীড়ণের আরেক উৎস সাম্রাজ্যবাদ-সম্প্রসারণবাদ

সাম্রাজ্যবাদ ও সম্প্রসারণবাদ বাংলাদেশকে আধা উপনিবেশিক অধীনতায় আবদ্ধ রেখেছে। তারা নারী নিপীড়ণের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধারী। পুরুষতান্ত্রিক পর্নো সংস্কৃতির আগ্রাসন, যৌন ব্যবসা-বাণিজ্য ও নারী পাচার তারা পরিচালনা করে।

সাম্রাজ্যবাদ-সম্প্রসারণবাদ নারীদের মিত্র হতে পারেনা

মধ্যশ্রেণীর যে ধারাটি পুঁজিবাদের উপর কোন না কোনভাবে আস্থা রাখে কিন্তু তার অত্যাচারী প্রকৃতি দেখে হতাশ হয়ে পড়ে তার প্রকৃষ্ট উদাহারণ তসলিমা নাসরিন। সামন্ততান্ত্রিক ধর্মবাদের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে তাকে দেশত্যাগ করতে হয়েছে।

মধ্যশ্রেণীর প্রতিবাদীরা দেশে থাকতে পারেননা কেন? এটা একটা মৌলিক প্রশ্ন।

মধ্যশ্রেণীর লোকেরা দৈহিক শ্রমে নিযুক্ত হতে পারেনা, বস্তিতে থাকতে পারেনা, দরিদ্র কৃষকদের বাড়ীতে থাকতে পারেনা। এগুলো তারা দরকারও মনে করেনা। আমরা কমিউনিস্ট, তাই এই ধরণের কথাবার্তা বলি। আমরা কিন্তু মধ্যশ্রেণীর লোকেদের উপর এমন কঠিন শর্ত আরোপ করিনা, কিন্তু তাদেরকে বিপ্লব করতে হলে অনেক ওলট পালটের মধ্য দিয়ে যেতে হবে, রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। যথার্থ বিজ্ঞানকে ধারণ করতে হলে জনগণের জীবনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে মিশে থাকতে হবে। মধ্যশ্রেণীর লোকেরা একটু সুযোগ সুবিধা পেলেই যে কোন আন্দোলনের নেতৃত্ব পরিত্যাগ করে অথবা বিদেশে আশ্রয় নেয়।

সাম্রাজ্যবাদ অথবা সম্প্রসারণবাদ তাদের আশ্রয় দেয় ধর্মবাদী দৃষ্টিকোন থেকে এক ধর্মের বিরুদ্ধে আরেক ধর্মকে উস্কানী দিতে আর আগ্রাসনের অজুহাত খাঁড়া করতে।

তাই মধ্যশ্রেণীর নেতৃত্বে নারী প্রশ্নটি সফলভাবে এগিয়ে যেতে পারেনা, এর গভীরে পৌঁছতে পারেনা, এক ব্যাপক আন্দোলনে পরিণত হতে পারেনা।

নারী প্রগতির প্রশ্নটি যদি সমাজের আমূল বিপ্লবী রূপান্তরের প্রশ্নের সাথে যুক্ত হয় তবেই তা সফল হতে পারে। এমন এক সাম্যবাদী সমাজের কথা কল্পনা করুন যেখানে কোন শোষণের চিহ্ন নেই, নারীরা আর যৌন দাসী নয়, সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র নয়!

কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদী-লেনিনবাদী-মাওবাদী

 

 

সুত্রঃ http://sarbaharapath.com/?p=1613


কমরেড স্তালিনের দুর্ধর্ষ প্রত্যাবর্তন

Stalin

সঙ্কটগ্রস্ত পুঁজিবাদের অবস্থাটা হলো সেই কাদায় আটকে যাওয়া পাখির মতো। কাদায় জড়ানো ল্যাজ ছাড়াতে গিয়ে ঠোঁট ডুবে যাচ্ছে কাদায়, আবার কাদা থেকে ঠোঁট তুলতে গেলে কাদায় জড়িয়ে যাচ্ছে ল্যাজ।”      — স্তালিন

স্তালিন ৫লক্ষ ১৯হাজার ১৭। নেভেস্কি ৫লক্ষ ২৪হাজার ৫৭৫।

মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার কম ভোট পেয়ে স্তালিন তৃতীয়। নেভেস্কি শীর্ষে।

