ভারতঃ ‘রাস্তা তৈরি হলে আদিবাসীদের কোনও লাভ হবে না’- মাওবাদীরা জানাল
Posted: June 13, 2015 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: ওড়িশা, মাওবাদীরা, রাস্তা Leave a commentকোরাপুট: লক্ষ্য রাস্তা তৈরির কাজে বাধাদান৷ওড়িশার টোলে গাঞ্জেইপদার গ্রামে রাস্তা তৈরির কাজ চলার সময় দু’টি সরকারি গাড়ি ও নির্মাণ সরঞ্জামে আগুন লাগিয়ে দিল মাওবাদীরা৷ শুক্রবার রাতে নির্মাণকর্মীরা যখন ঘুমোচ্ছিলেন সেই সময় সেখানে হামলা চালায় প্রায় ৩০ জন মাওবাদী৷ সেখানে রাখা একটি জেসিবি মেশিন, ট্রাক্টর ও মিক্সচার মেশিনে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা৷
রাস্তা তৈরির আরও ১৫টি সরঞ্জামও নষ্ট করে দেয় মাওবাদীরা৷ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে মাওবাদীরা জানিয়েছে, ‘রাস্তা তৈরি হলে আদিবাসীদের কোনও লাভ হবে না৷ রাস্তা তৈরির কাজ তাড়াতাড়ি বন্ধ করুন৷ আমাদের কথা না শোনা হলে নির্মাণকর্মীদের শাস্তি দেওয়া হবে৷’ উল্লেখ্য, এর আগেও সেখানে রাস্তা তৈরির কাজে বিরোধিতা করেছিল মাওবাদীরা৷
সুত্রঃ http://indianexpress.com/article/india/india-others/odisha-maoists-torch-two-vehicles-engaged-in-road-construction/
ভারতঃ বন্দুকযুদ্ধের কাহিনী ভূয়া, দাবী মাওবাদীদের
Posted: June 13, 2015 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad | Tags: পালামৌ, বন্দুকযুদ্ধ, ভুয়া, লাতেহার, শিশু, সিপিআই (মাওবাদী) Leave a comment
রাঁচিঃ মঙ্গলবার গভীর রাতে পালামৌ-লাতেহার সীমান্তের কাছে যে বন্দুকযুদ্ধে ১১ জন সক্রিয় মাওবাদী সদস্য ও একজন জোনাল কমান্ডার নিহত হন, সেটি ভুয়া বলে দাবী করেছে মাওবাদীরা। স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় পাঠানো এক চিঠিতে তারা দাবী করে। চিঠিতে সিপিআই (মাওবাদী) এর মুখপাত্র গোপালজী আরও উল্লেখ করেন, ঝাড়খণ্ড জন মুক্তি পরিষদ (JJMP) নামে বিচ্ছিন্ন একটি মাওবাদী গোষ্ঠীর সশস্ত্র সদস্যরা পুলিশের মদদে মাওবাদীদের হত্যা করে। বন্দুকযুদ্ধের দুই দিন পর নিহত ১২ জনের মধ্যে ১১ জনকে মাওবাদী হিসেবে চিহ্নিত করার কোন সূত্র খুঁজে পায়নি পুলিশ। নিহতদের মধ্যে একজন ছিল শিশু।
ইতিপূর্বেও, ঝাড়খণ্ড পুলিশের বিরুদ্ধে ভুয়া বন্দুকযুদ্ধে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। কয়েক মাস আগে লাতেহারে এ ধরনের একটি বন্দুকযুদ্ধে দুইজন মাওবাদী নিহত ও একজন আহত হওয়ার ঘটনার তদন্ত করছে রাজ্যের অপরাধ তদন্ত দপ্তর state crime investigation department (CID)। এর আগে যে বড় ধরনের বন্দুকযুদ্ধ গুলো ঘটেছে সেখানে পুলিশ অনেক দ্রুত মাওবাদীদের পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল কিন্তু এবারের ঘটনায় তারা সেটা করতে পারেনি এবং এতে করে তাদের বিরুদ্ধে সন্দেহ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। পালামৌ এর এসপি ময়ূর প্যাটেল বলেন, “নিহতদের