তুর্কি সরকারের কমিউনিস্ট গেরিলাদের উপর ‘সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান’ আন্তরিক না লোক-দেখানো ?
Posted: July 29, 2015 Filed under: লাল সংবাদ/lal shongbad Leave a commentইউরোপীয় সংসদ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল ও কুর্দি কমিউনিস্ট গেরিলা দল কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি-পিকেকে‘র ওপর হামলা বন্ধ করতে তুর্কি সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে।
উত্তর ইরাকে পিকেকে গেরিলা অবস্থান ও সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল-এর ওপর তুরস্কের সাম্প্রতিক বিমান হামলার প্রেক্ষাপটে এ আহ্বান জানাল ইউরোপীয় সংসদ।
ইউরোপীয় সংসদের মতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল ও পিকেকে‘র মধ্যে গুণগত পার্থক্য রয়েছে।
এদিকে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান চীনে তার সফরের প্রাক্কালে পিকেকে‘র সঙ্গে শান্তি আলোচনা অবসানের কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি পিকেকে‘র সমর্থক রাজনীতিবিদদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তাদেরকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে। তার এই হুঁশিয়ারি মূলত পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টিকে লক্ষ্য করে দেয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, দলটিকে পিকেকে‘র সহযোগী দল বলে মনে করা হয়। দলটি সাম্প্রতিক সংসদ নির্বাচনে প্রায় ১৩ শতাংশ ভোট পেয়ে সংসদে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে। আর এ বিষয়টি এরদোগানের মত ব্যক্তিরা হজম করতে পারছেন না।
এরদোগান এটা বোঝাতে চাচ্ছেন যে পিকেকে‘র সঙ্গে আর আলোচনা করা যায় না। কারণ দলটি তুরস্কের স্বার্থ ও অবস্থানের ওপর হামলা করছে। এরদোগান পিকেকে‘র নেতাদের মধ্যে মতবিরোধকেও কাজে লাগাতে চাইছেন যাতে এই দলের গেরিলা অবস্থানে তুর্কি হামলাকে যৌক্তিক বলে দেখানো যায়।
কিন্তু তুরস্কের পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি মনে করে দেশটিতে সম্ভাব্য নতুন সংসদ নির্বাচনের আগে কুর্দিদেরকে হতাশ করার জন্যই উত্তর ইরাকে পিকেকে‘র অবস্থানে হামলা চালাচ্ছে এরদোগান সরকার।
সন্ত্রাসবাদ দমনের আড়ালে কুর্দি কমিউনিস্ট দল পিকেকে কে দমনের জন্যই তুর্কি সরকার সিরিয়ায় আইএসআইএল-অবস্থানে হামলা চালিয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। অন্য কথায় তাদের মতে আইএসআইএল-অবস্থানে তুর্কি হামলার বিষয়টি একটি আই-ওয়াশ মাত্র। কারণ, তুর্কি সরকার আইএসআইএল-কে নানা সময়ে অস্ত্রসহ নানা ক্ষেত্রে সহায়তা দিয়ে এসেছে বলে নানা তথ্য-প্রমাণ প্রকাশিত হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আইএসআইএল-এর প্রতি তুর্কি সরকারের সহায়তার অভিযোগগুলো খণ্ডনের জন্যেও এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ওপর হামলা চালানো বা হামলা চালানোর অভিনয় করা এরদোগান সরকারের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছিল। সন্ত্রাসী এই গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে তুর্কি সরকারের ওপর দেশের ভেতর ও বাইরে চাপ ক্রমেই বাড়ছিল। এ অবস্থায় তুর্কি সরকার একই সময়ে কুর্দি গেরিলা ও আইএসআইএল-এর ওপর হামলা চালানোর পথ বেছে নিয়েছে যাতে পিকেকের সঙ্গে আলোচনায় যে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে তা থেকেও বেরিয়ে আসা যায়।
সূত্রঃ http://bangla.irib.ir/2010-04-21-08-29-09/2010-04-21-08-32-06/item/75804-%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A7%80-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B