আসলে স্তালিন এক নম্বরেই থাকতেন। যদি না ছ’মাস ধরে দেশজুড়ে চলা এই ভোটের একেবারে শেষ মুহূর্তে অন্য কাউকে ভোট দেওয়ার জন্য সংগঠকরা আবেদন না করতেন। এবং স্তালিন এক নম্বরে ছিলেনও। একবার নয়, দু’-দু’বার। যদিও, শেষে সবাইকে বিস্মিত করে, সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে প্রথম হন ত্রয়োদশ শতকের রুশ যুবরাজ আলেকজান্ডার নেভেস্কি। যাকে আজকের রাশিয়া প্রায় চেনে না বললেই চলে। নেভেস্কির পিছনে ছিল আজকের ক্রেমলিন। ছিল পুতিন, মেদভেদেভের সমর্থন। তাঁকে জাতীয় নায়ক হিসেবে প্রচার করে ক্রেমলিন। লক্ষ্য ছিল রাজতন্ত্রকে প্রচারের আলোয় নিয়ে আসা। দু’নম্বরে ইয়োটর স্টলিপিন। বিশ শতকের গোড়ার সময়ের প্রধানমন্ত্রী, যিনি কাজ করেছেন শেষ জার দ্বিতীয় নিকোলাসের আমলে, পুতিনের কাছে যিনি ‘রোল মডেল।’

তবু স্তালিন তৃতীয়। কুড়ি বছর আগে, বার্লিনের প্রাচীর ভাঙার দিন রাশিয়ার মহান ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের তালিকায় এই স্তালিনই ছিলেন দশ নম্বরে। আর আজ, মানুষের রায়ে ‘রাশিয়ার সর্বকালীন সেরা নেতৃত্বের’ তালিকায় স্তালিন উঠে এসেছেন তিন নম্বরে। পেয়েছেন ৫লক্ষের ওপর ভোট।

ছ’মাস ধরে পঞ্চাশ লক্ষের বেশি মানুষ ফোনে এবং ইন্টারনেটে তাঁদের এই মতামত দেন। রাশিয়ার মানুষ বেছে নেন প্রথমে পাঁচশ জনের মধ্যে পঞ্চাশ জনকে। সেখান থেকে শীর্ষ বাছাই বারো জনকে।

এবং এই বারোতে আছেন ভ্লাদিমির লেনিনও। ছ’নম্বরে।

তালিকায় কোনও জীবিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন না। স্তালিনকে ‘স্বৈরাচারী’ বলা নোবেল জয়ী ভাড়াটে লেখক আলেকজান্ডার সলঝনেৎসিনের মৃত্যুর পর তাঁকে যুক্ত করা হলেও, খুব সামান্যই ভোট পান তিনি। পঞ্চাশে থাকলেও, ১২’তে আসার আগেই হারিয়ে যান নিকিতা ক্রুশ্চেভ থেকে বরিস ইয়েলৎসিন।

আরও তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো, ভোটারদের অধিকাংশ ছিলেন তরুণ, যাঁরা স্তালিনকে দেখেননি।

বছর ছয়েক আগের শীত। ২১ডিসেম্বর, ২০০৯। স্তালিনের ১৩০তম জন্মবার্ষিকী। স্তালিনের স্তুতি করে লেখা একটি স্তবক নতুন করে বসানো হয়েছে মস্কোর অন্যতম ব্যস্ত মেট্রো স্টেশনের প্রবেশ হলে। ঢেলে সাজানো হয়েছে ১৯৪৯তে তৈরি কুরস্কায়া স্টেশনের রোটান্ডা। তাতে লেখা হয়েছে ১৯৪৪এ সোভিয়েত জাতীয় সঙ্গীতের একটি লাইন, ‘স্তালিন আমাদের শিখিয়েছেন মানুষের প্রতি আনুগত্য, তিনি আমাদের উদ্দীপ্ত করেছেন শ্রমের জন্য, বীরত্বের জন্য।’