মধ্যে অনুরাগ যাদব ওরফে আরকেজী ওরফে ডাক্তারজীকে আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি, তিনি জোঅনাল কমান্ডার ছিলেন, তাকে ধরিয়ে দেবার জন্য ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। আমরা অন্যদেরকেও শনাক্ত করেছি কিন্তু তাদের মাওবাদী পরিচয় খুঁজে বের করতে কিছুটা সময় লাগবে।” ছত্র গ্রামের অধিবাসী ডাক্তারজীর ভাই লখন যাদব স্থানীয় টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, সন্তোষ কুমার (ডাক্তারজীর ছেলে) ও যোগেশ কুমার (ডাক্তারজীর ভাইপো) কোনদিন মাওবাদীদের জন্য কাজ করেনি। ওদের একজন ছিল পাড়ার শিক্ষক ও অপরজন ছিল গাড়িচালক। বৃহস্পতিবার লখন তাদের তিনজনের লাশ গ্রহণ করেন।
অবসরপ্রাপ্ত এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে পুলিশ প্রদত্ত তত্ত্বের মধ্যে বেশ কিছু ফাঁক রয়েছে। তার প্রশ্ন, “১২ জন মানুষ কীভাবে অস্ত্র সহ একটা SUV গাড়িতে চড়ে? এমন একটা শক্তিশালী অপারেশনে একটা SUV গাড়ি এত সহজে পালিয়ে গেল আর আরেকটা গাড়ি ধরা পড়ে গেল? ১২ জন মাওবাদী এত সহজে মারা গেল আর নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্য নূন্যতম আহতও হল না,” এক আইপিএস অফিসার জানান, ডাক্তারজীর মতো শীর্ষ পর্যায়ের একজন মাওবাদী যার মাথার মূল্য ১০ লাখ রুপি, তিনি কখনো এমন অপ্রস্তুত অবস্থায় চলাফেরা করেন না। তারা যখন বিশ্রাম নেন, তখনো সশস্ত্র ক্যাডাররা তাদের পাহারা দেয়। তিনি বলেন, “সত্যিকারের বন্দুকযুদ্ধে মাওবাদীরা অন্তত কয়েকজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে আহত করত। রাতের অন্ধকারে তাদের ১২ জনকে এমন অবলীলায় মেরে ফেলা এত সহজ নয়।”
মাওবাদী মুখপাত্র গোপালজী একইরকম অভিযোগ করেছেন। প্রেস নোটে বলা হয়েছে, “মাওবাদীদের সাথে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। JJMP এর বিদ্রোহীরা ১২ জনকে হত্যা করে এবং পুলিশ তাদেরকে সেইসব অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র পুরস্কার হিসেবে প্রদান করে যেগুলো তারা মৃত কমরেডদের থেকে কেড়ে নিয়েছিল। রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র এস এন প্রধান এইসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “যাদের হত্যা করা হয়েছে তাদের সকলের সাথেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল এবং তারা ডাক্তারজীর (মোস্ট ওয়ান্টেড) সাথে যাচ্ছিল। পুলিশকে দোষী সাব্যস্ত করার যে দাবী মাওবাদীরা করছে এটি তাদের একটি পুরনো অভ্যাস। আমরা অপারেশনে যে সূত্রই ব্যবহার করি না কেন, মাওবাদীরা তাদেরকে বলে JJMP।” মৃতদের মধ্যে একজন শিশু ছিল এ প্রসঙ্গে প্রধান বলেন, “একজন শিশু যদি আমাদেরকে গুলি করার চেষ্টা করে, আমরা প্রথমে তাকে প্রতিরোধ করব, তার বয়স জিজ্ঞেস করব না।”
সূত্রঃ http://timesofindia.indiatimes.com/city/ranchi/Encounter-fake-claim-Maoists/articleshow/47633626.cms