স্তালিনের মৃত্যুর ৫৯বছর। ক্রুশ্চেভ তাঁর বিরুদ্ধে ‘ব্যক্তিপূজার’ অভিযোগ তোলার পর, রাতারাতি রাশিয়ার রাস্তা, সরকারী দপ্তর থেকে মুছে ফেলা হয় স্তালিনের নাম, তাঁর ছবি। রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে চিরস্থায়ী করে রাখা তাঁর মরদেহ সরিয়ে দেওয়া হয় ক্রেমলিনের মুসোলিয়ামে ভ্লাদিমির লেনিনের পাশ থেকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অসাধারণ বীরত্ব ও শৌর্যের বিপুল খ্যাতি সত্ত্বেও ছেঁটে ফেলা হয় স্তালিনগ্রাদ শহরের নাম। ভেঙে ফেলা হয় স্তালিনের বহু স্মৃতিসৌধ।

‘ফিরিয়ে দিতে হবে স্তালিনগ্রাদের নাম।’ ঠিক এইমুহূর্তে ভলগার কোলে একসময়ের স্তালিনগ্রাদ, আজকের ভলগোগ্রাদে চলছে সই সংগ্রহ অভিযান। সংগ্রহ করতে হবে অন্তত ১,০০,০০০সই। তাহলেই বিল আনা যাবে সংসদে। রাশিয়ার কমিউনিস্ট পার্টি (সি পি আর এফ)-র কর্মীরা তাই যাচ্ছেন বাড়ি। রাশিয়ায় কমিউনিস্ট পার্টির যা শক্তি, তার চেয়ে অনেক বেশি গণভিত্তি রয়েছে এই শহরে।

লালফৌজের সবচেয়ে গৌরবজনক লড়াই এই স্তালিনগ্রাদে। নেতৃত্ব মার্শাল জুকভ। শুরুতে নাৎসিরা শতকরা ৭৫ ভাগ অংশই দখল করে ফেলে। শেষে স্তালিনগ্রাদের এক বীরত্বপূর্ণ লড়াই। বিজয়।

‘আমি নিশ্চিত একদিন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবেই। স্তালিনগ্রাদের বিজয়ের পর দুনিয়ার প্রায় সব দেশে রাস্তা, স্কোয়ার, বুলেভার্ডের নামকরণ করা হয়েছে স্তালিনগ্রাদ। সেকারণে ভলগোগ্রাদকে তার প্রকৃত নাম — স্তালিনগ্রাদ ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।’ বলেছেন সি পি আর এফের চেয়ারম্যান গেন্নাদি জুগানভ। স্তালিনগ্রাদ যুদ্ধের বর্ষপূর্তিতে, রাউন্ড টেবিল বৈঠকে। ‘ইউরোপের বহু শহরই যে স্তালিনগ্রাদের নায়ককে অমর করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আদৌ কোনও দুর্ঘটনা নয়।’ বলেছেন টেলিভিশন ভাষ্যকার ভ্লাদিমির রুদাকভ। ব্রাসেলস, প্যারিসে রয়েছে স্তালিনগ্রাদ স্ট্রিট। ‘অথচ রাশিয়ার মানচিত্রে এই নাম অনুপস্থিত গত পঞ্চাশ বছর ধরে। ইতিহাসের কৌতুকই বটে!’ সি পি আর এফের নিকোলাই কার্তিনোভা বলেছেন, রাশিয়ায় সবাই স্তালিনকে ভালোবাসেন এমন নয়। ‘তবে অধিকাংশই মনে করেন, স্তালিন যা করেছিলেন, তার মধ্যে নেতিবাচক দিকগুলির চেয়ে ইতিবাচক দিকই বেশি।’

আজ আবারও দাবি উঠছে স্তালিনকে ফেরানো হোক ক্রেমলিনে। জাবত্রাঁ পত্রিকার মুখ্য সম্পাদক আলেকজান্ডার প্রোখানভ যেমন বলেছেন, ‘স্তালিনের থাকা উচিত ক্রেমলিনেই। তাঁর প্রতি আজ বিপুল আগ্রহ। কারণ, আজকের নেতাদের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়েছেন। শক্তিশালী ও প্রাজ্ঞ নেতার অভাবে মানুষ আবার পিছনের দিকে তাকাতে বাধ্য হচ্ছেন, যখন দেশে ছিল মহান নেতৃত্ব, জনগণের প্রকৃত জনক। এবং স্তালিন তাঁদের মধ্যে প্রথম।’ টেলিভিশনের ডাকসাইটে সঞ্চালক নিকোলে প্রোজদভ বলেছেন, ‘স্তালিন একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব। বইয়ে তাঁর ভূমিকার বস্তুগত মূল্যায়ন হওয়া উচিত।’ আজ আবার বইয়ের দোকানে স্তালিন ও তাঁর সময়কে নিয়ে লেখা বইয়ের ভিড়। এবং অধিকাংশই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে লেখা। প্রাদেশিক শহরগুলিতে মেরামত করা হচ্ছে স্তালিনের মূর্তি। একসময়ের স্তালিনগ্রাদ, আজকের ভলগোগ্রাদে প্রথম বেসরকারী জাদুঘরের নাম রাখা হয়েছে স্তালিনের নামে।

মস্কোর রাস্তায় ফের বসানো হয়েছে আশি ফুট উঁচু ইস্পাতের তৈরি সোভিয়েত আমলের সবচেয়ে পরিচিত অসাধারণ ভাস্কর্য। সমাজতান্ত্রিক রাশিয়ার মুখ। হাতে কাস্তে হাতুড়ি নিয়ে ‘শ্রমিক ও যৌথ খামারের কৃষক রমণীর’ দৃপ্ত পদক্ষেপ। স্তালিন পুরস্কার পাওয়া অনন্যসাধারণ স্থাপত্য। পার্টির মুখপত্র প্রাভদা পত্রিকায় সি পি আর এফের অন্যতম শীর্ষ নেতা ইভান মেলিনিকভ বলেছেন, ‘এই স্মারক-সৌধটির ঐতিহাসিক তাৎপর্য বিপুল। এবং অবশ্যই আমরা খুশি। মস্কো শহরের কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। তবে অন্যদিকটিও ভুললে চলবে না। এটি আসলে শ্রম ও শ্রমিকের স্বীকৃতি। বহু শতাব্দী ধরে শোষণের পর সোভিয়েত ছিল শ্রম ও শ্রমিকের পক্ষে। এখন রাষ্ট্রের চরিত্রের পরিবর্তন হয়েছে। শ্রম ও শ্রমিকের ভূমিকার পরিবর্তন হয়েছে। স্মারক সৌধটি ফিরেছে, কিন্তু সে যুগ এখনও ফিরে আসেনি।’

স্তালিন দেবদূত ছিলেন না। ছিলেন না কোনও অবতার।

স্তালিন মানুষ ছিলেন। এটা ঠিক, কিছু ভুল-ভ্রান্তি তাঁরও ছিল। এবং এই ভুলভ্রান্তি, ব্যক্তিপূজাকে আড়াল করা নয়। বরং তার থেকে ভবিষ্যতের শিক্ষা নেওয়াই মার্কসবাদীদের কাজ। কিন্তু তা করতে গিয়ে তার ফাঁক দিয়ে মূল বিষয়টি যেন হারিয়ে না যায়।

স্তালিন মানে, ট্রটস্কিবাদকে পরাস্ত করে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার তত্ত্বকে বাস্তবে রূপায়িত করা। স্তালিন মানে, স্থায়ী বিশ্ববিপ্লব না হলে কোনও একটি দেশে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা গঠন অসম্ভব — লিঁও ট্রটস্কির এই তত্ত্বকে পরাজিত করে একটি দেশে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তাঁর অবিস্মরণীয় অবদান।

স্তালিন মানে, একটি অনগ্রসর কৃষিপ্রধান, সামন্তবাদী ও জারতন্ত্রের শোষণে শোষিত, বঞ্চিত, রিক্ত রাশিয়াকে শিল্পে, কৃষিতে, শিক্ষা, বিজ্ঞানে পুঁজিবাদী দেশগুলির সমকক্ষ গড়ে তোলা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে পুঁজিবাদী দেশগুলির চেয়েও উন্নত অবস্থায় নিয়ে আসার মহান কৃতিত্ব।

স্তালিন মানে, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের শক্তিশালী অর্থনৈতিক বিকাশ। গত শতকের তিনের দশকের গোড়ায়, মহামন্দায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পুঁজিবাদী শক্তির যখন শ্বাসরোধ হওয়ার অবস্থা, তখন স্তালিনের সোভিয়েত ইউনিয়ন অর্থনৈতিক বিকাশে বিশ্বের মধ্যে প্রথম স্থানে। এবং এটা নেহাতই কাকতালীয় ছিল না। বরং, এটি ছিল দু’টি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মতাদর্শগত ভিন্নতার অনিবার্য প্রতিফলন। স্তালিনের সোভিয়েতে অর্থনীতি ছিল পরিকল্পিত অর্থনীতির ভিত্তিতে সমাজতন্ত্র। আর এই বিকাশ শুধু পরিমাণগত বৃদ্ধির কারণেই নয়, অর্জিত হয়েছিল অর্থনীতির গুণগতমান উন্নয়নের কারণেও। যে ভিতের নকশা তৈরি করেছিলেন স্বয়ং স্তালিন।

মহামন্দার চার বছর আগেই ১৯২৫এ, সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির চতুর্দশ কংগ্রেসে স্তালিন বলেছিলেন, ‘অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর, স্বাধীন এবং দেশীয় বাজারের ওপর ভিত্তি করে আমাদের দেশকে তৈরি করা উচিত… আমাদের অর্থনীতি আমাদেরই নির্মাণ করা উচিত, যাতে আমাদের দেশ পুঁজিবাদী বিশ্বব্যবস্থার লেজুড় না হয়, পুঁজিবাদী উন্নয়নের সার্বিক প্রকল্পের মধ্যে এটি ছিল না, তার সহযোগী সংস্থাগুলি আমাদের অর্থনীতিকে উন্নত করেনি, যেমন করেছে বিশ্ব পুঁজিবাদে, এটি ছিল আমাদের দেশের শিল্প ও কৃষি অর্থনীতির জোটবন্ধনের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন অর্থনৈতিক ইউনিট।’

সেদিন স্তালিন বলেছিলেন, ‘উন্নত দেশগুলির তুলনায় আমরা পঞ্চাশ থেকে একশ বছর পিছিয়ে আছি। আগামী দশ বছরে মধ্যে আমাদেরকে এই দূরত্ব অতিক্রম করতেই হবে। হয় এটা আমাদের করতে হবে, নাহলে ওরা আমাদের গুঁড়িয়ে দেবে।’ এবং স্তালিনের সোভিয়েত তা করে দেখিয়েছিল।

স্তালিনের নেতৃত্বে সোভিয়েতে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯২৮-৩২) ছিল সার্বিক অগ্রগতির এক উৎসমুখ। পরিকল্পনার প্রথম চার বছরেই কৃষি, শিল্প, শিক্ষাসহ সবকটি মৌলিক ক্ষেত্রেই দেখা যায় গড়পড়তা ৯৩ শতাংশ সাফল্য। রীতিমতো তাক লগিয়ে দেওয়া অগ্রগতি। প্রথম পরিকল্পনার চার বছরে সোভিয়েতে শিল্পোৎপাদন বেড়ে যখন দ্বিগুণ, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তা কমে ৫৭শতাংশ, ব্রিটেনে ১৮শতাংশ, জার্মানিতে ৪০শতাংশ এবং ফ্রান্সে ৩০শতাংশ।

স্তালিন মানে, দুর্ধর্ষ নাৎসী বাহিনী ও হিটলারের দস্যুদের পরাস্ত করে ফ্যাসিবাদের ধ্বংসসাধন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জয় এবং ইউরোপের জন্য স্বাধীনতা।

স্তালিন মানে, পরমাণু অস্ত্রের মালিকানা শুধু একচেটিয়া আমেরিকার হাতে না — পরবর্তী পঞ্চাশ বছরে কোনও বড় যুদ্ধ না, এবং নয় আর কোনও হিরোশিমা-নাগাসাকি।

স্তালিন মানে, লেনিন প্রদর্শিত পথে আন্তর্জাতিকতাবাদের প্রসার। লেনিনের সমস্ত প্রবন্ধ ও অভিজ্ঞতাকে সূত্রায়িত করে লেনিনবাদের প্রচার।

স্তালিন মানে, বিভিন্ন জাতি-উপজাতির (প্রায় একশ’) সুদৃঢ় ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠা।

চার বছর আগে ত্রয়োদশ কংগ্রেসে স্তালিনের ঐতিহাসিক ভূমিকার পুনর্মূল্যায়ন করে কমিউনিস্ট পার্টি অব রাশিয়ান ফেডারেশন (সি পি আর এফ)। পরের বছর ২৪মার্চ পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ‘জোশেফ স্তালিনের ১৩০তম জন্মবার্ষিকী নিয়ে’ গ্রহণ করে একটি প্রস্তাব। দেশজুড়ে হয় মিটিং-মিছিল, সভা-সমাবেশ, সেমিনার। হয় কনসার্টও। বিলি করা হয় এক লক্ষের উপর ‘অর্ডার অব স্তালিন’। পার্টি সদস্যদের মধ্যে, পার্টির বাইরে সাধারণ মানুষের মধ্যে। জুগানভ বই লেখেন স্তালিন সম্পর্কে। শিরোনাম স্তালিন ও আজকের রাশিয়া। এবং বাজারে পড়তেই বই শেষ। নতুন সংস্করণ। ফের নতুন সংস্করণ।

লেখক – শান্তনু দে, ২২/১২/২০১২


“পুঁজিবাদ ও নারী শ্রমিক” – কমরেড লেনিন

10431526_582945021847414_8879094143626480221_n

বর্তমান পুঁজিবাদী সমাজের মধ্যে দারিদ্র্য ও নিপীড়নের অসংখ্য ঘটনা চাপা থাকে যা হামেশা চোখে পড়ে না। সবচেয়ে ভাল সময়েও শহরের বিক্ষিপ্ত গরিব পরিবারগুলি, কারিগর, শ্রমিক, চাকুরিজীবী এবং ছোট ছোট সরকারি কর্মচারীরা অবিশ্বাস্য রকমের শোচনীয় অবস্থার মধ্যে দিন কাটায়। কোনো মতে দু’বেলার আহার সংগ্রহ করে। এই সব পরিবারের লক্ষ লক্ষ নারী পারিবারিক দাসী হিসাবে বেঁচে থাকে (অথবা কোনোমতে জীবন ধারণ করে)। তারা অতি সামান্য পয়সায় পরিবারের অন্নবস্ত্র যোগাড় করার জন্য প্রতিদিন হাড়ভাঙা খাটুনি খাটে, আর সবকিছু বাঁচাতে নিজেদের শরীরপাত করে।

এইসব নারীদেরই পুঁজিপতিরা স্বেচ্ছায় তাদের বাড়িতেই কাজ দিয়ে থাকে। আর তারা তাদের জন্য ও পরিবারের জন্য সামান্য আহার সংস্থানের আশায়, একটুখানি অতিরিক্ত আয়ের জন্য অস্বাভাবিক রকম কম মজুরিতে কাজ করতে রাজি হয়। এইসব নারীদের মধ্য থেকেই আবার সব দেশের পুঁজিপতিরা অতিশয় ন্যায্য মূল্যে নিজেদের জন্য যত খুশি রক্ষিতা সংগ্রহ করে থাকে (প্রাচীন যুগে দাসদের মালিকদের মতো) নারীদের নিয়ে এই ব্যবসার বেলায় কিন্তু পতিতাবৃত্তির বিষয়ে কোন নৈতিক ঘৃণাই (যা কিনা শতকরা ৯৯টি ক্ষেত্রেই শঠতা ছাড়া আর কিছুই না) আর কোনো কাজে আসে না। যতদিন মজুরি দাসত্ব থাকবে, ততদিন পতিতাবৃত্তিও অনিবার্যভাবে থাকবেই। মানব সমাজের ইতিহাসের সর্বস্তরেই সমস্ত নিপীড়িত, শোষিত শ্রেণীর মানুষ সব সময়েই বাধ্য হয়েছে (এবং এইভাবে তারা শোষিত হয়েছে) তাদের শোষকদের জন্য প্রথমত তাদের বেগার শ্রম দিতে এবং দ্বিতীয়ত তাদের নারীদের প্রভুদের জন্য রক্ষিতা হিসাবে দিতে।

এ বিষয়ে দাসপ্রথা, সামন্ততন্ত্র ও ধতন্ত্রের মধ্যে কোন তফাত নেই। শুধু শোষণের রূপ পালটেছে। কিন্তু শোষণ থেকেই গেছে।
নারীরা বাড়ি বসে কাজ করে কিভাবে শোষিত হচ্ছে সে বিষয়ে সভ্যজগতের কেন্দ্রস্থল, রাজধানী প্যারিসে একটি প্রদর্শনী খুলছে।
প্রতিটি প্রদর্শনীতেই দেখানো হয়েছে নারীরা বাড়ি বসে কাজ করে কোন জিনিসের জন্য কত পায়, এবং সেই অনুযায়ী প্রতিদিন ও প্রতি ঘণ্টায় তার কত আয় হয়।
আর তার থেকে আমরা কি দেখলাম? কোনো একটি জিনিসের জন্যই ঘরে বসে কাজ করে কোন নারীই ১.২৫ ফ্রাঙ্ক বা ৫০ কোপেকের বেশি পায় না। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সকলেই আয় করে এর চেয়ে অনেক কম। ল্যাম্পশেডের কথা ধরা যাক। প্রতি ডজনের জন্য মজুরি চার কোপেক, প্রতি ঘণ্টায় আয় ৬ কোপেক। তারপর ফিতে বাধা পুতুল ইত্যাদি। ঘণ্টায় ২.২৫ কোপেক। নকল ফুল: ঘণ্টায় দুই বা তিন কোপেক। মহিলা পুরুষদের অন্তরবাস: ঘণ্টায় ২ থেকে ৬ কোপেক। এই ভাবেই চলছে। তালিকার শেষ নেই।
আমাদের শ্রমিক সংগঠনগুলির এবং ট্রেড ইউনিয়নগুলির এই ধরনের প্রদর্শনী সংগঠিত করা দরকার। তাতে বুর্জোয়াদের মুনাফার পাহাড়ের কিছু দেখা যাবে না। সর্বহারা নারীদের অভাব ও দৈন্যদশার প্রকাশের মধ্যে দিয়ে অন্য সুফল হবে। এর থেকে নারী পুরুষ নির্বিশেষে মজুরিদাসদের তাদের নিজেদের অবস্থা বুঝতে সাহায্য করবে। তারা তাদের জীবনের দিকে ফিরে তাকাবে। আবহমান কাল ধরে অভাব, দারিদ্র্য, বেশ্যাবৃত্তি এবং বঞ্চিত জীবনের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবার কথা ভাববে।

[লিখেছেন ২৭ এপ্রিল, ১৯১৩, প্রাভদায় প্রকাশিত হয়েছে : প্রাভদা নং ১০২, মে ৫, ২০১৩]

সূত্র: সাপ্তাহিক সেবা, বর্ষ-৩৫।।সংখ্যা-০৩, রোববার।। ২৪ মে ২০১৫


আগামীকাল ২১শে জুন মাওবাদী আন্দোলনের সমর্থনে উত্তর ইটালিতে ICPWI এর সমাবেশ

Poster-Support-PW-in-India-RFDPR-Brazil-2012-682x1024

বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতি মোতাবেক প্রয়োজনীয় যে কোন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সমর্থকদের দীর্ঘমেয়াদি ক্যাম্পেইনকে অর্থবহ করে তোলার লক্ষ্যে ও  ভারতের মাওবাদী আন্দোলন কে সফল করার জন্য্ সকল আন্তর্জাতিক সমর্থকদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে The International Committee to Support the People’s War in India (ICPWI) ।

আগামী ২১শে জুন উত্তর ইতালিতে সকল সমর্থক সংগঠনগুলোর জন্য উন্মুক্ত একটি পূর্ণাঙ্গ সভা অনুষ্ঠিত করার আহ্বান জানিয়ে  ICPWI  বলেছে এ আন্দোলন কে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ নতুন প্রকাশনাসমূহ বের করা হবে যা চলমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে গণযুদ্ধের প্রতি সমর্থন সৃষ্টিতে কৌশলগত দিক থেকে মূল্যবান এবং উন্নয়ন ও জ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে একটি কার্যকরী মাধ্যম হতে পারে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গৃহীত ‘ভারতীয় জনগণের জন্য যুদ্ধ নয়’ শীর্ষক অগ্রবর্তী প্রচেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়ে  ICPWI  আরও বলেছে তাদের এই পরিকল্পনা প্রয়োজনীয় দ্রুততার সাথে সফল বাস্তবায়নের দিকে এগোচ্ছে।

এছাড়াও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের আগ্রহীদের ICPWI‘এর সাথে যোগাযোগ করার আহ্বানও জানিয়েছে সংগঠনটি।